চুলের যত্নে সরিষার তেল নাকি নারকেল তেল জানুন বিস্তারিত তথ্য
চুলের যত্নে সরিষার তেল নাকি নারকেল তেল দিবেন সেটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগে থাকেন। অনেকেই সরিষার তেল ব্যবহারে ভয় পান যে চুলের কোন ক্ষতি হবে কিনা বা চুল পড়ে যাবে কিনা। আবার অনেকেই নারকেল তেল ব্যবহার করে অভ্যস্ত।
প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় হল চুলের যত্নে সরিষার তেল নাকি নারকেল তেল দিবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে। জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
চুলের যত্নে সরিষার তেল নাকি নারকেল তেল ভালো এই প্রশ্ন তুললে আমাদের দাদী নানি বা আদি যুগের কিছু মানুষেরা বলবে অবশ্যই সরিষার তেল চুলের জন্য ভালো। কেননা তারা আগে থেকেই সরিষার তেল চুলে ব্যবহার করতেন। আমাদের ত্বকের মতো চুল ভালো রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর চুল এবং ত্বকের যত্নের পাশাপাশি আমাদের সুষম খাবারের ভেতর দিয়ে যত্ন নেওয়াও সমান জরুরী।
চুলের যত্নে সরিষার তেল নাকি নারকেল তেল
উপমহাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই চুলে সরিষার তেল এবং নারকেল তেল দুটো তেলই সমান ভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। দুটো তেলেরই রয়েছে বিভিন্ন রকম উপকার। কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না জানলে কোন দেরি আমাদের উপকারে আসবে না। আগে চুলের যত্ন মানেই ছিল চুলে তেল দেওয়া। বাড়িতে থাকুক না থাকুক কিছু বাড়িতে বেশ আয়োজন করেই চুলে তেল দেওয়া হত।
সকালে বা বিকালে অবসর সময় রীতিমতো চুল বিছিয়ে একে অন্যের চুলে মাখিয়ে দিত তেল। এখন আর মানুষের জীবনে তেমন অবসর সময় নেই বললেই চলে। আর এই কৌশলটাও আর এপ্লাই হয় না বললেই চলে। এখন অনেকেই চুলে তেল দেয় না বছরের পর বছর ধরে। তাই অনেকের চুলের রুক্ষ হয়ে যায়। চলুন জেনে নিই আমরা নিজেদের চুলের যত্নে সরিষার তেল নাকি নারকেল তেল ব্যবহার করবঃ
চুলের যত্নে সরিষার তেল
আপনি জানলে অবাক হবেন যে সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। সরিষার তেল আমাদের চুল পড়া কমিয়ে দেয়। এছাড়াও এর মধ্যে আরও রয়েছে জিংক, বিটা ক্যারোটিন, সেলিনিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। যা আমাদের চুল বৃদ্ধি করতে ভীষণ রকম সাহায্য করে থাকে।
এছাড়াও চুলে যখন সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় তখন আমাদের মাথার স্কাল্পের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। এন্টিফাঙ্গাল হিসেবে সরিষার তেল খুবই বেশি উপকারী। বিশেষ করে চুলের জট পরা এবং রুক্ষ চুলকে নরম এবং সিল্কি করে তুলতে নিয়মিত এই তেল ব্যবহার খুব উপকারী। চুলের নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে চুল হয়ে ওঠে উজ্জ্বল এবং নরম।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে চুলের সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের মাথার ত্বক এবং চুলের পুষ্টি জোগাতে ও মাথার ত্বকে হাইডেড রাখতে সরিষার তেলের কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও সরিষার তেলের মধ্যে রয়েছে আন্টিফাঙ্গাল উপাদান যা আমাদের মাথার ত্বকের খুশকি কে দূর করে দেয় নিমিষেই। সরিষার তেল আমাদের চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
তবে সব কাজেরই একটি নিয়ম রয়েছে। সরিষার তেল তুলে দেওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মত চুলের তেল না দিলে আমাদের চুলের ঠিকঠাক মতো কোন কাজই হবে না। গরমে যাদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত ঘেমে যায় এবং নোংরা হয়ে থাকে তাদের চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করা যাবে না। তাই সরিষার তেলের সাথে হালকা একটু এলোভেরা জেল মিশিয়ে একটু গরম করে নিয়ে ভালোভাবে মাথায় লাগাতে হবে।
তারপর আধা ঘন্টা রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে শীতের দিনে এই সমস্যাটা হয় না। কিন্তু শীতের দিনে আমাদের চুল রুকু এবং শুষ্ক হয়ে যায় অনেক বেশি। তাই চুলের আদ্র ভাব বজায় রাখতে সবাই বিভিন্ন রকম প্রসাধনে ব্যবহার করে থাকেন এবং পার্লারে যে চুলের বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট করে থাকেন।
আবার অনেকেই শীতে চুল আদ্র রাখতে বিভিন্ন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন। বলে রাখা ভালো সব ধরনের চুলের জন্য সব হেয়ার মাস্ক প্রযোজ্য নয়। একটি ছোট পাত্রে সরিষার তেল নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ঘটি লেবুর রস মিশিয়ে এবং ধোনের গোড়া একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটির চুলে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টার মত রেখে দিয়ে তারপর চুলে ভালো হবে শ্যাম্পু করে নিন এতে আপনি চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল হবে সিল্কি।
চুলের যত্নে নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের কদর বেশি সবসময়। আবার আমরা এটাও জানি যে চুলের যত সরিষার তেল কতটা উপকারী। নিয়মিত তেল ব্যবহার করার ফলে আমাদের চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। নারকেল তেলের পাশাপাশি সরিষার তেল বা তার স্কাল্পে মাঝেমধ্যে মাসাজ করা দরকার। তবে সরিষার তেল দিলে তারপর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করতে হবে যেন চুলের কোন গন্ধ না থাকে।
ব্যবহার করার মত বিভিন্ন রকম তেল থাকলেও নারকেল তেল সবচেয়ে বেশি উপকারী। আসলে নারকেল তেল ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যায় না এরকম সংখ্যা অনেক কম। আর এই জন্যই নারকেল তেল কি রূপচর্চার জগতের "হোলি ওয়াটার" বলা হয়। নারকেল তেল আপনাকে সুস্থ এবং ঘন চুল দেয়, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে,মেকআপ রিমুভ করে, দাঁতের রং সাদা করে এবং আরো অনেক কারণ গুনাগুন রয়েছে নারকেল তেলের।
চুলের জন্য পুষ্টি যোগান দেওয়া মশ্চারাইজ করা এবং কন্ডিশনিং করার বৈশিষ্ট্য গুলোকে এটিকে যুগে যুগে জনপ্রিয় করে তুলেছে নারকেল তেল। নারকেল তেলের রয়েছে বিভিন্ন রকম ব্যবহার। এর মধ্যে সারারাত চলে নারকেল তেল দিয়ে রাখা হয়েছে সব থেকে জনপ্রিয় পদ্ধতি। আপনি যত বেশি সময় তুলে নারকেল তেল দিয়ে রাখবেন আপনার চুলের আদ্রতা তত ভালো থাকবে।
নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড এবং নানা ধরনের অ্যামাইনো এসিড। এই এসিড গুলো আপনার চুলকে শক্তিশালী এবং হাইড্রেট রক্তের সাহায্য করে। বিশেষত যদি আপনার চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা চুলে প্রোটিনের অভাব হয় তখন নারকেল তেল আপনার চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। নারকেল তেলের মধ্যেই রয়েছে বিভিন্ন রকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ ভিটামিন ই এবং খনিজ।
তাই আপনি যত বেশিক্ষণ ধরে আপনার তুলে নারকেল তেল লাগিয়ে রাখবেন আপনার চুল তত বেশি পুষ্টি শোষণ করার সুযোগ পাবে। আপনি খুশকি বা কোন সমস্যায় ভুগলে নারকেল তেল হতে পারে এর সমাধান। এর মধ্যে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনাবলী যা আপনার চুলে উকুনের জন্ম এবং বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করবে।
যদি আপনার চলে সব থেকে বড় সমস্যা চিহ্নিত করতে বলা হয় তাহলে আপনি বলবেন আপনার চুল পড়ার কথা। আপনি যদি চুল পড়া সমস্যায় ভুগেন তাহলে নারকেল তেল হতে পারে এর সঠিক সমাধান। কেননা নারকেল তেল আমাদের চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। কিন্তু নারকেল তেল ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে।
প্রথমে একটি পাত্রে কিছু নারকেল তেল গরম করে নিন। তারপর আপনার চুল ভালোভাবে চিরুনি করে নিন। সুন্দর মত নারকেল তেল মাথার মাসে ব্যবহার করুন। হালকা ম্যাসাজ করতে পারেন। তারপর পুরো চুলে এপ্লাই করে নিন। তারপর সুন্দর করে খোপা করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে সুন্দর করে শ্যাম্পু করে কন্ডিশন করে নিন। দেখবেন আপনার চুল পড়া অনেকটা কমে গেছে এবং চুল হয়ে গেছে সিল্কি এবং সফট।
শীতকালে নারকেল তেল জমাট বাঁধে কেন
প্রায় সব দেশেই নারকেল তেল চুলে ব্যবহার করার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু শীতকালে নারকেল তেল ব্যবহার করতে একটু বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। কেননা শীতের কারণে নারকেল তেল জমে যায়। কিন্তু কখনো কি আপনাদের মনের প্রশ্ন জেগেছে যে, শীতকালে নারকেল তেল জমাট বাঁধে কেন? চলুন আজকের এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
আবহাওয়ার তাপমাত্রার সাথে সাথে তেল জমে যাওয়ার সাথে মূলত একটি বিষয় সম্পর্ক রয়েছে এবং সেটি হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট।স্যাচুরেটেড ফ্যাট হল এমন একটি ফ্যাট যার রাসায়নিক উপাদান স্বাভাবিক ও তাপমাত্রায় কঠিন বা জমাট আকারে থাকে। সাধারণত প্রাণিজ খাবারে এই ভ্যাট বেশি থাকে যেমন গরুর মাংস খাসির মাংস ইত্যাদি।
তবে উদ্ভিজ্জ কিছু খাবারেও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকা উৎকৃষ্ট নমুনা হলো নারকেল তেল। নারকেল তেলের স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি বলে ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি জমে যায়। উদ্ভিজ্জ তেলের মধ্যে আরও একটি তেল রয়েছে যেটি কাছাকাছি তাপমাত্রায় জমে যায়। সেটি হল পাম তেল বা পাম অয়েল।
এর বিপরীতে দেখতে গেলে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট কক্ষ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে। বাংলাদেশের পরিচিত বিভিন্ন তেল যেমন সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী বা জলপাই তেল ইত্যাদি তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা কম এবংআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি থাকার কারণে শীতকালে এইসব তেল কখনো জমাট বাধে না।
খাঁটি নারকেল তেল চেনার উপায়
আগেকার দিনে দাদি নারীরা চুলের যত্নে বাসায় বসে ঘরোয়া ভাবে নারকেল তেল বানিয়ে চুলে দিতেন। কিন্তু এখন ব্যস্ত সময় একটু তাই এসব কাজ আর হয় না বললেই চলে। এত কাজের ভিড়ে চুলের যত্নে খাঁটি তেল বানিয়ে নেওয়ার সময় আসলে হয়ে ওঠেনা।
তাই বাজার থেকে কিনে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু বাজারে হাজারো তেলের মাঝে কোন তেলে ভেজাল আর কোন তেল খাঁটি সেটা চেনা বড় দুষ্কর একটি বিষয়। প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের ধারণা দিব কিভাবে খাঁটি নারকেল তেল আপনি চিনতে পারবেনঃ
- নারকেল তেলের সব থেকে বড় গুন হলো যখন নারকেল তেল ঠান্ডা হয়ে যায় তখন এটি জমে যায়। খাঁটি নারকেল তেল বোঝার উপায় হল ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। যদি ৩০ মিনিটে পুরোপুরি নারকেল তেল জমে যায় তাহলে বুঝবেন তেলটি একদম খাঁটি।
- খাঁটি নারকেল তেল একদম পানির কালার হয়ে থাকে।
- নারকেল তেল যদি হলুদ কালার বা গ্রে কালার এর মত হয়ে থাকে তাহলে বুঝবেন এতে কেমিক্যাল মেশানো হয়েছে। আর ভেজাল বেচারা নারকেল তেল আমাদের চুল পড়া বৃদ্ধি করতে থাকে।
- এছাড়া নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে লরিক এসিড নামক এক ধরনের এসিড যার বৈশিষ্ট্য হলো অন্য সব তেলের চেয়ে এই তেল কে চুল খুব দ্রুত চুষে নেই। এতে চুল হয়ে ওঠে মসৃণ এবং মজবুত। আবার অনেকেরই এই তেল শুট করে না। ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- তেল দেওয়ার পর যদি চুল আঠালো হয়ে থাকে এবং কয়েকবার শ্যাম্পু করার পরেও যদি তেল না উঠে তাহলে বুঝতে পারবেন যে তেলের মধ্যে ভেজাল মেশানো রয়েছে।
- অতিরিক্ত চুল হওয়ার কারণে চুল রাফ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে নারকেল তেল খুব সুন্দর কাজ করে। পরিমাণ মতো দিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর পর খুব সহজেই চুল ধুয়ে ফেলা যায়। আর ভেজাল মেশানো হলে কখনোই এই সুবিধা গুলো পাওয়া যাবে না।
হেয়ার প্যাক ব্যবহার
আমাদের প্রত্যেকের উচিত সপ্তাহে একদিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা। এতে করে আমাদের চুলের গোড়া পরিষ্কার থাকে। আর চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখলে চুল ভালো থাকে। এছাড়াও পাশাপাশি আপনার চুলের গোড়ার প্রোটিন প্রয়োজন। তাই সপ্তাহে একদিন বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক লাগানোর চেষ্টা করুন। হেয়ার প্যাকে কি কি লাগাবেন সে সম্পর্কে জানুনঃ
ডিম
ডিমে রয়েছে বিভিন্ন রকম পুষ্টি গুনাগুন। এর বিভিন্ন পুষ্টি গুনাগুন আমাদের চুল পড়া কমতে সাহায্য করে। একটা ডিম ভেঙে এর সাদা অংশ আলাদা করে নিন। তার মধ্যে মধু, কয়েক চামচ নারকেল তেল এবং কফি দিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
মেথি
মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং নিকোটিন অ্যাসিড। এক চামচ মেথি রাতে ঘুমানোর আগে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে সাথে একটি ডিম, মধু দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পরে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন টি
গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। তাই দিনটি ভালোভাবে ফুটিয়ে ছেকে নিয়ে চুলের গোড়ায় এক ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। এক ঘন্টা পর নরমাল পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
চাল
চালে রয়েছে বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ। চালে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ আমাদের চুল পড়া কমায় এবং চুল মজবুত করে। তাই কোন রকম খাটনি ছাড়া চুল সুন্দর করতে চাল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে চাল ভিজিয়ে রাখুন কয়েক ঘন্টা। তারপর চালের পানি দিয়ে ভালো ভাবে চুল ধুয়ে নিন। এক ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে নিন। চালের পানিতে রয়েছে খনিজ এবং ভিটামিন। এই পানি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং কোষ বৃদ্ধি করে।
কলা
চুলের গোড়া মজবুত করতে কলা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। একটি কলা ভালো হবে ব্লেন্ড করে নিয়ে এক চা চামচ নারকেল তেল দিয়ে হালকা মধু দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেটি চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম চুলের যত্নে সরিষার তেল নাকি নারকেল তেল কোনটির ব্যবহার সব থেকে ভালো এবং নারকেল তেল শীতকালে কেন জমে যায় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে । তাহলে আর দেরি কেন!আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url