সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম জানুন বিস্তারিত

সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা। সজিনা পাতা গুড়া বা মরিঙ্গা পাউডার বলা হয়ে থাকে এটাকে। বলা হয়ে থাকে মরিঙ্গা বা সজনে একটি ভেষজ উদ্ভিদ যাকে আমরা সবজি হিসেবে সবচেয়ে বেশি চিনে থাকি। এছাড়াও এটাকে মাল্টিভিটামিনের আধার বলা হয়ে থাকে।
সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম জানুন বিস্তারিত
সাধারণত এই ভেষজ সবজি আমরা শীতের পরে থেকে বাজারে দেখতে পাই। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে সজনে ডাটার থেকে সজনে পাতাতে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এই কারণে বিশ্বব্যাপী মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়া খুব বিখ্যাত। সর্বোপরি এই খাবার আমাদের দেহের জন্য অনেক পুষ্টিকর। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

ভূমিকা

সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সজনে আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ,ভিটামিন সি ও প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট।

সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম

সজনে পাতা গুড়া খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক পূর্বে আমরা জেনে এসেছি যে সজনে পাতার গুড়া বা মরিঙ্গা পাউডার একটি সুপার ফুড। কারণ এতেই রয়েছে সকল পুষ্টি গুনাগুন। নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়া খেলে আপনি যা যা উপকারিতা পাবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
  • মরিঙ্গা পাউডার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আমাইনো এসিড যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকল ধরনের শারীরিক দুর্বলতা দূর করে দেয়। অন্যদিকে এই ঘোড়ার মধ্যে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান আমাদের শরীরে অনুপস্থিত থাকা সকল ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই পেটে গ্যাসের বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে। পেটের গ্যাস দূর করার জন্য ওষুধের থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস কমানো বেশি নিরাপদ। এই দিক বিবেচনা করলে মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুঁড়া আমাদের পেটের এসিডিটি এবং প্রদাহের সমস্যা দূর করে দেয় খুব সহজেই।
  • রক্তে শর্করা থাকলে তার ডায়াবেটিস উত্তর রক্তচাপ এবং হার্টের সমস্যার সৃষ্টি করে। মরিঙ্গা পাউডার সজনে পাতার উপর প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তে থাকা শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার কারণে এতে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • মরিঙ্গা পাউডারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খনিজ উপাদান যা আমাদের দেহের কার্যক্ষমতা পরিচালিত করে। বিশেষ করে ক্যালসিয়াম দেহের হাড় সুগঠিত করতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রকৃতিতে পাওয়া মরিঙ্গা পাউডার খেলে হাড়জোড় ব্যথা সহ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
  • মরিঙ্গা পাউডারের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম লবণ যা দেহের কোনরকম ক্ষতি করে না বরং উপকার করে। অন্যদিকে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ধারা অব্যাহত রাখে। যার ফলে আমাদের দেহের ব্লাড প্রেসার কমে যায় এবং রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি যদি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খেতে পারেন।
  • আমরা সকলেই জানি আমাদের শরীরের এল ডি এল কোলেস্টেরল আমাদের হার্টের অনেক বেশি ক্ষতি করে। এই কারণে যত কম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল গ্রহণ করা যায় ততোই আমরা সুস্থ থাকতে পারবো। এক্ষেত্রে নিয়মিত যদি সজনে পাতার গুড়া বা মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যায় তাহলে আমাদের শরীরের রক্তে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে এবং উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
  • সজনে পাতার গুড়া বা মরিঙ্গা পাউডারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস যা আমাদের দাঁতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের মধ্যে যাদের বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খেতে পারেন।
  • মরিঙ্গা পাউডার বা মরিঙ্গা পাতার গুড়ার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং যা আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এজন্য ত্বক সুন্দর করার ক্ষেত্রে মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুঁড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • সজনে পাতার গুড়া বা পরিঙ্গা পাউডারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং মূত্রনালী সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
  • আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এ পাউডার। পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়া।
  • এছাড়াও প্রাকৃতিক সজনে পাতার গুড়া বা ভূমিকা পাউডার আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • সজনে পাতার গুড়া বা মরিঙ্গা পাউডারের গুড়ার মধ্যে রয়েছি ভিটামিন এ যা আমাদের চোখ ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার চোখ ভালো রাখতে চান তাহলে নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়া খেতে পারেন।
  • মানুষের শরীরে লিভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যেখানে শরীরে নানাবিধ জৈব ক্রিয়া বিক্রিয়া ঘটে থাকে। আমরা প্রতিরোধে যে সমস্ত ওষুধ খেয়ে থাকি তার বেশিরভাগ লিভার এবং কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর ক্ষতিগ্রস্ত লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে সজনে পাতার গুঁড়ো বা মরিঙ্গা পাউডার।
  • আমাদের দেশে অনেক জায়গার নলকূপের পানিতে প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিকের উপস্থিতি দেখা যায়। আর্সেনিক এক ধরনের বিষ। এই আর্সেনিকের কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, সজনে পাতার গুড়া বা প্রয়োজন এর বীজের মধ্যে থাকা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আর্সেনিক বিষক্রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে।
  • প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পরিমাণ সজিনা পাতার গুড়া খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের অর্ধেক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং রাতকানা সহ বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ করবে।
  • আমাদের দেশে অনেক দরিদ্র পরিবার রয়েছে যেখানে ছেলেমেয়েরা প্রোটিনের অভাবে ভুগে থাকে এবং তাদের শরীরের যথাযথ বৃদ্ধি হয় না। এর কারণ হলো প্রোটিনের উৎস। তারা মাছ মাংস ডিম দুধ ইত্যাদি বেশ ব্যয়বহুল খাবার গুলো খেতে পারে না বিধায় প্রোটিনের অভাবে ভুগে থাকে। কিন্তু গবেষণার মধ্যে জানা যায় সজিনা পাতার মধ্যে প্রায় ১৮ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে যা প্রোটিন গঠনের মূল উপাদান। একই সাথে সজনে পাতা একটি সহজলভ্য খাবার।
  • শুধু খাবার খেতে নয় এটি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। সজনে পাতা বেটে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করার পরে পেস্ট তৈরি করে মাথার ত্বকে লাগানোর কারণে আমাদের মাথার খুশকি দূর হয়ে যায়। এছাড়াও চুলের গোড়া মজবুত থাকে এবং চুল পড়া কমে যায়।
  • এছাড়াও এই পাতার গুড়া খাওয়ার ফলে আমাদের অ্যানিমিয়া দূর হয়ে যায়। যেকোনো শাকের তুলনায় এটি ২৫ গুন বেশি পুষ্টিকর এবং এতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি। এমনকি কলার থেকে তিন গুন বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। এজন্য আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সজনে পাতা দারুন উপকারী।
  • এছাড়াও সজনে বীজের মধ্যে রয়েছে এ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ। এটা পানি বিশুদ্ধকরণে প্রচুর কার্যকর। সজনে পাতা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভধারণের পরবর্তীতে সব ধরনের মায়েদের জন্য এই সজনে পাতা খুবই উপকারী।

সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য। এই আর্টিকেলটি পড়ার পর অনেকেই হয়তোবা কনফিউশনে পড়ে যাবেন তাহলে কিভাবে খাব সেটা নিয়ে। যদিও এটি একটি প্রাকৃতিক উৎস এবং প্রকৃতির একটি নিরাপদ খাবার। এটি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় খাওয়া যেতে পারে। নিচে সজনে পাতা খাওয়ার কয়েকটি রেসিপি দেওয়া হলোঃ

সজনে পাতার ভর্তা

সবচেয়ে সহজ একটি রেসিপি হল সজনে পাতার ভর্তা বানানো। গাছ থেকে কয়েকটি কচি সজনে পাতা সংগ্রহ করে নিয়ে এছে ভালোভাবে ধুয়ে একটি পাতিলে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে তার মধ্যে ভালো করে সজনে পাতাটি সিদ্ধ করে নিন। তারপর সিদ্ধ হয়ে গেলে পাঠাতে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর মধ্যে পেঁয়াজ মরিচ একটু সামান্য তেল এবং লবণ মিশিয়ে ভর্তা করে ফেলুন। গরম ভাতের সাথে খেতে অসাধারণ মজা লাগে।

সজনে পাতার জুস

আমরা খুব সহজেই সজনে পাতা দিয়ে জুস করে খেতে পারি। কারণ সজনে পাতার জুস আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী। প্রথমে ভালোভাবে সজনে পাতা ব্লেন্ডারের ব্লেড করে তার মধ্যে সামান্য কিছু পানি মিশিয়ে একটি গ্লাসে ভালোভাবে ছেঁকে দিতে হবে। এরপর এ টেস্ট বাড়ানোর জন্য স্বাদমতো লবণ, লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। নিয়মিত সজনে পাতার জুস খেলে ক্যান্সার হবার আশঙ্কা কমে যায়।

সজনে পাতা রান্না

যেকোনো মাছের সাথে বা তরকারির সাথে সজনে পাতা শাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে সজনে পাতা আলাদাভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে তারপর সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন। কিন্তু রান্নার সময় খেয়াল করবেন যাতে এর মধ্যে বেশি মসলা না পড়ে যায়। কেননা অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি করে এবং সবজির পুষ্টি গুনাগুন নষ্ট করে দেয়।

সজনে পাতা ভাজি

সজনে পাতা শাক ভাজির মত করে খেতে পারেন। প্রথমের অল্প একটু পানিতে সজনে পাতা ভালোভাবে ধুয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর এর মধ্যে পেঁয়াজ রসুন কালোজিরা তেল এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে কড়াই এর মধ্যে ভেজে নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে অতিরিক্ত তেল না পড়ে যায়।

সজনে পাতার বড়া

সজনে পাতার বড়া বানিয়ে খাওয়া খুবই সহজ এবং মজাদার একটি রেসিপি। প্রথমে পাতা ভালোভাবে ধুয়ে ব্লেন্ড করে নিন বা পাটাতে পিষে নিন। বড়া তৈরির জন্য উপকারী উপাদান হিসেবে প্রয়োজন হবে ডাল। ডাল ভালো হবে ব্লেন্ড করে নিয়ে সেটা সজনে পাতার সাথে মিক্স করে নিন এবং আপনার স্বাদ মতো লবণ মরিচ পেঁয়াজ এবং অন্যান্য উপকরণ যোগ করে তেলে ভেজে নিতে হবে। তাহলে তৈরি হয়ে গেল গরম গরম মজাদার সজনে পাতার বড়া।

সজনে পাতার চা

কি খুব অবাক হয়ে যাচ্ছেন! সজনে পাতার দুইভাবে তৈরি করা যেতে পারে। প্রথমত সরাসরি কাঁচা সোজলে পাতা লাল চায়ের মধ্যে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার অন্যভাবে সজনে পাতা ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে তারপর সেটা গুঁড়ো করে নিয়ে গরম গরম পানিতে মিশিয়ে চা করে খাওয়া যেতে পারে। তারমধ্যে প্রয়োজনমতো চিনি, লেবু বা আদা মিক্স করে নিতে পারেন।

সজনে পাতার গুড়া

সজনে পাতার গুড়া দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ থাকে এবং এর পুষ্টি গুনাগুন সংরক্ষণ থাকে। এজন্য প্রথমে সজনে পাতার গাছ থেকে নিয়ে এসে ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে গুড়া করে নিতে হবে। এরপর কাচের পাত্রে ভালোভাবে সারা বছর সংরক্ষণ করা যাবে। এরপর আপনি সজনে পাতার গুড়া যে কোন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন বা চা বানিয়ে খেতে পারেন।
এই শজনে পাতার গুড়া রাতে ঘুমানোর সময় এক গ্লাস নরমাল পানিতে এক চামচ পাতার গুড়া মিক্স করে রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নেবেন। সকালে খালি পেটে না খেতে পারলে বা মনে না থাকলে আপনি গোসলের আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিবেন। এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য এর মধ্যে হালকা লবণ এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
এছাড়াও ফলের জুসের সাথে মিক্স করে এটি খেতে পারেন। একটা আপেলের সাথে দুইটা সজনে পাতার গুড়া ব্লেন্ডার দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও তরকারি রান্না করার সময় দরকার ভেতরে দুই চামচ মিক্স করে নিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। প্রথম প্রথম খেতে হয়তো একটু খারাপ লাগতে পারে কিন্তু আস্তে আস্তে অভ্যাস করে নিলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার
 তবে দুই থেকে তিন দিন খেলে তারপর আর সমস্যা হয় না অনায়াসে প্রতিদিন খাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন গর্ভবতী মায়েদের জন্য শরীরের পাতার গুড়া খাওয়া ঠিক নয়। আর যদিও খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলামসজনে পাতার গুড়া খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সকল তথ্য।আসলে সজনে পাতাকে এখন বলা হচ্ছে অলৌকিক পাতা। বিজ্ঞানীরা সজনে পাতাকে বলেছেন, অলৌকিক পাতা। কেন নয় সজনে পাতার মধ্যে যে ফুড ভ্যালু এবং নিউট্রিশন এর কন্টেন্ট রয়েছে তা যে কোন মানুষকে অবাক করে তুলবে।
এছাড়াও সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ। ২৭০ গ্রাম আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট, ২% রয়েছে ফ্যাট। এছাড়াও রয়েছে ১৯ শতাংশ ফাইবার।এছাড়াও আরো জানলাম সজনে পাতা খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।
আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url