অকালে চুল পাকে কেন ও রোধে করনীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
অকালে চুল পাকে কেন ও রোধে করনীয় কি সেগুলো বিষয়ে সব জানতে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্তই থাকুন। আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যাদের অল্প বয়সে চুল পাকা শুরু হয়ে গেছে। অল্প বয়সে চুল পাকার কারণে বিভিন্ন রকম ভোগান্তিতে তাদের পড়তে হয়। কেউবা সামাজিক বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেতেও লজ্জা বোধ করেন। সমসাময়িক কারণে সমাধান হিসেবে তারা চুলের কলব ব্যবহার করাকে বেছে নিয়ে থাকেন। এতে চুল একেবারে কালো হয় না। বরং মাথার চামড়ার এবং চুলের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে।
ভূমিকা
অকালে চুল পাকে কেন ও রোধে করণীয় কি সেগুলো সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেরই কোন রকম ধারণা নেই। বয়সের সাথে সাথে চুল পেকে যাবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যদি অল্প বয়সেই চুল পেকে যায় তাহলে মনের অবস্থা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। আর চোখে দেখে মানুষ হাসাহাসি করে। আর একবার চুল পাকা শুরু হয়ে গেলে তা আর কমার কোনো লক্ষণ নেই বরং বাড়তেই থাকবে।
অকালে চুল পাকে কেন
সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে। তেমনি চুল পাকারও একটি নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণত চুল পাকার আদর্শ বয়স হচ্ছে ৩০ বছর বয়স। এই সময় থেকে মাথার দু-একটা চুল পাকলে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে অকালে চুল পাকার বিভিন্ন রকম কারণ থাকতে পারে।
অকালে চুল পাকার কারণে অনেকে বিভিন্ন রকম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যান আবার অনেকেই বিভিন্ন আশঙ্কায় পড়ে যান যে তার বড় কোনো অসুখ হয়েছে। আসলে অকালে চুল পাকার কতগুলো কারণ থাকতে পারে সেগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- অকালে চুল পাকার অন্যতম একটি কারণ হলো বংশগত কারণ। পরিবারের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে যদি কারো অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- হরমোনের কারণে চুল অল্প বয়সেই পেকে যেতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম এই দুই ধরনের সমস্যার কারণে অকালে চুল পেকে যেতে পারে। রক্তে যখন থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কমে যায় তখন তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। আর এ হরমোনের পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখন সেটিকে বলা হয় হাইপার থাইরয়েডিজম।
- মানসিক অবসাদ মানসিক চাপ কষ্ট দুশ্চিন্তা থেকে অকালে চুল পেকে যেতে পারে আমাদের। তারুণ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে যে সেটেলটনিন হরমোন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে, সেই শেরাটনের হরমোন মানসিক অবসাদের কারণে নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে দেয়। যার কারণে আমাদের ত্বক এবং চুলের উপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে থাকে।
- অকালে চুল পেকে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো ভিটামিনের অভাব।ফোলেট,ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের মাথার চুল অল্প বয়সেই পেকে যায়। এছাড়া অভিটামিন সি যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বক এবং চুলের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।তাই আমাদের শরীরে যখন ভিটামিন সি এর অভাব হয় তখন অকালে চুল পেকে যেতে পারে।
- চুলে যখন অতিরিক্ত পরিমাণ রং এবং রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তখন কম বয়সে আমাদের চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড, উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, অতিমাত্রায় কোমল পানীয় এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং বয়স অনুযায়ী ওজন অতিরিক্ত বেশি থাকলে চুলের রং কম বয়সে হারাতে হয়।
- কেমোথেরাপি,রেডিওথেরাপি ইত্যাদি কিছু অসুখের প্রতিক্রিয়ায় চুল পেকে যেতে পারে।
- অকালের চুল পাকার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো ধূমপান। ধূমপান নিয়ে যত কথা বলা হয় ততই কম হয়ে যায়। ধূমপান করলে আমাদের চুলের গোড়ার রক্তনালি শুকিয়ে যেতে পারে। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমাদের চুল পেকে যেতে পারে অকালে।
চুল পাকা রোধে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করুন
অনেকেই চুল পাকা রোধ করার জন্য বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল চুলে ব্যবহার করে থাকেন। যার কারণে চুলের বিভিন্ন রকম ক্ষতি হতে পারে। তাই ঘরে বসেই প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান দিয়ে আপনার চুল কালো করা সম্ভব বা চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া কোন উপাদান গুলো দিয়ে আমরা চুল পাকা রোধ করব এবং চুল কালো করবঃ
- আমলকি এবং লেবু এই দুটি ফল সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। এর উপকারিতা সম্পর্কেও আমরা সবকিছু জানি। এই দুটি ফলে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। শুধু চুল কালো নয় শরীরের মেদ কমানো থেকে শুরু করে হৃদপিন্ডের সমস্যার সমাধান করতে আরো বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মাথা চামড়ার প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে এই দুটো ফল উল্লেখযোগ্য।
- অকালে চুল পাকা রোধ করার জন্য বাজার থেকে আমলকির গুড়া কিনে এনে তার লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন মাথায় এক ঘণ্টা করে লাগিয়ে রাখুন। মাথার চামড়ায় ভালোভাবে মাসাজ করুন।তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললেই হবে।
- মসলা হিসেবে পেঁয়াজ খুবই জনপ্রিয় একটি উপাদান। বাংলাদেশের কম বেশি সব রান্নাতে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।আর পেঁয়াজ বাটাকর চুল পাকা বন্ধ করতে দারুন কার্যকরী একটি উপাদান। পেঁয়াজ ভালোমতো বেটে নিয়ে কিছুক্ষণ মাথায় চামড়ায় মাসাজ করুন। তারপর শুকানো পর্যন্ত দেরি করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলে দিন। কয়েক মাস ব্যবহার করলে আপনি আপনার রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।
- চুলের যত্নে নারকেল তেলের কোন বিকল্প নেই। আর লেবুর গুনাগুন তো বলে শেষ করার মত নয়। চুল পাকা বন্ধ করতে প্রতিদিননারকেল তেলের সঙ্গে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে মাসাজ করুন। এভাবে এক মাস ব্যবহার করতে থাকুন। দেখবেন আপনার চুল পাকা বন্ধ হয়ে গেছে এবং তার সাথে আপনার চুলের খুশকি দূর হয়ে গেছে এবং আপনার চুলকে করেছে উজ্জ্বল এবং নরম সিল্কি সফট।
- গাজর খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস এর একটা বিশাল পরিমাণ গাজরের মধ্যে থাকে। এছাড়াও চুলের যত্নে গাজর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাজার থেকে গাজর কিনে নিয়ে এসে তারপর সেটিকে চিনির সাথে ব্লেন্ড করে গাজরের জুস তৈরি করতে হবে। তারপর সেই জুস নিয়মিত এক গ্লাস করে খেতে হবে।গাজরের জুস আপনার চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করবে।
- তিলের বীজ এবং বাদাম তেল এই দুটোই আমাদের বাজারে খুবই সহজলভ্য একটি জিনিস। স্কিন ডাক্তাররা চুলের যত্নে মাঝেমধ্যে এই চিকিৎসাটি দিয়ে থাকেন। প্রথমে তিল বীজ গুড়ো করে নিন। তারপর সেটি বাদামের তেলের সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন।
- সেই পেস্টটি চুলের গোড়ায় এবং মাথার চুলে লাগিয়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর তার শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এটি কয়েক মাস ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার চুল পাকা বন্ধ হয়ে গেছে এবং চুল কালো হতে শুরু করেছে।
- আদা গ্রেট করে মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন এক চামচ করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার চুল পাকা রোধ হবে।
- চায়ের ঘন লিকার চুলে লাগালে চুল তার নিজস্ব রং হারায় না।
- কারিপাতা নাকের তেলের সাথে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন তারপর সেটি চুলে লাগান তাহলে আপনার চুল নিজের রং হারাবে না এবং চুল পাকার রোধ হবে।
- মেহেদী ডিমের কুসুম এবং টক দই একসাথে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে চুলে লাগান সপ্তাহে একদিন।এটি আপনার চুল পাকা রোধ হবে।
- দুইটি আমলকি জবা ফুলের মাঝে অংশ এবং সাত আটটি বিটরুটের রস ভালো করে ফুটিয়ে ছেকে নিয়ে হেয়ার টনিক তৈরি করে নিন। হেয়ার টনিক নিয়মিত চলে ব্যবহার করুন। এতে আপনার অসময়ে চুল পাকা রোধ হবে।
সুন্দর চুল পেতে কোন কোন উপাদান গুলো প্রয়োজন
সৌন্দর্য প্রকাশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চুল। চুল সুন্দর হলে তার সৌন্দর্য বেড়ে যায় দ্বিগুণ বেশি। চুল সুন্দর রাখতে কি কি পুষ্টি উপাদান গুলো প্রয়োজন সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- চুল কেরাটিন দিয়ে তৈরি এবং অ্যামিনো এসিড চুলের প্রোটিন ধরে রাখতে সাহায্য করে। এবং সুস্থ রাখতে শরীরের ওজনের প্রতি কেজিতে ০.৮-০.৯ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।প্রোটিন ও অ্যামিনো এসিড সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে ডাল, সিম, মটর, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, চিনা বাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট,মুরগির মাংস, মাছ ,গরুর মাংস ইত্যাদি।
- ইনফ্লামেশন রোধ করতে এবং ফলিকল থেকে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড খুবই জরুরী। খাবারের মধ্যে রয়েছে সেমন ফিস, টুনা মাছ, ফ্লেক্স সিড, অলিভ অয়েল ইত্যাদি।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার তুলে ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া,গাজর,বিট,টমেটো,ডিম,তরমুজ,আঙ্গুর,বাদাম ইত্যাদি।
চুলের বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি ভিটামিন খুবই জরুরী। যেমনঃ
বায়োটিন( ভিটামিন বি৭)
নখ এবং চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন দরকার। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে বায়োটিনের অভাবে ৩৮ শতাংশ নারীর চুল পড়া শুরু হয়ে যায়। এবং এই বায়োটিনের অভাব হয় গর্ভধারণ এবং দুগ্ধ দানের সময়।
তাই এই সময় মায়েদের চুল পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।বায়োটিনের অভাব দূর করতে ডিমের কুসুম কলিজা গরুর মাংস মুরগির মাংস মাশরুম পনির টক দই টমেটো পালং শাক আপেল ইত্যাদি জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারেন।
ভিটামিন বি৬ ও বি১২
চুল পড়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ এর অভাব।তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ গ্রহণ করলে আমাদের নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
ভিটামিন এ
মাথার ত্বকের সেবাম নামক এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন হয় যা আমাদের চুলকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে যখন সেবামের পরিমাণ কমে যায় বা শুকিয়ে যায় তখন আমাদের চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়।
ভিটামিন এ আমাদের তুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং চুলকে ঘন করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ৭.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ গ্রহণ করা উচিত। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি এমন একটি চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি নতুন চুলের গ্রন্থি সৃষ্টিতে সহায়তা করে ফলে চুল গজানোর বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে যাদের প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা গেছে। ভিটামিন ডি পাওয়ার সবথেকে ভালো উপায় হল মাথায় সরাসরি সূর্যের রোদ লাগানো।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি আমাদের চুলের প্রয়োজনীয় কোলাজেন সরবরাহ করে। এটি এমন একটি প্রোটিন যা আমাদের চুলের স্থিতিস্থাপকতা এবং শক্তি বজায় রাখে। এমনকি ক্যারাটিনের ভিত্তি তৈরি করে।একজন নারীর প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রাম এবং একজন পুরুষের প্রতিদিন ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর দরকার হয়।
- নারীদের আয়রনের ঘাটতি একটি অন্যতম সমস্যা। আর চুল পড়ার জন্য আয়রনের অভাব অনেক বড় একটি কারণ। আয়রনের ঘাটতি পুরনো নিয়মিত গরুর মাংস,কলিজা,বিনস,খেজুর,কচু ধরনের সবজি নিয়মিত খেতে হবে।
- জিংক আমাদের চুল পড়া কমায় এবং চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে। পাশাপাশি আমাদের নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাংস চিংড়িকাকড়া বাদাম দুধ পনির ইত্যাদি খাবারের এই উপাদানটি পাওয়া যাবে। তাই নিয়মিত এই খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
চুল পড়া কমাতে কোন তেল ব্যবহার করবেন
চুল পড়া একটি নিয়মিত সমস্যা। কম বেশি সকল নারীরা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। আসলে চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হলে চুল পড়তে শুরু করে। আর চুল পড়তে শুরু করলে আমরা বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সেটাতেও অনেক সময় কাজ হয় না বরং ক্ষতি হয়। চুল পড়া কমাতে আমরা যেই তেল ব্যবহার করতে পারিঃ
নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেল নিয়ে আলাদা করে বলার কিছুই নাই। টাক মাথায়ও চুল গজাতে এ তেলের উপর ভরসা করতে পারেন। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আরো কিছু উপাদান যা আমাদের চুল গলাতে সাহায্য করে এবং চুল কালো করতে সাহায্য করে।
ক্যাস্টর অয়েল
এর মধ্যে রয়েছে কিছু এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা আমাদের মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই তেল ব্যবহারের ফলে আমাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নতুন চুল গজায়।
যদি দেখেন আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ছে তাহলে আপনি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার শুরু করতে পারেন।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল এর আসলে কোন জুড়ি নেই। অলিভ অয়েল শুধু মাথায় নয় আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী একটি তেল। ভিটামিন এ এবং এই সমৃদ্ধির নতুন করে আমাদের চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই আপনি চোখ বন্ধ করে এই তেলের উপর ভরসা করতে পারেন।
কাঠবাদাম তেল
ভিটামিন ই, ডি এর মত উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ কাঠবাদাম তেল নতুন চুল গজাতে দারুন কার্যকরী একটি উপাদান। হঠাৎ করে যদি আপনার মাথার অতিরিক্ত চুল উঠতে শুরু করে তাহলে আপনি কাঠবাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
ল্যাভেন্ডার অয়েল
আন্টি ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ এই তেল চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও আমাদের চুল কালো করতে সাহায্য করে লেভেন্ডার অয়েল।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম অকালে চুল পাকে কেন ও রোধে করনীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url