আমলকীর উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য জানুন

টক মিষ্টি একটি ফল হচ্ছে আমলকি। ত্বকের ডিটক্স এবং রক্ত পরিশোধন করতে আমলকির কোন বিকল্প নেই। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো আমলকি উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য। আশা করছি আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত সকল ধৈর্য সহকারে পড়বেন।
আমলকীর উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য জানুন
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আমলকি খেতে অনেক পছন্দ করে। আবার অনেকেই আছে যারা একটু টক টক ভাবে কারণে খেতে একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আজকে আমলকির গুনাগুন সম্পর্কে জানার পরে আপনিও খেতে চাইবেন।

ভূমিকা

আমলকি বা আমরা সাধারণত আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটা এক ধরনের ওষুধ বলা যেতে পারে। এই ছোট্ট ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে কতখানি উপকারি সেটা হয়তো অনেকেরই কোন ধারণা নেই। এই ভেরস উপাদান আসলে কতটুকু শক্তিশালী সেটা আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

আমলকির স্বাস্থ্য উপকারিতা

আমলকি অনেক ধরনের রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ক্যালসিয়াম ফসফরাস লোহা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মত বিভিন্ন ধরনের উপাদান। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন উপকার করে থাকে। যেমনঃ

আমাদের চোখের জন্য

আপনি জেনে অবাক হবেন যে আমাদের চোখে ক্ষেত্রে আমলকি এত বেশি উপকারী যে বলে শেষ করার মত নয়। মধুর সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে খেতে পারলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি অনেক উন্নত হয় এবং আমাদের চোখকে ভেতরের চাপ থেকে রক্ষা করে এবং চোখে ছানি পড়তে দেয় না। রাতকানা এবং অন্ধত্ব দূর করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস কমাতে

এখনকার দিনে ডায়াবেটিস আমাদের প্রত্যেকেরই প্রায় কম বেশি সমস্যা। আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তের গ্লুকোজ গ্রাস করে এবং শরীরকে সুষম এবং সুস্থ সাহায্য করে। আমলকি আমাদের কিছু কোষকে উজ্জীবিত করে যার কারণে আমাদের ইনসুলিনকে বের হতে দেয় না। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমলকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।

হৃদপিণ্ডের জন্য

আমলকি আমাদের হৃদপিন্ডের পেশিকে শক্তিশালী এবং সচল রাখতে সাহায্য করে। আমাদের হয়ে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমতে দেয় না এবং আমলকিতে ক্রোমিয়াম নামে এক ধরনের পদার্থ থাকে যা আমাদের এথেরোসক্লোরোসিসের সম্ভাবনাকে কমাতে পারে। তার সাথে রক্তনালী এবং ধমনীর পর্দায় যে চর্বি উৎপাদন হয় সেগুলোকে কমাতে সাহায্য করে আমলকি।

বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করতে

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের অন্ত্রের হজম ভালোভাবে হতে সাহায্য করে। আমলকিতে থাকা ফাইবারগুলো আমাদের বাথরুম পরিষ্কার করে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে।

মেটাবলিজম ক্রিয়াকলাপ

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের পেশিকে উন্নত করতে এবং বিপাকীয় ক্রিয়া-কলাপকে সহজ করে দেয়।

মুত্র বৃদ্ধিতে

আমলকি খেলে আমাদের প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। যার কারণে আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখে এবং মুত্রাশয়ের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়।

বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করা

আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন জীবাণুকে ধ্বংস করতে আমাদের শরীরকে রোগ প্রতিরোধকারী হিসেবে গড়ে তোলে। এছাড়াও ভিটামিন সি আমাদের রক্তের রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

আমলকির বিভিন্ন ভেষজ গুনাগুন

বিভিন্ন পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে আমলকিতে পেয়ারা এবং কাগজে লেবুর চেয়ে তিনগুণ ও দশগুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে। আমলকিতে কম লাগছে ১৫ থেকে ২০ গুন বেশি এবং আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।

 আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে আমাদের একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে দিনে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন সি দরকার। যার সমপরিমাণ রয়েছে দুটো আমলকিতেই। তাই দিনে দুটো আমলকি খেলে ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর অভাব আমাদের শরীরে পূরণ হয়ে যাবে। এছাড়াও-
  • আমলকি খেলে আমাদের মুখের রুচি বেড়ে যায়।
  • দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • বিভিন্ন পেটের পিরা কাশি এবং রক্তহীনতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।
  • আমলকি শুকিয়ে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা খালি পেটে শরবত হিসেবে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
  • আমলকি আমাদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপরে বিভিন্নভাবে কাজ করে থাকে।
  • আমাদের বমি বমি ভাব বন্ধে সাহায্য করে থাকে।
  • আপনি আমাদের হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
  • আমলকি আমাদের লিভার কে সুস্থ রাখে।
  • শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং শরীরের কার্যক্ষমতা কে আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
  • আমাদের ফুসফুস কে সুস্থ রাখে।
  • আমাদের শরীরের অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত ফ্যাট ধরাতে সাহায্য করে আমলকি।
  • আমলকি আমাদের হজমে সাহায্য করে।
  • আমলকির রস আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের সমস্যা থেকে সুরক্ষা দেয়।

রূপচর্চায় আমলকি

আমলকি শুধুমাত্র থেকে খেলেই উপকার হবে বিষয়টা এমন নয়। আমলকি দিয়ে রূপচর্চাও করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমল কি দিয়ে রূপচর্চার ফলে আমাদের ত্বকে কি কি উপকার হবে সে সম্পর্কেঃ

ব্রণের দাগ দূর করবে

আমলকিতে প্রাকৃতিকভাবে কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের ত্বকের ব্রণের দেখা হবে বিভিন্ন রকম দাগ গুলো মুছে ফেলতে সাহায্য করে। আমলকি রস মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহারের ফলে আপনি আপনার ত্বকের উন্নতি দেখতে পাবেন।

ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে

আমলকির রস মুখে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের রংয়ের ভারসাম্য বজায় রাখি এবং আমাদের ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। একই সাথে ত্বকের ভেতরে থাকা মৃত কোষগুলোকে ঝরে ফেলতে সাহায্য করে।

কোলাজেন উৎপাদন করে

ভিটামিন সি কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। কোলাজেন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা আমাদের ত্বকের স্মৃতিস্তাবকতা এবং দৃঢ়তা বজায় রাখে। আমলকি খেলে তা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে।আর সেই কারণেই স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল সুন্দর ত্বক পাওয়া সহজ হয়। 

সূর্য থেকে সুরক্ষা 

আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের সূর্যের ক্ষতিকারক রশি থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। যদিও এটি সানস্ক্রিমের বিকল্প নয়। তবে আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মির মাধ্যমে সৃষ্ট ত্বকের সৃষ্ট ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার স্তর সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে

আমলকিতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের ত্বকের জ্বালা কমাতে বা প্রশমিত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকির রস খেলে এ ধরনের উপকার পাবেন।

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য

আমলকিতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যুক্ত যৌগ রয়েছে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। যার কারনে আপনার ত্বক থাকে পরিষ্কার এবং দাগ মুক্ত এবং ব্রণ মুক্ত।

ডিটক্সিফিকেশন

আমলকি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। শরীর থেকে বিভিন্ন টক্সিন দূর করতে সক্ষম আমলকি। যার কারণে ত্বক থাকে স্বচ্ছ। নিয়মিত আমলকি খেলে ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি পাবে।

ক্ষত নিরাময়

বিভিন্ন সময়ে আমাদের ত্বকে অনেক রকম ক্ষত দেখা যায়। আমলকি ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কত নিরাময় এবং টিস্যু মেরামত করতে ভীষণ রকম সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত আমলকি খেলে তা স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে।

উজ্জ্বল ত্বক

আমলকিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এবং খনিজের সংমিশ্রণের কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতায় অবদান রাখতে সক্ষম হয়। এটি ত্বকের সামগ্রিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে।

খালি পেটে আমলকির রস

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা। জন্ডিস, ডায়রিয়া থেকে শুরু করে এবং পেটের বিভিন্ন প্রদাহ থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়। আমলকি কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম প্রক্রিয়াজাত করেও আমরা খেতে পারি। আমলকির আচার করে ভাতের সাথে খেতে পারি। এছাড়াও আমলকির জুস বানিয়ে এবং গুড়া করে খেতে পারি।

 সাম্প্রতিক সময় গবেষণায় দেখা গেছে খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারলে আমাদের শরীরে বেশ কিছু উপকার দেখা দেয়। অনেকেই আবার মনে করে থাকেন যে আমলকির রস দিয়ে দিনটি শুরু করলে হয়তো আমাদের শরীরের পুষ্টির শোষণ বাড়িয়ে দেয়।জেনে নেই খালি পেটে আমলকির রস খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কেঃ

শরীরের ডিটক্সিফিকেশন

আপনি আপনার দিনটি শুরু করলে আপনার শরীরে ডিটক্সিফাই করা সামগ্রিক উপায়ে অবদান রাখতে পারে। খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারলে আপনার শরীরের প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফিকেশনের বৈশিষ্ট্য গুলো সব থেকে বেশি কার্যকর হয় বলে মনে করা হয়। এটা আমলকির উচ্চ এন্টি অক্সিডেন্ট গুলো আমাদের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেলের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে

আমলকি আমাদের শরীরে বিপাকক্রিয়া সহজ করে দেই এবং খুদার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের শরীরে বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয় ফলে আমাদের শরীর আরো দক্ষতার সঙ্গে ক্যালরি পড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ফাইবারগুলো সামরিক দীর্ঘ সময় আমাদের পেট ভরিয়ে রাখার কারণে আমাদের খুদা কম লাগে। ফলে খাবার কম খাওয়া হয় এবং যার কারণে শরীরের ওজন অনেক কমে যায়।

পুষ্টি শোষণ করে

খালি পেটে আমলকির রস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। খালি পেটে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের শরীরে পুষ্টি ভালো শোষণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি শোষণের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ধরনের ভূমিকা রাখে। পেট যখন খালি থাকে তখন পুষ্টির শোষণের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য খুব কম পদার্থ থাকে যার কারণে আমাদের শরীরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ করতে সাহায্য করে।
তাই সুস্থ থাকতে আপনি খালি পেটে রস পান করতে পারেন।

খালি পেটে আমলকির রস খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

খালি পেটে আমলকি রস খাওয়া অনেকের ক্ষেত্রেই হয়তোবা উপকারের পরিবর্তে অপকার হয়ে যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে

আমরা সকলেই জানি আমলকি সাধারণত ক্ষারীয় প্রকৃতির হয়ে থাকে। যাদের পেট অতিরিক্ত সংবেদনশীল এবং এসিডিটি প্রবণ তারা খালি পেটে আমলকি রস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা আছে সমস্যা রয়েছে তারা এই জিনিসটা থেকে একদমই বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। 

যাদের পেটে বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে তারা তাদের খাবারের চাটে আমলকি যুক্ত করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

ঝাঁঝালো স্বাদ

আমরা সকলে জানি আমলকির রসের সাত তীব্র এবং টক ধরনের। যার কারনে খালি পেটে খেলে এতে সবার ক্ষেত্রে সমান ভাবে কাজ নাও করতে পারে। তাই এর স্বাদ আপনার কাছে অতিরিক্ত ঝাঁঝালো মনে হলে এর মধ্যে কিছুটা মধু যুক্ত করে এর টেস্ট আরো বাড়িয়ে তুলতে পারেন।

রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে পারে

রক্তে শর্করা মাত্রা কমানোর জন্য সাধারণত আমলকির সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা উচিত বিশেষত যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে। আমলকি একটি হাইপারগ্লাইসেমিক। এটা থাকা উপাদানগুলো আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর প্রভাব থাকতে পারে।তার মানে এটি আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।

তাই যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন তারা খাবারের তালিকায় আমলকিযুক্ত করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই আমলকি খাওয়া যাবে না। এতে করে তাদের শরীরে উপকারের পরিবর্তে বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

দিনে কতগুলো আমলকি খাওয়া যাবে

আমলকি অনেক কার্যকরি একটি ফল। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টি এক্সিডেন্ট আমাদেরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ঢাকা কারণে আমাদের চুল তো ঠিক রাখে পাশাপাশি দ্রুত বয়স বৃদ্ধির রোদ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ফল আমাদের শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে।

 তাই বিভিন্ন দূষণ এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে আমাদের ফুসফুস। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটা থেকে দুইটা আমলকি খাওয়া যেতে পারে। তবে দিনে দু'একটি বেশি আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে থাকা ভিটামিন সি এর জোরে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এর টপ টপ ভাব কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমলকি ছোট ছোট করে কেটে লবণ মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া যেতে পারে। 

অল্প লবণ এবং হলুদ দিয়ে আমলকি ফুটিয়ে নেয়া যায় তারপর আমলকি চাটনি বানালে মন্দ হয় না। আমলকির চাটনি সারা বছর সংরক্ষণ করে আপনি খেতে পারবেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ফলটি কি এড়িয়ে যাওয়ায় শ্রেয়। যদি কোন সার্জারি হয়ে থাকে বা কোন ব্লাড থিনিংয়ের ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়া ভালো।

 এছাড়াও যারা আন্তঃসত্তা বা বাচ্চাকে স্তন্যপান করাচ্ছেন তাদের আমলকি এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো। হজমের সমস্যা থাকলে আমলকি বেশি খাবেন না। এর ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও তাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়া ভালো। কেননা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আমরা কি হলো শক্তিশালী কার্ডিওভাস্কুলার উদ্দীপক। আবার ব্লাড প্রেসার বা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগলেও আমলকি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিত। এছাড়াও অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার কারণে আপনার লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম আমলকির উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম সকালে খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।

আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url