ঈদের দিনের পালনীয় সুন্নত কাজগুলো কি কি বিস্তারিত জানুন
ঈদের দিনের পালনীয় সুন্নত কাজগুলো হয়তবা অনেকেরই জানা নেই। প্রত্যেকটি জাতের আনন্দ এবং খুশির একটি নির্দিষ্ট দিন রয়েছে। মুসলমানদের জন্য বছরে দুইবার উদযাপন করার সুযোগ রয়েছে। একটি হল ঈদুল ফিতর এবং অপরটি ঈদুল আযহা। একমাস রোজা রাখার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয় এবং তারপর ১০ই জিলহজ ঈদুল আযহা উদযাপন করা হয়।
এই দুই ঈদের বৈশিষ্ট্য হলো বিশ্বের প্রত্যেক মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিন কর্তৃক প্রদত্ত অগণিত নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে নামাজ দান-খয়রাত এবং কোরবানির মাধ্যমে। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় হল ঈদের দিনের পালনীয় সুন্নাত কাজগুলো সম্পর্কে।
ভূমিকা
ঈদের দিনের পালনীয় সুন্নত কাজগুলো প্রত্যেকের জানা এবং মানা দরকার। রাসূল সাঃ এরশাদ করেন," ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ফেরেশতারা রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান এবং মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, হে মুসলিমগণ! তোমরা দয়ালু প্রতিপালকের দিকে এগিয়ে আসো উত্তম প্রতিদান এবং বিশাল সওয়াব প্রাপ্তির জন্য তোমরা সকলেই এগিয়ে আসো।" প্রিয় পাঠক ঈদের দিনের পালনীয় সুন্নত কাজগুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টে সাথেই থাকুন।
ঈদের দিনের পালনীয় সুন্নত কাজগুলো কি কি
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা করার পরে আসে ঈদুল ফিতর। ঈদ আসে শত্রুতা এবং বৈরিতার প্রাচীর ভেঙে দিয়ে বন্ধুত্ব ও মিত্রতার হাত বাড়িয়ে। ঈদ মুসলিম জাতির একটি জাতীয় উৎসব এবং ইসলামের একটি ধর্মীয় দিবস। ধর্মীয় দৃষ্টিতে রয়েছে এর বিশেষ মর্যাদা এবং তাৎপর্য। ধর্মীয় গাম্ভীর্যতায় এবং যথাযোগ্য মর্যাদার কারণে এই দিবসের বিশেষ কিছু সুন্নত রয়েছে। সুন্নত গুলোর নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- অন্যান্য দিনের চেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা একটি বিশেষ সুন্নত এই দিনের। দেহের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করে দাঁত মেসওয়াক করে ভালোভাবে গোসল করে এদিনের প্রস্তুতির শুরু হয়। এজন্য দিনের শুরুটা করতে হয় পাক পবিত্রতার মাধ্যমে।
- সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদের দিন উত্তম পোশাক পরিধান করা এবং বৈধ সাজবোজ গ্রহণ করা মুস্তাহাব। সাহাবায়ে কেরাম এমনটি করতেন। অতএব ঈদের দিন সাধ্য অনুযায়ী আমাদের নতুন পোশাক পরার চেষ্টা করতে হবে। ঈদের দিন নতুন পোশাক পরিধান করা সুন্নত।
- এই দিন পানাহারের দিন। সারা মাস রোজা রাখার পর বান্দার আনন্দের দিন। তাই আল্লাহ তালার নেয়ামতের এই দিন রোজা রাখা নিষেধ। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, রাসুল সাঃ দুই দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। সেটা হল ঈদুল ফিতরের দিন এবং ঈদুল আযহার দিন তথা কুরবানী ঈদের দিন।
- যেহেতু ঈদের দিন রোজা রাখা নিষেধ তাই এই দিন সকালে উঠে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে খেজুর বা মিষ্টি মুখ করা সুন্নাহ। যদি খেজুরের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে মিষ্টি কিছু যেমন সেমাই বা লাচ্চা খাওয়া সুন্নত। তবে ঈদুল আযহার ক্ষেত্রে নিয়ম হল ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছু না খেয়ে কুরবানীর পশুর জবাই করার পর কুরবানীর গোশত খাওয়া।
- ঈদের দিনে বেশি বেশি তাকবীর পাঠ করা। নাফে রা.বলেন,ইবনে ওমর রা. ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিনে সকালে সশব্দে তাকবীর পাঠ করতেন এবং ঈদগাহে যেতেন। ঈদগাহে যাওয়ার পর ইমাম আসার আগ পর্যন্ত তিনি সশব্দে তাকবীর পাঠ করতে থাকতেন। এজন্য আমাদেরও উচিত ঈদের দিনের তাকবীর পাঠ করা।
- ঈদের নামাজ শেষ করে ঈদগাহে খুতবা শ্রবণ করা উচিত। এটা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শরীয়ত মোতাবেক ক্ষুদ্রা শ্রবণ করা ওয়াজিব। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রবি করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলাম। যখন তিনি ঈদের নামাজ শেষ করলেন তখন বললেন,"এখন আমরা খুতবা দেব যার ভালো লাগে সে যেন বসে আর যে চলে যেতে চাই সে চলে যেতে পারে।"
- যতটুকু সম্ভব পায়ে হেঁটে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া দরকার। কারণ এটি সুন্নত। হযরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, রাসূল সা. হেঁটে হেঁটে ঈদগাহে যেদিন এবং হেঁটে হেঁটে আবার বাসায় ফিরতেন।
- সম্ভব হলে ঈদগাহে যাওয়ার সময় এক পথ দিয়ে যাওয়া এবং ফেরার সময় অন্য পথ দিয়ে ফিরে আসা দরকার। কেননা এটি সুন্নাহ। হযরত জাবের রাঃ বলেন, নবীজি ঈদের দিন এক পথ দিয়ে ঈদগাহে যেতেন এবং অন্য পথ দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরতেন।
- ঈদের দিন একে অপরের জন্য দোয়া করা সুন্নাহ। ঈদের দিন সাহাবায়ে কেরাম দোয়াসুলভ বাক্যে সবার সাথে সৌজন্য বিনিময় করতেন। হাদিসে জানা যায়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ ঈদের দিন পর পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং বলতেন,"তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া কুনতুম।" অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা আমাদের এবং তোমাদের আমলগুলো কবুল করুক। সৌজন্যে বিনিময়ের মাধ্যমে মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব দৃঢ় হয়।
- ঈদের নামাজের কেরাত। ঈদের নামাজের জন্য বিশেষ কোনো সূরা নির্ধারিত করা হয়নি। তবে হাদিসে এসেছে নবীজি কোন কোন সূরাটি ঈদের নামাজ পড়িয়েছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। হযরত আবু ওয়াকিদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাতালা আনহু আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, নবীজি ঈদের নামাজ কোন কেরাত দিয়ে পড়াতেন? আমি বললাম, সূরা কমার এবং সূরা কফ।
- ঈদের নামাজের আগে অথবা পরে যে কোন ঈদগাহের যেকোনো স্থানে যেকোনো ধরনের নফল নামাজ আদায় করা মাকরূহ। ঈদের নামাজের পরে ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরে দুই রাকাত নফল আদায় করা সুন্নত। হাদিসে এসেছে,"নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঈদের নামাজের আগে কোন নামাজ পড়তেন না। কিন্তু নামাজের পর ঘরে ফিরে এসে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।"
- সাদাকাতুল ফিতরা দান করা। রমজান মাসে রোজার যে ত্রুটি রয়েছে তা পুরনার্থে অভাবগ্রস্থ আর গরিবদের চেয়ে দাম সামগ্রী দান করা হয়ে থাকে সেটাই হলো সাদাকায় ফিতরা। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করার আদেশ দিলেন।"
- ঈদের মূল পাঠ্য বিষয় হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত প্রাপ্তির অনুভূতি এবং ক্ষমাপ্রাপ্তির প্রত্যাশা অন্তরের জাগরুক রেখে ঈদগাহে হাজির হওয়া। আল্লাহর কাছে এক ক্ষমা স্বরূপ দৃষ্টিতে দোয়া করা। এতে আমাদের সামাজিকতা বাড়ে এবং আনন্দ উপভোগের সুযোগ পাওয়া যায়।
ঈদের দিনের বর্জনীয় কাজগুলো কি কি
ঈদ একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ হল ফিরে আসা। যেহেতু প্রতিবছরই এটা ফিরে আসে তাই একে ঈদ বলা হয়ে থাকে। ঈদ আমাদের জন্য একটা বিশাল নেয়ামত। কিন্তু আমরা এদেরকে নিয়ামত হিসেবে গ্রহণ করি না। কিছু কিছু কাজ আছে যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহতালার নিকটবর্তী হতে পারি এবং ঈদ উদযাপন একটি ইবাদতে পরিণত হতে পারে। ঈদের দিনে শুধু আনন্দ উৎসবে না মেটে কিছু জিনিস খেয়াল করা দরকার এবং কিছু জিনিস আমাদের বর্জন করা দরকার। সেগুলো হলোঃ
- ঈদের দিন রোজা পালন করা যাবে না। বছরের দুইটি দিন রোজা রাখা জায়েজ নেই। সেটা হল ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিন। এই দুইদিন কোনভাবেই রোজা রাখা যাবে না।
- বিজাতীয় আচরণ মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পোশাক পরিচ্ছেদ, চালচলন, শুভেচ্ছা বিনিময় এবং অমুসলিমদের অনুকরণে লিপ্ত হয়ে পড়েছে আজকাল অনেক মুসলমান।ঈদের দিনে এই কাজগুলো অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এটা করা যাবে না কখনোই। অনেকেই গান বাজনা নাটক এবং অশ্লীল সিনেমা দেখে এই দিনকে উদযাপন করে থাকে। কিন্তু এই দিন আমাদের পালন করতে হবে ইবাদতের মাধ্যমে।
- অনেকে অযথা কাজে ঈদের রাত জাগরণ এবং দিনে অযথা কাজ করে সময় নষ্ট করে থাকে। সেজন্য অযথা কাজের সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।কোরআনে মুমিনদের গুণাবলী সম্পর্কে বলা হয়েছে, আর যেন তারা অনর্থক কথা কর্ম থেকে বিমুখ থাকে।
- ঈদের আনন্দে এমনভাবে অনেকেই উদাসীন হয়ে থাকে যে ফরজ নামাজ আদায় করার কোন আগ্রহ তার মধ্যে থাকে না। এটি কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। কোরআনে বলা হয়েছে, অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী থাকে। তাই ঈদের দিন ঈদ আনন্দ করতে গিয়ে ফরজ নামাজ কখনো মিস করা যাবে না।
- ঈদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে ঈদ উপলক্ষে সবকিছুতে অপচয় এবং অববাহী করে অনেকেই। এ প্রসঙ্গে কোরআনে বলা হয়েছে, আর তোমরা কোনভাবেই অপব্যয় করোনা। নিশ্চয়ই অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই।
- এই দিনে অনেকেই জুয়াবাজি খেলে অথবা আতশবাজি ফুটায়। ঈদের মতো একটি পবিত্র দিনে এই ধরনের পাপকর্মে লিপ্ত হওয়া যাবে না।সুতরাং এসব আমাদের পরিহার করতে হবে।
- ঈদের দিনে এমন অনেকে অনেক কাজ করেন এবং মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকেন। যেমন রাস্তা আটকে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া। এ ধরনের আনন্দ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমন ধরনের আনন্দ করা যাবে না যেটাতে অন্য কেউ কষ্ট পায়।
- অনেকে ঈদের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে নতুন জামা কাপড় পরিধান করে সেমাই ফিরনি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং ঈদের নামাজ আদায় করার কথা অনেকেই ভুলে যান। অথচ এই দিনে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে মূল কাজ।
- ঈদ একটি ইবাদত। আনন্দ এবং ফুর্তি করার মাধ্যমে এবাদত পালন করা যায় তার অন্যতম একটি উদাহরণস্বরূপ। শরীয়ত মোতাবেক আনন্দ প্রকাশ করার বিষয়ে কোরআনে বলা আছে,” বলো, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ এবং রহমত। সুতরাং এটা নিয়ে যেন তারা খুশি হয়।”
ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আযহা
ঈদুল আযহা মানে ত্যাগের ঈদ। আত্মত্যাগের ঈদ। বাংলাদেশী ঈদুল আযহা মানে কোরবানির ঈদ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। কোন কোন স্থানে ঈদুল আযহা কে বকরা ঈদ হিসেবে ধরা হয়।বিভিন্ন ভাষায় ঈদুল আযহা কে বোঝানোর জন্য বিপুল শব্দের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।ত্যাগের মহিমায় এই ঈদুল আযহা হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব।
প্রতিবছর হিজলি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জিলহজ মাসে ১০ তারিখ পবিত্র ঈদুল আযহা হাজির হয় পশু প্রবৃত্তির কোরবানি করে মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করার মাধ্যমে। এই ঈদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মত্যাগ। ত্যাগের মধ্যেই সার্থকতা এবং তাৎপর্য নিহিত।ঈদুল আযহা একই সঙ্গে পশু কোরবানি দেওয়ার এবং ত্যাগের উৎসবের দিন বটে।মূলত মানুষের শত্রু নির্মল হৃদয় পশুর স্বভাব বিদ্যমান থাকে তাতে মানুষের স্বভাবের প্রকাশ পায় হিংসা বিদ্বেষ গর্ব অহংকার কপটতা পরনিন্দা ইত্যাদি।
মানব হৃদয়ের এই পশুত্ব মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে বাধা প্রদান পায়। এজন্যই পশু কোরবানির পাশাপাশি নিজেদের পশুত্বকে কোরবানি দিতে হয় তাকওয়ার মাধ্যমে। তখনই সার্থক হয় প্রতিকি পশুর কোরবানি। সেদিন থেকে ঈদুল আযহা অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি দিন।একশ্রেণীর মুসলিম ঈদ উল আযহা কেবলই শুধুমাত্র পশু কোরবানী দেওয়ার এবং উৎসবের দিনে পরিণত করলেও দিনটি প্রধান উদ্দেশ্য মুসলমানদের মধ্যে আল্লাহ তাআলার প্রতি এক পরিপূর্ণ ভালবাসা এবং অনুগত তৈরি করা এবং ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থের চিন্তার উচ্ছেদ করে আত্মত্যাগের শিক্ষাকে জাগ্রত করা।
ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজের পশুর থেকে কুরবানী দেওয়ার মাঝেই রয়েছে কুরবানীর সত্যিকারের মহত্ব সত্যিকারের অর্থ। প্রকৃতপক্ষে কুরবানী দাতা কেবল পশুর গলায় ছুরি চালায় না বরং পশুর জবাই করার সাথে সাথে তার ছুরি পাক সাপ হয়ে তার ভেতরে থাকা সকল প্রকারের প্রবৃত্তিকে বিসর্জন দিয়ে থাকে। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যেকের একটি করে কুরবানী দেওয়া দরকার এবং ঈদুল আযহা প্রকৃত তাৎপর্য গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ঈদের দিনের পালনীয় সুন্নত কাজগুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই আমল গুলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url