দিনে ৪ ঘণ্টার বেশি মোবাইল টিপলে শিশুদের কি ক্ষতি হয় জানুন

 একজন গবেষক এর মতে দিনে আধা ঘন্টা ও এক ঘন্টার বেশি শিশুদের মোবাইল টিপা ঠিক না। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো দিনে চার ঘণ্টার বেশি মোবাইল টিপলে শিশুদের কি কি ক্ষতি হয় সে বিষয়ে।

দিনে ৪ ঘণ্টার বেশি মোবাইল টিপলে শিশুদের কি ক্ষতি হয় জানুন
চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক। আমরা জেনে নেই আমরা আমাদের শিশুরা অতিরিক্ত মোবাইল টিপার ফলে কি কি ক্ষতির কবলে পড়ছে।

ভূমিকা

শিশুদের মধ্যেই স্মার্টফোনের আসক্তি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ছোট বাচ্চারা মাঠে বা পার্কে না খেলে মোবাইল ফোন নিয়ে তারা বেশি সময় কাটাচ্ছে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। আজকে তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলব।

দিনে চার ঘণ্টার বেশি মোবাইল টিপলে বাচ্চাদের কি কি ক্ষতি হয়

শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক সময় ধরে গেম বা কাটুন খেলার প্রতিবেশী আসক্ত। এছাড়াও ডিজিটাল এক্টিভিটির কারণে শিশুরাই স্মার্টফোন সহ ল্যাপটপেও অনেকে আসক্ত।১২ থেকে ১৯ বছর বয়সের শিশুরা যদি দিনের চার ঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোনে প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হতে পারে। 

এমনকি তাদের মধ্যে নেশাদ্রব্য ব্যবহারের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়।গবেষণায় দেখা গেছে শিশুদের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার দিন দিন অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে অল্প বয়সে শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ ঘুমের সমস্যা, চোখের সমস্যা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে।প্রযুক্তির এই যুগে শিশুদের মোবাইল ফোন হাতে না নিয়ে কান্না যেন থামেই না।

 মোবাইল ফোন দিয়ে তা একসময় তার অভ্যাসে পরিণত হয়। মোবাইল না দিলে সে কান্নাকাটি করে এরকম সমস্যা অধিকাংশ শিশুরই। এছাড়াও আমরা অনেকে মোবাইল ফোন হাতে দিয়েই তাদের শান্ত করে থাকি। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।

দুই বছর বয়স থেকে আড়াই হাজার শিশুর উপর নজর রেখে স্মার্টফোন ব্যবহার এবং ল্যাপটপ ব্যবহারের বিষয়ে কানাডায় একটি বড় গবেষণা চলছে। গবেষণায় দেখা যায় স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে শিশুদের দক্ষতার বিকাশ ,কথা বলতে শেখা এবং অন্যদের সাথে মেলামেশা করতে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানিয়েছেন শিশুর বয়স দেড় বছর না হলে তাকে স্ক্রিন ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।

 শুধু শিশু নয় পাঁচ বছর থেকে তাদের অভিভাবকদের উপরেও জরিপ চালানো হয়েছে। এতে দেখা যায় শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের কথা জানতে চাইলে তাদের অভিভাবকরা জানান, দুই বছর বয়সী শিশুরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৭ ঘন্টা তিন বছর বয়সে সময় বেড়ে দাঁড়ায় সপ্তাহে ২৫ ঘন্টা এবং যখন বয়স পাঁচ বছর হয় তখন কমে হয় 11 ঘন্টা। 

গবেষকরা বলেন শিশুরা যে সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে ওই সময় যদি তারা কথা বলা বা বিভিন্ন দক্ষতা সোনার দক্ষতা বা দৌড় প্রতিযোগিতা থাকতো তাহলে তাদের শরীর ও মন দুটোই অনেক ভালো থাকতো এবং তাদের বিকাশও ভালো হতো।যেহেতু শিশুরা কার্টুন ও গেম খেলা সব সময় চুপচাপ এবং শান্ত থাকে তাই অভিভাবকরা এটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না।

 কিন্তু এসব সমস্যার কারণে আপনার শিশুর বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই এসব বিষয়ে আপনার চোখ কান খোলা রাখা খুবই জরুরী। সব থেকে বেশি মায়োপিয়া সমস্যা দেখা যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে বাড়ছে মোবাইল ফোন চালানোর আগ্রহ। এতে করে তাদের চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যা হচ্ছে যেমনঃদূরের জিনিস একদমই ঝাপসা দেখা, মাথাব্যথা, চোখের যন্ত্রনা ইত্যাদি। 

এ সমস্যাগুলো দূর করতে আপনার শিশুর ওপর ভালোভাবে নজরদারি করতে হবে। তারা যেন অতিরিক্ত সময় ফোন টিপতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের সাথে কথা বলা, খেলাধুলা করার অভ্যাস করতে হবে। অন্তত সপ্তাহে ৪/৫ দিন পার্কে বা মাঠে আপনার বাচ্চাদের খেলতে নিয়ে যাবেন। এতে করে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালোভাবে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম শিশুদের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে কি কি সমস্যা হয়। তাই আপনার বাচ্চাকে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখুন। এতে করে তাদের শরীর এবং মন দুটোই সুস্থ থাকবে।

 শুধু বাচ্চাই নয় আপনি নিজেও একটু মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। আজকে এ পর্যন্তই। সকলে সুস্থ থাকবেন এবং ভালো থাকবেন। এতক্ষণ আমার আর্টিকেল সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url