জানুন ডায়েট ছাড়ায় সকালে যেসব খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমবে

ডায়েট ছাড়ায় সকালে যেসব খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমবে এটা নিয়ে আজকাল অনেক মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকে। শরীরের ওজন যখন স্বাভাবিকের থেকে বেশি বেড়ে যায় তখন আমাদের বেশ কিছু অস্বস্তির সম্মুখীন হতে হয়। ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা নারী পুরুষের কমবেশি সবারই রয়েছে। প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে ডায়েট ছাড়ায় সকালে যেসব খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমবে। 
জানুন ডায়েট ছাড়ায় সকালে যেসব খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমবে
বর্তমানে আমাদের জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে শরীরের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাচ্ছে। ওজন বৃদ্ধিতে শুধু খাবারের কারণে হয়ে থাকে বিষয়টা এরকম নয়। শারীরিক অসুস্থতা বিভিন্ন ঔষধ এবং হরমোনের কারণেও অনেকে খুব বেশি মোটা হয়ে থাকেন।

ভূমিকা

কিভাবে ডায়েট ছাড়ায় সকালে যেসব খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমবে সেটা জানতে হলে আমার পোস্টের শেষ পর্যন্ত থাকুন। আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে থাকেন সকালে খাবার খেলে হয়তো মোটা হয়ে যাব অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাবে। তাই অনেকেই সকালে না খেয়ে থাকেন। কিন্তু বিষয়টি একদম এরকম নয়।
সময়ের অভাব, নাস্তা বানিয়ে দেওয়ার মানুষ নেই, সকালে খেতে ভালো লাগে না কিংবা ওজন কমানো ইত্যাদি বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে যারা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার সকালের খাবার বাদ দিয়ে থাকেন তারা বিভিন্ন রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগতে থাকেন।

ডায়েট ছাড়ায় সকালে যেসব খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমবে

অফিসে বসে সবাই ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করে। তাই সবাই চায় কোন পরিশ্রম ছাড়া খুব সহজেই কি করে ওজন কমানো যায়। আসন জেনে নেই সকালে কোন কোন খাবারে আপনার ওজন কমবেঃ

ডিম

সকালে খালি পেটে ডিম হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ খাবার। ডিম আমাদের শরীরে অনেক ক্যালরি যোগাতে সাহায্য করে। তাই আমরা যদি সকালে খালি পেটে একটি ডিম খেতে পারি তখন আমাদের মোট ক্যালরির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়ে যায়। তাছাড়া ও ডিম আমাদের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।

ভেজানো বাদাম

বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন ম্যাঙ্গানিজ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বাদাম ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বাদাম ছিলে খেয়ে নিন। বাদাম আমাদের শরীরের প্রচুর পুষ্টি যোগায়।

পেঁপে

আমাদের অন্ত্রের গতিবেধি নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁপে খুবই উপকারী একটি ফল। এজন্য সকালের নাস্তায় পেঁপে রাখা যায়। এছাড়াও পেঁপে খাওয়ার পরে আমাদের শরীরের ভেতরের বিষাক্ত পদার্থগুলো দূর হয়ে যায় পাশাপাশি শরীর খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

তরমুজ

সকালের নাস্তা তরমুজ হতে পারে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। কারণে এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি। তাই সকালের নাস্তায় তরমুজ রাখলে আমাদের শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে দেয়।তরমুজ আমাদের শরীরে পানির আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তরমুজ ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ যারা আমাদের হৃদপিণ্ড এবং চোখের জন্য খুব উপকারী।

জিরা পানি

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর জিরা পানি পান করুন এতে আপনার হজমে সাহায্য করবে। পেটের ফোলা ভাব কমায় জিরা পানি এবং পেটের মেদ জমাতে যথেষ্ট পরিমাণ সাহায্য করে।

লেবুর ডিটক্স ওয়াটার

ওজন কমানোর জন্য লেবু একটি সেরা খাদ্য উপাদান। নিয়মিত খাবারের আগে লেবুর ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারলে আমাদের শরীরের ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে। এছাড়াও আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমতে সাহায্য করে লেবু। এছাড়াও আমাদের বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে তুলে। লেবুর ডিটক্স ওয়াটার বানানোর জন্য এক গ্লাস পানিতে কয়েক টুকরো লেবু দিয়ে কয়েক ঘন্টা রেখে দিন এবং তারপরে পান করুন।

লেবু এবং চিয়া সিড মিশ্রিত পানি

বাড়তি ওজন জড়িয়ে ফেলার আরও একটি কার্যকরী উপাদান হলো লেবু এবং চিয়া সিড মিশ্রিত পানি। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা অল্প খেলেই আমাদের পেট ভরে যায়। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড যা আমাদের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

 এক গ্লাস চিয়া সিড সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তার মধ্যে লেবু পানি মিশ্রিত করে জুস বানিয়ে সেটি পান করে নিন। এটি কয়েকদিন খাবার ফলে আপনার শরীরের ওজন অনেক কমে যাবে।এই পানিয় শুধু আমাদের শরীরের ওজন কমায় না,আমাদের শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে।

শস্য জাতীয় খাবার

প্রতিদিন শষ্য জাতীয় খাবার আশ্রমৃত খাবার খাওয়া প্রয়োজন যেমন রুটি। সুস্থ জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি খুদা ভাব কমাতে সাহায্য করে এবং উচ্চ ক্যালরিবহুল খাবারের চাহিদা কমাতে সহায়তা করে।

ফল ও সবজি

ফল এবং শাকসবজিতে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। খাবারের চর্বি কণাকে বেঁধে ফেলে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেই। তাই প্রতিদিন অন্তত ৪/৫ ধরনের ফল এবং সবজি খাওয়া জরুরী।

গ্রিন টি

হালকা এ পানি তরতাজায় রাখে না সঙ্গে আমাদের শরীরের মেদ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। গ্রিন টি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

বাদাম এবং অলিভ অয়েল

খাবারের তালিকায় প্রোটিন থাকা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি ফ্যাট জাতীয় খাবারের উপস্থিতিও দরকার। কি চমকে উঠলেন? কিন্তু এটাই সত্যি। বিজ্ঞানীদের মতে সব ধরনের ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। শরীরে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন এবং মিনারেলসের মতো ফ্যাটেরো দরকার রয়েছে।
বিশেষ করে কিছু ভিটামিন শোষণের জন্য খুব দরকার। যদি ভিটামিন এদিকে এবং ই এর অভাব দেখা দেয়, তবে বুঝতে হবে তার শরীরে প্রয়োজনমতো ফ্যাট সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাদাম এবং দানাদার জাতীয় খাদ্য থেকে যেসব ফ্যাট পাওয়া যায় তাকে সাধারণত মনোসেচুরেটেড ফ্যাট বলা হয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শস্য জাতীয় খাবার

প্রতিদিন শষ্য জাতীয় খাবার আশ্রমৃত খাবার খাওয়া প্রয়োজন যেমন রুটি। সুস্থ জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি খুদা ভাব কমাতে সাহায্য করে এবং উচ্চ ক্যালরিবহুল খাবারের চাহিদা কমাতে সহায়তা করে।

ফল ও সবজি

ফল এবং শাকসবজিতে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। খাবারের আয় চর্বি কণা কে বেঁধে ফেলে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেই। তাই প্রতিদিন অন্তত ৪/৫ ধরনের ফল এবং সবজি খাওয়া জরুরী।

বাদাম এবং অলিভ অয়েল

খাবারের তালিকায় প্রোটিন থাকা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি ফ্যাট জাতীয় খাবারের উপস্থিতিও দরকার। কি চমকে উঠলেন? কিন্তু এটাই সত্যি। বিজ্ঞানীদের মতে সব ধরনের ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। শরীরে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন এবং মিনারেলসের মতো ফ্যাটেরো দরকার রয়েছে।

বিশেষ করে কিছু ভিটামিন শোষণের জন্য খুব দরকার। যদি ভিটামিন এদিকে এবং ই এর অভাব দেখা দেয়, তবে বুঝতে হবে তার শরীরে প্রয়োজনমতো ফ্যাট সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাদাম এবং দানাদার জাতীয় খাদ্য থেকে যেসব ফ্যাট পাওয়া যায় তাকে সাধারণত মনোসেচুরেটেড ফ্যাট বলা হয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রসুন

রসুনের মধ্যে রয়েছে একটি নয় একাধিক গুন। এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন আয়ুর্বেদরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের হয়ে যেতে সক্ষম হয়। এছাড়া বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই সকালে প্রতিদিন খালি পেটে রসুন খেয়ে দেখবেন আপনার শরীরের কতটা উপকার হয়েছে।

 সেসাথে কমে যায় আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন। এছাড়াও রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের ব্যাথা সারাতে উপকার করে। ওজন কমাতে চাইলে রোজ সকালে খালি পেটে এক কুয়া রসুন খাওয়া মাস্ট। তবে খেয়াল করে দেখবেন যেন অতিরিক্ত বেশি খাওয়া না হয়ে যায়।

গায়ে লাগুক সকালের রোদ

আমরা কম বেশি সকলেই জানি সকলের রোদে ভিটামিন ডি থাকে। যা আমাদের হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যার প্রতিদিন সকালের নিয়ম করে গায়ে রোদ লাগান তাদের ওজন কম হয় বিশেষ করে যারা দিনের পরবর্তী অংশের রোদের দিকে চান তাদের তুলনায়। সকলের রোদ উঠে শরীর মেটাবলিজমের ওপর প্রভাব ফেলে এবং শরীরের ওজন কমায়। তাই আমরা যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা সকল রোদ গায়ে লাগাতে পারি।

সকালের নাস্তায় কি খাবেন

শরীরকে সুস্থ সবল রাখার ক্ষেত্রে সকালের নাস্তায় কি কি খাবার খাওয়া দরকার এ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে ধারণা নেই। অর্থাৎ সকালের নাস্তার দিকে আমাদের একটু বেশি নজর দেওয়া দরকার।
কারণ সকালে আমরা বিভিন্ন সময় অনেকেই কিছু খাবার খেয়ে থাকি যা আমাদের শরীরের জন্য একদমই খাওয়া ঠিক নয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক শরীরের জন্য সকালের খাবারের কোন কোন খাবারগুলো খাওয়া দরকার।
  • শক্তিশালী করতে চাইলে সকালের নাস্তায় অ্যাপেল পাই খেতে পারেন।
  • সঙ্গে সিদ্ধ করা মটরশুটি আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে।
  • আমিষের ঘাটতি মেটাতে চাইলে রুটি বা টোস্ট খেতে পারেন।
  • হালকা কিছু খেতে চাইলে ফল রুটি বা টোস্টের সঙ্গে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।
  • ডিমের অমলেট খেতে পারেন।
  • বিভিন্ন রকম বাদাম এবং মধু খেতে পারেন।

সকালের নাস্তায় কি কি খাবার এড়িয়ে চলবেন

  • বিশেষ করে সকালে আমরা অনেকেই ঘুম থেকে উঠে খাবারের তালিকায় নুডুলস রাখি। কিন্তু নুডুলস ময়দার তৈরি। খেতে বেশ সুস্বাদু হলেও আমাদের সকালের খাবারে এড়িয়ে চলা দরকার।
  • সকাল সকাল তেলেভাজা বিভিন্ন রকম খাবার যেমন পরোটা সিঙ্গারা এগুলো এড়িয়ে চলা দরকার।
  • সকালের খাবারের প্যাকেট জাতীয় খাবার যেমন চিপস পপকর্ন ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
  • অনেকেই সকালে এক কাপ গরম চা বা কফি খেয়ে থাকার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ ধরনের অভ্যাস আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই সকালের নাস্তায় এ ধরনের পানীয় খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বাদ দিতে হবে।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন টমেটো, কলা, পেয়ারা, কলা ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। কারণ সকালে এ ধরনের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলে পেটে এসিড পাওয়া গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সালাদ রাখা ভালো কিন্তু সকালের নাস্তায় এটি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো নয়। কেননা সকালে খালি পেটে কাঁচা সবজি খেলে পেট ফুলে ব্যথা হতে পারে।
  • অনেকেই সকালে জুস খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সকালে খালি পেটে ফলের জুস খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যেতে পারে। তাই এ ধরনের জুস খাওয়া যাবে না।
  • আমরা সকলেই জানি দই আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এটিও হজমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে সকালের নাস্তায় দই খাওয়া একদমই ঠিক নয়। কারণ খালি পেটে দই খেলে এসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • সকালের খাবারে ভাত রুটি পরোটা এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।কেননা এই ধরনের খাবার খেলে আমাদের পেটে জ্বালাপোড়া এবং এসিডের সমস্যা দেখা দিয়ে অধিক পরিমাণে।

সকালের নাস্তা এড়িয়ে চলবেন না যেসব কারণে

অনেকের সকালে উঠে না খেয়ে একবারে দুপুরের খাবার খেয়ে ফেলেন। কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য সকালে নাস্তায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক সকালের নাস্তা না খেলে কি ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

ওজন বাড়বে

যদি ওজন কমাতে চান তাহলে সকালের খাবার অবশ্যই খেতে হবে। কারণ সকালের খাবার না খেলে অনেক ক্ষুধা লেগে থাকবে এবং আপনি যখন দুপুরে খেতে বসবেন তখন অনেক বেশি খেয়ে ফেলে দিবেন। এজন্যই সকালে ঠিকঠাকমতো খেতে হবে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

গবেষণায় দেখা গেছে খাওয়া দাওয়া সঙ্গে একটি সম্পর্ক আছে। এবং গভীরভাবে গবেষণা করে জানা গেছে, যেসব নারী সকালে ঠিকঠাক মত খাবার খান না, তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস টু হওয়ার সম্ভাবনা বিশ শতাংশ। কারণ হলো সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার কারণে শরীরের শর্করার সহ্য ক্ষমতা কমে যায়। যা ডায়বেটিস সম্পর্কযুক্ত।

ক্ষুধার প্রভাব

দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে অল্পতেই আমরা রেগে যায় এবং আমাদের মেজাজ গরম থাকে। গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে যারা প্রতিদিন নিয়মিত সকালের খাবার খেয়ে থাকেন তাদের মন মেজাজ সবসময় ফুরফুরে থাকে।

বিপাকীয় জটিলতা

সকালের নাস্তা না খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়। শুধু সকালের খাবারই নয় যে কোন এক বেলার খাবার বাদ দিলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের উপর প্রভাব পড়ে যায়।

মুখে দুর্গন্ধ

একবেলা না খেয়ে থাকলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক জীবনে আমরা অসুবিধার মধ্যে পড়ে যাই। সকালের নাস্তা না খেয়ে থাকলে অর্থাৎ অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে মুখে এক ধরনের বাজে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। যা আমাদের সামাজিক জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

মুড সুইং এবং শক্তির ঘাটতি

সকালের খাবার না খাওয়ার ফলে আমাদের অনেকেরই মুড সুইং এবং শক্তির ঘাটতি দুটোই দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা ঠিকঠাক মতো সকালের খাবার খান না তারা সবসময় ক্লান্তি বোধ করেন এবং যেকোনো জিনিস ভুলে যান। এ ছাড়া সকলের খাবার এড়িয়ে চললে আমাদের শরীরের শক্তি কমে যায়।

হৃদপিন্ডের ক্ষতি

দিনের পর দিন সকালের খাবার না খাওয়ার পরে আমাদের মধ্যে অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদী হৃদপিন্ডের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকি গবেষণার মাধ্যমেও দেখা গেছে যারা সকালের নাস্তা এগিয়ে চলেন তাদের মধ্যে ২৭ শতাংশের বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

চুলের ক্ষতি

গবেষণায় দেখা গেছে সকালের খাবার এড়িয়ে চলে প্রোটিনের পরিমাণ ব্যাপক কমে যায়। যার ফলে আমাদের শরীরে ক্যারাটিনের মাত্রার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আর কেরাটিন কমে গেলে আমাদের চুলের সমস্যা বেড়ে যায়। ফলে চুল পড়তে শুরু করে এবং চুলের বৃদ্ধি থেমে যায়।

শেষ কথা

এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম সকালের খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং ডায়েট ছাড়াই যেসব খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমে যাবে সে সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url