ক্যান্সার প্রতিরোধী কমলা ও বেগুনী রঙের ফুলকপির খোঁজে

প্রিয় বন্ধুরা কিভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপি সহায়তা করে সেতা জানতে হলে আপনি ঠিক জাইগায় এসেছেন । আমি আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে ক্যান্সার থেকে বাঁচতে বিভিন্ন রঙের ফুলকপি সহায়তা করে , তাই একটু সময় নিয়ে পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন । আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ।
ক্যান্সার প্রতিরোধী কমলা ও বেগুনী রঙের ফুলকপির খোঁজে

ফুলকপিতে কি ভিটামিন থাকে এবং সেটা আমাদের শরীরের কি কি উপকার করে এবং কিভাবে ক্যান্সারের মত জটিল রোগ থেকে মুক্তি দেয় সেটা আজকের আর্টিকেলে জানানোর চেষ্টা করবো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ।
ভূমিকা:
ফুলকপি শীতের এক প্রধান এবং জনপ্রিয় একটি সবজি । তরকারি বা সবজি রান্না করতে ফুলকপি দরকার হয় । শীতের সবজি হলেও গ্রীষ্মকালেও এখন ফুলকপির চাষ হচ্ছে । ফুলকপি চাষের জন্য উর্বর ও এঁটেল মাটি সবচেয়ে ভালো ।

ফুলকপিতে কি কি ভিটামিন রয়েছেঃ

এই সব্জিতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ । ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন 'বি', 'সি', 'কে', আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক । এছারাও রয়েছে অনেক পরিমানে খনিজ । ফুলকপি পানি ও ফাইবারের ভাল উৎস । উভয় উপাদানই সুস্থ পরিপাকতন্ত্র বজায় রাখে ।

ওজন কমাতে ফুলকপিঃ

এখন বহু মানুষের ওজন বাড়ছে । ফলে তারা বিভিন্ন সমস্যাই ভুগছে । যেমনঃ ডাইবেটিস , উচ্চ রক্তচাপ । গবেষণাই দেখা গেছে ফুলকপিতে ক্যালরি কম থাকায় এটি খেলে ওজন কমে । এছারাও ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার । এই ফাইবার পেট ভাল রাখতে সাহায্য করে । সাথে ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায় ।

সাদার চেয়ে রঙ্গিন ফুলকপিতে পুষ্টি গুনাগুন বেশিঃ

শীত মৌসুমের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুলকপি হল সাদা ফুলকপি । আমরা সাধারনত সাদা ফুলকপি দেখেই অভ্যস্ত । শহরের মানুষ জন খুব বেশি হইলে ব্রকলি চেনেন । কিন্তু এখন আরও বিভিন্ন রঙের ফুলকপি রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য আরও বেশি উপকারি

জানা যাচ্ছে এই বর্ণিল ফুলকপিতে বেটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিদেন্ত , আন্থসায়ানিন বেশি পরিমান থাকার কারনে ক্যান্সার সহ রয়েছে আরও নানা রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা । এই ফুলকপির একটি গ্রুপ রয়েছে যা আমাদের হজমে সহায়তা করে ।

এতে বিদ্যমান উপাদান গুলো হাড়কে মজবুত করে । সাধারনত ক্রছিফেরাস শাকগুলোতে যেমন বাধাকপি, ব্রকলি ও ফুলকপিতে পাওয়া যায় । এটি মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ও প্রজনন ক্যান্সারের ঝুকি কমায় ।

ফুলকপি কারা খাবেন নাঃ

ফুলকপিতে কিছু পরিমান কপার রয়েছে । এটি অতিরিক্ত খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে । এছারাও গাসের সমস্যা হতে পারে । অন্যদিকে যাদের ইউরিক এসিড বেড়েছে তাদের ফুলকপি খাওয়া উচিত নয় । যারা থাইরয়েডে ভুগছেন তাদের একদম ই খাওয়া ঠিক নয় ।এতে থাইরয়েড বাড়তে পারে ।

ফুলকপি ফুল নাকি সবজি ?

স্বাদের এই ফুলকপি কি আসলেই ফুল নাকি সবজি ? চলুন এইবার পুষ্টিগুণ বিচার করা যাক । তরকারি ভেবে আমরা যেই ফুলকপি খাই সেটা আসলে ফুল ।বলা উচিত ফুলকপি আসলে অনেক গুলো ফুলের গুচ্ছ । পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশ টুকু দেখতে ফুলের মতো বলেই ফুলকপির এমন নামকরন ।

শেষ কথা:

আশা করছি আপনারা এই সকল বিষয় ভালভাবে বুঝতে ও জানতে পেরেছেন । তারপরেও যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন । এবং এরকম আরও বিভিন্ন তথ্য মূলক আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন । এতক্ষন আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url