এক রোপণে পাঁচবার ধান!
প্রিয় পাঠক কিভাবে একবার রোপন করে পাঁচ ভাগ ধার হবে সে সম্পর্কে জানতে হলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন অনুগ্রহ করে আমার সাথেই থাকুন আমি যথাসম্ভব আপনাকে এই সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব
ভূমিকা:ধান graminea গোত্রের দানাশস্যর উদ্ভিদ । বৈজ্ঞানিক নাম oryza sativa . লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রধান খাদ্য। ৪০ ভাগ মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটায় ধান । ৯০% বাঙ্গালীদের প্রধান খাদ্য এই ভাত ।
ধান থেকে তৈরি কিত খাদ্য:
বাংলার মানুষের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই ভাত । ধানের তুস ছাড়ানো চাল এবং রান্না করা ভাত । সবজি এবং ডাল মিশানো অতিরিক্ত সিদ্ধ চালকে খিচুরি বলে এবং তাতে প্রোটিনের পরিমান বেশি থাকে । চাল দিয়ে হয় হরেক রকমের পিঠা। বাংলাদেশে ধান চাষ হয় আমন, আউস ও বারো হিসাবে ।
ধান চাষ:
আজকাল বারিঘর, কলকারখানা, হাটবাজার, সড়ক জনপথ স্থাপন ও নদী ভাঙ্গন ইত্যাদি কারনে আবাদি জমির পরিমান প্রতিনিয়ত কমছে । তদুপরি রয়েছে খরা, বন্যা, জোয়ার ভাতা, লবনাক্ততা, শৈত্য প্রবাহ ও শিলাবৃষ্টির মতো প্রকৃতির দুর্যোগ । এসব প্রতিকুলতা মোকাবেলা করে নির্দিষ্ট পরিমান জমিতে বেশি ধান উৎপাদন করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য .
ধান চাষের উন্নত পদ্ধতি :
বাংলাদেশ পৃথিবীর ধান উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ । দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে ধানের ফলন বাড়ানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই । এইজন্য প্রয়োজন উচ্চ ফলনশীল ধান ও আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যাপক প্রচলন । উফশি ও আধুনিক ধান চাষ করতে হবে । এখন অনেকেই মনে করবে যে উফশী ধান কি?
যে ধান গাছের সার গ্রহন ক্ষমতা অধিক এবং ফলন বেশী তাকেই উফশি ধান বলে । উফশি ধান গাছের বিশেষ দিক হল ধান পেকে গেলেও গাছ সবুজ থাকে । উফশি ধানের প্রয়োজনীয় বিশেষ গুন যেমন স্বল্প জীবনকাল এবং রোগবালাই, খরা, লবনাক্ততা, অ জলমগ্নতা ইত্যাদি সহনশীলতা সংযোজিত হয় তখন তাকে আধুনিক ধান বলে ।
তাই সকল উফশি ধান আধুনিক নয় কিন্তু সকল আধুনিক ধানে উফশি গুন বিদ্যমান । ধান গাছের উন্নত পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ঃ
- বীজ বাছাই
- বিজ শোধন ও জাগ দেয়ার পদ্ধতি
- আদর্শ বীজতলা পদ্ধতি
- অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় বীজতলার যত্ন
- চারা উঠানোর সময় সতর্কতা
একই গাছে পাঁচবার ফলন
একই গাছে পাঁচ ফলনের এমন অনেক ঘটনা পৃথিবীতে বিরল বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা । তবে আবেদ চৌধুরী আছেন তার উদ্ভাবন চেষ্টাই । তিনি ওই গাছের ছয়বার ফসল তোলার গবেষণা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ।
পাশাপাশি নতুন জাতের ধানটি সারাদেশেই চাষাবাদ সম্ভব কিনা তা যাচাই করবেন । এইজন্য বিভিন্ন জেলায় এই ধানের পরিক্ষা মুলক চাষ করবেন । আবেদ চৌধুরির মতে, কম সময়ে পাকা এই ধানের উৎপাদন বেশি, খরচ ও কম । তবে প্রথম ফলনের চেয়ে পরের ফলনের উৎপাদন কিছুটা কম ।কিন্তু পাঁচবারের ফলন মিলিয়ে উৎপাদন প্রায় পাঁচ গুন বেশি
শেষ কথা:
প্রিয় পাঠক আশা করি উপরিক্ত বিষয় সম্পর্কে আপনি খুব ভালো ধারণা পেয়েছেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আমার আর্টিকেলটি যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে উপকৃত করতে পারেন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url