পবিত্র মাহে রমজানে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না জানুন বিস্তারিত

পবিত্র মাহে রমজানে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আজকের পোস্টে। রমজান মাসের ফজিলত হাসিল করার জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো থেকে আমাদের বিরত থাকা দরকার। মাহে রমজান আমাদের মুসলিমদের কাছে জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি মাস। বরকত এবং নাজাতের মাস রমজান মাস। এ মাসে বর্ষিত হয় রহমতের বারিধারা।
পবিত্র মাহে রমজানে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না জানুন বিস্তারিত
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা বলেছেন,"যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সাথে ওসব লাভের আশায় রমজানের রোজা পালন করে তার পূর্ববর্তী কোন সময় মাফ করে দেওয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সোয়াব লাভের আসে লাতুল কদরের রাত যাপন করে এবং দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তার পরবর্তী গুনাহসমূহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।"

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক পবিত্র মাহে রমজানে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না সে সব কাজ সম্পর্কে জানতে হলে আমার পুরো পোস্টটি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন। আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান আছে যারা রোজা ঠিকই রাখে কিন্তু তাদের রোজার অর্থ শুধুমাত্র ক্ষুধার্ত থাকা। বিভিন্ন গুনাহে জড়িত থাকার কারণে তাদের রোজা হয় না। তারা কল্যাণপ্রাপ্ত হয় না।

পবিত্র মাহে রমজানের যেসব কাজ ভুলেও করবেন না

রমজান মাসে রোজা রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহমুখী মানুষ এবং আল্লাহ আমাকে অন্তর তৈরি করা। সারা বছর নানা ধরনের প্রার্থীর ধারণা এবং মোহে আচ্ছন্ন মানুষের কুমন্ত্রণা পাপাচারমূলক কাজের অনুভূতিকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রমজান মাস ব্যক্তির নৈতিক শিক্ষা এবং চরিত্র ঈমানের আলোয় আলোকিত করে। প্রিয় পাঠক পবিত্র মাহে রমজানে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলঃ
  • রমজানের মানুষের পক্ষ থেকে সম্পাদিত প্রচলিত ত্রুটি বিচ্যুতি এবং ভুলভ্রান্তির মাঝখানে অন্যতম রমজানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান মনে করা। আমরা শুধু নিজেদেরকে রোজাদার বলে মনে করি কিন্তু কখনো অন্যায় কাজ থেকে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে ভুলে যাই। এমন কি ভুলে যাই জাহান্নামের আগুনের কথা।
  • অনেকের ঠিকঠাক মত রোজা রাখে কিন্তু ওয়াক্ত মত নামাজ আদায় করে না। এটা কাম্য নয়। রাসূল সা বলেছেন,"নামাজ হচ্ছে ঈমান এবং কুফরের পার্থক্যকারী।" এজন্যই রোজা রেখে ঠিকঠাক মত নামাজ আদায় করতে হবে।
  • মিথ্যা কথা না বলা। রাসূল সা বলেছেন," যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও তদানুযায়ী আমল বর্জন করেনি তার এই পানহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।" এজন্য রোজা থেকে কখনো মিথ্যা কথা বলা যাবে না।
  • গীবত না করা। রাসুলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন," রোজা হল একটি ঢাল।" একদিন রাসূলকে জিজ্ঞাসা করা হল, কিভাবে রোজা বিদীর্ণ হয়ে যায়? নবী করীম সাঃ তখন উত্তরে বললেন গীবত করার মাধ্যমে এবং মিথ্যা কথা বলার মাধ্যমে। গীবত যে শুধুমাত্র কথা বলার মাধ্যমে হয় তা নয় বরং মুখের বিভিন্ন এ ছাড়া ইঙ্গিত এবং অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও গীবত হয়ে থাকে। গীবত করা এবং শোনা দুটি সমান অপরাধ।
  • সেহেরী এবং ইফতারের ব্যবহৃত সবকিছু নিখুঁত এবং পবিত্র ও হালাল হতে হবে। মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন," হে ঈমানদারগণ, তোমাদের আমি যেসব পবিত্র রিজিক দিয়েছি সেটা থেকে তোমরা আহার কর। পাশাপাশি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় কর এবং তোমরা শুধু তারই এবাদত বন্দি করতে থাকো।" এজন্য ইফতারের সবকিছু হতে হবে হারাম এবং হালাল। রাসূল সা এরশাদ করেন," ওই দেহ জান্নাতে যাবে না যা হারাম থেকে উৎপন্ন।"
  • রোজা থেকে আমরা টিভিতে বা মোবাইলে বিভিন্ন রকম গান-বাজনা এবং অনুষ্ঠান দেখে সময় কাটায়। রোজা থেকে এ ধরনের কাজ কখনোই করা যাবে না। কারণ এসব কাজ সাধারণত গুনাহ হিসেবে গণ্য সেসব কাজ রমজানে আরো বেশি মারাত্মক। এসব গুনাহের রোজার অন্তর্নিহিত শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। রোজাগুলো মাকরুহ হয়ে যায়। রাসুল সাঃ বলেন," তোমাদের কেউ যদি সিয়াম পালন করে এবং সে যেন পাপাচারে লিপ্ত না হয় এবং মূর্খের মতো আচরণ না করে।"
  • রাসূল সাঃ এরশাদ করেন," আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে সেটা পান করবে। আর তাদের মাথার ওপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহতালা তাদেরকে জমিনে ধসিয়ে দিবেন এবং তাদের কিছু লোককে বানর এবং শুকরের রূপান্তরিত করবেন।" রাসূল সাঃ আরো এরশাদ করেন," যে ব্যক্তি মিথ্যা প্রতারণা ও গুনাহের কাজ ত্যাগ না করে,আল্লাহ তাআলার কাছে তার পানাহার থেকে বিরত থাকার কোন মূল্য নেই।"
  • আমরা অনেকেই রমজানের সময় রাতে না ঘুমিয়ে গল্প করে এবং বিভিন্নভাবে সময় কাটিয়ে এরপর একবারে ঘুমাতে যাই। যা একেবারেই ঠিক নয়। রমজান মাস ইবাদতের মাস। এই মাসের প্রতিটা মুহূর্তই খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই মাসের প্রত্যেকটার সময় এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে নিয়োজিত থাকা। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, নফল নামাজ ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের সময় কাটানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • রোজা রেখে অন্য মানুষের দোষ ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো অনুচিত একটি কাজ। মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এজন্য রোজা রেখে অন্য মানুষের দোষ খুঁজে বেড়ানো বা কে কি করলো না করল সেটা নিয়ে কথা বলা অনুচিত একটি কাজ। আমরা রোজা রেখে কখনো এ ধরনের কাজগুলো করবো না।
  • অনেকের রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময় সেলফি এবং আত্মপ্রদর্শন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এসব মূলত এক ধরনের অনর্থক কাজ। ইসলাম কখনো অনর্থক কাজকে সমর্থন করে না। মনে রাখতে হবে সেহরি ও ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত দোয়া কবুলের সময়। এই জন্য এই সময়গুলোকে আমাদের কাজে লাগানো দরকার। অনর্থক সেলফি বা ছবি তুলে আমরা সময় গুলো নষ্ট করবো না।
  • পবিত্র রমজান মাসে অশ্লীলতা এবং নোংরামীর সহায়তা করে এরকম কাজগুলো থেকেও বিরত থাকা উচিত। যেমন অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার, মারহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ইত্যাদি। এসব কাজ মূলত মানুষকে অজান্তেই খারাপ পথের দিকে নিয়ে যায়। এছাড়াও স্মার্টফোনে হারাম কিছু না দেখেও এর দ্বারা প্রচুর সময় নষ্ট হয়। যার কারণে রোজা রেখে আমরা এই কাজগুলো কখনোই করব না।
  • রমজান মাসে রোজা রেখে অশালীন কথা বলা বা বিভিন্ন অসামাজিকভাবে গালিগালাজ করা নিষেধ। রাসূল সাঃ এরশাদ করেন," অতঃপর তোমাদের মধ্যে যদি কেউ রোজা রাখে এবং তখন সে যেন অশালীন কথাবার্তা না বলে এবং হইচই না করে।"
  • মুসলিম নারী এবং পুরুষের জন্য পর্দা নিয়ে বিধানে প্রতি গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য একটি বিষয়। রমজানে এই বিষয়টি আরো বেশি সচেতন হওয়া জরুরী। এই বিধানের অনুসরণের মাধ্যমে হৃদয় ও মনের পবিত্রতা অর্জন করা যায়। তাই রমজান মাসে রোজা রেখে আমরা অশালীনভাবে চলাফেরা কখনোই করব না। রোজা রেখে এ ধরনের কাজ করা যাবে না।
  • শুধু রমজান নয় যে কোন সময় পিতা মাতার সাথে অশালীন করা ঠিক নয়। আর রোজা রেখে তো আরোই উচিত নয়। রমজান সম্পর্কে হাদিসে এসেছে," যে তার পিতা মাতাকে পেল অথচ জান্নাত কামাই করে নিতে পারল না, সে ধ্বংস হোক।" আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে পিতা মাতার সাথে সৎ ব্যবহার করার তৌফিক দান করুক।
  • প্রতিটা কাজ একটি নিয়তের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি কোন কারণে স্বাস্থ্য কমানোর জন্য রোজা রাখার নিয়ত করেন বা রোজা পালন করেন এটা কাম্য নয়। এটা তবে গুনাহের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। রোজা পালনের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে হবে মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন। এটা ছাড়া কেউ কখনো ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে রোজা রাখতে পারবে না।
  • মুসাফিরের জন্য রোজা ভঙ্গ করা ত্রুটি মনে করা। মুসাফিরের জন্য রোজা রাখার বিধানটি সম্পূর্ণ তার নিজের ইচ্ছাধীন। ইচ্ছা করলে সে রোজা রাখতে পারবে অথবা সে রোজা ভেঙেও ফেলতে পারবে। এটা সম্পূর্ণই মুসাফিরের ওপর নির্ভরশীল।
  • পরীক্ষা কিংবা বিভিন্ন রকম কর্ম ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে সিয়াম ত্যাগ করা নিষিদ্ধ। আমাদের মনে রাখা কঠিন পরীক্ষার ভালো ফলাফল যেমন মহান আল্লাহর ইচ্ছা ও সাহায্যকারী সম্ভব নয় ঠিক তেমনি মানুষের কর্মস্থলের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। এজন্য কখনো এসব অজুহাতে রোজা ত্যাগ করা যাবে না।
  • রোজাদার ব্যক্তি ভুলবশত কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে গেছে বলে মনে করা। রোজাদার ভুলবশত কিছু খেয়ে ফেললে অথবা কোন পানি পান করে ফেললে রোজা ভেঙে গেছে এই ধারণাটি কখনোই ঠিক নয়। অনেকেই এই ধারণাটি করার কারণে রোজা ভেঙে ফেলে। কিন্তু রোজা রেখে এই কাজটি করা যাবে না।
  • অনেক রোজাদার ব্যক্তিদের মধ্যে তারাবির নামাজ আদায়ে অনীহা লক্ষ্য করা যায়। তখন তারা তারাবির সালাত আদায় না করেই বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হয়ে যায় এবং সময় অতিবাহিত করেন। ভুলেও পবিত্র মাহে রমজানে এইসব কাজ করা যাবে না।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই ঈদের কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে রোজার শেষ দশকের দিনগুলোতে অবহেলায় অতিবাহিত করে দেন। যথাযথভাবে ইবাদত না করার কারণে তারা লাইলাতুল কদর পান না বা লাইলাতুল কদরের দিন কোন এবাদত বন্দেগি করতে পারেন না। ভুলেও রোজা রেখে এসব কাজ করা যাবে না।
  • সেহরি এবং ইফতারে কিছুতেই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আবার এত অল্প খাওয়া উচিত নয় যাতে করে আমাদের রোজা রাখতে অসুবিধা হয়। কেননা স্বাস্থ্য সচেতনতা ইসলামিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই রোজা রেখে কখনোই অতিরিক্ত বেশি খাওয়া যাবে না আবার অতিরিক্ত কম খাওয়া ঠিক নয়।
  • রমজান মাসে রোজাদাররা ভরে উঠে সেহরি করার পর অনেকে ফজরের সালাত আদায় করার ক্ষেত্রে অলসতা মনে করেন। এবং অনেক রোজাদাররা আছে তারা ফজরের সালাত আদায় করেন না। এক্ষেত্রে তাদের গুনাহ হবে। রোজা রেখে আমাদের প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ ঠিকভাবে পড়া উচিত। মনে রাখবেন রোজা রেখে এই কাজগুলো করলে আমাদের রোজা ঠিকঠাক মতো কবুল হবে না বা মাকরূহ বলে গণ্য হবে।
  • অনেকে ধারণা করেন রোজা রেখে যত বেশি ঘুমানো হবে তারা তাড়াতাড়ি সময় কেটে যাবে এবং শরীর ভালো থাকবে। এটা সম্পূর্ণই ভুল একটি ধারণা। রোজা রেখে বেশি ঘুমালে রোজা হালকা হয়ে যায় বা রোজা মাকরূহ হিসেবে গণ্য হয়। একজন সুস্থ স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমালে যথেষ্ট।
  • অনেকেই আছে যারা রোজার মাসে লোক দেখানো কাজ করে থাকে বা লোক দেখানো বিভিন্ন ধরনের এবাদত বন্দেগি করে থাকে। যার শরীয়তে রিয়া নামে পরিচিত। রিয়া হলো লোকদেখানো বা আত্মপ্রদর্শনকারী কাজ বা আমল। এটা এক ধরনের শিরক। তাই রমজান মাসে রোজা রেখে আমরা লোক দেখানো কোন রকম কাজ বা এবাদত করবো না।
  • পণ্যের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে সংকট তৈরি করা। ভোক্তাদের জিম্মি করা রোজার মাসে জায়েজ নেই। যে যতই বিত্তশালী হোক না কেন তার এ ধরনের কাজ করা যাবে না। রোজার মাসে সব সময় আমাদের উপার্জন হালাল হতে হবে এবং দান করতে হবে। এই মাসে যদি কেউ কোন পণ্য দাম বাড়ে অধিক লাভবান হতে চায় সেক্ষেত্রে এটি গুনাহ বলে গণ্য হবে।
  • আমাদের মধ্যে ঈদের জন্য বিভিন্ন কেনাকাটা করতে ব্যস্ত থাকে। তখন রমজানের দিকে সময় তার ঠিকঠাক মতো দেওয়া হয় না। সময় যেন কোন ভাবে নষ্ট হয় সেদিকে আমাদের সর্বাত্মক খেয়াল রাখতে হবে। অন্য কোন অযথা কাজ করে রমজানের সময় ব্যয় করা যাবে না।
  • কোন কিছুর রোজার মাসে অপচয় করা যাবে না। শুধু রোজার মাস নয় অন্যান্য সময়ে অপচয় করা ঠিক নয়। পবিত্র কোরআনের অপচয়কারীকে শয়তানের ভাইয়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এমনকি আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন ও হাদিসের অসংখ্য স্থানে অপচয় করতে নিষেধ করেছেন।
  • হক আদায় না করে কোরআন খতম দেওয়া। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা রোজার মাঝে কোরআন খতম দেওয়ার জন্য খুব তাড়াহুড়ো করেন। তাড়াহুড়া করার কারণে ঠিকভাবে অর্থ না বুঝে আমরা কুরআন পড়ে থাকি। এতে হক নষ্ট হয়। এজন্য সব সময় খেয়াল রাখতে হবে রোজার মাসে কুরআন খতম দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো না করে ভালোভাবে অর্থ সহকারে বুঝে পড়তে হবে।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা নষ্ট হবে।মহানবী সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করে তার ওই রোজা কাজা করতে হবে না। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় বমি করে তাহলে সে ব্যক্তিকে পুনরায় ওই রোজা করতে হবে। এজন্য রমজান মাসে বলেও এ কাজগুলো করা যাবে না।
আমাদের মধ্যে অনেকেই না জেনে বিভিন্ন রকম কাজ রোজা রেখেই করে থাকে। যার কারণে অনেকের রোজা হয় না। আমরা যদিও বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে দেখি না কিন্তু তারপরও আমাদের সকলের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। রোজা রেখে কোন কাজগুলো করা যাবে এবং করা যাবে না সেগুলো সম্পর্কে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম পবিত্র মাহে রমজানে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই আমল গুলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url