জানুন আপনার বাচ্চার দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় খাবার তালিকায় রাখবেন যে খাবার

আপনার বাচ্চার দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় খাবার তালিকায় সঠিক খাবারগুলো রাখছেন তো? ছোটবেলার যত্ন এবং অভ্যাসের ওপর ভিত্তি করে আপনি ভবিষ্যতে দাঁতের স্বাস্থ্য নির্ভর করছে। তাই আপনার শিশুর তালিকায় বিশেষ কিছু খাবার রাখুন যেগুলো আপনার শিশুর দাঁতের সুরক্ষা করবে। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব আপনার বাচ্চা দাঁত এবং মায়ের সুরক্ষায় খাবার তালিকায় কি কি খাবার রাখবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
জানুন আপনার বাচ্চার দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় খাবার তালিকায় রাখবেন যে খাবার
বিজ্ঞানীদের মতে, ছোটবেলা থেকেই আমাদের দাঁত এবং মাড়ির যত্ন নেওয়া আমাদের জন্য খুবই জরুরী একটি বিষয়। যত্ন না করলে আপনার সেই জীবন পর্যন্ত দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লেগেই থাকবে যেগুলো আপনাকে প্রতিনিয়ত ভুগতে হবে।

ভূমিকা

আপনার বাচ্চার দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় খাবার তালিকায় কোন ধরনের খাবার রাখবেন এটা অনেক মায়েরাই জানেন না।দাঁত আমাদের মুখের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যার সাহায্যে আমরা খাবার চিবিয়ে খেতে পারি। দাঁত মাড়ি এবং মুখের রোগ যেসব ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয় সেগুলোর শুধু মুখের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না বরং আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে যায় দেহের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অঙ্গ যেমনঃ হৃদপিণ্ড, লিভার, ইত্যাদিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। তাই আমাদের দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করা খুবই জরুরী।

আপনার বাচ্চার দাঁত এবং মাড়ির সুরক্ষায় খাবার তালিকায় যে ধরনের খাবার রাখবেন

ক্যালসিয়াম ফসফরাস এবং ভিটামিন ডি

দাঁতের এনামেল শক্ত এবং মজবুত রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস আমাদের খুবই দরকার। একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দিক দিয়ে ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম এবং চাহিদা প্রায় 400 মিলিগ্রাম এর মত। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে দই, দুধ,চিয়া সিড, কাঠবাদাম, পালং শাক, শালগম ইত্যাদি।

ম্যাগনেসিয়াম

দাঁত অতিরিক্ত মাত্রায় এসিটিক হয়ে গেলে দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় সবসময় রাখা জরুরী। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা ৩০০ থেকে ৩৩৫ মিলিগ্রাম প্রায়। ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে তিসি বীজ,দুধ,মধু,ছোলা ইত্যাদি।

ভিটামিন সি

মাড়ি থেকে রক্ত ঝরা কমাতে বা দাঁত এবং মাড়ির প্রদাহ বা যন্ত্রণা কমাতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার জরুরী। ভিটামিন সি আমাদের মাড়ির রক্তনালীকে উন্নত করতে সাহায্য করে। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ভিটামিন সি এর চাহিদা 70 থেকে 90 মিলিগ্রাম প্রায়। এ জন্য খাদ্য তালিকায় নিয়মিত পেয়ারা, আনারস, লেবু, কমলা ইত্যাদি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখা দরকার।

ভিটামিন কে

আমাদের দাঁতে অনেক সময় ক্যাভিটি বা গর্ত হওয়া দেখা যায়। এ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। এছাড়াও মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারে ভিটামিন কে। এজন্য দৈনিক খাবারের তালিকা ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার যেমন পুদিনা পাতা, পালং, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, বরবটি ইত্যাদি রাখুন।

আঁশযুক্ত খাবার

শাকসবজি সহ বিভিন্ন রঙিন ফল এবং সবজিদের থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। আর আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের দাঁত এবং মাড়ির পরিচ্ছন্ন থাকে। কারণ এই খাবারগুলো যখন ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া হয় তখন তাদের ক্যাভিটি গুলোকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং দাঁতকে পরিষ্কার রাখে।

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার

দাঁত এবং মাড়িকে বিভিন্ন রকম ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে সুরক্ষা দিতে প্রতিদিন এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে আমলকি, স্ট্রবেরি, জাম ইত্যাদি। এসব খাবারের মধ্যে থাকে পলিফেনল নামক উচ্চমানের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দাঁতের ক্যাভিটি প্রতিরোধ করতে ভীষণ রকম সাহায্য করে।

 আবার এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের কথা বলতে গেলে গ্রিন টি এর কথা আমরা বাদ দিতে পারি না। গ্রিনটিতে রয়েছে ফাভোলয়েডস নামক শক্তিশালী এক ধরনের আন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের স্বাস্থ্যকর কোষ বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের মুখের দুর্গন্ধ এবং মাড়িকে মজবুত এবং রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি ২, রিবোফ্লাভিন

অনেক সময় আমাদের মুখে ঘা হয়ে থাকে। ভিটামিন বি২ এবং রিবোফ্লাভিন এর অভাবে আমাদের মুখে এবং জিহ্বায় ঘা হয়ে যায়। এর সমাধানে আমাদের নিয়মিত খাদতালিকায় দুধ ডাল বাদাম ইত্যাদি জাতীয় খাবার রাখতে হবে।

ফ্লোরাইড

দাঁতের সুরক্ষার জন্য ফ্লোরাইডযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন আপনার খাদতালিকায় পালং শাক, টমেটো, তৈলাক্ত মাছ, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার রাখতে হবে। আপনার দাঁতকে সুস্থ রাখার জন্য এই খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত।

পানি

আমাদের দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত। কেননা আমরা যখন খাবার খাই তখন খাবারের কিছু কনা আমাদের দাঁত এবং মাড়িতে লেগে থাকে। এবং খাবারের পর যখন আমরা পানি খাই তখন পানির সাথে খাদ্য কোনগুলো দাঁত থেকে উঠে যায় ফলে আমাদের দাঁত সব সময় পরিষ্কার থাকে। এছাড়াও পানিতে ফ্লোরাইড নামক এক ধরনের খনিজ উপাদান থাকে যা আমাদের দাঁত ভেঙে যেতে দেয় না।

দাঁত সুস্থ রাখতে যেসব খাবার খেতে দেওয়া যাবে না

আপনার বাচ্চার দাঁত সুস্থ রাখতে যেমন বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্রতি আপনার যত্নশীল হতে হবে ঠিক তেমনি আপনার কিছু কিছু খাবার থেকে আপনার বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে। দাঁত এবং মাড়িকে ভালো রাখতে হলে আপনার বাচ্চাকে এইসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখুনঃ

বিভিন্ন চকলেট বা ক্যান্ডি

এখনকার দিনে বাচ্চারা খুবই চকলেট বা লজেন্স খেতে পছন্দ করে। কিন্তু এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে তাদের দাঁতের বারোটা বেজে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে মিষ্টি চকলেট বা ক্যান্ডি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকে।

 আর তখন সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এছাড়া এ ধরনের খাবার গুলো বাচ্চাদের দাঁতের এনামেল একদমই নষ্ট করে দেয়। তাই এ ধরনের খাবার থেকে আপনার বাচ্চাকে দূরে রাখুন।

অতিরিক্ত টক জাতীয় ফল

টক জাতীয় ফলে এসিডের উপস্থিতি এতটাই বেশি যে তা আপনার বাচ্চার দাঁতের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। কারণ টক জাতীয় ফলে রয়েছে সাইট্রাস এসিড। বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত টক জাতীয় ফল বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিত নয়।
 কেননা এতে থাকা এসিড গুলো আপনার বাচ্চার দাঁত নষ্ট করে দেয় তাই খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন। আর যদি খায় তাহলে তার পরপরই ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

পপকর্ন

ভুট্টার তৈরি পপকর্ন আমাদের অনেকেরই খুব পছন্দ। কিন্তু আপনার বাচ্চার দাঁত একেবারে খারাপ করে দিতে পারে এই খাবার। কারণ খাওয়ার সময় আমাদের দাঁতের লেগে যায়। এর ফলে বাড়িতে বিভিন্ন রকম সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই পপকন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে অবশ্যই ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার করে নিতে হবে অথবা এই ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কোল্ড ড্রিঙ্কস

কোল ড্রিংকস বা কার্বনেটেড পানীয় যে কোন দাঁতের জন্যই খুবই বেশি ক্ষতিকর। হোক সেটা ছোট বাচ্চা বা বড় কেউ। কার্বনেটেড জাতীয় পানি ও পান করার ফলে আমাদের দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। এর ফলে দাঁত অতিরিক্ত বেশি ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তাই জন্য সবসময় এ ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের চিপস

বাচ্চাদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার বিভিন্ন টিপস। কিন্তু এই যে আমাদের বাচ্চাদের দাঁতের জন্য কি পরিমান ক্ষতি করে সেটা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোন ধারণা নেই। চিপসের মধ্যে থাকে স্টার্চ যা পরে সুগারে পরিণত হয়। 

আর এই চিপস খাওয়ার সময় যখন তাদের ফাঁকে লেগে যায় তখন পরবর্তীতে সেটা থেকে আরও বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে দাঁতের। তাই বাচ্চাদের এই ধরনের খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখতে হবে এবং যদিও খেয়ে ফেলে তারপর পরে ভালো হবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

দাঁতের সঠিক যত্নে কয়েকটি টিপস

যার দাঁত সুন্দর তার হাসিও সুন্দর। তাছাড়া এই দাঁতের সাহায্যে আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। তাই আমাদের দাঁত সুস্থ এবং মজবুত রাখতে চাই সঠিক যত্ন। দাঁতের সঠিক যত্নে স্বাস্থ্য অভ্যাস করে তোলা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক দাঁতের যত্নে কয়েকটি টিপস সম্পর্কেঃ
  • নিয়মিত প্রতিদিন অন্তত দুইবার ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করা উচিত প্রত্যেকের। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার সময় দুই মিনিট সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করবেন। এমন ভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে যেন আপনার দাঁতের সবদিকেই ভালোভাবে পৌঁছায় এবং আপনার জিব্বাও স্পর্শ করে। যদি পারেন দুপুর বেলা খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করবেন। এবং রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে একবার দাঁত ব্রাশ করা ভালো।
  • যেকোনো খাবার খাওয়ার পর আমাদের দাঁতের ভেতর বিভিন্ন খাদ্য টুকরো আটকে যায়। তাই দৈনিক আপনার দাঁতে floss ব্যবহার করুন।floss ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার দাঁতের অন্য পাশে পরিষ্কার করতে পারবেন যেখানে আপনার টুথব্রাশও পৌঁছাতে পারেনা।দাঁতের স্বাস্থ্যবিধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে জিব্বার স্ক্রাবার।
  • আপনার ডেন্টিস্ট এর কাছে ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে একটি ভালো মাউথওয়াশ খুঁজে বের করে নিন। এবং প্রতিদিন মুখ ধোঁয়া আপনার দাঁতের জন্য স্বাস্থ্যকর। 6 থেকে 12 বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা শেখানো ভালো। তবে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করার পূর্বে বোতলের উপরের নির্দেশনা গুলো ভালোভাবে দেখে নিবেন।
  • আপনার খাবার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।, স্নাক্স জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো কেননা চিনি আমাদের মুখের ভেতরে কিছু ব্যাকটেরিয়া জমায় যা আমাদের তাদের ভাঙ্গন সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা ভালো বা খেলেও খুব কম পরিমাণ খাওয়া উচিত এবং খাওয়ার পরে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
  • প্রতি ছয় মাস অন্তর আপনার দিনটি ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার দরকার। সাথেই ভালো ডেন্টিস্টকে দিয়ে আপনার দাঁত পরিষ্কার করানো দরকার। এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় আপনার ডেন্টিস্টের কাছে সাথে সাথে পরামর্শ নিতে হবে।

যেসব খাবার দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে

দাঁতের ক্ষতি করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় অপরাধী হলো তাতে লেগে থাকা বিভিন্ন ধরনের খাবার। কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার মাধ্যমে আমাদের দাঁত এবং মাড়ি দুটোই ভালো থাকবে।দাঁতের জন্য উপকারী কয়েকটি খাবার নিয়ে নিচের বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • দাঁতের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দূর করে দাঁত কে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কচ কচের সবজি। এক্ষেত্রে আপনি খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন গাজর ব্রকলি মরিচ ইত্যাদি।
  • দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার দাঁতের এনামেলকে মজবুত করতে সাহায্য করে কেননা দুধের তৈরি খাবারের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন। অনেক সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে দাঁত ক্ষয় পড়া সমস্যা দেখা যায়।
  • চিনি এবং লবণ মুক্ত ফাইবার আমাদের ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার যেমন বাদাম আমাদের তাদের এনামেলকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেক্ষেত্রে বাদাম আমাদের তাদের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। কারণ এটি কম কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ নিঃসরণকারী ব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে থাকে।এছাড়াও বাদাম চিবানোর কারণে আমাদের মুখ থেকে লালা নিঃসরণ বাড়ে যা আমাদের দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
  • পত্রল বিভিন্ন সবজি যেমন লেটুস পাতা, পালং শাক ইত্যাদিতে আছে ফোলাট নামক এক ধরনের উপাদান যা আমাদের তাতে এনামেলকে শক্ত করে এবং মাড়ির বিভিন্ন প্রদাহকে কমায়। অন্যান্য ফলার ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে ডাল, কালো মটর ইত্যাদি।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তোবা জানে না যে তীব্র গন্ধযুক্ত মসলা যেমন পেঁয়াজ বা রসুন আমাদের দাঁতের জন্য উপকারী। পেঁয়াজ এবং রসুন দুটোই মুখের ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া প্রদাহ দাঁতের ক্ষয় এবং ক্যাভিটি দূর করতে সাহায্য করে ।
  • স্ট্রবেরি আমাদের দাঁতের দাগছোপ কমায়। কেননা স্ট্রবেরির মধ্যে রয়েছে মালিক এসিডটা আমাদের দাঁত সাদা এবং ঝকঝকে করতে চমৎকার কাজ করে থাকে। একইভাবে আপেলও আমাদের দাঁত চকচকে করতে সাহায্য করে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম আপনার বাচ্চার দাঁত এবং মাড়ির সুরক্ষায় খাবার তালিকায় কোন ধরনের খাবার রাখা জরুরী সে সম্পর্কে। এছাড়াও আপনার বাচ্চার দাঁতে সুরক্ষার জন্য কোন কোন খাবার থেকে আপনার বাচ্চাকে বিরত রাখার জরুরী সেটা নিয়েও আশা করি আপনারা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।

তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।

সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url