ভাতঘুম কি শরীরের জন্য আসলেই উপকারি?কতটা উপকারি জানুন বিস্তারিত

আমাদের মধ্যে অনেকেই দুপুরে ভাত খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে। যেটাকে সাধারণত ভাতঘুম বলা হয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো ভাতঘুম কি শরীরের জন্য আসলেই উপকারি কি না।
ভাতঘুম কি শরীরের জন্য আসলেই উপকারি?কতটা উপকারি জানুন বিস্তারিত
কেউ কেউ ভাত ঘুমকে শরীরের জন্য খুব উপকার বলে মনে করে থাকেন। বিশেষ করে চাকরিজীবীদের জন্য অফিসে খাওয়া-দাওয়ার পর ভাত ঘুম দিলে পড়তে হয় বিভিন্ন বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করি।

ভূমিকা

ভাতঘুম কি শরীরের জন্য আসলেই উপকারি কিনা জানতে হলে আমার পুরো পোস্টের সাথেই থাকুন। আমরা যারা বাঙালি তাদের মধ্যে ভাত ঘুমের যেন আলাদা একটি কদর আছে। দুপুরে পেট ভরে খাওয়ার পরপরই চোখ বন্ধ হয়ে আসে অনেকের। তবে খাওয়া দাওয়ার পর ঘুমানো টা কি আদৌ উপকারী নাকি ক্ষতিকর। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই কোন রকম ধারণা নেই। কতক্ষণ ভাত ঘুম হতে পারে বা আরো বিভিন্ন কিছু সম্পর্কে আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানি না।

ভাতঘুম কি শরীরের জন্য আসলেই উপকারি

যদি ভাত ঘুম দিতেই হয় বা ঘুমাতে চান তাহলে শুরুতেই আপনার মোবাইলে বা এলার্ম ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে দেন। প্রতিদিন সময় না বদলে একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। আর প্রতিদিনই নিয়ম করে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাবেন। এতে করে আমাদের শরীরের নির্দিষ্ট একটি নিয়মে ঘুমের অভ্যাস হয়ে যাবে। আর প্রতিদিন ওই একই টাইমে আমাদের শরীর অলস হয়ে ঘুম চাইবে।

 একেকদিনে এক এক রকম টাইমে ঘুমানো আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা উপকারী না। শরীরের এরকম একটি অভ্যাস তৈরি করতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। আসলে ভাতঘুম দেওয়ার অভ্যাসটা ভালো। এই অভ্যাসের কারণে আমাদের শরীরের কি কি উপকার হয় চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাকঃ
  • কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যখন আমাদের ঘুম কম হয় তখন আমাদের শরীরে এক ধরনের কটিসল হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোন মূলত স্ট্রেস নামে পরিচিত। এর কারণে মানসিক চাপ আসতে পারে। এজন্য দুপুরে খাওয়ার পর হালকা ঘুম আসলে ঘুমানো আমাদের শরীরের জন্য উপকার।
  • এই অভ্যাসটি গড়ে তুলে আমাদের শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং যার কারণে থাইরয়েড এবং ডায়াবেটিসের মতো জটিল অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেরই হজমের খুব সমস্যা রয়েছে। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ভাতঘুম দিতে পারেন। যা আপনার শরীরে চমকের মত কাজ করবে।
  • যাদের অনিদ্রা সমস্যা রয়েছে তাদের ভাতঘুম খুব উপকারী। ভাত ঘুমের ফলে তাদের শরীর এবং মন দুটোই ফুরফুরে থাকবে।
  • ভাতঘুম দেওয়ার কারণে আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে হয়ে থাকে। আর বিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে হওয়ার কারণে আমাদের ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান বা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য ভাত ঘুম খুবই ভালো একটি অভ্যাস।

যেভাবে ভাতঘুম উচিত নয়

বেশিরভাগ দুপুরে খাওয়ার পর আমাদের শরীরটা খুব ম্যাজম্যাজ করে বা শরীরে তেমন কোন অনুভূতি হয় না। ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। যা পরবর্তীতে গ্লুকোজে পরিণত হয়। আর গ্লুকোজের জন্য দরকার হয় ইনসুলিন। 

শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখন ফ্যাটি এসিড এবং ট্রিপটোফ্যান নামক দুটি হরমোন আমাদের শরীরের মেলাটোনিন এবং সেরোটেনিন হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেই। তখন আমাদের ঘুম ঘুম ভাব হয়। সেই পরিস্থিতিতে একটা ঘুম আমাদের শরীরে খুব ভালো এক ধরনের কাজ করে। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে না ঘুমালে ভাতঘুম হতে পারে আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।

 অনেকে ভাত ঘুমের নাম করে 20 থেকে 90 মিনিটের মতো ঘুমিয়ে নেই। যেটাকে আসলে ভাতঘুম বলে না। সে ক্ষেত্রে সেটাকে বলে গভীর ঘুম। যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আবার খেয়ে উঠার পরপরই ঘুমিয়ে পড়লে তা আমাদের শরীরে হজমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘুমানো দরকার। তবে গবেষণায় দেখা গেছে কারোর যদি ঘুম না আসে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২০ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলেও তার শরীরের ক্লান্তি অনেকটা দূর হয়ে যায়।

এভাবে ভাতঘুম নিতে পারেন

কেউ কেউ আছে যেখানে সেখানে গা এলিয়ে শুয়ে পড়তে পারেন। আবার অনেকেই চেয়ার টেবিলে বা সোফার আশেপাশে বসেও ঘুমাতে পারেন। জোর করে কখনো ঘুমানো যায় না। তাই ঘুমের জন্য নিরিবিলি একটি পরিবেশ দরকার হয়।
  • যদি আপনি ভাতঘুম নিতে চান তাহলে দিনের বেলায় চা কফি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
  • যেসব কাজে উদ্দীপনা দেয় যেমন মোবাইল ফোন টিপা, ল্যাপটপ টিপা ইত্যাদি কাজ থেকে বিরত থাকুন।
  • বেশি গরম বা ঠান্ডা অনুভব হবে এরকম জায়গা ত্যাগ করে শরীরকে আরাম দিন।
  • ঘরের আলো কমিয়ে দিতে পারেন।
  • কোলাহল কমিয়ে নিরিবিলি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেন।
  • যদি চোখের উপরে দেওয়ার মতো কিছু থাকে তাহলে চোখের উপর দিয়ে চোখ ঢেকে ফেলতে পারেন এতে করে আপনার চোখে আলো পড়বে না।
  • বাসায় থাকলে বিছানায় শুয়ে পড়ুন।
  • এক কথায় শরীর এবং মনকে শিথিল রাখতে চোখ বন্ধ করে নেতিবাচক চিন্তা করবেন।
  • উদ্বেগ সৃষ্টিকারী কোন চিন্তাভাবনা করা থেকে বিরত থাকুন।

শরীরের রিফ্রেশ বাটন

দিনভর আমাদের শরীরের ওপর নানা রকম কাজের প্রেসার চলে। তার মধ্যে দুপুরে খাওয়ার পর ছোট্ট একটি ভাত ঘুম আমাদের শরীরে রিফ্রেশ বাটনের মত কাজ করে থাকে। দুপুরের পর ভাত ঘুম আমাদের শরীরের বাকি সময়টুকু সতেজ রাখতে সাহায্য করে এবং মন মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

 কর্মশক্তি নিয়ে দিনের শুরুটা করতে হয় ঠিক তেমনি দুপুরের ভাতঘুম দেওয়ার পর পরবর্তী সময়টা অবশ্যই কর্মশক্তি নিয়ে কাজ করা যায়। আমাদের শরীরে কর্মশক্তি পুনরুদ্ধারের সহায়তা করে বলে মনে করেছেন লন্ডনের ঘুম বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান দা স্লিপ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। 

সাধারণত আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের শরীরে অ্যাডেনোসিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে থাকে। তাই আমরা তারপর যতক্ষণ জেগে থাকি আমাদের মস্তিষ্কে এর উপস্থিতির কারণে আমাদের শরীর সবসময় চাঙ্গা থাকে। যার কারণে আমরা আমাদের কাজের সঠিকভাবে মনোযোগ দিতে পারি এবং কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

 এছাড়াও ভাতঘুমের অনেক উপকারীতা রয়েছে। যেমনঃ ভাবঘুম দিলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়, পাশাপাশি আমাদের হৃদপিণ্ড এবং কিডনিকে সতেজ রাখে। আমাদের শরীরে এই যন্ত্র গুলো যখন ভালো থাকবে তখন আমরা সব সময় সুস্থ থাকব। তাই দুপুরে খুব অল্প সময়ের একটি ভাত ঘুম আমাদের প্রত্যেকেই জরুরী।

মনের উপর প্রভাব

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইসরাত শারমিন রহমান বলেছেন, শরীর এবং মন ভালো রাখার জন্য যে হরমোন গুলোর প্রয়োজন রয়েছে সেগুলোর ভারসাম্য তৈরি হয় আসলে ঘুমের মাধ্যমে। তাই ঘুম আমাদের মন মেজাজ ভালো রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা যত বেশি রাত জাগি তত আমাদের শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে।

 তাই নিয়মিত ঘুম আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে তার পাশাপাশি মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম উদ্যোগ দূর করে এবং মুড ভালো রাখে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ঘুমানো দরকার। তাহলে আমাদের শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে।

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে ঘুমানো উচিত এবং যেভাবে নিষেধ করা হয়েছে

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেকটি কাজেরই একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।আপনি কিভাবে ঘুমাবেন সেটা নিয়ে ইসলামের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে এবং কিভাবে ঘুমানো যাবে সে সম্পর্কে কিছু নিয়ম রয়েছে। আমরা অনেক মুসলিম আছে যাদের এ বিষয়ে কোনো রকম ধারণা নেই। ঘুম আমাদের শরীরের জন্য একটি নেয়ামত। আমাদের রিফ্রেশ বাটন এর মত কাজ করে থাকে।
ঘুমানোর জন্যই মূলত রাত দেওয়া হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক নিয়মে ঘুমানো এক ধরনের ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কয়েকটি নিয়মে ঘুমানো নিষেধ করা হয়েছে। যেমন উপুর হয়ে ঘুমানো। উপুর হয়ে ঘুমালে কিছুক্ষণের জন্য আমাদের আরাম লাগলেও আসলে এটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় ধরে উপুর হয়ে ঘুমালে আমাদের মেরুদন্ডের সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। কিভাবে ঘুমালে আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্ট হয়। একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,আবু জার রাঃ বলেন,"আমি উপর হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গেলেন। আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আর একবারে খোঁচা মারলেন এবং বললেন এটা তো জাহান্নামিদের শয়ন।"
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বাম কাত হয়ে ঘুমানো নিষেধ করা হয়েছে। কেননা আমরা সকলে জানি আমাদের হৃদপিণ্ড বাম দিকে অবস্থিত। আর যখন বাম কাত হয়ে শুয়ে থাকা হয় তখন আমাদের হৃদপিণ্ডর ওপর চাপ পড়তে পারে। ফলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইসলামের সব সময় ডানকাত হয়ে ঘুমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘুমানোর ক্ষেত্রে সব থেকে উত্তম পদ্ধতি হলেও ডান কাতে ঘুমানো। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, রাসূল সাঃ বিশ্রাম করতেন বা ঘুমাতেন তখন তিনি সবসময় ডানকাঠ হয়ে থাকতেন। তাই আমাদের ঘুমানোর সময় ডানকাত হয়ে ঘুমানো উচিত।ডানকাতে ঘুমানো সুন্নাত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকেও ডানকাত হয়ে ঘুমানো ভালো। কারণ আমরা যে সকল খাবার খাই সেগুলোর পাকস্থলী শোষণ করে এবং আমাদের খাবার পরিপাকে সাহায্য করে।
আমরা জানি যে ঘুম আমাদের শরীরে ক্লান্তি দূর করে কিন্তু সব সময় ঘুমানো আসলে ঠিক নয়। ঘুমানোর সঠিক সময় হল এশার নামাজ পরে। আর ঘুম থেকে ওঠার উত্তম সময় হলো ফজরের নামাজের সময়। অনেক আলেমগণ ফজরের নামাজের পরে ঘুমানো কে মাকরূহ মনে করে থাকেন। এই সময় ঘুমানো ঠিক নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন," হে আল্লাহ আমার উম্মতের ভোরবেলাতে বরকত এবং প্রাচুর্য দান করুন।"
এজন্যই আপনি যদি সকাল সকাল কোন কাজ শুরু করেন তাহলে অবশ্যই বরকত পাবেন। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের ঘুমানোর আগে কিছু কাজ রয়েছে। যদি আমরা কাজগুলো সঠিকভাবে করে ঘুমাতে যাই তাহলে আমাদের ঘুমটাও আল্লাহ তায়ালার কাছে এবাদত পালনের সমতুল্য হবে। ঘুমানোর আগে আমাদের অজু করে ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
এবং ঘুমানোর আগে দোয়া পাঠ করা দরকার। আমরা অনেক সময় ঘুমাতে যাওয়ার আগে গান শুনি বা বিভিন্ন রকম ওয়েব সিরিজ দেখে ঘুমাতে যাই। যেটা একদমই উচিত নয়। ঘুমানোর আগে ভালোভাবে অজু করে দোয়া করতে করতে ঘুমালে সেটা এবাদতের শামিল হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের এইভাবে ঘুমানো উচিত। আর ঘুমানোর সময় অবশ্যই ডান কাতে হয়ে ঘুমানো উচিত।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ভাতঘুম কি আসলেই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনার খুবই কাজে আসবে। যদি আমার আর্টিকেল আপনার কাজে এসে থাকে বা ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

আর যদি কিছু জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন আর্টিকেল নিয়ে। সেই পর্যন্ত সকালে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আর এতক্ষণ আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url