ডিজিটাল মার্কেটিং কি?এর গুরুত্ব, সুবিধাগুলো কি কি জেনে নিন

 আমাদের সকলের কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং খুব পরিচিত একটি শব্দ যা আমরা কম বেশি বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া কিংবা আলোচনায় শুনে থাকি। আবার অনেকেই আছেন যার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কোন ধারণা না জানার কারণে এর সুবিধা গুলো গ্রহণ করতে পারেন না।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?এর গুরুত্ব, সুবিধাগুলো কি কি জেনে নিন

 প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং কি, এর গুরুত্ব এবং সুবিধা কি কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায় সে সম্পর্কে। জানতে হলে আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন। চলুন শুরু করা যাক।

ভূমিকা

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ এবং একটি প্রযুক্তি ভিত্তিক পরিবেশ তৈরি করা। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা দরকার।

 উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সবাই এখন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চাই। বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ তাই ঘরে বসে কেনাকাটা থেকে শুরু করে অনলাইনে ইনকাম করা সব কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভর করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

আমরা কম বেশি সকলে মার্কেটিং শব্দটির সাথে পরিচিত। আর ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিসিং এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রচার-প্রচারণা করা। সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা গুগলে বা ইউটিউবে। এমন কি হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে আবার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

 এছাড়াও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার যেমন টিভি রেডিওর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং। তাহলে বুঝতেই পারছেন আধুনিক যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোন বিকল্প নেই। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে আধুনিক প্রযুক্তি বা ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহার করে কোন পণ্যর প্রচার-প্রচারণা করার নামই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।

 ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। এবং এটি নির্ভর করে কোন ধরনের প্রচার-প্রচারণার জন্য এটি ব্যবহৃত হচ্ছে তার ওপর। বর্তমানে আমরা বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটে ব্যয় করে থাকে। এই বিশাল পরিমাণ অডিয়েন্সের সামনে আপনার পণ্য সম্পর্কে তুলে ধরার সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে এর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কয়েক গুণ।

কেন করবেন ডিজিটাল মার্কেটিং

যে কোন ব্যবসার ফলাফল ভালো পেতে আমাদের মার্কেটিং করা দরকার। কিন্তু দিন বদলানোর সাথে সাথে আমাদের মার্কেটিং করার পদ্ধতি ও বদলে যাচ্ছে। মার্কেটিং এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে। মজার বিষয় হল এই ডিজিটাল মার্কেটিং অনেকটা স্পেসিফিক এবং যে সকল মানুষ শুধু ওই নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট নিতে চান তাদের কাছেই মার্কেটিং করা সম্ভব। 

যা আমাদের প্রচলিত মার্কেটে করা সম্ভব নয়। এছাড়াও প্রচলিত পদ্ধতিতে মার্কেটিং করতে গেলে অনেক টাকাও খরচ করতে হয় যেমনঃ প্রিন্ট, এন্ড কমিউনিকেশন ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং যেন এক অবিশ্বাস্য মার্কেটিং। শুধুমাত্র অনলাইনে কিছু সময় ব্যয় করে এবং মেগাবাইট তুলে আপনি এই মার্কেটিং করতে পারেন।

 আপনি জেনে অবাক হবেন যে, প্রায় 84% বিক্রেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ক্রেতার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। বিশ্বে প্রায় ৫১% বিক্রেতা মোবাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে থাকে এবং দিন দিন এর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। 

প্রায় 70% ক্রেতা কোন পণ্য ক্রয় করার আগে গুগলে সার্চ করে থাকেন, সেই পণ্য নিয়ে ভালো করে জানার পর তিনি অনলাইনে অর্ডার করে থাকেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন ২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা এবং করা কেন এত জরুরী!

ডিজিটাল মার্কেটিং বনাম এনালগ মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা নেয়ার আগে একজন ব্যক্তিকে এনালগ মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। চলুন তাহলে এনালগ মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আমরা যেমন খুব সহজেই ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিলে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখতে পাই, এনালগ মার্কেটিং ঠিক এর উল্টো ব্যাপার।

 একটা উদাহরণ হিসেবে দিলে, বর্তমানে নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুরে ভোট চাচ্ছে ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম। যেখানে প্রার্থী নিজে উপস্থিত থেকে তার সংগঠনের ব্যাপারে অন্য সবাইকে জানান দিচ্ছেন। তারা চায় ফেস টু ফেস সম্পর্কটা তৈরি হোক। এনালগ মার্কেটিং ব্যাপারটা ঠিক সেরকমই। 

নিজের সম্পর্ক ধরে রাখতে কার্ড বা লিফলেটের মাধ্যমে সবাইকে দেওয়া যেখানে ব্যক্তির পরিচয় এর নাম ঠিকানা সব দেওয়া থাকে। আজকাল নতুন সিনেমা বের হলে দেখা যায় এলাকায় বিভিন্ন লিফলেট বা পোস্টার দিয়ে যাওয়া হয়। এগুলো এক ধরনের এনালগ মার্কেটিং। তাহলে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এনালগ মার্কেটিং কে সরিয়ে দিচ্ছে?

 ব্যাপারটা কিন্তু একদমই এরকম নয়। বরং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য এনালগ মার্কেটিং আরো বেশি সহজ থেকে সহজতার হয়ে যাচ্ছে। যেখানে বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিজেই প্রচার-প্রচারণা করতে হতো সেখানে একটা পোস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই প্রচার-প্রচারণা করা যায়। তবে বাংলাদেশে এখনো সাধারণ বিলবোর্ডের মাধ্যমে মার্কেটিং করা হয়। এটি এক ধরনের এনালগ মার্কেটিং।

 এখন মনে হতে পারে ডিজিটাল যুগে এসে এখনো কেন বিলবোর্ড দেখিয়ে মার্কেটিং করা হচ্ছে! এর উত্তর হল তাদের সবগুলো বিলবোর্ডের মধ্যেই রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া। সবগুলো বিলবোর্ডে কমবেশি ডিজিটাল স্ক্রিন ব্যবহার করে কেননা তারা মার্কেটিং এর গুরুত্ব বুঝে।

 মার্কেটিং এর সফল হওয়ার পেছনের মূল মন্ত্র হচ্ছে তুমি দর্শককে কতটুকু আকর্ষণ করতে পারছো ।তুমি তোমার এডভার্টাইজিং যত বেশি জাঁকজমকপূর্ণ করতে পারবে দর্শক তত তোমার প্রতি বেশি আকর্ষিত হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন পদ্ধতি

এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কেঃ
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং

ধরো তুমি অনলাইনে একটি বইয়ের দোকান দিতে যাচ্ছ এবং ক্রেতারা সেখান থেকে অনলাইনে তোমার বইটি কিনতে পারবে। কিন্তু এখন বিষয় হচ্ছে যে তোমার দোকান সম্পর্কে কেউ কিছুই জানে না। তাই স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ গুগলে সার্চ করে দেখবে যে বাংলাদেশের কোন বুকশপ থেকে ভালো বই কিনা যায় সে সম্পর্কে। 

মজার ব্যাপার হলো ভদ্রলোক সেই সব বুক সব গুলোর ব্যাপারে জানবে যেগুলো গুগলের প্রথম পেজে আছে। নতুন দোকানের মালিক হিসেবে google তোমাকে নাও চিনতে পারে। তাই গুগল হয়তো তোমাকে প্রথম পেজে দেখাবে না। 

এই মুহূর্তে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো এমন একটি পদ্ধতি যা ব্যবহার করে তুমি তোমার বইয়ের দোকানের নাম বা লিফলেট তুমি গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে পারো। আশা করি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ব্যাপারটা খুব ভালোভাবেই বোঝাতে পেরেছি।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুক ব্যবহার করে কোন প্রডাক্টের মার্কেটিং করলে তখন তাকে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। আজকাল সোসিয়াল মিডিয়া ছাড়া আমরা আমাদের জীবন কল্পনাই করতে পারিনা। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫% মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে এবং এর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তাই আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর দিকে নজর দেওয়া জরুরী।

 এতে করে আপনার ব্যবসার প্রসার কয়েক গুণ বাড়তে পারে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার ফলে আপনার পণ্য এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনি আপনার পণ্যের ভালো দিকগুলো তাদের কাছে তুলে ধরতে পারবেন এবং বিক্রয় করতে পারবেন।

 আপনার নতুন নতুন পণ্য অথবা বিশেষ অফার গুলো সম্পর্কে আপনাকে ক্রেতাদের নিকট মার্কেটিং করতে পারবেন। আশা করি সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বা ফেসবুক মার্কেটিং এর ব্যাপারে আপনি একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

কন্টেন্ট মার্কেটিং

এখন প্রায়ই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান তার অনলাইন পত্রিকা বা ব্লগ সাইডে বিভিন্ন রকম পোস্ট লিখে থাকে। সেই পোস্টগুলো পড়ে সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারে। এ ধরনের মার্কেটিং হল কন্টেন্ট মার্কেটিং। 

নিজের প্রতিষ্ঠানের সেবার জন্য যেমন মার্কেটিং এখন বেশ কার্যকরী ঠিক তেমনি নিজে যদি মার্কেটিং করতে নাও পারে তাহলে পেশাদার কোন মানুষকে দিয়ে নিজের ব্যাপারে মার্কেটিং করা যায়। যেমনটা এই ব্লগ পোস্টে হয়ে থাকে। নিজে পোস্ট না লিখতে পারলেও প্রফেশনাল ব্লগ লেখককে দিয়ে নিজেদের ব্যাপারে কন্টেন্ট লিখে নেয়া হয়।

ইমেইল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক পুরনো একটি মাধ্যম হলো ইমেইল মার্কেটিং। মূলত ইমেইলের মাধ্যমে প্রমোশনাল মেসেজ পাঠানো কে বলা হয় ইমেইল মার্কেটিং। এর মাধ্যমে প্রথমে পোটেনশিয়াল অডিয়েন্স এর ইমেইল সংগ্রহ করা হয় এবং তারপর উক্ত জিমেইল এ বিভিন্ন প্রোমোশনাল মেইল পাঠানো হয়। 

সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমরা যারা বিভিন্ন রকম ওয়েবসাইটে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলি এবং আমাদের নির্দিষ্ট ইমেইল দিয়ে থাকি সেসব ইমেইল দিয়ে মানুষ আমাদের খুব সহজেই রিচ করতে পারে। যদিও বাংলাদেশের ইমেইল চেক করার প্রবণতা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। 

তবে মেসেঞ্জারে মেসেজ চেক করার মত যদি প্রতিদিন ইমেইল চেক করা হয় আর মার্কেটাররা যদি তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য আপনাকে মেইল করে থাকে তাহলে তারা তাদের কাস্টমারের কাছে সহজে রিচ পাবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অন্যকে রেফার করার মাধ্যমে যে মার্কেটিং পদ্ধতি গড়ে উঠেছে সেটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সেরা একটি মাধ্যম হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এর মাধ্যমে ব্র্যান্ড ও প্রোমোটার উভয়ের লাভবান হয়। 

সহজ ভাষায় বলতে গেলে এফিলেট মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি যে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট আমরা যদি কোন ক্রেতার কাছে বিক্রয় করতে পারি তার বিনিময়ে কোম্পানি আমাদের যেই কমিশন বা টাকা দিয়ে থাকে সেটাই হচ্ছে এফিলেট মার্কেটিং। এর সব থেকে বড় দুইটা কোম্পানি হচ্ছেঃ দারাজ এবং amazon। 

এই ডিজিটাল যুগে খুব কম কোম্পানি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের পণ্যের ব্যাপারে জানাই। তাই সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক কোম্পানি সফল হচ্ছে। ফেসবুক ,ইনস্টাগ্রাম টুইটার এবং নিজেদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যের ব্যাপারে বিভিন্ন রকম তথ্য পোস্ট করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্যারিয়ার

ডিজিটাল মার্কেটিং খুব সম্ভাবনাময় একটি খাত। তেমনি বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, বিশ্বের অনেক নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর বিভিন্ন ডিগ্রি দিয়ে থাকে। আবার অনেকে আছেন যারা মাস্টার্স করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি বেছে নেন। তবে তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কে পেশা হিসেবে নিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে দেখা যাচ্ছে। 

এছাড়াও কেউ যদি ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকে তবে অতি শীঘ্রই সে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও দাড় করে দিতে পারে। বর্তমান সময়ে যে যাই করুক না কেন তার অনলাইনে প্রচারণার দরকার পড়ে। সামনের দিনগুলোতে এর পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।

 তাই এ সকল প্রতিষ্ঠানে নিজের একটিভিটি বাড়াতে আগ্রহী হচ্ছে তরুণরা। ভালো মানের মার্কেটিং শিখতে পারলে কাজের ক্ষেত্র নিয়ে চিন্তা করতে হয় না,পাড়ার ছোট মুদি দোকান থেকে শুরু করে আপেল মার্কেটের হওয়ার মত বড় বড় সুযোগ রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সম্ভাবনার দ্বার বিশাল ।আপনি চাইলেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কোন কোম্পানির বা সংস্থার হয়ে কাজ করতে পারেন। তাদের পণ্য কেনাবেচা করে এবং পণ্যের প্রচার-প্রচারণা দেখিয়ে আপনি বিভিন্ন ভাবে ইনকাম করতে পারেন।এছাড়াও বড় বড় মিডিয়ার জন্য কাজ করতে পারেন। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করে দিতে পারেন।

 এবারের মার্কিন নির্বাচনে আমরা দেখেছি যে সরাসরি প্রচারের চেয়ে প্রেসিডেন্টরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করার জন্য আমরা ছোটখাটো একটি কোর্স করে নিজের দক্ষতা অর্জন করতে পারি।

শেষ কথা

পরিশেষে বলতে চাই, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে রাখা সময়ের দাবি । আপনি যদি ধৈর্য নিয়ে অধ্যাবসায়ের সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন তবে আপনি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত। তবে কথাটি বলা যত সহজ করতে গেলে ঠিক ততটাই কঠিন।

 প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা। আশা করছি আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং কি ,এর গুরুত্ব কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় এই ব্যাপার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা পেয়েছেন।

 আসলে আমার উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া। আশা করি আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আজকে এ পর্যন্তই। এতক্ষন আবার পোস্টের সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url