আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা জানান দেবে যেই লক্ষণগুলো সে সম্পর্কে জানুন
সবচেয়ে বড় একটি অপুষ্টি জনিত সমস্যার মধ্যে রক্তশূন্যতা একটি। কম বেশি প্রায় অনেকের মধ্যে রক্তশূন্যতা দেখা যায়। প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব আমাদের শরীর রক্তশূন্যতা হলে আমরা কিভাবে বুঝতে পারব এবং কি সেই লক্ষণগুলো হতে পারে সে সম্পর্কে।
আমাদের রক্তে বেশ কয়েকটি উপাদান রয়েছে। আর রক্তের উপাদান গুলোর মধ্যে থাকে হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের রংযোগ পদার্থ যাদের বিভিন্ন কোষের অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। যখন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা একদমই কমে যায় তখন আমাদের শরীরে অন্যরকম কিছু বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে।
ভূমিকা
শরীরের রক্তশূন্যতা জানান দেবে যেই লক্ষণগুলো সেগুলো সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্তই থাকুন।আমাদের দেশে সাধারণত রক্তস্বল্পতায় পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশি সমস্যায় ভুগেন। শরীরে পর্যাপ্ত রক্তের অভাব যখন হয় তখন হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা দেখা দেয়। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন শারীরিক দুর্বলতা শ্বাসকষ্ট ক্লান্তি ভাব ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখা দেয়।
রক্তশূন্যতা জানান দেবে যেই লক্ষণগুলো
সব সময় তো আর রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। যার কারণে দীর্ঘদিন রক্ত শূন্যতায় ভুগলেও আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। যার কারণে অজান্তেই এই সমস্যাগুলো থেকে যায়।তবে কিছু কিছু লক্ষণ আছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি যে আমাদের শরীরে কখনো রক্তশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। চলুন তাহলে জেনে নিই কোন লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবোঃ
- আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন যখন কমে যায় তখন শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। ঠিকঠাক মতো আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন হয় না। তাই তখন আমরা খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে যায় বা হাঁপিয়ে পড়ি।
- রক্তস্বল্পতা যখন দেখা দেয় তখন ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যেতে শুরু করে। অনেকের চোখের পেশিগুলোর মধ্যে লাল রং হারিয়ে যায়। ত্বক সাদা হয়ে যায়।
- আমাদের শরীরে যখন রক্তশূন্যতা দেখা দিবে তখন আমাদের অনেক সময় চুল পড়ে যেতে পারে। কাজে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা রক্তস্বল্পতার কারণেও হতে পারে।
- রক্তস্বল্পতার রোগীরা খুব কম সময়ে ক্লান্তি এবং বিষন্নতায় ভোগে থাকে। যার কারণে তাদের প্রায় সময় লেগে থাকে মাথা ব্যথা। এছাড়াও কিছু রোগীরা বিভিন্ন মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
- অনেক সময় কোন কারন ছাড়ায় শরীর অবসের মতো হয়ে যায়।
- এছাড়াও বিভিন্ন ডাক্তারের তথ্য মতে জানা যায় যে রক্তশূন্যতা দেখা দিল কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জ্বর ডায়রিয়া বা জন্ডিসের মতো সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে।
কেন রক্তশূন্যতা দেখা দেয়
আমাদের শরীরে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিনের অভাব হয় তখন সাধারণত রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তবে রক্তশূন্যতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। রক্তশূন্যতার চেয়ে প্রধান বা অন্যতম কারণ সেটি হল আয়রনের অভাব। আয়রনের ঘাটতির কারনে সাধারণত আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। মূলত আয়রনের কারণে ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে। তবে এর মধ্যে কিছু রক্তশূন্যতা রয়েছে যেমনঃ
- ভিটামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা।
- বিভিন্ন প্রদাহের কারণে রক্তশূন্যতা।
- এপ্লাস্টিক রক্তশূন্যতা।
- অস্থিমজ্জা সংক্রান্ত রক্তশূন্যতা।
এছাড়াও যদি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমনঃ কিডনি বা লিভার বিকল হয়ে যাওয়া, থাইরয়েড জনিত সমস্যা, ক্যান্সার এবং যক্ষা সহ বিভিন্ন রকম রোগের কারণে হতে পারে রক্তশূন্যতা। এমনকি হঠাৎ করে কোন দুর্ঘটনা জনিত কারণে শরীর থেকে অধিক রক্তক্ষরণ হয়ে গেলে আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুরুষের তুলনায় নারীরা কেন রক্তশূন্যতায় বেশি ভোগেন
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকেন। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমনঃ
- নারীদের যখন ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় থাকে।
- গর্ভাবস্থায় এরকম হতে পারে।
- পর্যাপ্ত আয়রন এবং কিছু ভিটামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
- নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের কারণে।
পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি রক্তশূন্যতায় ভোগে থাকেন এবং এর কারণ হলো নারীদের শারীরিক কিছু বৈশিষ্ট্য। প্রতি মাসেই ঋতুস্রাবকালীন সময়ের ফলে নারীদের শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে এই রক্তের পরিমাণ একটু বেশি মাত্রায় হয়ে থাকে। আবার কখনো বা স্বাভাবিকের থেকে লম্বা সময় ধরে এই ঋতুস্রাব চলতে থাকে।
ফলে শরীর থেকে অনেক বেশি পরিমাণে রক্ত বের হয়ে যায়। যার ফলে অনেক সময় রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আবার ঘনঘন গর্ভধারণের ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। সাধারণত বাংলাদেশের পটভূমিতে আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে। আর নারীদের ঋতুস্রাব এবং বাচ্চা হওয়ার পুরো প্রক্রিয়ায় আয়রনের প্রচুর ক্ষয় হয়ে যায়।
ঋতুস্রাব অবস্থায় এবং গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি দেখা দেই। ফলে পুরুষের চেয়ে নারীদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ 1.5 গ্রাম কম বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বাংলাদেশের রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হওয়ার একটি দ্বিতীয় বিশেষ কারণ হলো কৃমি। খাওয়ার আগে হাত বা প্লেট না ধুয়ে খাওয়ার কারণে সেখানে থাকার রোগ জীবাণু এবং কৃমি গুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
ফলে পেটের মধ্যে টিভিগুলো প্রবেশ করে এবং আমাদের শরীরের রক্তকে চুষে নিয়ে আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। এবং ফলে একসময় রক্তশূন্যতা সৃষ্টি হয়। আর এইসব কারণেই পুরুষের তুলনায় নারীরা রক্তশূন্যতায় ভুগেন বেশি।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কিছু খাবারের মাধ্যমে আপনি আবার আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিন সঠিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই কি সেই খাবারগুলো যেগুলো খেলে আপনার শরীরের অনেক বড় সমস্যা সমাধান হয়ে যাবেঃ
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন সি এর অভাব হলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে কমলা লেবু স্ট্রবেরি টমেটো পেয়ারা ইত্যাদি ফলমূল খেতে হবে। এছাড়াও এগুলো লৌহ শোষণের সহায়তা করে ফলে আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায়।
রঙিন সবজি এবং ফলমূল
আপেল ব্রকলি লাল আঙ্গুর এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কমবেশি আমাদের টাটকা ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ এবং খনিজ লবণ। যা আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া থেকে রক্ষা করবে। নিয়মিত চিংড়ি কাঁকড়া সহ বিভিন্ন রকম সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এতে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন বেড়ে যাবে।
ডাল জাতীয় শস্য
ছোলা সয়াবিন এবং বিন জাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এক্ষেত্রে যারা নিরামিষ খাবার খেতে পছন্দ করেন তাদের কাছে সয়াবিন একটি জনপ্রিয় খাবার। থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয় যা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
শস্যজাতীয় খাবার
রক্তশূন্যতায় যারা ভুগেন তারা প্রতিদিন চাল গম কিংবা ওটস জাতীয় খাবার খেতে পারেন। কারণ এসব খাবার প্রচুর আয়রন সমৃদ্ধ সেসঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। তাই নিয়মিত এসব খাবার খেলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যাবে। তাছাড়াও নিয়মিত লাল চালের ভাত খেতে পারেন।
ডিম খান নিয়মিত
আমাদের শরীরের সুস্থতা ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত ডিম খেতে হবে। কারণ ডিমে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি এবং আয়রন শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার করে। এছাড়াও ডিমের কুসুমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি যা শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে।
বিটরুট
প্রাকৃতিকভাবে বিট রোডে প্রচুর পরিমাণ লৌহ রয়েছে। এছাড়াও আছে ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এ ধরনের সবজিতে রয়েছে খনিজ সম্পদ এবং ভিটামিন। তাই সবজির মধ্যে বিটরুট আপনি খেতে পারেন।
সজিনা পাতা
জিংক লোহা তামা ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজসহ ভিটামিন এবিসি দ্বারা পূর্ণ আমাদের আশেপাশে পাওয়া সজিনা পাতা। কি অবাক হচ্ছেন! অবাক হলেও এটাই সত্যি কথা। প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে সজিনা পাতা শাক হিসেবে খেতে পারেন। এতে খুব কম সময়ে আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে।
তিল
কালো তিলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সহ ফোলেট। একবাড়িতে এক চা চামচ তেল নিয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিলে রক্তস্বল্পতা সমস্যা মিটে যায়। এমনকি মধু দিয়ে তিলের নাড়ু খেতে পারলেও আপনার উপকার হবে।
আপেল
দিনে একটি করে আপেল খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে তো ঠিকই তার পাশাপাশি আমাদের শরীরের আরও বিভিন্ন রকমের উপকারও করে। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় একটি করে আপেল রাখার চেষ্টা করুন।
বেদানা
বেদানা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম শর্করা এবং ফাইবার। বেদনা আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। তাই প্রতিদিন একটা করে বেঁধে না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
মাংস খাবেন যে কারণে
আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর আরেকটি উৎস হতে পারে প্রাণিজ প্রোটিন। সব ধরনের লাল মাংসই প্রাণিজ প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে নিয়মিত মোটা মাংস খেতে পারেন এবং তার পাশাপাশি গরু খাসির কলিজাও খেতে পারেন। কেননা এগুলো আয়রনের প্রধান এক একটি উৎস।
খেজুর কিসমিস ডুমুর
খেজুর ও কিসমিসে রয়েছে আয়রন এবং ভিটামিন সি এর উপযুক্ত উৎস। কোন দিকে ডুমুরে রয়েছে যথেষ্ট মাত্রায় আয়রন ম্যাগনেসিয়াম এবং ফলেট। প্রতিদিন সকালে তিনটি করে খেজুর এক মুঠো কিসমিস এবং শুকনা ডুমুর মিশিয়ে খেলে রক্তস্বল্পতা সমস্যা থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীরে প্রচুর পরিমাণ এনার্জিও থাকে।
কালোজাম
ভিটামিন সি এবং আয়রনের ভরপুর কালো জাম। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনা ভালো হয়। আর রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে কালোজাম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কালোজাম খাদ্য তালিকা থেকে একদমই বাদ দেওয়া যাবে না।
পেস্তা
রোজ সকালে তিন থেকে চারটা পেস্তা খেতে পারলে খুবই উপকার হয়। পেস্তা খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০ রকমের ভিটামিন এবং আয়রন।
ডার্ক চকলেট
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে ডার্ক চকলেট দারুন কার্যকর। এছাড়াও মিল্ক চকলেট আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে রক্তে শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই চকলেট খেলে আপনার শরীরে আয়নের ঘাটতি অনেকটাই কমবে।
আরো কিছু টিপস জানুন
আয়রন রোধি খাদ্য নয়
শুধু আয়রনসমৃদ্ধ খাদ্য খেলে চলবে না, তার সঙ্গে এমন কিছু খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যেগুলো শরীরে আয়ন প্রবেশ করা আটকায়। অর্থাৎ পলিফেনলস, টেনিন, এবং অক্সালিক এসিডযুক্ত খাদ্য গ্রহণ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
ফলিক এসিড
ভিটামিন বি এর বিশেষ ভাগ হলো ফলিক এসিড। বহু মানুষের শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকে এবং তার ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন রকম সমস্যা। সে ক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিনের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রত্যেকটি মানুষকে এইসব বিষয় খেয়াল রেখে সাবধানে চলতে হবে। এক্ষেত্রে পাউরুটি মটর এবং বিভিন্ন বাদাম জাতীয় খাবারে ভালো পরিমান ফলিক এসিড থাকে তাই এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
কপার যুক্ত খাবার
কপার আমাদের শরীরের জন্য অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ। এই খনিজ খেলে হিমোগ্লোবিন সরাসরি তৈরি হয় না তবে রক্তকণিকাতে আয়রন পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
ভিটামিন বি ১২
আপনি যদি সব সময় ক্লান্তি অনুভব করেন তাহলে ভিটামিন বি টুয়েলভ খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। ভিটামিন আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায়। শুধু তাই নয় এর সাথে রক্তের হিমোগ্লোবিনও বাড়ায়। তাই আমাদের শরীরের অ্যানিমিয়া দূর করার জন্য অবশ্যই ভিটামিন বি 12 খেতে হবে।
ভিটামিন এ
ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে দিন। সবুজ রঙের সবজি সহ গাজর শুকনো মরিচ দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার ইত্যাদি খাবারের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এর মধ্যে ভিটামিন শাক এর একটি উৎস হলো পালং শাক।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানলাম আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা জানার দেবে যে লক্ষণগুলো সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। এবং পাশাপাশি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে আমরা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে কয়েকটি খাবার খেয়ে শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন সঠিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে এবং আপনারা খুবই উপকৃত হয়েছেন।আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। সে পর্যন্ত সকলে সুস্থ থাকবেন এবং ভালো থাকবেন। আজকে এই পর্যন্তই। এতক্ষন আবার পোস্টের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url