লবঙ্গ এবং এলাচের যতো উপকারিতা এবং বিস্ময়কর সব গুণ সম্পর্কে জানুন
লবঙ্গ এবং এলাচের যত উপকারিতা এবং বিস্ময়কর সব গুন নিয়ে আজকের আর্টিকেল। মসলা হিসেবে লবঙ্গ এবং এলাচ দুটোই আমাদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়। আমরা কমবেশি প্রায় সব রান্নাতেই লবঙ্গ এবং এলাচ ব্যবহার করে থাকে। রান্নার স্বাদ ভিত্তিতে এবং সুগন্ধ ছড়াতে এই দুই মসলার কোন বিকল্প নেই।
এছাড়াও শুধু রান্নার ক্ষেত্রেই নয় এই দুটো মসলার রয়েছে যথেষ্ট গুনাগুন যা আমরা ভাবতেও পারি না। দেখতে ক্ষুদ্র এই মসলা দুটোকে তার বিশদ গুণাগুণ এর জন্য সমস্ত মসলার চেয়ে সেরা বলে আখ্যায়িত করা হয়। এজন্যই এলাচ এবং লবঙ্গে মসলার রানী বলা হয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক লবঙ্গ এবং এলাচের যত উপকারিতা এবং বিস্ময়কর সব গুণ সম্পর্কে জানতে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
চলুন তাহলে জেনে নেই লবঙ্গ এবং এলাচের যতো উপকারিতা এবং বিস্ময়কর সব গুণ সম্পর্কে।এই বিশেষ মসলা দুটি সাধারণত ভারত, ভুটান, নেপাল এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোতে বেশি বেশি করে চাষ হয়ে থাকে। এলাচ এবং লবঙ্গ দুটোয় স্বাদ এবং সুগন্ধর জন্য দারুন একটা উপকরণ। মসলা চা হোক বা সাধারন দুধ চা, দুটোর ৭ বাড়াতে অনেকেই এলাচের ব্যবহার করে থাকে।
লবঙ্গ এবং এলাচের যতো উপকারিতা এবং বিস্ময়কর সব গুণ
আমাদের মধ্যে অনেকেই এই দুটো মসলা পছন্দ করে না। আবার অনেকে খালি পেটে এই দুটো মসলা খেয়ে থাকে। আসলে এই মসলা দুটোর বিভিন্ন গুনাগুন রয়েছে। বিশেষ করে শীত আসলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে আমাদের। এজন্য শীতের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বেশি শক্তিশালী করতে এই দুটো মসলার কোন জুড়ি নেই। এই দুটো মসলার গুরুত্ব আমার বেশিরভাগ সময় বুঝতে পারিনা।
লবঙ্গের গুনাগুন
- একচামচ লবঙ্গের গুড়ার মধ্যে রয়েছে ৬ ক্যালোরি, ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম ফাইবার, দৈনন্দিন চাহিদার ৩ শতাংশ ভিটামিন সি, ২ শতাংশ ভিটামিন কে এবং পঞ্চান্ন শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ। এছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই।
- লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে টক্সিন উপাদান গুলো বের করে দেই। পাশাপাশি লিভার এবং শরীরে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি বাড়াতে সাহা য্য করে।
- লবঙ্গের মধ্যে এক ধরনের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে যা শরীরের যাওয়ার পর কিছু বিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং আমাদের শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর করে দেয়। বিশেষ করে দাঁতের যন্ত্রণা এবং মাড়ি ফুলে গেলে লবঙ্গ দিয়ে চা খেলে উপকার পাবেন।
- গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে, লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ যেকোনো ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলতে সক্ষম। এজন্য শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিয়মিত লবঙ্গ খেতে পারেন।
- যেকোনো ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলে সে ক্ষতস্থানের লবঙ্গ বেটে সেটার রস লাগিয়ে দিতে পারলে সেখানকার জ্বালাপোড়া দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে এবং তাড়াতাড়ি সেরে যাবে। কারণ লবঙ্গের মধ্যে থাকা ভোলাটাইল অয়েল শরীরে টক্সিক উপাদান বের করে দিতে পারে।
- লবঙ্গের মধ্যে থাকে ভিটামিন ই এবং কে। এই দুটো উপাদান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। ফলে শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস গুলো মরে যায়। এজন্য আমাদের ঘন ঘন জ্বর হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
- দুপুরে বাড়িতে ভাত খাবার আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেতে পারলে আমাদের হজমে সহায়তা করবে। এছাড়াও পেটের রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটবে ফলে খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগবে না।
- লবঙ্গ আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান গুলো সরিয়ে রক্তকে পরিশোধন করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। লবঙ্গের তেলের জীবাণুনাশক বিভিন্ন গুনাগুন রয়েছে।
- আমাদের মাংসপেশীর বিভিন্ন প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা দূর করতে লবঙ্গের কোন জুড়ি নেই। বাতের ব্যথায় স্থানে লবঙ্গের তেল মেসেজ করুন দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ব্যথা সেরে গেছে।
- এক গ্লাস গরম দুধে লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন আপনার মাথাব্যথা দ্রুত কমে গেছে এবং পাশাপাশি আপনার বেস্ট ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- তুলসী, পুদিনা পাতা, লবঙ্গ মেশানো শরবত পান করলে মানসিক চাপ কমে যায়।
- যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের জন্য লবঙ্গ ভীষণ রকমের উপকারী। শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রেখে শরীরের রক্ত থেকে কোষের মধ্যে বাড়তি চিনির পরিবহন করতে সাহায্য করে।
- লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য হৃদপিণ্ড স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটির রক্তচাপ করাতে এবং রক্ত আলীর কার্যকরিতা আবৃত্তিতে সাহায্য করে।
- লবঙ্গ ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন কে এর একটি ভালো উৎস যা শক্তিশালী হাড় তৈরি করতে এবং হাড়ের খনিজ পদার্থ গুলোকে ভাল রাখতে প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে যখন বয়স্কদের হাড় ফাঁপা হয়ে আসে তখন লবঙ্গ বেশ কার্যকর।
- লবঙ্গের এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বা জীবাণুর অতি বৈশিষ্ট্য স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। এটি আমাদের প্রদাহ কমায় এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখে।
- লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে ইউজেনল নামক এক ধরনের পদার্থ যা আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে স্ট্রেস আর প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে পারে। সব মিলিয়ে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ভারতে লবঙ্গ বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
- মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা জরুরী। এক্ষেত্রে লবঙ্গ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সমান কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে লবঙ্গের মাউথ ওয়াশ মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং মুখের বিভিন্ন সমস্যাগুলো দূর করে দেয়।
- ভাত বা বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও খাওয়ার আগে এক চিমটি লবঙ্গের গুড়া ছিটিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন বিজ্ঞানীরা। যা আমাদের সুস্থ থাকতে এবং দীর্ঘায়ু থাকতে প্রয়োজন।
- আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য অনুযায়ী লবঙ্গ কফ দূর করতে এবং গলার পেশিকে আরাম প্রদান করতে সাহায্য করে। তাই লবঙ্গ না গিলে চিবানোর কথা বলেন।
- শোনা যায় খ্রিস্টপূর্ব তিন শতকে চীনে যখন রাজবংশের শাসন চলে তখন নাকি সেখানকার রাজ্য সভায় মুখের লবঙ্গ রেখে প্রবেশ করা হতো। কেননা লবঙ্গ আমাদের মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন খালি পেটে লবঙ্গ খেতে পারলে আমাদের মাইগ্রেনের সমস্যা মাথা ব্যথা সমস্যা ইত্যাদি কমে যায়।
- গবেষণায় দেখা গেছে লবঙ্গ চা খাওয়া মাত্রই আমাদের দেহের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন শুরু হয় যা দেহে প্রতিটি কোনায় কোনায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কার্যক্ষমতা বাড়তে থাকে পাশাপাশি শরীরে সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়।
- বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে লবঙ্গ।আমাদের মধ্যে অনেকেই বাসে করে জানি করতে পারে না। বাসে যাওয়ার সময় যদি মাথা ঘুরে বা বমি চলে আসে তাহলে সে ক্ষেত্রে মুখে একটি লবঙ্গ রেখে চুষলে বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা কমে যায়।
- লবঙ্গ শুধু স্বাস্থ্য উপকারিতায় নয় বরং আমাদের চুল পড়া কমাতে এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে আধা চামচ লবঙ্গ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সেই তেল তোলার গোড়ায় দিলে চুলের গোড়া মজবুত হয়।
এলাচের গুনাগুন
এলাচ এমন একটি মসলা যেটা সবার রান্নাঘরে রয়েছে। অনেকের এই জিনিসটা খুবই অপছন্দের। বিরিয়ানি বা মাংসের মধ্যে এলাচ পাওয়ার পর খুবই বিরক্ত লাগে। কিন্তু এলাচের বিভিন্ন রকম ঔষধি গুণাবলী এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা আমরা অনেকেই হয়তোবা জানিনা। এলাচের মধ্যেই রয়েছে প্রোটিন,কার্বোহাইড্রেট,কোলেস্টেরল,ফাইবার,রাইবোফ্লাবিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ইলেট্রোলাইট এবং জিংক।
- নিয়মিত এলাচের নির্যাস পানি পান করলে মানসিক উদ্বেগ অনেকটাই কমে যায়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে ডাক্তারেরা এলাচের পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বা এলাচ দিয়ে চা খাওয়ার দিয়ে থাকেন।
- এলাচে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বয়সের, ছাপ বিভিন্ন রেডিকেল, এবং ডার্ক সার্কেল পরতে বাধা প্রদান করে। ক্ষতিপূরণেও বেশ সহায়ক এলাচ।
- হেঁচকি সমস্যা সমাধানে এক কাপ গরম জলের মধ্যে এলাচ দিয়ে সেটা মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে আস্তে আস্তে পান করলে হেঁচকি সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
- পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন বুক জ্বালা পোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে এলাচ খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- এলাচের কিছু পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে যার মাধ্যমে টিউমার বাড়তে পারে না।
- যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা এলাচ খেলে খুব সহজেই কিছুদিনের মধ্যে রক্তচাপ নিজের আনতে শুরু করে।
- রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়া সমস্যা সমাধানে ভূমিকা অপরিসীম। নিয়মিত এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব স্বাভাবিক থাকে।
- মধু, লেবুর রস এবং গরম জলের সাথে এলাচ মিশিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়া ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এলাচ।
- যাদের হাঁপানি এবং হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের জন্য এলাচ খুবই উপকারী একটি মসলা। এলাচের গুড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হৃদরোগের উপকার পাওয়া যায়।
- আমাদের মধ্যে অনেকের গায়ে বিভিন্ন রকম চুলকানি বা চর্ম রোগের সমস্যা রয়েছে। সাধারণত মলম ব্যবহারেও এসব সমস্যা ঠিক হয় না। তখন বড় একটি এলাচ চন্দনের মত সুন্দরভাবে ঘোষের লাগিয়ে রাখুন। এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার চুলকানি দূর হয়ে গেছে।
- যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা এক লাখ গরম দুধের সঙ্গে এলাচি মিশিয়ে খাবেন। দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
- কারো কারো কোন ভারী জিনিস তুললে হঠাৎ করেই পেশির মধ্যে টান ধরে। এক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম জলে গুলে ভালোভাবে ছেঁকে সেই পানি পান করতে হবে। এতে তৎক্ষণাত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
- গরমকালে জুতা পরলেও অনেকের পায়ে ভীষণ রকম দুর্গন্ধ হয়। যাদের এরকম সমস্যা রয়েছে তারা একটি বড় মাপের এলাচি বেটে পায়ের সাথে লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন আপনার পায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়ে গেছে।
- অনেকের বিভিন্ন ভয় জনিত সমস্যা রয়েছে। যেমন অন্ধকারে ভয়, অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ভয়। তাদের এ ধরনের সমস্যাতে নিয়মিত দুবেলা দুটি করে এলাচি মুখে রেখে আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
- অনেকের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে প্রস্রাব হতে চায়না যাদের জন্য দুটি এলাচি এক কাপ গরম পানিতে চায়ের মত করে পান করলে এই দুটি সমস্যা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
- এলাচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানি ক্ষতিকর উপাদান গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে বিষমুক্ত রাখে। এই মসলা আপনার জীবনকে সহজ করে দিতে পারে।
- সাধারণত সবাই সাদা এলাচের সঙ্গে আমরা বেশি পরিচিত। কিন্তু কালো এলাচ ভুলো আরেক ধরনের এলাচ রয়েছে যার উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ করা রয়েছে, কালো এলাচ আমাদের পিত্ত প্রশমিত করে। আপনার খাবারের রুচি ফিরে আনতে এবং হার্ট কিংবা লিভারের সুস্থতায় কালো এলাচ বেশি উপকারী।
- কিংবা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ও আপনার ক্ষুধা বাড়াতে কালো এলাচ চিবাতে পারেন।
- আমাশয় বা কলেরা রোগীরা এক গ্রাম কালো এলাচের গুড়া সেবনে বিশেষ উপকার পাবেন। হঠাৎ বমি বমি ভাব দূর করতে চাইলে দুইটি কালো এলাচ এবং পুদিনা পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি একটু একটু করে পান করুন।
- বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের যেমন লিভার ডিজঅর্ডার, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে এবং আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কালো এলাচের কোন বিকল্প নেই।
- এজন্য আমাদের সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত এ ধরনের কিছু মসলা বা জাদুকরী উপাদান খাওয়া দরকার। এতে করে আমাদের শরীর ভালো থাকবে এবং শরীর ভালো থাকলে আমরা মানসিকভাবেও ভালো থাকবো।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম লবঙ্গ এবং এলাচের যতো উপকারিতা এবং বিস্ময়কর সব গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url