হজমশক্তি ঠিক রাখতে যেই কাজগুলো করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
হজমশক্তি ঠিক রাখতে যে কাজগুলো করবেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খাবারের প্রতি নজর রাখা। যেমন খাবারের তালিকায় যদি শাকসবজি থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি ভালোভাবে তেল দিয়ে রান্না করে খেতে হবে।
আর যদি মাংস জাতীয় কোন খাবার হয় তাহলে তার সাথে লেবু আছে কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয়ে হজম শক্তি ঠিক রাখতে কোন কাজগুলো করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। জানতে হলে আমার আর্টিকেলের শেষ পর্যন্তই সাথে থাকুন।
ভূমিকা
হজমশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। হজম শক্তি ঠিক না থাকলে আমরা ঠিক ভাবে খেতে পারি না। হজম শক্তি ঠিক রাখতে যে কাজগুলো করবেন সেগুলো সবই একটি মানুষের পুরোপুরি জানা দরকার। একই ধরনের খাবার অনেকে হজম করতে পারে আবার অনেকের হজম করতে সমস্যা হয়। পুষ্টিবিদরা এই বিষয়ে জানান যে, হজম শক্তিকে বাড়ানো বা শক্তিশালী করার বিষয়টা একটু জটিল।
হজমশক্তি ঠিক রাখতে যে কাজগুলো করবেন
আমাদের এক একজনের শরীরে মেটাবলিজম এক এক রকম হয়ে থাকে। এজন্য একই খাবার খেয়ে একজন অনেক বেশি মোটা হয়ে যায় আবার ওই একই খাবার খেয়ে অনেকে মোটা হতে পারে না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক হজম শক্তি ঠিক রাখতে আমরা যে কাজগুলো করব সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যঃ
পর্যবেক্ষণ করা
প্রথমে যেটি করতে হবে আমাদের সেটি হচ্ছে আমাদের কোন কোন খাবারে সমস্যা হচ্ছে আর কোন কোন খাবারের সমস্যা হচ্ছে না সেই বিষয়টা ভালোভাবে খেয়াল করা। বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা জানান, আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই বোঝেনা যে তাদের কোন খাবারের সমস্যা হচ্ছে আর কোন খাবারের সমস্যা হচ্ছে না সে সম্পর্কে।
এজন্য ধীরে ধীরে তারা সব রকম খাবার বাদ দিতে শুরু করে। যেমন কেউ তেলেভাজা খাবার বাদ দিয়ে আবার কেউ দ্রুত জাতীয় খাবার বাদ দেয় আবার কেউ টক জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দেয়। এজন্যই আমাদের কোন খাবারে হজম প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা সমস্যা হয় সেটা আমাদের শনাক্ত করা আগে জরুরী। এছাড়া অনেক সময় কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমাদের হজম প্রক্রিয়া ঠিকঠাকভাবে থাকে না।
শারীরিক ব্যায়াম
ব্যায়াম করা আমাদের প্রত্যেকের জরুরী। সুস্থ এবং শরীরকে তরতাজা রাখতে চাইলে প্রতিদিন ব্যায়াম করা দরকার। তবে সব ধরনের ব্যায়াম আমাদের হজম শক্তিকে বাড়ায় না বলে মনে করেন বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা। মেটাবলীজম বা হজমশক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট যেসব অঙ্গ মানুষের কোমরের দিকটাই বা ডায়াফ্রামের ওপর থেকে শুরু করে নিজ পর্যন্ত থাকে বলে জানান তারা। তাদের মতে শরীরের মাঝে অংশের কর্মকাণ্ড যত ভালোভাবে হবে হজম প্রক্রিয়া তত সুন্দর হবে। যেমন শুয়ে থেকে ৯০° এংগেলে দুই পা চুল করে রাখতে হবে এবং দুই পাকে চক্রাকারে ঘুরাতে হবে অর্থাৎ ডান থেকে বামে এবং বাম থেকে ডানে। এই ব্যায়াম করার ফলে আমাদের হজম শক্তি কিছুটা ভালো হবে।
খাবারের দিকে খেয়াল রাখা
হজম শক্তি ঠিক রাখতে যেই কাজগুলো করবেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আপনার খাবারের দিকে খেয়াল রাখা। খাবার যদি ঠিকঠাক মতো না হয় তাহলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া ঠিকঠাক মতো হবে না। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবার পর্যন্ত সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আবার অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে হতে পারে এসিডিটি সমস্যা।
ইচ্ছা করলেই যখন তখন বাইরের জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। তেলে ভাজা জিনিস খাওয়া যাবেনা। তবে বাসায় চিড়া মুড়ি ছোলা সবজিরোল ইত্যাদি জাতীয় খাবার নিজে বানিয়ে খেতে পারেন। তার সাথে আপনার নিজের ওজন এবং উচ্চতার বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরী।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। সারা দিনের পানি পান করলেই যে আপনার হজমে সাহায্য করবে বিষয়টি এরকম না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার ফলে আপনার অ্যাসিডিটিকে বাড়তে দিবে না। আর যখন আপনি পানি কম খাবেন তখন আপনার অ্যাসিডিটি বেড়ে যাবে।
আর পানি পান করলে শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে যার কারণে খাবারগুলো ঠিকঠাক ভাবে হজম হয়।আর কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাগুলো দূর করে দেয়। তাই হজম শক্তি ঠিক রাখতে যে কাজগুলো করবেন তার মধ্যে একটি বিশেষ কাজ হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম একটা মানুষের শরীরকে সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘুম ভালোভাবে না হলে আমাদের শরীর ঠিক ঠাক থাকে না। তাই দরকার প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। কেননা ঘুম যখন কম হয় তখন অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে থাকে। তাই হজম শক্তি ভালো রাখার জন্য আপনাকে প্রতিদিন পর্যন্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। একজন মানুষের প্রায় প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম জরুরি।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা বলেন শারীরিক বিভিন্ন ক্রিয়া কতটা ভালোভাবে কাজ করবে তা নির্ভর করে আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক আছে নাকি তার উপর। আর হজম বা শোষণ প্রক্রিয়ার জন্য আসলে অক্সিজেনের কোন বিকল্প নেই। যার কারণে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়ামটা করার জরুরি বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। তারা বলেন নাক দিয়ে লম্বা করে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে লম্বা করে শ্বাস ছাড়লে দেহে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।
হজমশক্তি কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ
হজম শক্তি যখন কমে যায় তখন আমরা সেটিকে বদহজম বলে থাকি। তখন আমাদের পেটে এসিডিটির সমস্যা হয়। বদ্ধতম একটি খুবই বিরক্তিকর সমস্যা যা মাঝেমধ্যে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে এবং আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। আবার কোন কোন সময় এটি বড় ধরনের কোন অসুখের আগামবার্তা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত বদহজম থেকে বুকে ব্যথা পেটে ব্যথা বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কিছু অভ্যাস এবং সচেতনতার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারি। চলুন জেনে নেই হজম শক্তি কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণগুলো সম্পর্কেঃ
- মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা থেকে অনেক সময় আমাদের হজমের সমস্যা হয়। তখন আমরা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকি তখন আমাদের শরীরের ওপর একটি প্রভাব পড়তে থাকে। তখন মস্তিষ্ক আমাদের হরমোনের পরিবর্তন ঘটায়। আর যখন হরমোনের পরিবর্তন হয় তখন আমাদের শরীরে খারাপ এনজাইনের নিঃসরণ হয় যা আমাদের ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে। তাই হজমশক্তি কমে যাওয়ার একটি বিশেষ কারণ হলো অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা।
- ভর পেটে খাওয়ার পর ব্যায়াম করা একটি অন্যতম বিশেষ কারণ হতে পারে। ব্যায়াম করার শরীরের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু ভরা পেটে ব্যায়াম করা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ভর পেটে খাবার খাওয়ার পরে ব্যায়াম করলে আমাদের বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে বা হজম শক্তি কমে যেতে পারে।
- আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বাভাবিক পরিমাণে ওষুধ গ্রহণ দরকারি কিন্তু অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর বিভিন্ন রকম এসিডের সৃষ্টি হতে পারে। অ্যাসিড থেকে হতে পারে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম বদহজমের সমস্যা। তাই তরকারি ছাড়া অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ করা ছেড়ে দিতে হবে।
- ধূমপান শরীরের শুধু ক্ষতি করে না বরং হজমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে। সিগারেট খাওয়ার নেশা কম বেশি অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু সিগারেটের ক্ষতিকারক কিছু রাসায়নিক পদার্থ আমাদের শরীরের ভিতরে গিয়ে হজমে ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে। এবং ভেতরের এনজাইম গুলোকে নিঃসরণে বাধা দেয় ফলে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয় না। তাই হজম শক্তি ঠিক রাখতে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
- যাদের অতিরিক্ত মদপানের অভ্যাস রয়েছে তারা একদমই অভ্যাস বাদ দিয়ে দিবেন। কেননা অতিরিক্ত মদ্যপান বদহজম সমস্যার অন্যতম কারণ। বেশি মদ্যপান করার ফলে আমাদের শরীর থেকে পানি সরিয়ে কোষ কে সঙ্কচিত করে ফেলে যার কারণে শরীরে পানি স্বল্পতা সৃষ্টি হয়। আর যখন আমাদের শরীরে পানি স্বল্পতা সৃষ্টি হয় তখনই আমাদের হজমশক্তির ঠিকঠাক মতো হয়না।
- হজম শক্তি ঠিকঠাক না হওয়ার পিছনে মূলত একটি বিশাল কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস ঠিক না থাকা। ম খাওয়ার সময় অনেকেই ভালোভাবে খাবার না চিবিয়ে বড় বড় গ্রাসে খেয়ে ফেলেন। আর খাবারের মাঝে বারবার পানি খেয়ে থাকেন যেটা বদহজম হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। তাই হজম শক্তি ঠিক রাখতে অবশ্যই খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খেতে হবে এবং খাওয়ার ১০ মিনিট পর পানি খেতে হবে।
- আবার অনেকের শরীরের ভেতরে কিছু সমস্যা থেকে থাকে যেমনঃগ্যাস্ট্রিক,আলসার,গলগন্ড,অগ্নাশয় সমস্যা,গলব্লাডারে পাথর,কিডনিতে পাথর ইত্যাদির কারণে হজমের সমস্যা বা হজম শক্তি কমে যেতে পারে। তাই এ ধরনের সবার সাথে আমাদের অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে।
হজম শক্তি ঠিক রাখতে ঘরোয়া যে কাজগুলো করবেন
হিসাব করলে দেখা যাবে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় হচ্ছে গ্যাসের ঔষধ। যখনই আমাদের পেটে কোন সমস্যা হয় তখনই আমরা দৌড়ে গিয়ে ফার্মেসিতে বা পাশের দোকান থেকে একটা গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে নি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে বাইরের কোন ওষুধ কিনে না খেয়ে বাসায় বসে বদহজম দূর করার কোন উপায় আছে কিনা!
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হজম শক্তি ঠিক রাখতে ঘরোয়া যে কাজগুলো আপনি করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ
- বদ হজমের সমস্যা দূর করার একটি বড় উপায় হল আপেল। আপেল সিদ্ধ করার পর সেই রস খেলে আমাদের হজম ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন খালি পেটে নিয়মিত এই রস খেতে পারলে আমাদের বদ হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে নিমিষেই।
- কাঁচা হলুদ হতে পারে আপনার বদহজমের সমস্যা দূর করার একটি বড় দাওয়াই। এক টুকরো কাঁচা হলুদ খুব কম সময়েই আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে।
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে উষ্ণ গরম পানি আপনার বদহজমের সমস্যা দূর করে দিয়ে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই সকালে উষ্ণ গরম পানি পান করা অভ্যাস করুন।
- জিরার গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে সেই পানি গরম করে খেলে আমাদের বদহজমের সমস্যা দূর হয় পাশাপাশি আমাদের পেটের চর্বিও কেটে যায়।
- এলাচের ঝাঁজ থাকলে নিয়মিত এলাচি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। দেখবেন সমস্যা চলে গেছে।
- সকালে খালি পেটে এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেয়ে দেখুন আপনার সারাদিনের বদহজমের সমস্যা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। খালি পেটে না খেতে পারলেও প্রতিবেলার খাবারের পর এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খাবেন।
- খাবার খাওয়ার মাঝে বেশি সময় দেওয়া যাবে না বা বেশি বিরতি দেওয়া যাবে না। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ দেরি করে তার পর পানি খেতে হবে।
- পেঁপে পাতা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত করে সেই পানি খাইলে উপকার হবে।
- সব থেকে বড় কথা হচ্ছে হজমশক্তি ঠিক রাখতে যে কাজগুলো করবেন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার খাবারের মধ্যে আশের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় শাকসবজি এবং ফল বাদাম এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন খুব সহজেই। কারণ পুদিনা পাতার মধ্যে রয়েছে আন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়নস। যা আমাদের পেটের যেকোনো সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করে দিতে পারে।
- দারুচিনি হজম শক্তির জন্য অনেক ভালো একটি মসলা। এটাই প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে থাকে এবং গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে থাকে।, এক কাপ পানি নিয়ে তার মধ্যে আধা চা চামচ দারুচিনি গুড়া মিশান। তারপরে এটি কয়েক মিনিট সিদ্ধ করে নিন। তারপর দিনে দুই থেকে তিনবার এটি পান করে দেখবেন আপনার হজম শক্তি অনেকটা বেড়ে গেছে।
- হজম শক্তি বাড়াতে নিয়মিত রঙিন ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত রঙিন ফাল্গুন খাবার খাওয়ার পরে দ্রুত হজমে সহায়তা করবে।
- হজম শক্তির ঠিক রাখতে আপনি প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যেই রয়েছে দই, গাজন করা সবজি ইত্যাদি।
- বিটরুট ফাইবারের একটি অন্যতম উৎস। আর ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বিটরুট রাখতে পারেন।
- চিয়া সিডের কথা না বললেই নয়। হজম শক্তি ঠিক রাখতে যে কাজগুলো করবেন তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো চিয়া বীজ খাওয়া। চিবিয়া বীজ বা চিয়া সিড ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। এটি একবার খেতে পারলে আপনার শরীরে প্রোবায়োটিকের মত কাজ করবে। যা আপনার কন্ঠে স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিগুলোকে বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনার হজম স্বাভাবিক রাখে।
- দইয়ের মধ্যে আছে প্রবায়োটিক নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা একটি ভালো ব্যাকটেরিয়া। এটি আপনার পাক পরিপাকতন্ত্রের বসবাস করে এবং আপনার পরিবার তন্ত্র কে সুস্থ রাখে এবং হজমে উন্নতি ঘটায়। তাই আপনার হজম শক্তি ঠিক রাখতে আপনি নিয়মিত খাবারের তালিকায় দই রাখতে পারেন।
- মৌরি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য কে প্রতিরোধ করতে পারে এবং আপনার পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করে। এটি দীর্ঘ সবুজ ডালপালাসহ একটি উদ্ভিদ যা আপনার খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মৌরির মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার পাচনতন্ত্রের মসৃণ বেশি পেশীগুলোকে শিথিল করে তোলে। এবং এটি আপনার হজম ক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখলে আমাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়ে যায়। তাই খাবারের মাঝে বেশি বিরতি দেওয়া যাবে না।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম হজমশক্তি ঠিক রাখতে যে কাজগুলো করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো যান এসিডিটি সমস্যায় কিভাবে ঘরে বসে আমরা সমাধান করে নিতে পারি।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url