যেসব জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে তিল,তিসি এবং কুমড়োর বিচি

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা আজকাল বিভিন্ন ধরনের বিজের দিকে ঝুকছেন। বাজারে মিলছে বিভিন্ন রকম বীজ। প্রতিদিন সকালে দই এর সাথে বা সালাতের সাথে বিভিন্ন রকম বীজ খাচ্ছেন অনেকেই। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় যেসব জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে তিল,তিসি এবং কুমড়োর বিচি সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
যেসব জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে তিল,তিসি এবং কুমড়োর বিচি
যেকোনো দানাদার এবং বীজ জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। যেকোনো ধরনের বীজ আমাদের শরীরের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং তার পাশাপাশি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এসব খাবারের মধ্যে পুষ্টি গুনাগুন ভরপুর থাকে।

ভূমিকা

যেসব জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে তিল,তিসি এবং কুমড়োর বিচি সেগুলোও সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে হলে আমার আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন। যারা গ্রামে থাকেন তারা বিশেষ করে শহরের মানুষের থেকে বেশি পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকে। গ্রামের মানুষজনের অসুখ-বিসুখ এই জন্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়। তারা নিজেদের অজান্তে অনেক ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকে।

যেসব জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে তিল,তিসি এবং কুমড়োর বিচি

বিভিন্ন ধরনের বীজ হচ্ছে ফাইবারের একটি বড় উৎস। এছাড়াও বীজের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বহু অসম্পৃক্ত চর্বি এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কাজের ফাঁকে ক্ষুধা লাগলেই স্নাক্স হিসেবে খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের বীজ। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নিই কয়েকটি বীজের পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কেঃ

চিয়াবীজ

প্রচুর ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ চিয়াবীজ আজকাল কম বেশি সব মানুষেরই প্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও এই বীজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পলিফেনল। প্রতি ২৮ গ্রাম ব্রিজের মধ্যে আপনি পাবেন 10 গ্রামের বেশি ফাইবার, সাড়ে চার গ্রাম আমিষ, প্রায় পাঁচ গ্রামের মতো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
এছাড়াও এই বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ এবং থায়ামিন। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে, চিয়া বীজ আমাদের শরীরের রক্তের শর্করা কমায় উপকারী করলেচরণকে বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর পাশাপাশি আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ এবং বিভিন্ন ধরনের কমাতে সাহায্য করে।

তিসিবীজ

এই বীজকে অনেকে ফ্লক্স সিট বলে চিনেন। আলফা লিনোলিক অ্যাসিড জাতীয় ওমেগা থ্রি এর উৎস এই বীজ। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলকে কমাতে এই বীজের কোন জুড়ি নেই।
এছাড়াও এই বীজ আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমায়। এছাড়া ওর নারীদের স্তন ক্যান্সার এবং পুরুষের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আরেকটি গবেষণায় জানা গেছে, এই বীজ আমাদের রক্তে শর্করার মাত্র কমাতে সাহায্য করে।

তিল বীজ

তিল বা সিসেম সিড মূলত এশিয়ায় জনপ্রিয়। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা সিক্স কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের উৎস এই তিল। যাদের মেনোপজ হয়েছে এমন নারীরা প্রতিদিন ৫০ গ্রাম পরিমাণ তিল খেলে তাদের শরীরে বিভিন্ন রকম উপকার হয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে এবং আমাদের হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ এবং আর্থ্রাইটিস কমাতেও উপকারী এই বীজ।

সূর্যমুখী বীজ

সূর্যমুখী বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিন ই। নিয়মিত সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার ফলে আমাদের সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের মাত্রা কমাতে পারে যা প্রধানজনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সূর্যমুখী বীজ টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মাত্রা কমাতে উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

মৌরিবীজ

মৌরি বীজের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব ভিটামিন এবং মিনারেল। নিউরোলজিক্যাল ডিজিজ বা স্নায়ু রোগ সারাতে এবং সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে এই বীজ। খুবই ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এই বীজের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
এই বীজ আমাদের পেট ঠান্ডা রাখে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানির মধ্যে মৌরি বীজ ভিজিয়ে রেখে দিন। পরের দিন সকালে উঠে খালি পেটে ভালোভাবে ছেঁকে পানিটি খেয়ে নিন। এতে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম উপকার করবে। মৌরি ভেজানোর জল আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ওটস এর সঙ্গে ফল আর এইসব বীজ একসাথে মিশ্রিত করে সকালে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরে সারা দিনের এনার্জি পাবে।

তরমুজের বীজ

তরমুজের বীজের মধ্যে রয়েছে ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিংক, ক পটাশিয়াম সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। হার্টের রোগ এমনকি ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদীর রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে থাকে তরমুজের বীজ। গবেষণায় জানা গেছে তরমুজের বীজে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

শিমের বীজ

সিমের বীজ অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি খাবার। প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন এবং ভিটামিনের একটি বিরাট উৎস এই বীজ। এছাড়াও আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ফোলেট। সিমের বীজের মধ্যে রয়েছে বৃষ্টি অ্যামাইনো এসিড।
যার মধ্যে নয়টি আমাদের দেহে অপরিহার্য উপাদান। এছাড়াও সিমের বীজ গর্ভবতী মায়েদের জন্য এবং হার্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

কাঁঠালের বীজ

কাঁঠালের ব্রিজ থেকে প্রোটিন,আয়রন,ফাইবার,পটাশিয়ামের মত অসংখ্য পুষ্টি আমরা পেতে পারি বা পাই।সম্প্রীতি গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে কাঁঠালের বীজ মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি বীজ। থিয়ামিন এবং রাইবোফ্লেবিন নামক দুইটি উপাদান পাওয়া যায় কাঁঠালের বীজের মধ্যে যা আমাদের দেহের এনার্জীর ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে।

ডালিমের বীজ

মধ্যে অনেকে ডালিম খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। আবার কেউ ডালিমের বীজের জন্য ডালিম খেতে চান না। তবে ডালিম এমন একটি ফল যেটা খাওয়ার সময় তার বীজ আলাদা করতে হয় না। আর বিশেষজ্ঞরা বলেন এতে উপকার বেশি। কারণ ডালিমের বীজ হৃদ রোগের হাত থেকে মুক্তি দিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
এই ব্রিজের মধ্যে কোন পরিমাণ ক্যালরি না থাকার কারণে এটা খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়ার কোনো ধরনের সম্ভাবনা নেই। বরং এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। তাই ডালিম খেলে ডালিমের বিচি বা ডালিমের বীজ ফেলে দেওয়া উচিত নয়।

তোকমার দানা বা বীজ

বীজজাতীয় খাবারের মধ্যে তোকমা অন্যতম। এ খাবারটি খুবই সাধারণ সস্তা এবং পুষ্টিকর যা আপনার ডায়েট চাটে আপনি রাখতে পারেন। তোকমা হল ছোট কালো রঙের ডিম্বাকৃতি এক ধরনের বীজ যা পানিতে ভিজিয়ে রাখার সাথে সাথে জেলের মতো থকে হয়ে যায়। তারপর সেখানে বিভিন্ন রকম মিষ্টি জাতীয় যেমন মধু বা চিনি দিয়ে আপনি খেতে পারেন।
বিভিন্ন ভেষজ চিকিৎসায় তোকমা বীজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তোকমার ব্রিজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। যা আমাদের স্বাস্থ্য উপকারের মধ্যে অন্যতম হলো কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এখনকার দিনে অনেক মানুষেরই পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। তোকমার বীজ আমাদের পাকস্থলীর সমস্যা দূর করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে।
এছাড়াও এই বীজের মধ্যে রয়েছে আলফা লিনোলিক এসিড। যা এক ধরনের ফ্যাটি এসিড। এটি মানুষের শরীর থেকে তৈরি হয় না বরং খাদ্য উৎস থেকে এটি পাওয়া যায়। তোকমার দানায় আলফা লিনোলিক এসিড প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা

রঙিন শাক সবজির মধ্যে মিষ্টি কুমড়া অন্যতম একটি সবজি। অনেকেই হয়তো জানেন না মিষ্টি কুমড়ার বিচি আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এই বীজ আমরা খাওয়ার অযোগ্য ভেবে অনেকেই ফেলে দেই। তবে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই বীজ হতে পারে আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উৎস। মিষ্টি কুমড়া প্রোটিনের একটি ভালো উৎস।
কোনরকম কোলেস্টেরল না থাকার কারণে এটি প্রোটিনের একটি নিরাপদ উৎস। এই বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন, ভিটামিন ই, কপার এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। মিষ্টি কুমড়ার বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকার কারণে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উপকারী।
একজন সুস্থ ব্যক্তি নিয়মিত এক মুঠো অর্থাৎ 15 থেকে 20 টি মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পারবেন। মিষ্টি কুমড়ার বীজ ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। তারপর এটি সালাত এবং বিভিন্ন তরকারির মধ্যে যোগ করে খেতে পারবেন। এতে খাবারের পুষ্টিগুণ আরো বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বিকেলের নাস্তায় আপনি এই বীজ হালকা তেলে ভেজে লবণ দিয়ে খেতে পারেন। এই বীজের উপকারিতা বলে আসলেই শেষ করার মত নয়।
  • মিষ্টি কুমড়ার বিজে ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক থাকার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের ইমিউনিটি ভালো রাখে।
  • মিষ্টি কুমড়ার বেঁচে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তের শর্করার মাথাকে কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে। ডায়াবেটিস রোগী খেতে পারে তাহলে তাদের শরীরে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • কুমড়োর বীজের মধ্যে ট্রিপটোফ্যান নামক এক ধরনের উপাদান থাকার কারণে এটি আমাদের ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
  • মিষ্টি কুমড়ার বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার যা আমাদের ক্ষুধা নিবারণ করার পাশাপাশি আমাদের শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা শরীরের ওজন কমাতে চান তাদের ডায়েট চাটে কুমড়োর বীজ রাখতে পারেন।
  • এই বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
  • কুমড়োর বীজের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আমাদের হারকে মজবুত করতে পারে।
  • এছাড়া কুমড়োর বীজ আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং চুলের পুষ্টি যোগায় পাশাপাশি আমাদের চুলকে রাখে মজবুত।
  • আমাদের ত্বক ভালো রাখতে কুমড়োর বিচির কোন বিকল্প নেই।
  • এছাড়াও পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে এই বীজ।
  • কুমড়োর বীজ খেলে আমাদের মানসিক স্ট্রেস দূর হয় এবং মন শান্ত থাকে।

বীজ জাতীয় খাবার কি

উদ্ভিদের বংশবিস্তারের জন্য মূল উপাদান হচ্ছে বীজ। যেকোনো বীজ ই উদ্ভিদের জগতের ধারক এবং বাহক। বীজের মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশবিস্তার হয়ে থাকে। এছাড়াও বীজ ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বীজ বলতে ফসলের যে কোন অংশ দানা অথবা একটি যে কোন অঙ্গকে পুনরু উৎপাদনের উৎপাদনের সক্ষম হয় এমনটা বোঝায়।
ফুল, ফল কিংবা ফসলের বীজ যেমন নতুন গাছের বংশ রক্ষার ব্যবহৃত হয় ঠিক তেমনি খাবার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তবে সব ধরনের বীজ খাওয়া যায় না। আবার কিছু বীজ রয়েছে যেগুলো আমরা খেয়ে থাকি এবং সেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। যেমনঃ তিসি, তিল ইত্যাদি। সম্প্রীতি কিছু গবেষণায় জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের বিল যেগুলো খাওয়ার উপযুক্ত সেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হাড়ের স্বাস্থ্য সাথে যুক্ত।
এগুলো আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পারে। এছাড়া ও আমাদের স্থূলতা এবং নির্দিষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও বাজারে সূর্যমুখী বীজের তেল, অলিভ অয়েল এবং আরো বিভিন্ন ধরনের বীজের তেল পাওয়া যায় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম যেসব জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে তিল,তিসি এবং কুমড়োর বিচি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়ো বীজ খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয় সে সম্পর্কেও আমরা ধারণা পেয়েছি।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url