খালি পেটে খান কয়েকটি মহৌষধি কাছে আসবেনা রোগব্যাধি
খালি পেটে খান কয়েকটি মহৌষধি কাছে আসবেনা রোগব্যাধি। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন তাই না? অবাক হওয়ার কিছু নাই। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় খালি পেটে কয়েকটি মহৌষধি খেলে কাছে আসতে পারবে না রোগব্যাধি সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে। জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।শরীর সুস্থ এবং ভালো রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাবার। খাবার ঠিকঠাক না হলে শরীর পুষ্টি পাবে না। ফলে আমরা বিভিন্ন রকম রোগব্যাধিতে ভুগবো। তাই সব থেকে বড় কথা হলো আমাদের সব সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ভূমিকা
খালি পেটে খান কয়েকটি মহৌষধি কাছে আসবেনা রোগব্যাধি। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে কি খেলে আমাদের শরীরের জন্য উপকার হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা সঠিক সময় খাওয়া হলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়। অন্যদিকে এগুলো খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং পদ্ধতি জানা না থাকলে তা উপকারের পরিবর্তে বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
খালি পেটে খান কয়েকটি মহৌষধি কাছে আসবেনা রোগব্যাধি
কি খেয়ে দিন শুরু করছেন এর ওপর নির্ভর করে আপনার বাকি দিন কেমন কাটবে। সকালে খালি পেটে এমন কিছু খাওয়া দরকার যেগুলো আমাদের শরীরকে সারাদিন এনার্জি দিবে।ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এশিয়ানেট নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন কিছু খাবারের কথা বলা হয়েছে যেগুলো খালি পেটে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকার হয়। এবং আমরা রোগব্যাধি থেকে দূরে থাকতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি সেই জিনিসগুলো যেগুলো খালি পেটে খাওয়া উচিতঃ
গরম পানিতে মধু
মধুর উপকারিতা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। মধুর উপকারিতা আমরা কমবেশি সকলেই জানি বা আমাদের ধারণা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীর কর্ম ক্ষমতা বাড়ে। ফলে বদহজম থেকে শুরু করে গ্যাসের সমস্যা মাথাব্যথা এগুলো সমস্যাগুলো নিরাময় হয়। সেই সঙ্গে মধুতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর গুনাগুন আমাদের শরীরকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
বাদাম
সকালে একমুঠো বাদাম খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে আমাদের শুধু হজম শক্তি উন্নতি হবে না বরং পাকস্থলী পিএইচ মাত্রাকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে। তাই সকালে খালি পেটে বাদাম খাওয়ার কোন জুড়ি নেই। প্রত্যেকের চেষ্টা করা উচিত সকালে খালি পেটে বাদাম খাওয়া।
পেঁপে
পুষ্টিরা বলেছেন খালি পেটে পেঁপে খাওয়া খুবই উপকারী। অর্থাৎ খালি পেটে পেঁপে সুপারফুড বলা যায়। পেপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং কে। পাশাপাশি রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম এবং প্রোটিন। এছাড়াও পেপের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর পেঁপেতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম এবং স্বাদেও মিষ্টি কম হওয়ার কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এছাড়াও যারা হজমের মতো সমস্যায় ভুগতে থাকেন প্রতিনিয়ত তাদের জন্য পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।
ওটমিল
কম ক্যালরি সহ পুষ্টির জন্য সকালের নাস্তা প্রতিদিন রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন রকম টক্সিন দূর করে পাশাপাশি এটি আপনার অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। তাই প্রতিদিনের নাস্তায় ওটমিল রাখার চেষ্টা করবেন।
খালি পেটে ফল
শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনি গরম পানি দিয়ে লেবুর রস খাওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফলমূল খেতে পারেন। এছাড়াও ভিটামিন এবং ফাইবারের জন্য আপনার প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কলা, আপেল এবং পেপের মতো ফল খাওয়া উচিত।
আমন্ড
আমন্ডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। আমন্ডের পুষ্টি পরিপূর্ণভাবে পেতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিতে হবে।
ডিম
ডিমের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করার মত নয়। ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। এজন্য সকালের নাস্তায় প্রতিদিন অবশ্যই সিদ্ধ করে ডিম অথবা অমলেট রাখতে হবে। ডিম খেলে আমাদের সারাদিনের অত বেশি ক্ষুধা লাগবে না। ফলে আমাদের শরীরের ওজন কমে যাবে।
পরিজ
নাম শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! ব্রেকফাস্টে ওটস কমবেশি সকলে খেয়ে থাকেন। কেউ দুধ দিয়ে আবার কেউ টক দই দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। তবে যদি পরিজ বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য আরও বেশি উপকারী হবে। গরম পানির মধ্যে ওটস এবং পাকা কলা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পরিজ। এর ফলে আপনার শরীর সবসময় হাইডেড থাকবে এবং এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পড়িস তৈরি করতে প্রথমে কড়াইতে ওটস ভেজে নিন। তারপর এর মধ্যে দুই কাপ পানি দিয়ে দিন। কিছুটা ঘন হয়ে আসলে এর মধ্যে কিছুটা দুধ ঢেলে দিন। এরপর ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে ইচ্ছামত ওপরে কাজুবাদাম কাঠবাদাম কিছু ফল ছড়িয়ে দিতে পারেন। তৈরি হয়ে গেল আপনার পরিজ।
চিয়াবীজ
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চিয়াবীজ রাখতে পারলে শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা পাবেন। খালি পেটে খাওয়ার জন্য বেশ উপকারী একটি খাবার এটা। খালি পেটে খাওয়ার জন্য এই উপকারী চিয়াবিজের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হজম শক্তি উন্নত করার পাশাপাশি আমাদের মন মেজাজও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কিসমিস
খালি পেটে কিসমিস খাওয়া যতটা না উপকারী তার থেকেও বেশি উপকারী হল সেটা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে খালি পেটে সেই কিসমিস সহ কিসমিসের পানিটা খাওয়া। এছাড়াও শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য কিসমিস খুব উপকারী একটি খাবার।
ভেজানো কাজুবাদাম
বাদাম আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাজু বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি,ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড। এ ফলটি ঠিকভাবে খাওয়া না হলে পুষ্টিগুণ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হয়ে যাবেন। আর সকালে খালি পেটে ভেজানো কাজুবাদাম খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগবালি থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো।
কাঠবাদাম
অনেক বাদাম ডাই ফ্রুটস শুকনো খাবার চেয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে তার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো কাঠবাদাম। টুকটাক খিদে মেটাতে কাঠবাদামের কোন জুড়ি নেই। কিন্তু রোজ সকালে যদি খালি পেটে আপনি ভেজানো কাঠ বাদাম খেতে পারেন তাহলে আপনার হৃদ রোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থেকে আপনি পরিত্রাণ পাবেন। এছাড়াও যদি আপনার সকালে শরীরচর্চা করার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে তার আগে কাঠবাদাম খেয়ে নিতে পারেন তাহলে অনেকটাই শক্তি বেশি পাবেন।
জিরা ভেজানো জল
আপনার যদি পিসিওডি এবং থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জল নিয়ে তার মধ্যে কিছু জিরা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই জল ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন। এতে আপনার শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং বিপাকক্রিয়ার হার বাড়বে।
খেজুর
খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কে দূর করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে। এর পাশাপাশি যারা বদহজং এবং ডায়রিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারাও খালি পেটে খেজুর খাবেন। আগের দিন রাতে এক গ্লাস পানিতে কয়েকটি খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে উঠে সেটি খেয়ে নিন খালি পেটে।
তরমুজ
তরমুজ আমাদের কম বেশি অনেকেরই খুব পছন্দের একটি ফল। খালি পেটে খাবার জন্য উৎকৃষ্ট একটা খাবার তরমুজ বিশেষ করে গরমে শরীর আর্দ্র রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে এর ফলটি। আর তরমুজের মধ্যে থাকা লাইকোপেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা দিয়ে থাকে।
খালি পেটে খাবেন না যেসব খাবার
- খালি পেটে টক ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে লেবু কমলা আনারস পেয়ারা এই ধরনের ফল গুলতে থাকা উচ্চ মাত্রার ফ্রুকটোস এবং আঁশ জৈবিক প্রক্রিয়া ধীর করার পাশাপাশি পেটে এক ধরনের অস্বস্তি ক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
- আছে ভরপুর থাকে কাঁচা শাকসবজি। খালি পেটে কখনোই কাঁচা শাকসবজি খাওয়া ঠিক নয়। কেননা অতিরিক্ত আজ থাকার কারণে এটি হজম হতে দেরি হয়। এছাড়াও এক ধরনের অস্বস্তি পেটে দেখা দিতে পারে এবং পেট ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই খালি পেটে কখনোই কাঁচা সবজি খাওয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা খালি পেটে অতিরিক্ত ঝাল খেলে পাকস্থলীর আস্তরণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও খালি পেটে ঝাল ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। খালি পেটে কাঁচা মরিচ বিভিন্ন ধরনের এসিড তৈরি করতে পারে এবং পেট ব্যাথা সৃষ্টি করতে পারে।
- খালি পেটে চকলেট খাওয়া একদমই বাদ দিতে হবে। খালি পেটে যে কোন চিনে যুক্ত বা মিষ্টি খাবারের ক্ষেত্রে দূরে থাকাই শ্রেয়।
- অনেকেই খালি পেটে খুব কলা খাওয়া উপকারী মনে করেন। কিন্তু খালি পেটে কলা খাওয়া আমাদের রক্তচাপ বাড়ার পাশাপাশি হার্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে সে মুহূর্তে কলা খাওয়া ঠিক নয়।
- টমেটোতে থাকা টনিক এসিড হজম রসের সঙ্গে মিলে পাকস্থলীতে বিভিন্ন রকম প্রবাহ তৈরি করতে পারে। তাই খালি পেটে টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকায় ভালো।
- অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে পাকস্থলীতে হজম করার মত পর্যাপ্ত রস উৎপন্ন হতে পারে না। তাই এই মুহূর্তে শক্ত কোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খালি পেটে শসা খাওয়া অনেকে উপকার মনে করেন। কিন্তু খালি পেটে শসা খাওয়া ঠিক নয়।
- খালি পেটে দুধ খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ দুধ বা দুধের তৈরি বিভিন্ন জিনিস অথবা দই এর মধ্যে ল্যাকটিক এসিড থাকে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে এই লেক্টিক এসিডের ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীতে এসিডের সংস্পর্শে এসে মরে যায়। যার কারণে পেটে এসিডিটি সৃষ্টি হতে পারে। তাই খালি পেটে দুগ্ধ জাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
- কার্বনেটেড কোমল বা সোডা পানীয় সাধারণভাবে শরীরের জন্য খারাপ। আর যখন এটি খালি পেটে খাওয়া হবে তখন সেটি আমাদের শরীরের জন্য ভয়াবহ। খালি পেটে এই পানি পান করলে পেটে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি। তার সাথে হতে পারে রক্ত চলাচলের সমস্যা এবং রক্তের শর্করা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই খালি পেটে এ ধরনের কোমল পানীয় খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
- খালি পেটে অনেকেই আমলকি খেয়ে থাকেন বা আমলকির রস। আমলকির রসের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান আছে বটে কিন্তু এটি খালি পেটে অনেক সময় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে আপনার যদি এসিডিটির কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমলকির রস খালি পেটে খাওয়া একদমই বাদ দিতে হবে।
- সকালে এক কাপ গরম গরম চা বা কফি না খেয়ে অনেকে থাকতেই পারেন না। কিন্তু এটা আপনার শরীরের জন্য কতটা ক্ষতি করে হয়তোবা সেটি আপনি জানেন না। কফিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন যা আমাদের পেটে এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং হরমোনাল প্রক্রিয়াকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর তাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসিড যা খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিক আলসারের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই খালি পেটে চা কফি খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো।
- আচার পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া বললে মুশকিল। গাজন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন আচার খালি পেটে খেলে শরীরের হাইড্রোক্লোরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ফলে বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই খালি পেটে কখনোই আচার খাওয়া যাবে না।
- অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন রকম খাবার খেতে পছন্দ করেন বা খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রক্রিয়া জাত চিনি এবং চিনি দিয়ে তৈরি খাবার আমাদের শরীরের জন্য মোটেও স্বাস্থ্য কম নয়। মিঠাই, সন্দেশ, রসমালাই, মিষ্টি, গুড়, চিনি ইত্যাদি মিষ্টি জাতীয় খাবার খালি পেটে খেলে আপনার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। আর যাদের ডায়াবেটিকস আছে তাদের ক্ষেত্রে তো একদমই মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- ইস্ট যুক্ত খাবার যেমনঃপেস্ট্রি, কেক, পাউরুটি, বিস্কিট, ইত্যাদি খাবার খালি পেটে খেলে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস হতে পারে। এবং গ্যাস থেকে আলসারের মতো বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে ইস্ট যুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
- খালি পেটে মসলা জাতীয় খাবার খেলে এসিডিক বিক্রিয়ার কারণে পেটে বিভিন্ন রকম জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। আর নিয়মিত মহিলাদের খাবার বেশি খেলে পাকস্থলীতে জটিল কোন রোগ হতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে অতিরিক্ত মসলাদার কোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- বিভিন্ন রকমের মাদকদ্রব্য যেমন সিগারেট, বিড়ি, মদ ইত্যাদি আমাদের শরীরের জন্য এমনিতেই মারাত্মক ক্ষতি করে। আর খালি পেটে খেলে তো কোন কথাই নেই। আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা সহ ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো জটিল অসুখ তৈরি করতে পারে। তাই খালি পেটে মাদকদ্রব্য পান করা থেকে বিরত থাকুন।
- আপনি যদি সকালে খালি পেটে কাঁচা শসা এবং পেঁয়াজের সালাত খেয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই সেটা খাওয়া বন্ধ করে দিন। বিশেষ করে শসা এবং পেঁয়াজের মতো উত্তর ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি ভাঙতে অসুবিধা হতে পারে এবং আমাদের পেটে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- ভুট্টাই সেলুলোজ থাকে যা এক ধরনের ফাইবার। সকালে খালি পেটে এই ধরনের খাবার হজম হতে বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে ভুট্টা এবং ভুট্টা তৈরি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
- আমরা সকলেই জানি কমলার জুস অনেক স্বাস্থ্যকর। কিন্তু খালি পেটে এই ধরনের সাইট্রিক জাতীয় ফল বা ফলের জুস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। যার কারনে আপনার সারাদিন ভক্তি হতে পারে এসিডিটিতে। তাই সকালে কমলার জুস ভুলেও কখনো খাবেন না।
- সকালের নাস্তায় অনেকের স্যান্ডউইচ খুব পছন্দের। কিন্তু মাখন এবং ফ্যাটের যে পরিমাণ থাকে এই খাবারে তা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই সকালের নাস্তায় খালি পেটে এ ধরনের খাবার পরিহার করায় ভালো।
সকালে না খেলে যেভাবে ওজন বাড়ে
সকালের নাস্তায় কি থাকছে, এর উপর নির্ভর করে আপনার সারাদিন শরীর কেমন যাবে সেটা। কিন্তু অফিস বের হওয়ার সময় অনেকেই সকালের নাস্তায় কিছু খান না। কিংবা একেবারে অল্প কিছু মুখে দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। পুষ্টিবিদদের মতে,এই অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়।শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে অবশ্যই সকালের খাবার নিয়মিত খেতে হবে।এছারাও সকালের খাবার এড়িয়ে চললে শরীরে বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এছারাও সকালে কিছু না খেলে বাড়তে পারে আপনার ওজন।ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার প্রথম শর্ত হল সকালে খালি পেটে না থাকা। এই জন্য সকালে খালি পেটে কি কি খেতে হবে সেটা নিয়ে বিস্তারিত উপরে দেওয়া রয়েছে।সে অনুযায়ী আপনি সকালের নাস্তা করতে পারেন।এতে করে আপনার শরীরের ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর আপনিও সুস্থ থাকবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম খালি পেটে খান কয়েকটি মহৌষধি কাছে আসবেনা রোগব্যাধি এই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url