ফল নাকি ফলের রস কোনটার পুষ্টি বেশি বিস্তারিত জানুন
ফল নাকি ফলের রস কোনটার পুষ্টি বেশি এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে বিতর্কের শেষ নাই। আবার অনেকেই গোটা একটা ফলকে ধুয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে জুস বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো ফল নাকি ফলের রস কোনটার পুষ্টি বেশি সেটা নিয়ে বিস্তারিত।একবাটি ফল কিংবা এক গ্লাস ফলের রস শুধুমাত্র আমাদের পেটকেই ভর্তি রাখে না বরং আমাদের শরীরের সারাদিন পুষ্টি যোগায় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
ভূমিকা
ফল নাকি ফলের রস কোনটার পুষ্টি বেশি এটা সম্পর্কে আমাদের অনেকের মধ্যেই কোন ধারনা নেই। বিভিন্ন পুষ্টিবিদদের মতে, সুস্থ থাকার জন্য ফলের রসের চেয়ে গোটা ফলটাই বেশি উপকারী আমাদের জন্য। ফল হল পুষ্টির রাজা। তাই প্রতিদিন নিয়মিত একটি করে ফল খাওয়া জরুরী। প্রতিদিন নিয়মিত ফল খেতে পারলে আমাদের শরীরের রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে না। সেই সাথে আমরা বিভিন্ন রকম অসুখ থেকেও রক্ষা পেতে পারি।ফল নাকি ফলের রস কোনটার পুষ্টি বেশি
বেশিরভাগ মায়েরা অভিযোগ করে থাকেন যে তাদের ছেলেমেয়েরা ফল খেতে চান না। তখন মায়েরা ফলের পরিবর্তে ফলে জুস খাওয়ান। তারা মনে করেন যে ফলের রসে এবং ফলে সমপরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। আসলেই কি তাই? চলুন জেনে নেওয়া যাক ফলের রস করে খেলে সেগুলো থেকে কি কি পুষ্টিগুণ বাদ পড়ে যায়ঃকি নেই ফলের রসে
যে ফলগুলো খোঁচা সহ খাওয়া যায় তার মধ্যে পুষ্টিগুণ হাজার গুনে বেশি। খোসা ছাড়িয়ে শুধুমাত্র ফলের রস খেলে পুষ্টিগুণ অনেক কমে যায়।ফলের খোসার গুরুত্ব
আপেল আঙুর পেয়ারা শসা ইত্যাদি ফলগুলো খোসাসহ খাওয়া জরুরী। কেননা ফলের রস খোসাতে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে। যার কারণে এর মধ্যে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই উপাদানগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের ক্যান্সারের মত মরণব্যাধিকে রুখতে সাহায্য করে। কিন্তু ফল খাওয়ার সময় ফলের খোসা কে ছাড়িয়ে খাওয়ার জন্য এই উপাদান গুলো বাদ পড়ে যায়। এছাড়াও ফলের রস খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু শুধু ফলের রস খেলে তা হয় না। যেমন গোটা আপেল খেলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ হয়ে যায় ১২০।
কিন্তু আপেলের জুস বানিয়ে খেলে তার কিঞ্চি পরিমাণও ক্যালোরি আমাদের শরীরে ঢুকে না। এছাড়াও আপেলে চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ গ্রাম। কিন্তু যখন আপেলের জুস বানানো হয় তখন তার মধ্যে এক্সট্রা করে চিনি মেশানো হয়। তাই আমাদের শরীরে ফলের জুস খুব একটা প্রভাব ফেলে না।
ফলের আশ
ফলের খোসা যেমন আমাদের শরীরের জন্য উপকার ঠিক তেমনি ফলে শ্বাসের মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। কমলা শ্বাসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্লোবোনয়েডস। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি। আর এই দুটো উপাদানে আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। কিন্তু আমরা যখন কমলার রস করি তখন তার মধ্যে থেকে ফ্লোবোনয়েডস বেরিয়ে যায়।ফলের রসে থাকে না ফাইবার
ফল থেকে যখন ফলের রস বের করে নেওয়া হয় তখন এর মধ্যে কোন প্রকারই ফাইবার বা আস থাকেনা। উদাহরণস্বরূপ আপেলের মধ্যে থাকে ৩. ৭৫ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার কিন্তু আপেলের রস তৈরি করতে লাগে তিন থেকে চারটি আপেল সেই হিসেবে আপেলের রসে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকার কথা কিন্তু আপেলের জুসে ফাইবার প্রায় থাকে না বললেই চলে।ক্যালোরি
আমরা যখন ফলের রস খাই তখন আমাদের শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু যখন ফলের রস খাওয়া হয় তখন সেই পরিমাণ শর্করা বাড়ে না। এছাড়াও আমরা যখন গোটা ফল খেয়ে থাকি তখন তার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তিতে সাহায্য করে তার সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও গোটা ফলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম মিনারেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল বিভিন্ন ধরনের উপাদান। যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ কমাতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও পরিমিত পরিমাণে ফল খেলে আমাদের শরীরের স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় বা নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে লেবু পানি পানের অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ওজন কমাতে ফল
শরীরে বেশি ওজন থাকা আমাদের জন্য আসলেই খুব কষ্টকর বা অস্বস্তিকর একটি বিষয়। অনেকেই ডায়েটের মাধ্যমে এবং জিম করার মাধ্যমে ওজন কমাতে চান। কিন্তু আমাদের ঘরে থাকা কয়েকটি ফল খেয়ে কমাতে পারেন আপনার শরীরের ওজন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কোন কোন ফল খেলে আমাদের শরীরের ওজন কমে যায়ঃবাতাবি লেবু
বাতাবি লেবুতে ক্যালরি নেই বললেই চলে। খুব কম ক্যালরি থাকার কারণে এটি খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়ায় কোন প্রশ্নই নেই। তাই আপনি নিয়মিত বাতাবি লেবু খেতে পারেন। এই ফলটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ডায়াবেটিস এবং হার্টের বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে।পেয়ারার জুড়ি নেই
সস্তা দামে একটি সহজলভ্য ফল পেয়ারা। এছাড়াও অনেকের বাড়িতেই এই ফলের গাছ থেকে থাকে। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে দেই। এমনকি ভিটামিন সি যুক্ত এই ফল খেলে আপনি বিভিন্ন দিক থেকেও সুস্থ থাকবেন। আপনার দাঁত এবং মাড়ি শক্ত রাখবে।পেঁপে
পেপের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এছাড়াও পেঁপের মধ্যে থাকা ফাইবার আমাদের অন্ত্রের সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে। আমাদের হজম ভালো হয়। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।কমলালেবু
যেকোনো সময় আপনি খেতে পারেন কমলা লেবু। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং ফাইবার। এবং এই দুটি উপাদানে আমাদের শরীরের ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। কমেন্ট লেবুতে ক্যালরি অনেক কম তাই এই ফল খেলে আপনার ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।আপনি চাইলে এই ফলের জুস বানিয়ে খেতে পারেন পারেন। তবে জুস বানিয়ে খাওয়ার থেকে চিবিয়ে খেলেই উপকার বেশি পাওয়া যায়।
তরমুজ খাওয়ার বিকল্প নেই
তরমুজ দারুন একটি ফল। এই ফল খেলে আপনার শরীরের ওজন খুব দ্রুত কমে যায় এবং এতে ক্যালোরি থাকার কারণে এমনটি হয়ে থাকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড যা আমাদের শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার চেষ্টা করবেন।আরও পড়ুনঃআমলকীর উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য জানুন
ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে যে ফলগুলো
সুস্থ থাকতে কমবেশি সবাই তাদের খাবারের তালিকায় প্রতিদিনই ফল রাখেন। তবে কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো খেলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই কি সেই ফলগুলোঃকলা
আমাদের অনেকেরই কলা বেশ পছন্দের ফল। আবার অনেকেই একদমই খেতে পছন্দ করেন না। তবে শরীরের ভেতর থেকে শক্তি যোগাতে চাইলে এবং শরীরকে ফিট রাখতে চাইলে কলা খেতে হবে। তবে একদিনে একটির বেশি কলা খেলে বাড়তে পারে ওজন। কলাতে ক্যালরির পরিমাণ রয়েছে 150 গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ ৩৭.৫।আনারস
আনারস এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। শুধু পানি নয় সাথে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম নেই। তাই বেশি আনারস খেলে বাড়তে পারে আমাদের শরীরের ওজন।আম
কমবেশি অনেকেরই পছন্দের ফল আম। এই ফল খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকেই এই কথাটি শুনে হতাশ হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এক কাপ আমি রয়েছে প্রায় 99 ক্যালোরি। এছাড়াও এতে ফাইবারের পরিমাণও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। কার্বোহাইড্রেটের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তাই আম আম খেলে শরীরের ওজন অনেক বেড়ে যায়।আরও পড়ুনঃকোন ধরনের শর্করা কতটুকু পরিমান খাওয়া দরকার সেগুলো বিস্তারিত জানুন
ত্বক ফর্সা করে যেসব ফল
অনেকেই মসৃণ এবং ফর্সা ত্বক চান। কিন্তু বিভিন্ন রকম কসমেটিকস ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক অনেক সময় সুন্দর থাকে না। ত্বক সঠিক এবং সুন্দর রাখতে চাই পরিমিত পরিমাণে ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। কিছু কিছু ফল রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের ত্বক অনেক সুন্দর হয়। চলুন জেনে নেই কি সেই ফলগুলোঃটমেটো
ত্বকের যত্নে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে টমেটোর কোন বিকল্প নেই। টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম,ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এরমধ্যে রয়েছে লাইসোপিন নামক একটি উপাদান যা আমাদের ত্বকের বলিরেখা এবং শুষ্কভাব দূর করতে সাহায্য করে। টমেটোর সানস্ক্রিন হিসেবেও দারুণ গুরুত্বপূর্ণ।গাজর
শীতকালীন একটি জনপ্রিয় সবজি গাজর। গাজর খেলে আমাদের ত্বক সজিব এবং উজ্জ্বল হয়। আর গাজরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আমাদের ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে গাজর।কলা
ত্বক ভালো রাখার জন্য কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। শুধু ত্বক সুন্দর করার ক্ষেত্রে না আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর উপকারী একটি ফল। এটি আমাদের ত্বকের মলিনতা দূর করতে করতে কার্যকর।আপেল
আপেল আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে এবং আমাদের ত্বকের টিস্যুকে নষ্ট হতে দেয় না বরং নতুন কোষ জন্মাতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরিন এবং জিংক আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে।আম
ফলের রাজা আমের কথা তো বলে শেষ করার মত নয়। আমের রস খেলে ত্বকের ছাপ দূর হয়ে যায় এবং এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের মেলানিন কম করে ফলে ত্বক উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে।ফল খাওয়ার সঠিক পন্থা
ফল খাওয়ার সঠিক কোনো নিয়ম নীতি নেই।তবে কিছু সময়ে কিছু ফল খেয়ে মিলবে শরীরের বাড়তি কিছু উপকার। পুষ্টিবিদদের মতে,দিনের কিছু কিছু সময়ে কিছু ফল সঠিক নিয়মে খেতে পারলে ফলের পুষ্টি ও আশ মিলবে যথাযথভাবে।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফল খাওয়ার সঠিক পন্থা সম্পর্কে কিছু নতুন তথ্য:
ফল খাওয়ার ভালো সময়
সকালবেলা খালি পেটে ফল খেলে মিলবে স্বাস্থের বিশেষ উপকার।যেহেতু পেট খালি,তাই ফলের সব উপাদানগুলো ভালোভাবে শরীরে প্রবেশ করবে।তবে বলে রাখা ভালো,যাদের পেটে এসিড বা গ্যাস্টিকের সমস্যা রয়েছে তাদের খালি পেটে ফল না খাওয়াই ভালো।বিশেষ করে সাইট্রাস জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো।এতে করে পেটে গ্যাস হতে পারে বা পেট ব্যাথা হতে পারে।আবার ছোট বাচ্চা বা বয়স্ক লোক যাদের হজশক্তি কম তাদের জন্য খালি পেটে ফল এড়িয়ে চলায় ভালো।এতে করে তাদের বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।
দুইবেলা খাবারের মাঝে ফল খাওয়া
নাস্তা হিসেবে ফল খুব স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।এটি আমাদের বিপাকক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।তাই যেকোনো দুইবেলা খাবারের মাঝে ফল খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকার।তাছাড়া ফল আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।আর দুইবেলা খাবারের মাঝে নাস্তা হিসাবে ফল খেলে আমাদের শরীরে চর্বি জমবেনা পাশাপাশি আমাদের সাস্থ্য ভালো থাকবে।এইজন্য দুইবেলা খাবারের মাঝে অন্য তেল চর্বিযুক্ত নাস্তা না খেয়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস করবেন।
ফল খাওয়ার ভুল সময়
আমরা অনেকেই না বুঝে ভাত খাওয়ার পর বা ভরা পেটে ফল খেয়ে ফেলি।কিন্তু খাওয়ার পর ভরা পেটে ফল খাওয়া উচিৎ নয়।ধারণা করা হয়, খাওয়ার পর ফলখেলে আমাদের হজমে ব্যাঘাত ঘটে এবং ক্যালোরি ভাঙতে সাহায্য করে।যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।কারণ ফলের রয়েছে নিজস্ব মিষ্টিজাতীয় উপাদান এবং ক্যালোরি।যা শুধুই আমাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ায়।
যেসব ফল অল্প খেতে হবে
অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় কিছু ফল রয়েছে যেমন:লিচু,আম, কাঁঠাল,তরমুজ, আঙ্গুর ইত্যাদি।যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি বা ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের বেশি মিষ্টিজাতীয় ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যেয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতে পারে।তাই এ ধরনের সমস্যার রোগীদের জন্য নাশপাতি, স্ট্রবেরী,পেঁপে, আনারস,আপেল এর মতো কম মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া দরকার।
ঘুমানোর আগে যেসব ফল খেতে হয়
কিছু ফল রয়েছে যেগুলা খেলে আমাদের ঘুম ভালো হয়।ফলে আমাদের শরীর ভালো থাকে।কিছু ফল যেমন:আপেল, চেরি, কিউই,কলা ইত্যাদি ফলগুলো খেতে পারেন।কারণ এই ফলগুলোর মধ্যে থাকে প্রাকৃতিক সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন ও ট্রিপটোফ্যান নামক কিছু উপাদান যা আমাদের শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে এবং রাতের ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে থাকে।তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আঙ্গুর,আম এইজাতিও ফল না খাওয়াই ভালো।কারণ গবেষণায় জানা গেছে,এই ধরনের ফলগুলো আমাদের মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে এবং রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ফল নাকি ফলের রস কোনটার পুষ্টি বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম যে কোন কোন ফল খেলে আমাদের শরীরের ওজন কমে এবং কোন কোন ফল খেলে আমাদের শরীরের ওজন কমে যায়।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url