তিতা খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু দরকার সে সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
তিতা খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু দরকার সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোন ধারনা নেই। তিতা কোন খাবারের নাম শুনলেই আমাদের মনের মধ্যে বিতৃষ্ণার সৃষ্টি হয়। অনেকেই আছেন যারা তিতা খাবার খেতে পছন্দ করেন আবার অনেকেই খেতে একদমই পছন্দ করেন না। আবার অনেকেরই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত একটি খাবার।
সাধারণত ছোট বাচ্চারা তিতা খাবার একদমই খেতে চায় না। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় তিতা খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু দরকার সে সম্পর্কে। জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিতা খাবার আমাদের শরীরের জন্য ঠিক কতটুকু দরকার? তিতা খাবার কেন খেতে হবে? এর প্রথম কারণ হলো তিতা খাবার মুখের ছাদ বদলাতে সাহায্য করে। সেটি সাধারণত প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে থাকে। লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রাকৃতিক কিছু খাবারের অনেক তিতা শাকসবজি বা খাবারের দেখা মিলে। তাই নিয়মিত তিতা খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো।
তিতা খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু দরকার
আসলে তিতা খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুনাগুন যা আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে সহায়তা করে। আমাদের শরীরের সামগ্রিক সব উন্নয়নে তিতা খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে গরমের সময় আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য তিতা খাবারের খুবই জরুরী দরকার। শুনুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তিতা খাবারে আমরা কোন কোন খাবারগুলো খেতে পারিঃ
করলা
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচলিত এবং সহজলভ্য সকল সবজির মধ্যে একটি অন্যতম সবজি হলো করলা। করলার গুনাগুন আসলে বলে শেষ করার মত নয়। অনেকের খেতে পছন্দ করে না আবার অনেকেই নিয়মিত খাদতালিকায় করলা রেখে থাকেন। করলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল পাশাপাশি আন্টিঅক্সিডেন্টও। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন।
করলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করলার রস পান করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়াও করলার মধ্যে থাকা ইনফ্লামেটরি নামক এক ধরনের উপাদান আমাদের শরীরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
যার কারণে আমাদের হার্ট ভালো থাকে এবং আমরা উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে থাকতে রক্ষা পেতে পারি। এছাড়াও আমাদের রক্তের সুগারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় পাশাপাশি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য ভীষণ উপকারী এই সবজি।
পাট শাক
পাট গাছের কচি পাতাগুলো শাক হিসেবে খাওয়া যায় এটা আমরা অনেকেই জানি। এই শাক আসলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের পুষ্টি দেই। পাট শাকের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, লাইকোপের নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো বিভিন্ন উপাদান। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয় এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করতে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিন যা আমাদের মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও রাতকানা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। যারা বিশেষভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাতে ভুগছেন তাদের জন্য এটি দারুণ উপকারী। এছাড়াও রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্রাহ্মী শাক
এই শাক হয়তো আমাদের অনেকের কাছেই নতুন। আবার অনেকের কাছে অনেক পছন্দের একটি শাক। এই শাকের রয়েছে বিশেষ কিছু ঔষধি গুনাগুন। ঠান্ডা সর্দি-কাশি ইত্যাদি সমস্যাতে এই শাক খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও এই শাক আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
থানকুনি এবং তেলাকুচা পাতা
যারা সাধারণত গ্রামের দিকে বসবাস করে তারা এ ধরনের সাথে সাথে পরিচিত। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এই দুটি পাতা দেখা যায়। এগুলো শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। কেননা এই শাকের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তবে এই শাকগুলো বেশি ভাজলে এর পুষ্টিগুন সাধারণত নষ্ট হয়ে যায়। তাই জন্য এটি সিদ্ধ করে খাওয়াই ভালো।
মেথি শাক
মেথি যেমন আমাদের চুল এবং ত্বকের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি মেথির শাকও আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। মেথি শাক পুষ্টি জোগাতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে থাকে। এসিডিটি,ডায়াবেটিস সহ ইত্যাদি সমস্যাগুলো সব দূরে রাখে। তাই তিতা এই শাকটি রাখতে পারেন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
চিরতা
চিরতা কমবেশি আমাদের অনেকের কাছেই খুবই পরিচিত। তিতা স্বাদের কারণে এটি সাধারণত আমাদের কাছে পরিচিত। বেশ চিরতার পাতা থেকে শুরু করে শিকড় পর্যন্ত সবকিছুতেই রয়েছে ঔষুধি গুনাগুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিরতা পাতা ভেজানো পানি খেলে পানি উপকার পাওয়া যায়। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, চর্মরোগ, যকৃতের প্রদাহ, পাকস্থলীর প্রদাহ, ইত্যাদি বহু রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি তিতা ও কষালো স্বাদের হয়ে থাকে।কমবেশি আমরা অনেকেই গ্রিন টি সবসময় খেয়ে থাকি। ওজন কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে গ্রিন টি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার কারণে আমাদের তো ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং এর সাথে সাথে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ডার্ক চকলেট
এতক্ষণ যে যে তিতা খাবারগুলো নিয়ে কথা বলেছি সেগুলোর মধ্যে কারোর পছন্দের খাবার না থাকলেও ডার্ক চকলেট খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করেন। তবে ডার্ক চকলেটের স্বাদ তিতা হওয়ার কারণে অনেকেই এই পছন্দের পরিমাণটা একটু কম করতে পারে।
সাধারণত মিষ্টি জাতীয় চকলেট আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু ডার্ক চকলেট আমাদের শরীরের জন্য আসলেই উপকারী। এতে রয়েছে জিংক,কপার,ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং তার সাথে সাথে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
নিমপাতা
নিম পাতা আর গুনাগুন তো নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা সবাই জানি নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে। নিম পাতার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন গুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে লিভারের কার্যক্ষমতা কে বাড়িয়ে দেই তার পাশাপাশি আমাদের বাতের সমস্যা গুলোকেও সমাধান করে দেয়। নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে আমাদের ক্ষুদ্রান্তের ব্যাকটেরিয়া গুলোকে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সজিনা
সজিনা ডাটা-পাতা ফুল সবকিছুই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। সর্দি জ্বর, বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে শুরু করে সব কিছুই দূর করতে সাহায্য করে সজিনা পাতা,ফুল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যার কারণে প্রতিদিন খেলে আপনি অবশ্যই উপকার পাবেন।
সরিষার শাক
সরিষার শাক আসলে তিতা স্বাদের হয়ে থাকে। সরিষার শাকের মধ্যে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন সি এবং ই। এবং এর মধ্যে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেট স নামক এক ধরনের উদ্ভিদের যোগ্য পদার্থ যা আমাদের কোষের ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সরিষা পাতার রস ফুসফুস এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত সরিষা পাতার শাক ভাজি খাওয়ার অভ্যাস করবেন।
লেবুর খোসা
লেবুর খোসা আসলে ফেলে দেওয়াটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু লেবুর স্বাদ তিতা হলেও এর গুনাগুন আসলে বলে শেষ করার মত নয়। এর খোসায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই লেবুর খোসা কুচি করে চা বা তরকারিতে ব্যবহার করতে পারেন।
তিতা খাবার খাওয়ার উপকারিতা
ঋতু পরিবর্তনের সময় বিভিন্ন রকম অসুবিচক রোগ ব্যাধি আমাদের দেখা দেয়। এই সময় পেটে অনেক সমস্যা এলার্জি ত্বকের সংক্রমণ এগুলো বেড়ে যায়। তাই এই সময় গুলোতে আপনি দিতে জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তাহলে আপনাদের শরীর অনেকটা সুস্থ সবল থাকবে। তিতা তারুণ্যতা ধরে রাখে খাবার খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার দেখা মিলবে সেগুলো সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
- তিতা খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং শরীরের চর্বি কমায়। তেতো রস কৃমিনাশক। আমাদের তারুণ্যতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছে তারা তিতা খাবার খেতে পারেন। সব থেকে বড় গুণ হলো আমাদের চেহারার মধ্যে থেকে বার্ধক্য দূর করে তারুণ্যতা নিয়ে আসে।
- শ্বাসরোগ দূর করতে সাহায্য করে তিতা খাবার। মধুর সঙ্গে কিছু পানি দিয়ে করলার রস বা নিম পাতার রস খেলে আমাদের অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস এবং গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।
- এছাড়াও তিতার র শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে থাকে। আমাদের শরীরে স্ট্যামিনা বাড়ানোর পাশাপাশি ভালো ঘুমেও সাহায্য করে থাকে।
- তিতা খাবার খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আবৃত্তি পায় এবং বিভিন্ন সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- তিতা খাবারের সব থেকে বড় গুণ হচ্ছে আমাদের হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে পাকস্থলীর জটিলতা দূর করতে নিয়মিত তিতা খাবার খেতে পারেন।
- আমাদের জিহ্বাতে বিভিন্নরকম স্বাদকোরক থাকে। সে সমস্ত স্বাদকোরকের জন্যই আমারা ঝাল,লোনতা,টক মিষ্টি ইত্যাদি স্বাদ পেয়ে থাকি। কিন্তু এই সমস্ত স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা যোগান দেয় তিতা খাবার। খেলে আমাদের ক্ষুধা বাড়ে।
- তিতা খাবার আমাদের লিভার কে পরিষ্কার রাখে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা কে বাড়ায়। টাইপ টু ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
- বাতের ব্যথা নিরাময় করতে কয়েক চামচ করলার রস বা নিম পাতার রসই যথেষ্ট।
- করলার মধ্যে আছে লৌহ, ভিটামিন এ, সি, এবং আঁশ যার কারণে আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে করলার রস।
নিম পাতা কেন তিতা হয়
নিম পাতা চেনেন না এরকম মানুষ দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভীষণ উপকারী এই পাতা। কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে যে নিম পাতা কেন তিতা হয়? এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানের কিছু ভূমিকা। আসলে নিম পাতার মধ্যে থাকে নিম্বিন, নিম্বিডিন, গ্লাইকোসাইড এবং টেনিন নামক কিছু উপাদান। যেগুলোর স্বাদ তিতা প্রকৃতির। যার কারনে নিম পাতার স্বাদও তিতা হয়ে থাকে।
নিম পাতার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। কেটে গেলে বা কোথাও পুড়ে গেলে নিম পাতার রস লাগালে ওষুধের মত কাজ করে। এছাড়াও সৌন্দর্য বর্ধনের নিম পাতার কোন বিকল্প নেই। মুখে ব্রণের সমস্যা থাকলে নিমিষেই দূর হয়ে যেতে পারে নিম পাতার মাধ্যমে। চুলের জন্য বেশ উপকারী নিমপাতা। নিম পাতার রস চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং খুশকি সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
মাত্রাতিরিক্ত তিতা খাবেন না
এমনিতেই তিতা খাবার আমাদের শরীরের জন্য উপকার কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত তিতা খাবার আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম ভোগান্তি নিয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে বেশি তিতা খাবার খেলে লিভার এবং কিডনি উভয়ের ক্ষতি হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা।
সম্প্রীতি খাদ্যভ্যাসে পুষ্টিগুণ নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন আপডেট ২০২২ এ নেফ্রলজি একজন চিকিৎসক বললেন,"আমার কাছে একজন রোগী এসেছিলেন যার কিডনি এবং লিভার দুটোই অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। তখন তার সাথে কথা বলার পর জানা গেল যে তিনি কাঁচা মাছের পিত্ত খেয়ে ফেলেছিলেন। কাঁচা মাছের পিত্ত ভয়াবহ তিতা। আর এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে তার লিভার এবং কিডনি দুটোই নষ্ট হয়ে গেছিল"।
তাই অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়ম মেনে খাদ্যভাস মেনে সবকিছু খাওয়া জরুরি। না হলে ভালোর পরিবর্তে উল্টা ভয়াবহ ক্ষতিকর দিক হয়ে আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম তিতা খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু দরকার সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। পাশাপাশি তিতা খাবার খাওয়ার পরে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয় সেগুলো সম্পর্কেও জানলাম।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url