রাতে কোন খাবার শরীরের জন্য ভয়াবহ এবং সেগুলো কি বিস্তারিত জানুন

রাতে কোন খাবার শরীরের জন্য ভয়াবহ এবং সেগুলো কি সেটা আমাদের মধ্যে হয়তোবা অনেকেই জানে না।অনেকেই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু খাওয়ার অভ্যাস আছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য একদমই ক্ষতিকর। প্রিয় পাঠক আজকে আমি আলোচনা করব রাতে কোন কোন খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভয়াবহ এবং সেগুলো কি কি সে সম্পর্কে।
রাতে কোন খাবার শরীরের জন্য ভয়াবহ এবং সেগুলো কি বিস্তারিত জানুন
আমাদের অনেকেই অফিসের ব্যস্ততা বা বিভিন্ন কাজের কারণে অথবা অভ্যাসের কারণে অনেক রাত করে আমরা খাবার খেয়ে থাকি এবং খাবারের পরপরই ঘুমিয়ে যাই। যার কারণে আমাদের শরীর আস্তে আস্তে বিভিন্ন ক্ষতির দিকে চলে যাচ্ছে।

ভূমিকা

রাতে কোন খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভয়াবহ এবং সেগুলো কি কি জানতে হলে আমার পোস্টের সাথেই থাকুন।কেউ কেউ কাদের জন্য অনেক গভীর রাতে ঘুমাতে যান। এবং গভীর রাত হওয়ার জন্য তাদের ক্ষুধা লেগে যায়। তখন হাতের কাছে যা পায় তাই খেয়ে নেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে প্রত্যেক বেলার খাবারেরই একটি সঠিক নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মের বাইরে গেলে শরীরের জন্য সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই রাতের বেলা যে কোন খাবারই খাওয়া ঠিক নয়।

রাতে কোন খাবার শরীরের জন্য ভয়াবহ 

বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকম লাইফস্টাইল হওয়ার কারণে তাদের খাবারের তালিকা ও বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কেউ কেউ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একগ্লাস দুধ খেয়ে থাকে। দূরে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত প্রোটিন থাকার কারণে রাতে দুধ খেলে আমাদের হজমে সমস্যা হতে পারে। আবার একইভাবে ফলের রসের ক্ষেত্রে। 

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফলের রস না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকদের মতে রাতে ফলের জুস খেয়ে ঘুমালে বা ফলের রস খেয়ে ঘুমালে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও অনেকে ডার্ক চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু রাতে এ ধরনের খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ক্ষতিকর। 

এছাড়া আরো বিভিন্ন রকম খাবারের কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য রাতের খাবারে ক্ষতিকর। যেগুলো রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়া একদমই সঠিক নয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কফি, ভারী কোন খাবার, লেবু জাতীয় কিছু খাবার, যে খাবারের প্রচুর পরিমাণে তরল থাকে এরকম।

 এ ধরনের খাবার গুলো রাতে খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ভয়াবহ। তাই এগুলো খাবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার রাতের খাদ্য তালিকা থেকে একদমই বাদ দিতে হবে।

দেহ ঘড়ির সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম রাতে কোন খাবার শরীরের জন্য ভয়াবহ এবং সেগুলো কি কি। এখন জানব আমাদের খাবারের সঙ্গে দেহ ঘড়ির সম্পর্ক নিয়ে কিছু তথ্য।প্রত্যেক মানুষের দেহের একই নিজস্ব ঘড়ি রয়েছে। যখন তার শরীরে নিজের শরীরের ঘড়ির সাথে খাবারের তাল মিলিয়ে চলতে পারে তখনই তার শরীর ঠিকঠাক চলে। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকেরই দেহের ঘড়ি প্রত্যেক রকমের হয়ে থাকে। যার অর্থ হলো প্রত্যেকের হরমোন এবং প্রত্যেকের কোষের রাসায়নিক প্রতিটি এনজাইম নিঃসৃত হয় একেক ভাবে।

 তাই নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে আমাদের খাবারটা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই শরীর সুস্থ থাকবে। গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের শরীরের খাদ্য হজম করতে এবং থেকে পুষ্টি আহরণ করতে সময় নেই মাত্র 8 থেকে 10 ঘন্টা। খুব বেশি হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টা ও সময় নিতে পারে। নির্দিষ্ট সময় বিরতি দিয়ে খাবার গ্রহণ করা উচিত। এ পদ্ধতিকে বলা হয় টাইম রেস্টিং ইটিং।

নিয়ম মেনে খাওয়া

গবেষণায় দেখা গেছে কমপক্ষে ঘুমাতে যাওয়ার দুই থেকে আড়াই ঘন্টা আগে রাতে খাবার খেলে তা আমাদের শরীরের জন্য উপকার। রাতের খাবার সব সময় দুপুরের খাবারের চেয়ে কম হওয়া শ্রেয়। রাতে তেল চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করা উচিত। বেশি তেলে রান্না করার পরিবর্তে কম তেলে ভাজা সবজি খেতে পারেন। আর রাতে খাবারের পরে ডেজার্ট হিসেবে টক দই খুবই উপকারী।

 আর যাদের ওজন বেশি তাদের সন্ধ্যারাতে খাবার খেয়ে নেওয়ায় ভালো। তাইলে রাতে ঘুমানোর আগেই খাবার হজম হয়ে যাবে ফলে ওজন বাড়ার কোনো রকম আশঙ্কা থাকবে না। সেক্ষেত্রে রাতে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে পারেন। রাতের খাবার কেমন হবে এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক রকম প্রশ্ন থেকে থাকে।

 বলতে গেলে যারা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক সচেতন তাদের মধ্যে চিন্তার কোন শেষ নেই। কোনটি খাবেন কোনটি খাবেন না কখন খাবেন এগুলো নিয়ে অনেকের বিভিন্ন রকম প্রশ্ন। আসলে দিনের অন্যান্য খাবারের থেকে রাতের খাবারের প্রতি একটু সচেতন থাকা দরকার। কেননা রাতে খাবারের পর আমাদের দীর্ঘ এক সময় ঘুমের মধ্যে থাকতে হয়।

 আর সবথেকে বড় বিষয় হলো রাতের খাবার একটু এদিক সেদিক হলেই শরীরে অনেক চর্বি জমে যেতে পারে, তার সাথে হতে পারে বিভিন্ন রকম রোগবালাই। তাই রাতের খাবার নিয়ে আমাদের সব সময় বেশি সচেতন থাকা উচিত।

রাতে হালকা নাকি ভারী খাবার

আমাদের সমাজে অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ রয়েছে যারা একদম রাতে হালকা খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত। তারা মনে করেন যে হালকা খাবার খেলেই হয়তো তাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে বা তারা সুস্থ থাকবে। কিন্তু তাদের এই ধারণা একদমই ভুল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বা নিজেকে ফিট রাখার জন্য হালকা কিছু খাবার রাতের খাবারের বেছে নিচ্ছেন।

 কিন্তু এই ধরনের খাদ্য অভ্যাস তাদের শরীরের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। পুষ্টিবিদদের মতে আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর খাবারের। স্বাভাবিক অবস্থায় শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় সময়ে পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে যদি শরীর অনুযায়ী হালকা কিছু খাবার খাওয়া হয় তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন রকম ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক।

 তাই হালকা খাবার শুধুমাত্র তখনই খাওয়া উচিত যখন আমাদের শরীর অসুস্থ থাকবে। ডায়েটিসিয়ানদের মতে আপনি যদি রাতের খাবারের নিয়মিত সুপ বা তরল জাতীয় খাবার রাখেন তাহলে আপনার শরীর ভেতর থেকেই দুর্বল হয়ে পড়তে শুরু করবে।

 এতে আপনার শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন মাথা ঘোরা বমি বমি কাজের গতি হারিয়ে ফেলা এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই জন্য রাতের খাবারের হালকা কিছু রাখতে চাইলে আপনি রাখতে পারেন সবজি, রুটি, সালাদ, সুপ এ জাতীয় কিছু খাবার। বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের শরীরের ওজন খাবারের ওপর নির্ভর করে না বরং নির্ভর করে আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়ার উপর।

 তাই হালকা খাবারের পরিবর্তে দ্রুত হজম হবে এরকম খাবার বেছে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। হালকা খাবার দ্রুত হজম হয়ে গেলেও তা আমাদের শরীরে একসময় পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। তাই যে সব খাবারের কার্বোহাইড্রেট বেশি এই ধরনের খাবারকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। শুধু খেয়াল রাখবেন রাতে খাবারের সাথে প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেন বেশি না খেয়ে ফেলেন।

রাতে দেরি করে খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে

বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে ফেলে। ফলে আমাদের বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা তে ভুগতে হয়। এছাড়াও ওজন বাড়ার প্রবণতার সঙ্গে রাতে দেরি করে খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সঠিক সময়ে খাবার না খেলে আমাদের যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেগুলোর নিচে দেওয়া হলঃ

বদহজম

খুব বেশি রাত করে খেলে আমাদের বিভিন্ন রকম হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কারোর পেট ফাঁপা গ্যাস হয়, কারন অনেক পেট ব্যথা করে আবার অনেক সময় পেট ফুলে থাকে এরকম বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। সে ক্ষেত্রে রাতের ঘুমও ঠিকভাবে হয় না।

 ফলে আমাদের শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং আমরা দুর্বল হয়ে যাই।তার সাথে কার কোন খাবারে সমস্যা হচ্ছে এটাও বুঝতে হবে। এবং খাওয়ার পর যথেষ্ট সময় নিয়ে আপনাকে হাটাহাটি বা বসে থাকতে হবে। তাহলে আর কোন রকম সমস্যা হবে না।

বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা

বেশি রাত করে খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যা আমরা নাও জানতে পারি। মাথা ব্যথা,ফুসফুসে বিভিন্ন রকম প্রদাহ হতে পারে। এছাড়াও রাত এগারোটার পর অনেকেই খাবার খেয়ে থাকেন যার কারণে আমাদের খাদ্যনালীতে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের সমস্যা

বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আমাদের শরীরে বাধা বাঁধতে পারে ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের মতো ভয়াবহ রোগ। এই রোগ গুলো একটি রোগী সারা জীবন বয়ে বাড়াতে হয়। এছাড়াও শারীরিক সমস্যার জন্য হতে পারে মানসিক বিভিন্ন রকম সমস্যা।

তাই আমাদের উচিত সবসময় সঠিক টাইমে রাতের খাবার গ্রহণ করা। এতে করে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং মানসিক দিক থেকেও আমরা অনেক সুস্থ থাকবো। এজন্য রাতে দেরি করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।

রাতে ভরপেট খাওয়ার পরেও মাঝরাতে খিদে পাওয়ার কারন

রাতে ভরপেট খাওয়ার পরেও মাঝরাতে খিদে পাওয়ার কারন এক ধরনের শারীরিক সমস্যা বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। মাঝরাতে খিদে পাওয়া প্রবণতাকে অনেকেই খুব হালকা ভাবে নিয়ে থাকে। অনেক রাত ঘুম না হওয়ার কারণে অনেকেরই অনেক বেশি খিদা লেগে যায় মাঝরাতে। । চিকিৎসকরা এ ধরনের সমস্যার নাম দিয়েছেন নাইট ইটিং বা(এনইডি)।
 প্রতি 100 জনের মধ্যে একজন এই ধরনের সমস্যাতে ভোগে। এবং এই সমস্যার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম দীর্ঘস্থায়ী অসুখের সৃষ্টি হয়। যেমনঃ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের জটিল অসুখ দেখা দিতে পারে। যাদের শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেশি তাদের ওজন কমানো এক্ষেত্রে অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।আমরা যখন রাতের বেলা খাবার খাই তখন আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা তীব্রভাবে বেড়ে যায়।
এরপর কিছু সময়ের জন্য আবার অনেক নিচে নেমে যায়। তখন আমাদের ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা ক্ষুধার্থবোধ করি। জার্নাল নিউট্রিয়েন্টস এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা কম স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকি বা অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করি যা আমাদের অগ্নাশয় কে আরও বেশি করে ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। যখন দেহে ইন্সুলিনের মাত্রা বেড়ে যায় তখন রক্ত শর্করার মাত্রার কমে যায়। ফলে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরপরই দুই গ্লাস পানি খেয়ে নেওয়া ভালো। এতে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। বেশি রাত করে যেটাই খাওয়া হয় সেটাতে আমাদের শরীরের ওজন অত্যাধিক বেড়ে যায়। কারণ মাঝরাতে খেলে আপনার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বৃদ্ধি পায়। এ সময় আপনার শরীর হাইবারনেশন মুডে চলে যায়। ফলে মেটাবলিজমের হার কমে যায় আর যার কারণে খাবার হজম হয় না উল্টো চর্বি হিসেবে জমা থাকে।
তেমনি সময়ের খাবার সময় খেলে যেমন শরীরে ফ্যাট জমে না তার পাশাপাশি আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। বিশেষ করে রাত জেগে যারা মুভি বা খেলা থেকে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়। তবে অনেক সময় রাতের খাবারের পরিমাণ যদি কম হয় বা কাজের শিফট যদি অসময়ে হয় কিংবা আপনি যদি অতিরিক্ত কাজের চাপে থাকেন তাহলে মাঝরাতে এরকম ক্ষুধা লাগতে পারে। 
মনে রাখবেন, কিছু খেতে ইচ্ছা করা মানে কিন্তু ক্ষুধা লাগা বা আপনার পেট খালি নয়। আপনার মস্তিষ্ক অনেক সময় অনেক ধরনের মুখরোচক খাবার খাওয়ার জন্য ফুল সিগন্যাল দিতে থাকে। তাই অনেক সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তবে কিছু খাবার আছে যার খেলে আপনার ক্ষুধা নিবারণ হবে পাশাপাশি আপনার ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কোন রকম আশঙ্কা থাকবে না। চলুন তাহলে জেনে নেই সেই খাবার কোনগুলোঃ
  • ক্ষুধা পেলে এক দারুন খাবার হচ্ছে পপকর্ন। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার কিন্তু ক্যালোরি নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে খেতেও খুবই ভালো লাগে। পপকর্ন হাটের জন্য ভালো। হালকা অলিভ অয়েল দিয়ে পপকর্ন ভেবে সামান্য লবণ এবং মরিচ গুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়ে মাঝরাতে খেতে পারেন। এতে করে আপনার ক্ষুধা মিটবে আর ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • হুট করে ক্ষুধা পেয়ে গেলে গাজর হতে পারে আপনার জন্য একটি দারুন খাবার। সিদ্ধ করে মাখন আর গোলমরিচের গুড়া দিয়ে খেতে পারেন। সিদ্ধ না করে কাঁচাও খাওয়া যায়। কম ক্যালরিযুক্ত গাজর ত্বকের জন্য খুবই দারুণ একটি সবজি। গাজর খেলে আমাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা নেই।
  • আপনার যদি রাত জাগার অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই বাড়িতে ওর স্কিন বা শস্য দানের তৈরি করে রাখুন। রাতে যখনই ক্ষুধা লাগবে তখনই খেয়ে নিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এসব খাবার খিদা মেটাতে প্রয়োজন,পেট ভরাতে নয়।
  • মাঝরাতে ক্ষুধা পেয়ে গেলে আপনি পিনার বাটার দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে খেতে পারেন। পিনার বাটনের মধ্যে থাকে মেলাটোনিন যা আমাদের ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরকে দেয় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি।
  • আপেল দিয়ে আমন্ড বাটার খেতে পারেন। একটি মাঝেই সাইজের আপেল থেকে পাওয়া যায় 95 ক্যালোরি, ৪ গ্রাম ফাইবার সহ ভিটামিন সি পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে। আপেলে থাকা ফাইবার আমাদের অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং এর জন্য আমাদের ক্ষুধা কম লাগে। এছাড়াও ভিটামিন সি এ সেরা উচ্চ বলা হয় আমন্ডকে। যারা রাত জাগে এবং মাঝরাতে মিষ্টি খাবারের উপর লোভ লাগে তাদের জন্য আপেলের সাথে আমন্ড বাটার হতে পারে একটি একটি সেরা খাবার।
  • মাঝরাতে ক্ষুধা পেলে হুট করেই স্কিমড মিল্ক ভালো ফ্যাট যুক্ত দুধ পান করতে পারেন।
  • প্রোটিন জাতীয় বা বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। যেহেতু মাঝরাতে কিছু খেলে আমাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে তাই আমাদের এমন কিছু খাওয়া দরকার যাতে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক্ষেত্রে বাদাম হতে পারে আমাদের মধ্যরাতে খাওয়ার জন্য সেরা একটি খাবার।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম রাতে কোন খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য ভয়াবহ এবং সেগুলো কি কি। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য রাতের খাবার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেক সময় রাতে অনাকাঙ্খিত খাবারের অভ্যাসের কারণে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মত দুটি সমস্যাও দেখা দিতে পারে এবং যার কারণে রোগীকে মৃত্যুর দিকে যেতে হয়।

আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনার খুবই কাজে আসবে। যদি আমার আর্টিকেল আপনার কাজে এসে থাকে বা ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আর যদি কিছু জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন আর্টিকেল নিয়ে। সেই পর্যন্ত সকালে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আর এতক্ষণ আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url