শ্বাসকষ্টে ইনহেলার নাকি নেবুলাইজার কোনটা বেশি উপকারি বিস্তারিত তথ্য জানুন

শ্বাসকষ্টে ইনহেলার নাকি নেবুলাইজার কোনটা বেশি উপকারি এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকের কোন ধারণা নেই।শীতকালীন যেসব সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি অন্যতম এক ধরনের রোগ। যা কমবেশি অনেকেরই রয়েছে। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো শ্বাসকষ্টে ইনহেলার নাকি নেবুলাইজার কোনটা বেশি উপকারী।
শ্বাসকষ্টে ইনহেলার নাকি নেবুলাইজার কোনটা বেশি উপকারি বিস্তারিত তথ্য জানুন
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের শীতকালীন সময়ে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তখন তারা বিভিন্ন রকম ভোগান্তিতে ভোগে। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

ভূমিকা

শ্বাসকষ্টে ইনহেলার নাকি নেবুলাইজার কোনটা বেশি উপকারি জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।আসলে শ্বাসকষ্টের ওষুধ মুখে খাওয়া থেকে সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করাতে পারলে সেটা আমাদের জন্য বেশি উপকারী হয়। তবে অনেকেই মনে করেন নেবুলাইজার বা ইনহেলার করলে একসময় তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এবং পরে যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন ইনহেলার ব্যবহার না করলে তখন আরও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

শ্বাসকষ্টে ইনহেলার নাকি নেবুলাইজার কোনটা বেশি উপকারি

যাদের শ্বাসকষ্ট বা হাপানির সমস্যা রয়েছে তাদের ইনহেলার একটি নিয়মিত চিকিৎসা। অথচ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এই ধারণা আছে যে হয়তো ইনহেলার একদম শ্বাসকষ্টের শেষ চিকিৎসা। কিন্তু শ্বাসকষ্টের একদম প্রাথমিক চিকিৎসা হলো ইনহেলের নেওয়া। এই পদ্ধতিতে ওষুধ লাগে কম এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম বা নেই বললেই চলে।
আর সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে দিতে পারলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনি শ্বাসকষ্ট থেমে যাবে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে নরমাল ট্যাবলেট খেয়ে যদি আপনি শ্বাসকষ্ট কমাতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে আধা ঘন্টার মত সময় লাগবে। তাই শ্বাসকষ্টে ইনহেলার পদ্ধতি একটি উপকারী পদ্ধতি। ইনহেলার ব্যবহারে চার ঘন্টার মধ্যে আপনি সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি ৪ ঘন্টার ভিতরে আপনার সমস্যা সমাধান না হয়ে বা শ্বাসকষ্ট না কমে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ দিতে হবে। এবং প্রয়োজন ওষুধ পত্র খেতে হবে। কম বয়সী শিশু এবং বয়স্কদের জন্য স্প্রেসারের মাধ্যমে ব্যবহার করতে হয়।মনে রাখবেন সুষ্ঠুভাবে এবং সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করলে আপনি পাবেন সঠিক সমাধান। 
কোন ধরনের সমস্যার জন্য ইনহেলার ব্যাবহার করবেন তার সঠিক ধারণার মাধ্যমে আপনার হাপানি পুরোপরিভাবে নিরাময় করা সম্ভব।
নেবুলাইজার হলো ঔষধ প্রয়োগ করার এক ধরনের যন্ত্র।মুখে কোনো ঔষধ খাওয়ার পরিবর্তে সেই ঔষধের তরল সরাসরি ফুসফুসে যন্ত্রের মাধ্যমে ব্যাবহার করা হয়।এই যন্ত্র দিয়ে সরাসরি ফুসফুসে ঔষধ পাঠানো হয়।এই যন্ত্রকে বিভিন্নভাবে সংকুচিত প্রসারিত করার মাধ্যমে ঔষধ ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
আর নেবুলেইজার পদ্ধতির মাধ্যমে এই ঔষধ ব্যাবহার করার নাম ই হলো নেবুলাইজার পদ্ধতি। বাজারে বিভিন্ন ধরনের নেবুলাইজার কিনতে পাওয়া যায়।তবে তার মধ্যে সব থেকে বেশি আল্ট্রাসনিক মেসিন মেকানিজম বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। বেবুলাইজার ব্যবহার করা তুলনামূলক সহজ।

কিভাবে ব্যবহার করবেন

নেবুলাইজার ব্যবহার করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে যন্ত্রটির সব অংশ ঠিক মত আছে কি না।তারপর সব অংশ ভালোভাবে গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।তারপর সেগুলো ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে ঔষধ তুলবেন।এই যন্ত্রে ঔষধ তুলার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার যন্ত্রটি পুরোপুরি শুকনো এবং পরিষ্কার আছে কি না । 
অবশ্যই পুরোপুরি শুকনো থাকা আবশ্যক। নেবুলাইজার ব্যাবহারের সময় অবশ্যই রোগীকে বসানো বা আধো সোয়ানো অবস্থায় রাখতে হবে।তারপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ মতো ঔষধ নেবুলাইজারে তুলে রোগীকে দিয়ে দিতে হবে।আধুনিক নেবুলাইজারে রেগুলেটর থাকার ফলে স্পীড কমানো বাড়ানোর সুবিধা রয়েছে। মাস্ক ঠিকভাবে মুখে লাগিয়ে রোগীকে দিয়ে দিতে হবে। নেবুলাইজারের স্পীড এর ওপর নির্ভর করে ঔষধ শেষ হবে।

কি কি সতর্কতা মেনে চলা উচিত

মনে রাখতে হবে, নেবুলাইজার ব্যবহার করার পরে ৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি হাপানি না কমে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অবশ্যই দুইবারের বেশি নেবুলাইজার ব্যবহার করা যাবেনা।কোন রোগীর জন্য কতবার ব্যবহার করতে হবে সেটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।ছোট বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য নেবুলাইজার ব্যবহার একটি সহজ পদ্ধতি।
যেকোনো সময়ে বাসায় ব্যবহার করা যায়। নেবুলাইজার ব্যবহার করার আগে ও পরে অবশ্যই হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।আর ব্যাবহারের আগে যন্ত্র ভালোভাবে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।ব্যাবহার করার পরও ভালোভাবে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রাখতে হবে।নেবুলাইজারের মাস্ক প্রতি ছয় মাস পর পর চেঞ্জ করতে হবে।
ব্যাস শুধু এইটুকু সতর্কতা অবলম্বন করলেই আপনি খুব সহজে বাসায় ব্যাবহার করে আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারেন। প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম শ্বাসকষ্টে ইনহেলার নাকি নেবুলাইজার কোনটা বেশি উপকারি এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন ও ব্যবহার করতে কি কি সতর্কতা মেনে চলবেন সে সম্পর্কে।

ব্যাথার ঔষধ নয়

আজকাল দেখতে গেলে ঘরে ঘরে এমন রোগী পাওয়া যাবে যাদের সবসময় ব্যাথার ঔষধ খেতে হয় বা খায়।একটু ব্যাথা হলেই যে ঔষধ খেতে হবে বিষয়টা এমন নয়।একটু দেখে শুনে ধর্য ধরে ঔষধ খাওয়া দরকার। কারণ ব্যাথার ঔষধে বিভিন্নধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কারোর কারোর দীর্ঘমেয়াদি অসুখ হয়ে যায়।আবার অনেকের অ্যাজমা সমস্যা দেখা দেয়।তাই ডাক্তারের পরমর্শ ছাড়া ব্যাথার ঔষধ খাওয়া একদম বাদ দিতে হবে।

হাঁপানি থেকে বাঁচতে কি করবেন

আজকাল কমবেশি সবারই এই সমস্যা রয়েছে। বলতে গেলে ঘরে ঘরে। অ্যাজমা মানে এলার্জী।আর তারপর আরো বিভিন্ন রকম সমস্যা। ফুসফুসে ব্রঙ্কাসজনিত সমস্যা, ফুসফুসে পানি জমাসহ সাসনালী ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।তাই আমাদের সব সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে চলুন জেনে আসি।
  • কোনো অবস্থায় ঠান্ডা লাগানো যাবেনা।
  • ঠান্ডা কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, সবসময় গরম পানি খেতে হবে এবং গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
  • ধুলোবালি ঘাটা যাবেনা।
  • নতুন কাপড়ের গন্ধ লাগলে সেটা অবশ্যই ধুয়ে গায়ে দিতে হবে।
  • লেপ কাথা রোদে দিয়ে গায়ে দিতে হবে।
  • শীতকালীন সময়ে খুব সতর্কতার সঙ্গে থাকতে হবে।
এই মানুষগুলোকে টিকা দিতে হবে।কারণ খুব সহজেই যেকোনো সময়ে রোগ এদের চেপে ধরে।তাই নিউমোনিয়া সহ ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিতে হবে অবশ্যই।তার পাশাপাশি করোনার টিকা নিতে হবে।আর প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।তবে চিন্তার বা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এবং সতর্কতার মাধ্যমে এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

রাতে শ্বাসকষ্ট বেশি হয় কেনো

অনেক সময় দেখা যায় সারাদিন সব ঠিক কিন্তু রাতে যেয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো কোনো অবস্থা থাকেনা।রাতের বেলা সস্কস্ত হয় বেশি।এর কারণ সঠিকভাবে জানা যায়না।তবে বিজ্ঞানীদের মতে,রাতের বেলা আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন হৃদপিণ্ডে ও ফুসফুসে সঠিকভাবে হয়না বা তুলনামূকভাবে কম হয়।তাই এই সময় রক্ত ফুসফুসে জমা হয়ে যায় আর তখন নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়।তবে অ্যাজমা সমস্যা রোগীদের এই সমস্যা বেশি হয়।

শ্বাসকষ্টের রোগীরা রোজা থেকে ইনহেলার নিতে পারবে কিনা

রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণে থাকলে শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোন বাধা নেই। রোজা কোনভাবেই আমাদের হাঁপানি বাড়িয়ে দেই না। তবে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে ইসলামে। এছাড়াও রোজা রাখলে প্রয়োজনীয় সাধারণ এই ইনহেলার এবং অক্সিজেন ব্যবহার করা যেতে পারে। ডক্টর টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন টা বলেছে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডক্টর শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, রোজা হচ্ছে আমাদের ইসলাম ধর্মের একটি অন্যতম স্তম্ভ। এ জন্য প্রত্যেক মুসলিমদের রোজা রাখা ফরজ। কিন্তু অনেক সময় রোজা রাখতে সমস্যা হয় শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে। শ্বাসকষ্টের রোগীরা বিভিন্ন ওষুধ যেমন ইনহেলার সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেতে হয়। সে অবস্থায় তারা রোজা রাখতে পারবে কিনা এটা নিয়ে তাদের মনে অনেকের প্রশ্ন থাকে।
 ইসলাম আসলে একটি উদার ধর্ম। সাধ্যের বাইরে কাউকেই কোন কিছু এখানে চাপিয়ে দেওয়া হয় না। রোজা রাখলে যদি স্বাস্থ্যের অবনতি হয় তাহলে রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে কোরআনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। শামীম আহমদ আরো বলেন, বিশেষ করে ইনহেলারের ক্ষেত্রে কিছু সময় দেখা যায় যাদের শ্বাসকষ্ট অনেক বেশি তাদের বেশি বেশি ইনহেলা নিতে হয়।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় দিনে দুইবার নিলেই যথেষ্ট। এক্ষেত্রে কেউ যদি সময় এভাবে ঠিক করেন যে ইফতারের পর একবার এবং সেহেরির পর একবার নিবেন সেক্ষেত্রে আপনি এই কাজটি করতে পারেন। এছাড়া এমআইডি অথবা বাজারে যে সকল পাম্প পাওয়া যায় সেগুলো নিলেও রোজা ভাঙবে না। সে ক্ষেত্রে যাদের ট্যাবলেট এর মত করে ইনহেলার নিতে হয় তাদের ক্ষেত্রে রোজা হবে না।

 তিনি আরো বলেন, আরেকটি বিষয় হলো শ্বাসকষ্টের রোগীরা অনেক সমস্যা সাধারণ অক্সিজেন নিয়ে থাকেন। অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না। অক্সিজেন, ইনহেলার এসব সাধারণত ফুসফুসে যাই এবং ফুসফুস থেকে বেরিয়েও যাই। তাই রোজা রেখে অক্সিজেন ইনহেলার এসব ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু রোজার সময় নেবুলাইজার নেওয়া যাবে না।

গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ও প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট অন্যতম। এই সময় শ্বাসকষ্ট হওয়া অস্বাভাবিক কোন বিষয় না। তবে কখনো কখনো গর্ভবতী মায়েদের হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের বিভিন্ন রোগব্যাধি শ্বাসকষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে শ্বাসকষ্ট কেন হচ্ছে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের শ্বাসকষ্ট সাধারণত এভাবে বর্ণনা করে থাকেন যে, তারা নিশ্বাস নিতে পারছে না এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় অধিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে। গলা ও বুক চেপে আসছে এরকম মনে হয়। পর্যাপ্ত পরিমান বাতাস বা অক্সিজেন পাচ্ছে না মনে হয়। গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে হরমোনের তারতম ও শ্বাস-প্রশ্বাস কি পরিবর্তন করে।
এ সময় আপনার শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্ত মনে হতে পারে এবং অক্সিজেনের অভাব বলে মনে হতে পারে। গর্ব অবস্থায় মাঝে থেকে আপনার জ্বরের বৃদ্ধির কারণে আপনার স্বাস্থ্য পরিবহন তন্ত্রের বেশ কিছু পরিবর্তন হয় যার কারণে আপনার শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। আবার গর্ব অবস্থায় শেষের দিকে শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে যেতে পারে।
কারণ 31 থেকে 34 সপ্তাহের মধ্যে আপনার শিশু অনেক বেশি জায়গা নিয়ে ফেলে। যার কারণে বুক এবং পেটের মাঝামাঝি থাকা ডায়াগ্রামে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সাহায্যকারী চাপ পড়ে এবং যার কারণে গর্ভবতী মায়েদের শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। আবার একাধিক শিশুর শিশু আপনার পেটে থাকলে পেটে অধিক জায়গা দখল করবে সে ক্ষেত্রে আপনার ফুসফুস প্রসারনের জন্য আরো কম জায়গা পাবে এবং এতেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় যদি গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় সেটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট তাদের মধ্যে অন্যতম। গর্ভাবস্থার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে সেটি সাধারণত প্রতিরোধ করা যায় না। তবে শ্বাসকষ্ট বোধ করলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও হঠাৎ করে চাষ করা বেড়ে গেলে প্রথমে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
এবং আপনি যদি কোন কাজের মধ্যে থাকেন তাহলে সেখান থেকে বিরোতি নিতে হবে। সোজা হয়ে বসতে হবে এবং প্রয়োজনে কাদের সাহায্যে হেলান দিতে হবে। শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে আপনার দুই হাত কিছুক্ষণ মাথার উপরে তুলে রাখুন এবং পাঁজরের উপর চাপ কম দিন। যাতে করে নিঃশ্বাস নিতে সুবিধা হবে। চাষপ্রশ্বাসের ব্যায়াম আপনাকে কবি ভাবে সাহায্য করে এজন্য আপনি প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। এছাড়াও করা অবস্থায় অতিরিক্ত ওজন কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন এবং যে কোন সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্যে নিন।

শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম শ্বাসকষ্টে ইনহেলার নাকি নেবুলাইজার কোনটা বেশি উপকারি। এছাড়াও আরো জানতে পারলেন কিভাবে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে হয় এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়। রোজা রাখা অবস্থায় নেবুলাইজার ইনহেলার ব্যবহার করা যায় কিনা সে সম্পর্কেও অনেক কিছু জানলাম।
আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url