জানুন আপনার শরীরের কতোগুলো উপকারিতার কারনে প্রতিদিন শসা খাবেন
আপনার শরীরের কতোগুলো উপকারিতার কারনে প্রতিদিন শসা খাবেন তা আমাদের অনেকেরই অজানা।আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন যে শসা কোনো সবজি নয়।এটি একটি ফল।ফল খাওয়া যেমন আমাদের সাস্থ্যর জন্য ভালো,ঠিক তেমনি শসা আমাদের শরীরের উপকারি। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো আপনার শরীরের কতগুলো উপকারিতার জন্য আপনি প্রতিদিন শসা খাবেন সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক। স্বাস্থ্য বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে জানা গেছে যে, বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন শসা খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মানুষের শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে শসা।
ভূমিকা
আপনার শরীরের কতোগুলো উপকারিতার কারনে প্রতিদিন শসা খাবেন জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বেশি সচেতন তারা অবশ্যই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় শসা রাখেন। শসা খেলে আমাদের স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে। তবে বেশি পরিমাণে গেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যার দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত শসা খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। তাই সবকিছু নিয়মমাফিক খাওয়া দরকার।
আপনার শরীরের কতোগুলো উপকারিতার কারনে প্রতিদিন শসা খাবেন
হজমের সাহায্য করে শসা
বিভিন্ন পুষ্টিবিদের মধ্যে শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং কে।শসার আশ এবং বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়া সহজ করে তোলে। যার কারণে আমাদের হজম ভালোভাবে হয়।ফলে কোষ্টকাঠিন্য দূর হয়।
হাড় মজবুত করে
সসাতে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম ক্যালসিয়াম। যা আমাদের শরীরের হাড়কে কঠোর মজবুত করে। এছাড়াও ক্ষয়ের ঝুঁকি থেকে আমাদের রক্ষা করে।
চুল ও নখের উন্নতি
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন ভালো হবে,তখন হাত পায়ের নখ পরিষ্কার থাকবে এবং চুল সুন্দর থাকবে।
আদ্রতা রক্ষা
শসার মধ্যে ৯৫ পার্সেন্ট রয়েছে পানি। যার কারণে আমরা পানি খাওয়ার কথা ভুলে গেল শসা আমাদের শরীরের প্রয়োজন মিটাবে। শসা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর আর্দ্রতা সঠিকভাবে বজায় থাকে।তাই প্রতিদিন শসা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর উপকারি।
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে
শসা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস। আর ফসফরাস আমাদের শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে। শসাতে প্রায় চার শতাংশ ফসফরাস।তাই আমাদের শরীরের জন্য শসা খাওয়া খুব দরকার।
মানসিক চাপ কমায়
শসা তে রয়েছে ভিটামিন বি৫, বি৭ এবং বি১। যার জন্য আমাদের শরীরের চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বক উজ্জল এবং কোমল করে
শসা আমাদের ত্বককে কোমল,মলিন এবং শুষ্ক ত্বককে সতেজ করে তোলে।এতে থাকা ভিটামিন বি ও জিংক আমাদের ত্বককে উজ্জল করতে সহায়তা করে।তাই প্রতিদিন শসা খেলে আপনার ত্বক নরম,কোমল ও উজ্জল থাকবে।
ওজন কমায় শসা
শসাতে অনেক রকম পুষ্টিগুণ থাকলেও কালোরি থাকে কম।শসা খেলে আমাদের ক্ষুদা কম লাগে।তাই পেট থাকে অনেকক্ষণ।এইজন্য ভাত কম খেতে হয়।ফলে খুব সহজেই আমাদের শরীরের ওজন কমে যায়।আপনার শরীরের ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন শসা খাবেন।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
আমরা অনেকেই জানি যে,ভিটামিন এ আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়ায়।আর শসাতে ভিটামিন এ রয়েছে। যার কারণে শসা খেলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি বেড়ে যায়।
বিষাক্ততা দূর করে
শসার মধ্যে যে রস থেকে তা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি।কেননা শসার রস আমাদের দেহে বজ ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা ছাকনির মত কাজ করে। এমনকি নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে পাথর থাকলে তা খুব সহজেই গলিয়ে ফেলে।
প্রাত্যহিক জীবনে ভিটামিনের অভাব পূরণ
বিশেষজ্ঞদের গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে আমাদের দেহে দৈনন্দিন যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশিরভাগই রয়েছে শসার মধ্যে। ভিটামিন এ পিসি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
শসাতে রয়েছে সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিছিরেসিনোল, ও পিনোরেসিনোল এই তিনটি আয়ুর্বেদিক গুণ। এই গুণগুলো আমাদের শরীরের জরায়ু স্তন এবং মূত্র গ্রন্থী সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকির আশঙ্কা কমায়।
মুখ পরিষ্কার রাখে
দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণে আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় শসার কোন বিকল্প নেই। গোল করে শসা কেটে সেটি জিহ্বার ওপর কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখুন। শসার সাইটোকেমিক্যাল উপাদান আমাদের মুখের জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়। তাই মুখ পরিষ্কার রাখতে শসা খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে
সব গুনাগুনের মধ্যে এটি একটি অন্যতম গুনাগুন। শসা খেলে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল কমে যায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। একই সাথে আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
গেটেবাত থেকে মুক্তি
শশাতে প্রচুর পরিমাণে সিলিকা থাকার কারণে এটি খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন বিষ ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গাজরের মধ্যে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা নেমে আসে ফলে আমাদের দেহের অনেক রকম ব্যথা বেদানা থেকে আমরা মুক্তি পাই।
মাথা ধরা থেকে নিষ্কৃতি
আমাদের অনেকেরই এরকম সমস্যা আছে যাদের সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। শরীর ক্লান্ত দেখায়। সাথে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং সুগার। এজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু শসার খেয়ে নিন। তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে আর এরকম সমস্যা হবে না।
কিডনি সুস্থ রাখে
কিডনিতে বিভিন্ন রকম সমস্যা বা পাথর জাতীয় কোন সমস্যা দেখা দিলে শসার কোন বিকল্প নেই। এ ধরনের সমস্যাতে শশা খেয়েই সমাধান পাওয়া যায়। এছাড়াও কিডনি পরিষ্কার রাখে। তাই নিয়মিত শসা খেলে আপনার কিডনি ও সুস্থ থাকবে।
পানিশূন্যতা দূর করে
ধরুন আপনি অনেক দূরে আছেন। এবং আপনার পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার সুযোগ হয়নি বা পানি ও আশেপাশে নেই। সেই মুহূর্তে আপনি একটি শসা খেয়েই আপনার শরীরে পানির পিপাসার চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে পারেন। তাহলে বুঝতে পারছেন আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু পানি শূন্যতা দূর করে।
দেহের ভেতরে বাইরে তাপ শোষক
অতিরিক্ত গরমের সময় দেখা যাচ্ছে আমাদের শরীরের ভেতরে এবং বাইরে প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে যায়। তখন আমরা বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ে যাই। আমাদের দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়। এই অবস্থায় একটি বড় শসা খেয়ে নিলে আপনার অনেকটাই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ওজন কমাতে শসা যেভাবে খাবেন
শসা আপনি আপনার যে কোন খাবারের সাথে যুক্ত করে খেতে পারেন। দুপুর বা রাতের খাবারের সাথে শসার সালাদ রাখতে পারেন প্রতিদিন। এছাড়াও সকালের নাস্তার পর এবং বিকেলের টাইমে শসা হতে পারে আপনার জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া টক দইয়ের কিংবা শসার সাথে অন্যান্য উপাদান মিক্স করে এক ধরনের সালাত বানিয়ে খেতে পারেন যেকোনো সময়।
অন্য খাবারের সাথে শসা থাকলে আপনার খাবারের স্বাদ আরো বাড়িয়ে দেই। এছাড়া খাবারটা আপনার শরীরে ধীরে ধীরে হজম হয়েছে আপনার ওজন কমাতে ভীষণ কার্যকর। এক্ষেত্রে অবশ্যই সম্পূর্ণ খাবারের ক্যালরি আপনার শারীরিক গঠন বয়সের পরিশ্রম ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আপনার সবকিছু নির্ধারণ করে নিতে হবে।
তবে মাথায় রাখবেন, শসা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে এটা ঠিক। কিন্তু এটি কোন ওষুধ নয়। তাই শুধুমাত্র শসা খেলেই একমাত্র ওজন কমে যাবে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে নিয়মিত সোজা খেলে আপনার শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমবে।
শসা খাওয়ার সঠিক সময়
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম শসা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে এবং ওজন কমাতে কিভাবে শসা খেতে হয় সে সম্পর্কে। এখন আমরা জানব শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে।। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাকঃ
শসা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারিতা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু শসা খাওয়ার সঠিক সময় না জানলে উল্টা আমাদের শরীর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। শসা আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে এবং পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও শসা আমাদের শরীরে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
কিন্তু কখনো খেয়াল করে দেখেছেন যে আপনি কোন সময় খাচ্ছেন? শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি আপনারা কি জানেন? কেউ পাঠক সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় এবং পরিমান রয়েছে। অতিরিক্ত কোন খাবার ভালো নয়। এবং যেকোনো সময় খাওয়া ঠিক নয়। সকালে যদি শসা খাওয়া হয় তাহলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সকালের না থাকলে দুপুরে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
তবে শসার মধ্যেই রয়েছে কিউকারমিন নামক এক ধরনের উপাদান যা আমাদের হজমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এজন্য রাতে শসা খাওয়া ঠিক নয়। কারণ আমরা সকলেই রাতে খাবার খাওয়ার পর ঘুমিয়ে যাই। যার কারণে এই সময় আমাদের হজমের ব্যাঘাত করতে পারে বা হজমের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। এজন্য রাতে শসা খাওয়া উচিত নয়।
অন্যদিকে শসাতে ৯৫ শতাংশ পানি থাকার কারণে আমাদের একটু পরপর প্রস্রাব লাগতে পারে। যার কারণে একটু পর পর আমাদের বাথরুমে যেতে হয় এবং আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত করতে পারে। আর ঘুম না হলে আমাদের শরীরের কোন কিছুই ঠিক থাকে না। এজন্য রাতে শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। অন্যদিকে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে বা আলসার জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শশা এড়িয়ে চলাই ভালো।
যদিও করা প্রতি মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি বেশি করে পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত শসা খাওয়ার ফলে প্রস্রাব ঘন ঘন হতে পারে। এক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলারা বিভিন্ন রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন।
ত্বকের যত্নে শসার ব্যবহার
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম আপনার শরীরের কতোগুলো উপকারিতার কারনে প্রতিদিন শসা খাবেন সে সম্পর্কে এবং কিভাবে শসা খাবেন সে সম্পর্কেও জেনেছি। আমাদের শুধু শরীরের উপকারের জন্য নয় বরং ত্বকের উপকারের জন্য শসা ভীষণ উপকারী। শসার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক কুলিং পাওয়ার যা আমাদের শরীর এবং পক্ষে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বক রাখে উজ্জ্বল এবং সুন্দর। অনেক সময় আমাদের ক্লান্তির জন্য চোখ মুখ ফুলে যায় চোখের নিচে গর্ত হয়ে যায়।
এ ধরনের সমস্যার সমাধানে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা শসার স্লাইস ব্যবহার করতে পারেন। চোখের ওপর ১০ মিনিট দিয়ে রাখুন শসা ঠান্ডা স্লাইস। শসা এলোভেরা জেল ব্লেন্ড করে নারকেল তেল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ জমিয়ে নিন। এরপর বরফ হয়ে গেলে চোখে আশেপাশে আইসক্রিম দিয়ে বুলিয়ে নিন। যাতে করে আপনাদের চোখের ডাক সার্কেল দূর হয়ে যাবে খুব সহজেই।
আমাদের অনেকের মুখে ভীষণ রকম ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। ব্রণের সমস্যা দূর করতে শসা খুবই উপকারী। সাথে এলোভেরা জেল এবং সামান্য একটু অলিভ অয়েল পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর সেটি মুখে ১৫ মিনিট রেখে দিন এবং ১৫ মিনিট পর ভালোভাবে মুখটি পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর একটি মশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখুন।
আমাদের মধ্যে যাদের ত্বক কুঁচকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে বা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে গেছে তাদের জন্য শসার ভীষণ উপকারী। শসা পাতলা করে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে আপনি টক দই এবং মধু মিশাতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে এবং কুচকে যাওয়া ভাব চলে যাবে।
অন্যদিকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে শসা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে তার মধ্যে এক টেবিল চামচ কফি, লেবুর রস এবং গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারে। শুকিয়ে গেলে হালকা হাতের মাসাজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং তারপর একটি মশ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। এতে করে আমাদের ত্বকের দাগ চলে যাবে এবং ত্বক করে তুলবে উজ্জ্বল এবং নরম।
শুষ্ক ত্বকের জন্য শসা খুবই উপকারী। এক টেবিল চামচ টক দই এর সাথে শসা ভালোভাবে পেস্ট করে তোকে লাগিয়ে রাখুন এবং ২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। বিশ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো হবে ত্বক ধুয়ে নিন। এতে করে দূর হয়ে যাবে ত্বকের রুক্ষতা। ত্বক হয়ে উঠবে নরম এবং কোমল। এছাড়াও আপনি শসার রসের টোনার বানিয়ে মুখে নিয়মিত লাগাতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে টোনার হিসেবে শসার রস মুখে লাগিয়ে ঘুমালে উপকার আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম আপনার শরীরের কতোগুলো উপকারিতার কারনে প্রতিদিন শসা খাবেন সে সম্পর্কে। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url