দৈনন্দিন জীবনে নিমের উপকারিতা ও বিস্ময়কর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানুন
দৈনন্দিন জীবনে নিমের উপকারিতা ও বিস্ময়কর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি নিজেও অবাক হয়ে যাবেন। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গুনাগুন। এটি বহু শতাব্দীর ধরে বিভিন্ন ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ পাতার সাথে তো হলেও এর উপস্থিত গুনাগুন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হিন্দু ধর্ম নিম গাছের গুরুত্ব অপরিসীম।
তাদের ধর্মে নিম গাছের পুজো করা হয়। নিমের মধ্যে আছে প্রায় ১৩০ টি ওষুধের গুণাগুণ। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে নিম পাতা খুবই কার্যকর একটি উপাদান। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর কোন জুড়ি নেই। প্রিয় পাঠক আপনি যদি দৈনন্দিন জীবনের নিয়মের উপকারিতা এবং বিস্ময়কর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকে আমার পোস্টের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
আমাদের মধ্যে দৈনন্দিন জীবনে নিমের উপকারিতা এবং বিস্ময়কর কার্যকারিতা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই অনেক কিছুই জানেন। মিমের পাতা দিয়ে আজকাল বিভিন্ন প্রসাধনীও তৈরি করা হচ্ছে। শুধু মিমের পাতায় নয় নিমের ফুল এবং কাঠ দুটোই খুব উপকারী। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এই কাঠে কখনো ঘুন ধরে না। উইপোকা বাসা বাঁধতে পারে না।
দৈনন্দিন জীবনে নিমের উপকারিতা ও বিস্ময়কর কার্যকারিতা
নিম এমন একটি বৃক্ষ যা পৃথিবীর ৩০ টি দেশেই পাওয়া যায় আর যুগ যুগ ধরে এটি ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিমের পাতা আর নিমের বাকল আজকাল বাজারে হরহামেশে কিনতে পাওয়া যায়। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দৈনন্দিন জীবনে মিমের উপকারিতা এবং বিস্ময়কর কার্যকারিতা সম্পর্কেঃ
- আপনি যদি একজন ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে নিমপাতা আপনার জন্য ভীষণ উপকারী। কারণ নিমপাতা খেলে আমাদের ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক থাকে। এজন্য যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা নিয়মিত নিম পাতার জল খেতে পারেন।
- নিম পাতার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা রয়েছে তারা নিমপাতা খেয়ে ভীষণ উপকার পাবেন। এই পাতাগুলো মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে দিতে পারে।
- নিম পাতায় পর্যাপ্ত পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পাওয়া যায়। এই দুটি উপাদান আমাদের লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং এটি খেলে আমাদের রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের হয়ে যায়।
- নিম পাতায় এন্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ভাইরাল কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবে পরিচিত। নিম পাতা খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ঋতু পরিবর্তন হওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা থেকে নিম পাতা উপশম দিতে পারে।
- নিম পাতা আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গার ক্ষত সারাতে খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে একটি পেস্ট বানিয়ে আঘাত জনিত স্থানে বা কীটপতঙ্গ কামড় দিলে সেই স্থানে লাগালে খুব দ্রুত সেরে যায়।
- আমাদের চোখে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিম পাতা আমাদের জন্য ভীষণ উপকারী। নিমপাতা সেদ্ধ করার পর সেই পানিটা ঠান্ডা করে চোখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে চোখের বিভিন্ন সমস্যা এবং চোখ ওঠার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব সহজেই।
- অনেক ক্ষেত্রে ছোট বাচ্চাদের কান ফুটো করার পর সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে নিম পাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা গুঁড়ো করে নিয়ে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে সংক্রমণ স্থানে লাগিয়ে দিলেই যথেষ্ট।
- নিমের পাতা পেপটিক আলসারের চিকিৎসায় খুবই অবিশ্বাস্য ভূমিকা পালন করে থাকে। পেপটিক আলসার যা পাকস্থলীর আলসার নামেও পরিচিত। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে যে নিম পাতার নির্যাসে পেপটিক আলসার নিরাময় হয়।
- প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস নিমপাতার জল খেতে পারলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে বহুগুনে। ফলে আপনি খুব সহজে অসুস্থ হবেন না এবং আপনার শরীর ভালো থাকবে।
- আমাদের মধ্যে অনেকেরই এলার্জির খুবই বেশি সমস্যা রয়েছে। এরকম যাদের রয়েছে তারা গোসলের আগে নিম পাতা দিয়ে পানি ভালো করে ফুটানোর পরে সেটা ঠান্ডা করে সেই পানি দিয়ে গোসল করবেন। এতে আপনার শরীরে এলার্জি সমস্যা কমে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।
- একজিমা, ফোড়া এবং বিভিন্ন ধরনের নিম পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে কয়েক সপ্তাহ করতে থাকুন দেখুন খুব তাড়াতাড়ি আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
- যদি আপনার পায়ে কোনরকম ফাংগাল ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে সেখানে নিমপাতা ব্যবহার করুন। কারণ নিম পাতার মধ্যে নিম্বিডল এবং জেডুনিন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা ফাঙ্গাস ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
- নিমপাতা নিমের বীজ এবং বাকল আমাদের বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। বাতের ব্যথায় নিমের তেল ভালোভাবে মাসাজ করলে বেশ কয়েকদিনের মধ্যে আপনার দাঁতের ব্যথা সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
- বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস রোগ যেমন চিকেন পক্স, হাম এবং বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হলে নিমপাতা বেটে লাগালে খুব কম সময়ের মধ্যে উপকার পাওয়া যায়। আবার নিম পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি ঠান্ডা করে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যায়।
- নিম পাতার মধ্যে রয়েছে গ্যাডোনিন নামক এক ধরনের উপাদান যা ম্যালেরিয়ার ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও নিম পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সে পানি একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। নিয়মিত ঘরে স্প্রে করুন আপনার ঘরের মশার উপদ্রব কমে যাবে।
- জন্ডিস হলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস মধু দিয়ে খেলে উপকার মিলবে। ২৫ থেকে ৩০ ফোটার নিমপাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খাবেন। এভাবে কয়েক সপ্তাহ খেলে আপনার জন্ডিস রোগের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
- নিম পাতার রস আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্তে শর্করা মাত্রা কমায়। এছাড়াও তো রক্ত চলাচল বাড়িয়ে হৃদপিন্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- অনেক সময় ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমে যায় এবং বুকে ব্যথা হয়। সে ক্ষেত্রে নিম পাতার রস ভীষণ উপকারী। মধু সঙ্গে মিশিয়ে নিম পাতার রস খেলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
- যদি আপনি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে নিম পাতার কোন জুড়ি নেই। মিমের ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং শরীরের চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে এক মুঠ নিমের ফুল নিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে ভেঙে তার সাথে এক চামচ মধু এবং আদা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে পান করুন। আপনার শরীরের ওজন দ্রুতই কমে যাবে।
- দাঁতের সুস্থতার জন্য নিমের ডালের মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে আদিকাল থেকে। মিমের ছাল ও চালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাখলে আমাদের দাত হবে মজবুত এবং রক্ষা পাবে দাঁতের বিভিন্ন রোগ থেকে। এছাড়াও দাঁতের পচন রক্তপাত এবং মাড়ির ব্যথা কমাতে নিম পাতা এবং নিমের ডাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- বাচ্চাদের সাধারণত পেটে কৃমি হয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়, রোগা হয়ে যায় ইত্যাদি। বাচ্চাদের পেটে কৃমি নির্মূল করতে নিমের পাতার কোন বিকল্প হয় না। সে ক্ষেত্রে ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের গুড়া দিনে তিনবার সামান্য গরম জল দিয়ে খাওয়াতে হবে। তাহলে কৃমির উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- আমাদের মধ্যে অনেকের গায়ে খোস পাঁচড়া বা চুলকানির সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নিমের পাতা হতে পারে জাদুর মত। নিমের পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ বিষে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। এভাবে আট থেকে দশ দিন করলে গায়ের বিভিন্ন ধরনের চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
চুলের যত্নে নিম পাতা
নিম পাতার যে অনেক গুণ রয়েছে তা সকলেরই জানা। এন্টি ব্যাকটেরিয়ার উপকরণ হিসেবে নিমের কোন জবাব নেই। কোন কারনে মুখের অরুচি দেখা দিলে রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তবে নিম চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। অন্যান্য উপকরণের মত নিম পাতা দিয়ে চুলের পরিচর্যা করা যায়। চুলের যত্নে নিমপাতা যেভাবে ব্যবহার করা যাবেঃ
- নারী-পুরুষ উভয়ের চুলে খুশকির বিভিন্ন রকমের সমস্যা রয়েছে। বছরের পর বছর বিভিন্ন মৌসুমী বিশেষ করে বর্ষা বা শীতকালে খুশকি সমস্যা বেড়ে যায়। তার পাশাপাশি মাথায় বিভিন্ন ধরনের চুলকানির সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যাতে নিমপাতা বেটে চুলের গোড়াতে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
- চুলের বৃদ্ধি বা গ্রুপের পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে নিম পাতা। নিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকরণ গুলো হেয়ার ফলিকল এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। ফলে চুল পড়া কমে এবং চুলের বৃদ্ধি হয়।
- অনেকের অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। এ ধরনের সমস্যার সমাধানে নিম পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। জানা গিয়েছে নিম পাতার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই অকালপক্কতার সমস্যার সমাধান করতে পারে। অর্থাৎ চুল সাদা হতে দেয় না।
- চুলের রুক্ষ শুষ্ক ভাব দূর করতে এবং চুলকে মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে নিম। বিশেষ করে চুলের ডগার অংশে ভালো কন্ডিশনের কাজ করে থাকে। এর ফলে চুল নরম এবং উজ্জ্বল হয়। অর্থাৎ নিম পাতা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে থাকে।
- উকুনের সমস্যা ততটা বিরক্তিকর ঠিক ততটাই বিব্রতকর। মাথার ত্বকের থেকে রক্ত শোষণ করে উকুন বেঁচে থাকে বলে মাথার ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেইসাথে চুলকানি তো রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে উপন্যাস ও শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায় না এবং পুনরায় ফিরে আসে। এক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার হতে পারে দারুন কার্যকর।
- ২০ থেকে ৩০ টি নিমপাতা নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে মিক্স করে নিন।এর সাথে দুই টেবিল চামচ হেনা পাউডার নিয়ে নিন। এবার পর্যাপ্ত পরিমাণে জল মিশিয়ে দিতে হবে এরপর মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসলে চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। 30 মিনিট রেখে তারপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
- আবার কয়েকটি নিমপাতা নিয়ে তার সাথে কিছু কারি পাতা ব্লেন্ডারে একসাথে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে একটি পেজ তৈরি করতে হবে। তার সাথে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে একটি হেয়ারমাক্স তৈরি করে নিন এবং চুলে ব্যবহার করুন।
- ১৫ থেকে ২০ টি নিমপাতা এবং গাছের টাটকা অ্যালোভেরা নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ টক দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন এতে আপনার চুল হবে সিল্কি এবং সফট।
- নিম পাতার মধ্যে পানি দিয়ে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেখানে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল তেল যোগ করুন। পানি ঠান্ডা করে নিয়ে ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে নিন। এতে করে আপনার চুলের খুশকি সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের যত্নে নিম পাতা
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নিমপাতা খুবই উপকারী। চাইলে আপনি নিমপাতার শুকিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিম পাতার গুঁড়া সংরক্ষণ করতে পারেন। ত্বকের সমস্যা সমাধানে নিম পাতা ভালোভাবে বেটে মুখে লাগালে যে কোন সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মুখে যদি কারো ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে হালকা কয়েকটা নিম পাতা বেটে তার মধ্যে কাঁচা হলুদ ভালোভাবে মিক্স করে ব্রণের জায়গায় লাগাতে হবে।
এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলে অল্প দিনের মধ্যে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের যদি কাঁচা নিমপাতা বেটে লাগালে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে নিম পাতা শুকিয়ে সেই গুড়ো মুখে লাগাতে পারেন। তবে তার সাথে হালকা টক দই এবং এলোভেরা মিক্স করলে আরো বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। নিম পাতার নিয়মিত মুখে লাগানোর ফলে আমাদের মুখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম দৈনন্দিন জীবনে নিমের উপকারিতা ও বিস্ময়কর কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়ো চুলের যত্নে এবং ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা ধারণা পেয়েছি।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url