চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে কিভাবে দেখে নিন বিস্তারিত তথ্য
চেহারায় বয়সের ছাপ কিভাবে কমাবেন সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না।বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা যায় যেমন বিভিন্ন বলিরেখা বার্ধক্যের দাগ মুখে সূক্ষ্ম রেখা চামড়া ঝুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। ফলে দেখতে খুবই খারাপ লাগে। প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে কিভাবে সে সম্পর্কে।
মূলত বার্ধক্যের কারণে চেহারা খারাপ হয়ে গেলেও অনেক সময় পরিবেশ এবং আমাদের জীবন যাপনের ভুলের কারণে চেহারায় বলিরেখা এবং বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই আমাদের দরকার সব সময় সঠিক যত্নের।
ভূমিকা
চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে কিভাবে সেটা আমাদের প্রত্যেকের জানা দরকার।আসলে তারুণ্য ধরে রাখা এবং সুন্দর চেহারা পেতে হলে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম, শরীর চর্চা এবং ত্বকের পরিচর্যা। তার সাথে দরকার পুষ্টিকর খাবারেরও। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই এই কাজগুলো ঠিকঠাক ভাবে করে না। তাই তাদের চেহারার তারুণ্য খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে কিভাবে সে সম্পর্কে আজকে জেনে নিব। আশা করছি সে পর্যন্ত আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকবেন।
চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে কিভাবে
কিছু ঘরোয়া জিনিস আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার চেহারার বয়সের ছাপ দূর করতে পারবেন খুব সহজেই। চলুন তাহলে জেনে নেই কি সেই জিনিসগুলোঃ
ক্যাস্টর অয়েল
এটি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। ক্যাস্টর অয়েলের এক ধরনের নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে যা আমাদের ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দাগ দূর করে চেহারায় তারুণ্য নিয়ে আসে। দিনে অন্তত দুইবার ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এবং প্রতিবার ক্যাস্টর অয়েল লাগানোর পর কিছুক্ষণ ধরে মাসাজ করবেন।
দই এবং মধুর মাস্ক
দই এবং মধুর মাস্ক আমাদের স্কিনের মৃত কোটগুলো ঝরে পড়তে সাহায্য করে। এই মাস্কটি তৈরি করতে প্রথমে আপনাকে এক চা চামচ দই নিতে হবে এবং তার মধ্যে মধু মেশাতে হবে। তারপর এটি সুন্দরভাবে আপনার স্কিনের উপর লাগাতে হবে এবং কমপক্ষে 15 থেকে 20 মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর সুন্দর করে পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
গ্রিনটি,শসা এবং মধু
আমরা অনেকেই জানি শসা আমাদের ত্বকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। গ্রিন টি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বককে ভালো রাখে। এই মাঠটি বানানোর জন্য প্রথমে শসা একটু ব্লেন্ড করে নিয়ে তার মধ্যে গ্রিন টি এবং মধুদের কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর সেটি মুখে ব্যবহার করুন। কমপক্ষে 15 মিনিট রেখে দিন তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কলার মাস্ক
যেমন আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে ঠিক তেমনি আমাদের তো কেউ খুবই সতেজ রাখতে সাহায্য করে। কলার মাস্ক বানানো খুবই সহজ। আপনার হাতের কাছে থাকা একটি কলা নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন এবং তার মধ্যে মধু টক দই দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে আপনার মুখে ব্যবহার করুন। কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে নিলেই দেখতে পাবেন আপনার ত্বকের তারুণ্যতা।
ত্বকের বলিরেখা আসলে কি
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চেহারায় বিভিন্ন রকম ছাপ পড়ে যায়। যুবতী বয়সের মত মুখের চামড়া টানটান থাকে না। আসলে আমাদের মুখের ত্বক শরীরের অন্যান্য ত্বকের চেয়ে একটু অন্যরকম। অর্থাৎ মুখের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। ফলে আমাদের বয়স বাড়তে থাকলে আমাদের মুখের চামড়ার কোষ বিভাজন গুলো সঠিকভাবে হয় না।
কোষ বিভাজন গুলো কমে যায় ফলে বিভিন্ন রকম রেখা এবং বয়সের ছাপ চেহারার মধ্যে চলে আসে। আসলে কোলাজেন নামক এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন রয়েছে যা আমাদের ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের শরীরে কোলাজেন ক্ষয় হতে থাকে। ফলে আমাদের টগ ভঙ্গুর এবং পাতলা হয়ে যায় এবং ত্বকের নমনীয়তা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে আমাদের গলা, ঘাড়, ত্বকের চামড়া গুলো ঝুলে যায়।
বলিরেখা হওয়ার কারণ কি
বলিরেখা সাধারণত বয়স বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে। যার কারণে আমাদের চেহারার উজ্জ্বলতার নষ্ট হয়ে যায়। শুধু বয়স বাড়ার কারণেই না আরও বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে কম বয়সেই আমাদের চেহারার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- দূষণ।
- একটানা অনেকক্ষণ রোদে থাকা।
- ভিটামিন ডি এর ঘাটতি।
- অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার।
- ঘন ঘন মুখে ক্রিম ব্যবহার করা।
- কিছুদিন পর পর বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা।
- ধূমপান করা।
- ঘুম কম হওয়া।
- সঠিকভাবে খাবার না খাওয়া।
প্রতিদিনের যে সব অভ্যাস আপনার চেহারায় ছাপ ফেলে
আপনার জেনে বা না জেনে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার কারণে আপনার চেহারাই হতে পারে বিভিন্ন রকম সমস্যা। এছাড়াও বয়সের ছাপ খুব কম বয়সে পড়ে যেতে পারে। ফলে ২২ বছর বয়স হলেও আপনার চেহারা দেখাতে পারে ৩২ বছর বয়সের মত। তার মধ্যে কিছু কারণ রয়েছে যার কারই আমরা নিজেরাই।যেমনঃ
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া মানেই শরীরের বাড়তি ওজন বাড়ানো এবং চেহারায় বয়সের ছাপ যোগ হওয়া। গবেষণায় জানা যায় অতিরিক্ত মিষ্টি আমাদের ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার কারণে আমাদের ত্বকের তারুণ্য ভাব চলে যায়।
অপর্যাপ্ত ঘুম
দেহ ও মন ভালো রাখতে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। গবেষণায় জানা যায়, যে সকল নারী সঠিকভাবে ঘুমায় তাদের শতাংশ ভালো এবং সুরক্ষিত থাকে। ফলে তাদের চেহারায় বলে রেখা পরার কোন রকম সম্ভাবনা থাকেনা।
অতিরিক্ত মদ্যপান
অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ যেমন শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকর তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ ভয়াবহ। তাকে পানি শূন্যতা, বিভিন্ন রকম প্রদাহ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হৃদপিণ্ড এবং যকৃতের কার্যকারিতা কে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। তাই চেহারা থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে কোন রকম এলকোহল পান করা যাবে না।
শরীরচর্চার অভাব
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এবং হৃদপিণ্ড এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে ও অকালে বয়সের ছাপ দূর করতে দরকার পর্যাপ্ত শরীরচর্চা। পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীর চর্চা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের সব জায়গায় রক্ত সঞ্চালনকে সঠিকভাবে চালনা করে। এবং তার সাথে আমাদের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
ধূমপান করা
গবেষণায় জানা গেছে সিগারেটের ধোয়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ যা আমাদের রক্ত না লিখে সংকুচিত করে ফেলে। এর জন্য আমাদের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ সঠিকভাবে হয় না। এছাড়াও ধূমপান আমাদের চেহারার মধ্যে বয়সের ছাপ ফেলে দেয়। এজন্য ধূমপান যারা করে তাদের চেহারায় বলিরেখা দেখা দেয়।
কিভাবে আপনার চেহারার তারুণ্যতা ধরে রাখবেন
স্কিন কেয়ার আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমাদের সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার।শুধু যত্ন নয় তার পাশাপাশি কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা খুবই দরকার যেমনঃ
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
অনেকেই ভাবেন বাসায় থাকলে বা শীতের সময় সানস্ক্রিম ব্যবহার করার কোন দরকার নেই। কিন্তু তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণই ভুল। বাড়ি থেকে কোথাও বের হওয়ার প্রশ্ন আসলেই ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। এতে আমাদের ত্বক ভালো থাকবে।
প্রয়োজনীয় ঘুম
প্রত্যেক মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের খুবই দরকার। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন কমপক্ষে সর্বনিম্ন ৭ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। ঘুম কম হলেই চেহারায় বিভিন্ন রকম ছাপ দেখা যায়। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পড়ে যায়। তাই সব সময় দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
চেহারা ভালো রাখতে শুধুমাত্র রূপচর্চায় নয় দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর খাবার। খাবারের উপর আমাদের ত্বকের বিভিন্ন কিছু নির্ভর করে। খাবার যত স্বাস্থ্যকর হবে চেহারা তত সুন্দর হবে। তাই এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা পুষ্টিতে ভরপুর। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। ফাস্টফুড খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিয়ে আসতে হবে সবজি।
মশ্চারাইজার ব্যবহার করা
আমাদের মধ্যে অনেকেই শুধু শীতকালীন সময় মশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে। ত্বক সব সময় নরম থাকে। এজন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
চেহারায় বয়সের ছাপ কমাতে কোন খাবার গুলো খাবেন
বয়সের কারণে নারী এবং পুরুষের মুখে বিভিন্ন ধরনের ছাপ এবং বলিরেখা পড়ে যায়। যার কারণে আমাদের মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় যা অনেক সময় খুবই বিব্রতকর হয়ে পড়ে। যারা মুখের বলিরেখার জন্য খুবই চিন্তিত থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু তারপরেও বলিরেখা কমেনি বা কমার কোন লক্ষণ নেই তাদের জন্য কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে ত্বকের বলিরেখা পড়বে না। শুধুমাত্র খাদ্য অভ্যাসই পারে আপনার বলিরেখা কমাতে। চলুন তাহলে জেনে নিয়ে বলিরেখা কমানোর জন্য কোন কোন খাবার গুলো খাবা জরুরীঃ
- বলিরেখা ব্রণ এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে দইয়ের কোন বিকল্প নেই। দই এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের ত্বকের বলিরেখা এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
- বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যেতে পারে। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। বলিরেখা কমাতে স্যামন মাছসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যেতে পারে।
- অলিভ অয়েল আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। পাশাপাশি আরও রয়েছে ভিটামিন এবং পুষ্টি। এটি আমাদের ত্বক আদ্র রাখে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। তাই সয়াবিন তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল তেল দিয়ে খাবার রান্না করার অভ্যাস করতে হবে।
- হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সুন্দর রাখতে হলুদের কোন বিকল্প নেই। হলুদের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল কিছু উপাদান যা আমাদের ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- এখন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। পাশাপাশি আপনি যদি সুন্দর বলিরেখাহীন ত্বক চান, তাহলে আপনাকে আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কেননা আখরোট আমাদের ত্বকের ডিটক্স রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে তাই খাদ্য অভ্যাসে আখরোট যুক্ত করুন।
- আমরা সকলে জানি টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। টমেটো যেমন আমরা সরাসরি ত্বকের ব্যবহার করতে পারি ঠিক তেমনি এটি আমরা খেলেও উপকার পাব। টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে লাইক করবেন যা আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ড্যামেজ এর হাত থেকে রক্ষা করে।
- বেদেনা খুব পুষ্টিকর একটি ফল। যে কোন ফল আমাদের ত্বকে সুন্দর করতে সাহায্য করে। এজন্য খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ফল রাখা জরুরী। এছাড়াও রয়েছে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই বেদনা বজায় রাখে ত্বকের ইলাস্টিসিটি। যখন তাকে এলাস্টিসিটি কমে যায় তখন টক ঝুলে যায় এবং বিভিন্ন বলিরেখা পড়ে যায়। তাই বেদনা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- এভোকাডোর কথা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। এটাই খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। এটি খেলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে, শরীর সুস্থ থাকে এবং পাশাপাশি আমাদের ত্বকের বলি রেখা কমাতে সাহায্য করে। ত্বককে রাখে টানটান এবং উজ্জ্বল।
- তারুণ্যতা ধরে রাখতে বহুল প্রশংসিত একটি পানীয় হলো গ্রিন টি। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপাদান এবং খনিজ পদার্থ যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের ভাঁজ দূর করতে এবং অভ্যন্তরের অবস্থা ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- বার্লি এবং শস্য জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখুন। এই খাবার গুলোর মধ্যে থাকে ভিটামিন এবং খনিজ বিভিন্ন পদার্থ যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং হৃদরোগ এবং বার্ধক্য জনিত ত্বকের বিরুদ্ধে কাজ করে।
- ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং ত্বকের টানটান রাখতে সবুজ শাকসবজির কোন বিকল্প নেই। সবুজ শাকসবজি ভিটামিন খনিজ পদার্থের শক্তির আধার। এসব খাবার যেমন আমাদের শরীর সুস্থ রাখে ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের ও সুস্থতা বজায় রাখে।
- শরীরে সঠিক তারুণ্যতা ধরে রাখতে পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন পরিমাণে পানি খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয় পাশাপাশি আমাদের ত্বক সুন্দর হয়। এজন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
- চেহারা তারুণ্যতা ধরে রাখতে বাদামের কোন জুড়ি নেই। বিভিন্ন ধরনের বাদাম আমাদের শরীরে এনার্জি দেওয়ার পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা পড়া রোধ করে।
- ডিটক্সিফেসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ত্বকের তারুণ্যতা ধরে রাখার জন্য। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণ ডিটক্সিফিকেশন আছে যা আমাদের দেহ থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয় এবং কোষকে সতেজ রাখে।
- কলা খুবই সুস্বাদু একটি ফল। এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুনাগুন পাশাপাশি আমাদের ত্বকের কোমলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে কলা। কলাতে থাকা পটাশিয়াম ত্বকের রুক্ষতা ভাব কমায়। এজন্য চেহারা তারুণ্যতা ধরে রাখতে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- অত্যন্ত উচ্চমাত্রার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রসুন ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে এবং ত্বক টান টান করতে সাহায্য করে। এছাড়াও খালি পেটে এক কোয়া রসুন আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।
- আমাদের মধ্যে অনেকেই চকলেট খেতে ভীষণ পছন্দ করে। কিন্তু অতিরিক্ত চকলেট খাওয়ার জন্য আমাদের দাঁতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চকলেট এর মধ্যে এসব চেয়ে উপকার হলো ডার্ক চকলেট। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের সূর্যের ক্ষতিকারক রশি থেকে রক্ষা করে।
- বয়সের ছাপ কমাতে ডিম অত্যন্ত জরুরি একটি খাদ্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস আর রয়েছে পটাশিয়াম। যা আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এজন্য খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ডিম রাখুন।
- আজকাল চিয়া সিডের বেশ নাম রয়েছে। কম বেশি সকলেই এই বীজ খেয়ে থাকেন। এটি যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। ত্রিয়াবিজ আমাদের ত্বকের বয়সের ছাপকে দূর করে দেয় খুব সহজেই এবং কম সময়ে।
- মিষ্টি আলুতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকে নানা রকম উপকারিতা দিয়ে থাকে এবং আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই খাবারের তালিকায় মিষ্টি আলু যোগ করুন আজকে থেকেই।
- ভিটামিন খনিজ এবং এনজাইম দ্বারা পরিপূর্ণ পাকা পেঁপে। খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি রয়েছে উপকারিতা। পাকা পেঁপেতে থাকা পেঁপেইন নামক এক ধরনের প্রাকৃতিক এনজাইম আমাদের ত্বকের মৃত কোষ কে দূর করে এবং ত্বককে রাখে উজ্জ্বল এবং মসৃণ।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে কিভাবে এবং কেন আপনার চেহারার মধ্যে বয়সের ছাপ পড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনার খুবই কাজে আসবে। যদি আমার আর্টিকেল আপনার কাজে এসে থাকে বা ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
আর যদি কিছু জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন আর্টিকেল নিয়ে। সেই পর্যন্ত সকালে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আর এতক্ষণ আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url