অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে কি হতে পারে জানুন
অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে কি হতে পারে এটা নিয়ে আমাদের অনেকের কোন রকম ধারনা নেই।ঘুম মানবদেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কেননা ঘুম যদি না থাকতো তাহলে মানুষ বেঁচে থাকতে পারতো না। একটি মানুষ সাধারণত তিন দিন না ঘুমালে পুরো পাগল হয়ে যেতে পারে। যদি সে সাত দিন একটানা না ঘুমায় তাহলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।তবে আমাদের প্রত্যেকের ঘুমানো উচিত পরিমান মত। অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক তেমনি কম ঘুমও আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। মূলত একজন মানুষের দিনে 8 থেকে 9 ঘন্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দিতে পারে। ঘুম আমাদের শরীরের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে কি হতে পারে সে সম্পর্কে। ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো এবং অলস জীবনযাত্রা আমাদের শরীরে বয়ে আনতে পারে বিভিন্ন রকম সমস্যা এবং অকাল মৃত্যু। সম্প্রীতি এক গবেষণায় জানা গেছে, অতিরিক্ত ঘুম মানে দিনের ১০ থেকে ১২ ঘন্টা যারা ঘুমিয়ে কাটান তারা শারীরিকভাবে সক্রিয় নন এবং তাদের অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা চার গুণ বেশি বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে কি হতে পারে
কখনো কখনো আমাদের শরীরে কিছুটা অতিরিক্ত পুনরুদ্ধারের সময় প্রয়োজন। যেমন যেকোনো ধরনের অসুস্থতা বা আঘাত এমনকি কাজের সময়সূচী ইত্যাদি কারণে অনেক সময় আমাদের জীবন যাপনের পর্যাপ্ত ঘুম হতে বাধা দেয়। তখন মাঝেমধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি ঘুমাতে হয়। কিন্তু এটা নিয়ে চিন্তা করার মত কিছু নেই। তবে প্রতিদিন যদি ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ঘুমানো হয় তাহলে সেটাকে অতিরিক্ত ঘুম বলে গণ্য করা হয়। প্রিয় পাঠক অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে কি হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যঃ
সারাক্ষণ ঘুম পাওয়ার সমস্যা কি বলা হয় হাইপারসোমনিয়া।এই রোগে আপনি সাধারণত রাতে পর্যন্ত ঘুমানোর পরেও দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম অনুভব করবেন।হাইপারসোমনিয়া হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধি যেখানে একজন দীর্ঘক্ষণ ধরে রাতে ঘুম অথবা দিনের বেলা উঠতে দেখুন উপলব্ধি করতে পারে ।
তারা এত কম ঘুমানোর জন্য প্রায় সময় দৈনন্দিন জীবন যাপনে কাজ কর্মে অমনোযোগী হয়ে ওঠে। তবে অনেক সময় বিভিন্ন ওষুধের কারণে অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে। এজন্য সবার আগে অতিরিক্ত কম হওয়ার কারণটা খুঁজে বের করতে হবে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ভারী খাবার খাওয়ার পরেও ঘুম ধরতে পারে। আবার অতিরিক্ত ঘুমালে আমাদের শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়
গবেষণায় জানা গেছে অতিরিক্ত ঘুমের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘক্ষণ ঘুমালে ডায়াবেটিস টু হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ঘুমের স্বাভাবিক চক্র আমাদের মেনে চলতে হবে।
স্থূলতা
কম ঘুম এবং বেশি ঘুম দুটোই আমাদের শরীরের ওজন এবং মেদ বাড়ায়। যারা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিক্ষণ ঘুমান এবং প্রতি রাতে ৯ ঘন্টায় বেশি ঘুমান তাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে শরীরে ভাসা করতে পারে বিভিন্ন রকম রোগ ব্যাধি।
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে
অতিরিক্ত ঘুমের কারণে হৃদরোগ জনিত বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে আমাদের শরীরে। গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষগুলো প্রতিদিন দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়।
বিষন্নতা দেখা দিতে পারে
অতিরিক্ত ঘুমানো আমাদের বিষন্নতার কারণ হতে পারে। কম ঘুমালেও যেমন আমাদের মধ্যে বিষন্নতা দেখা দিতে পারে ঠিক তেমনি বেশি ঘুমালেও হতে পারে বিষন্নতা এবং মানসিক অশান্তি। তাই বেশি ঘুমানো কিংবা ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা দেখলে আপনার সতর্ক হওয়া দরকার।
ক্লান্তি এবং আলসেমি
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে শরীরের মধ্যে একটি তরতাজা ভাব চলে আসে। কিন্তু যখন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকালে অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠা হয় তখন আমাদের শরীরের মধ্যে একটি আলসেমি কাজ করে। কাজে তেমন মনোযোগ দেওয়া যায় না। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়।
আয়ু কমতে পারে
একটি গবেষণায় জানা গেছে যারা অতিরিক্ত বেশি ঘুমায় তাদের দ্রুত মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায় অন্যদের চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ বেশি। তাই অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস আমাদের বাদ দেওয়া জরুরী।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা দুর্বল করে
২০১২ সালে এক গবেষণায় জানা গেছে যারা খুব বেশি সময় ধরে ঘুমায় তাদের মস্তিষ্কে কাজ করার ক্ষমতা দ্রুত কমে যায়। নারীরা ৯ ঘন্টার বেশি সময় ধরে নিয়মিত ঘুমালে তাদের ব্রেনের কার্যক্ষমতা দ্রুত কমে যায়।
গর্ভধারণে সমস্যা হয়
কোরিয়ার ২০১৩ সালের গবেষণায় জানা যায়, অতিরিক্ত ঘুমের কারণে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায়। প্রায় ৬৫০ জন নারীর উপর এ গবেষণা চালানো হয়েছে এবং ঘুমের সাথে দেহের অন্যান্য জৈবিক কার্যক্রম যেমন হরমোন এবং ঋতুস্রাবের বিষয়টি জড়িত বলে জানা গেছে।
ব্যথার সৃষ্টি হওয়া
দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমালে অর্থাৎ শরীরের কোন নড়াচড়া না থাকলে স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীর ব্যথা হবে। এক্ষেত্রে পিঠে প্রচুর পরিমাণ ব্যাথা সৃষ্টি হতে পারে। লম্বা সময় ধরে ঘুমালে এবং সঠিক নিয়মে শুয়ে না থাকলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত ঘুমালে মাথাব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুম থেকে বাঁচার উপায়
- আপনার কখন ঘুম থেকে ওঠা জরুরি এবং কখন ঘুমাতে যাওয়ার জরুরী সে অনুপাতে একটি এলার্ম সেট করে রাখুন। এলাম সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে যান।
- অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেতে চায় না। বলা হয়ে থাকে যদি ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিটের মধ্যে নাস্তা না খান তাহলে আপনি রাতে ভালোমতো ঘুমাতে পারবেন না। সকালের নাস্তা আপনার সারাদিনের শক্তি যোগায় এবং রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
- ঘুম থেকে উঠেই দুই গ্লাস পানি খেয়ে ফেলুন। পানি খেলে আমাদের শরীর স্বদেশ থাকে এবং আমাদের মস্তিষ্ক সজীব হয়ে ওঠে। আর ঘুম ভাব কেটে যায়।
- এছাড়াও যখন অতিরিক্ত ঘুম পাবে তখন চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিতে পারেন। এতে আপনার চোখের ঘুম ঘুম ভাব কমে যাবে। আপনি গোসল করে ফ্রেশ হলে আপনার ঘুম চলে যাবে।
- সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এক কাপ চা বা কফি খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরে ঘুম ঘুম ভাব এবং অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে আপনি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ৬ ঘন্টা আগে কোন রকম চা বা কফি খাবেন না। চা কফি খাওয়ার পরিবর্তে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় হেলদি খাবার রাখতে পারেন।
- রাতে হালকা খাবার খেতে পারেন। কারন অনেক সময় গরমে রাতে বদ হজম হওয়ার সমস্যা হতে পারে। তাই রাতে ভালো করে রিলাক্সে ঘুমাতে চাইলে হালকা খাবার খান যেটা খুব সহজে হজম হয়ে যাবে।
- বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কেননা এ ধরনের খাবার আপনার শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এইজন্য রাতে বা দিনের যেকোনো সময় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন।
- প্রতিদিন রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর চেষ্টা করবেন এবং ভোর ভোর ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত রাত করে না ঘুমানো ভালো। বেশি রাত করে ঘুমানোর অভ্যাস করবেন না।
- নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে পাশাপাশি শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকবেন। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং আমরা নিয়মিত সময়মতো ঘুমাতে পারবো এবং ঘুম থেকে উঠতে পারব।
- কোন ধরনের দুশ্চিন্তা করা যাবে না। কারণ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের ঘুম ঠিক ভাবে হতে দেয় না। এজন্য কোন রকম দুশ্চিন্তা না করে সব রকম বদভ্যাস ত্যাগ করে নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন বন্ধ করে রাখুন। কেমন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইলে অনেকটা সময় আমরা কাটিয়ে দিই। আর সকালে আমাদের ঘুম ভাঙতে চায় না। ঘুম কারো হবার জন্য যে মেলাটোনির নামক হরমোন ক্ষরণ হয় সেটি ফোনের আলোতে ক্ষরণে বাধা দেয়। এজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল ল্যাপটপ কিছু ব্যবহার করা উচিত নয়।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে ঘুমানো উচিত এবং যেভাবে নিষেধ করা হয়েছে
অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে কি হতে পারে শুধু এটা জানলেই চলবে না। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের কেমন করে ঘুমানোর উচিত এবং কেমন ভাবে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়েছে সে সম্পর্কেও আমাদের জানা উচিত প্রত্যেকের।ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেকটি কাজেরই একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।আপনি কিভাবে ঘুমাবেন সেটা নিয়ে ইসলামের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে এবং কিভাবে ঘুমানো যাবে সে সম্পর্কে কিছু নিয়ম রয়েছে। আমরা অনেক মুসলিম আছে যাদের এ বিষয়ে কোনো রকম ধারণা নেই। ঘুম আমাদের শরীরের জন্য একটি নেয়ামত। আমাদের রিফ্রেশ বাটন এর মত কাজ করে থাকে।
ঘুমানোর জন্যই মূলত রাত দেওয়া হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক নিয়মে ঘুমানো এক ধরনের ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কয়েকটি নিয়মে ঘুমানো নিষেধ করা হয়েছে। যেমন উপুর হয়ে ঘুমানো। উপুর হয়ে ঘুমালে কিছুক্ষণের জন্য আমাদের আরাম লাগলেও আসলে এটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় ধরে উপুর হয়ে ঘুমালে আমাদের মেরুদন্ডের সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। কিভাবে ঘুমালে আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্ট হয়। একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,আবু জার রাঃ বলেন,"আমি উপর হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গেলেন। আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আর একবারে খোঁচা মারলেন এবং বললেন এটা তো জাহান্নামিদের শয়ন।"
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বাম কাত হয়ে ঘুমানো নিষেধ করা হয়েছে। কেননা আমরা সকলে জানি আমাদের হৃদপিণ্ড বাম দিকে অবস্থিত। আর যখন বাম কাত হয়ে শুয়ে থাকা হয় তখন আমাদের হৃদপিণ্ডর ওপর চাপ পড়তে পারে। ফলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইসলামের সব সময় ডানকাত হয়ে ঘুমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘুমানোর ক্ষেত্রে সব থেকে উত্তম পদ্ধতি হলেও ডান কাতে ঘুমানো। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, রাসূল সাঃ বিশ্রাম করতেন বা ঘুমাতেন তখন তিনি সবসময় ডানকাঠ হয়ে থাকতেন। তাই আমাদের ঘুমানোর সময় ডানকাত হয়ে ঘুমানো উচিত।ডানকাতে ঘুমানো সুন্নাত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকেও ডানকাত হয়ে ঘুমানো ভালো। কারণ আমরা যে সকল খাবার খাই সেগুলোর পাকস্থলী শোষণ করে এবং আমাদের খাবার পরিপাকে সাহায্য করে।
আমরা জানি যে ঘুম আমাদের শরীরে ক্লান্তি দূর করে কিন্তু সব সময় ঘুমানো আসলে ঠিক নয়। ঘুমানোর সঠিক সময় হল এশার নামাজ পরে। আর ঘুম থেকে ওঠার উত্তম সময় হলো ফজরের নামাজের সময়। অনেক আলেমগণ ফজরের নামাজের পরে ঘুমানো কে মাকরূহ মনে করে থাকেন। এই সময় ঘুমানো ঠিক নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন," হে আল্লাহ আমার উম্মতের ভোরবেলাতে বরকত এবং প্রাচুর্য দান করুন।"
এজন্যই আপনি যদি সকাল সকাল কোন কাজ শুরু করেন তাহলে অবশ্যই বরকত পাবেন। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের ঘুমানোর আগে কিছু কাজ রয়েছে। যদি আমরা কাজগুলো সঠিকভাবে করে ঘুমাতে যাই তাহলে আমাদের ঘুমটাও আল্লাহ তায়ালার কাছে এবাদত পালনের সমতুল্য হবে। ঘুমানোর আগে আমাদের অজু করে ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
এবং ঘুমানোর আগে দোয়া পাঠ করা দরকার। আমরা অনেক সময় ঘুমাতে যাওয়ার আগে গান শুনি বা বিভিন্ন রকম ওয়েব সিরিজ দেখে ঘুমাতে যাই। যেটা একদমই উচিত নয়। ঘুমানোর আগে ভালোভাবে অজু করে দোয়া করতে করতে ঘুমালে সেটা এবাদতের শামিল হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের এইভাবে ঘুমানো উচিত। আর ঘুমানোর সময় অবশ্যই ডান কাতে হয়ে ঘুমানো উচিত।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে কি হতে পারে এই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।এছাড়াও আরো জানলাম ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন ভাবে ঘুমানো উচিত এবং কেমন ভাবে ঘুমানো উচিত নয় সেগুলো সম্পর্কে।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url