গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত

গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকের কোন ধারনা নেই।শুষ্ক আবহাওয়ার কারনে অনেক সময় ঠোঁট শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হয়ে যায়।আবার অনেক সময় পায়ের গোড়ালি ফেটে একাকার অবস্থা হয়ে যায়।
গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
তবে শুধু শীতকাল আবহাওয়ার কারণে যে এরকম হয় বিষয়টি মোটেও তেমন নয়, বরং গরমকালেও বিভিন্ন কারণে আমাদের ঠোঁট এবং পায়ের গোড়ালি ফাটতে পারে।অনেক সময় গরমকালে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে আমাদের ত্বকের ঠোঁট ফাটার বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।

ভূমিকা

গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।গরমকালে অনেক সময় আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং আমাদের পা ফাটার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।এজন্য শীতকালের মতো গরম কালেও আমাদের শরীরের যত্ন নিতে হবে।প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নিয়ে গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।

গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায়

হঠাৎ করে ওদের তো গরম পড়ে যাওয়ার কারণে ডি হাইড্রেশনের সমস্যাই ভুগে থাকে কমবেশি অনেকেই।অতিরিক্ত গরমের প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পড়ে যায়। গরমে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধুলোবালির আমাদের শরীরের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে। আর সেই প্রভাব আমাদের পায়ে,সেখান থেকে পা ফাটা এবং পায়ের গোড়ালির কাজের চামড়া মোটা হয়ে যাওয়া এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়।গ
রমে পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো গরমে অনেকেই স্লিপার বা খোলা জুতা পড়ে থাকে। সেখান থেকে যেমন পায়ের ক্ষতি হয় ঠিক তেমনি খুব তাড়াতাড়ি পা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও গরমে কম পানি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।আমাদের ঠোঁট ফেটে যেতে পারে এবং শরীর শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
এই সময় অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য দরকার ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নেওয়া। প্রিয় পাঠক গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলোঃ

পায়ের গোড়ালি ফাটা বন্ধের উপায়

গরমে আমাদের ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত স্ক্রাবিং করার কথা বলা হয়ে থাকে। রোদ, ঘাম এবং পায়ের ধুলোবালি যখন ত্বকের উপর বসে তখন নিয়মিত স্ক্রাবিং করার মাধ্যমে সেই ময়লাগুলো এবং ত্বকের মরা কোষগুলো তুলে ফেলা সম্ভব হয়। এজন্য আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটা বন্ধ করতে নিয়মিত ক্রাব করতে হবে।
  • গোড়ালি কিছুক্ষণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং তারপর ভালোভাবে পা ধুয়ে নিন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ গরম পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখবেন এবং তারপর পানি থেকে পা তুলে ভালোভাবে পরিষ্কার করে মুছে পায়ে মশ্চারাইজার লাগে ঘুমিয়ে যাবেন।
  • আমাদের ত্বক নরম রাখতে এলোভেরার কোন বিকল্প নেই। এজন্য এলোভেরা জেল ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে লাগাতে পারেন।পায়ের গোড়ালিতে এলোভেরা জেল লাগানোর আগে পা ভালোভাবে গরম পানিতে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে তারপর পরিষ্কার করে মুছে লাগাতে হবে।
  • পায়ের গোড়া নরম রাখতে হোমমেড মাস্ক লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে বাড়িতে থাকা পাকা কলা, মধু এবং এক চামচ ওটস মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন।এদের যেমন আপনার পায়ের গোড়ালি নরম হবে ঠিক তেমনি পায়ের গোড়ালির ব্যথাও দূর হয়ে যাবে। এই মাস্ক লাগানোর ফলে আপনার পায়ের গোড়ালের রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হবে। এই মাস 15 মিনিট রাখার পর গরম পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন এবং তারপর লাগে ঘুমিয়ে যাবেন।
  • ২০ মিনিটের জন্য হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রেখে দিন এবং ব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে পায়ের গোড়া পরিষ্কার করে নিন। তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পায়ের গোড়াটি মুছে নিয়ে সেখানে ভেসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি লাগে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে করে আপনার পায়ের গোড়ার ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে।
  • পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ করতে জিংক, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন বি ৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও খাবার তালিকায় বাদাম এবং বীজ রাখতে পারেন। এটি আমাদের শরীরে শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি ঝগড়াও করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • শুনতে অবাক মনে হলেও মাউথ ওয়াশ কিন্তু আমাদের পায়ের যত্নে খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মাউথ ওয়াশ খুব ভালো ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে আমাদের শুষ্ক ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী মাউথ ওয়াশ। এজন্য এক বালতি জলে মাউথওয়াশ দিয়ে মিনিট ১৫ পা ডুকিয়ে রাখুন এবং প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই কাজটি করতে পারেন। এতে করে পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর হবে খুব সহজে।
  • মধু আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। মধুর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান যা আমাদের ত্বকে নরম রাখতে সাহায্য করে। এজন্য ভালোভাবে পা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মধু লাগিয়ে রেখে দিন কিছুক্ষণ এবং তারপর 20 মিনিট পর পা ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
  • ত্বকের নারিকেল তেল খুবই ভালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে গোড়ালিতে নারকেল তেল লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে উঠে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটা কতটা বন্ধ হয়ে গেছে।
  • ভিনেগারের সাথে আমরা কম বেশি সকলেই খুব পরিচিত। ভিনেগারির মধ্যেও থাকে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এক্ষেত্রে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই ভালো। হাফ বাল্টি পানিতে দুই চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে তার মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখুন। কিছুদিন এভাবেই ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার উপকার বুঝতে পারবেন।
  • এছাড়াও পা ফাটা রোধ করতে সবসময় জুতা ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পেডিকিউর করা দরকার। এতে করে আমাদের পা ফাটা রোদ হবে খুব সহজেই।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অলিভ অয়েল বা তিলের তেল কিংবা সরিষার তেল পায়ের গোড়ালি তেল লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটা কতটা বন্ধ হয়ে গেছে।
  • গোলাপজল এবং গ্লিসারিন আমাদের পা ফাটা রোধে খুবই কার্যকর একটি মিশ্রণ।রিসাইন আমাদের ত্বক নরম রাখতে সাহায্য করে। কোন দিকে গোলাপজলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ,বি ৩,ডি এবং ই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। একটি বোতলে সমপরিমাণে গ্লিসারিন এবং গোলাপজল মিশিয়ে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে পায়ে মাসাজ করে নিন। কিছুদিন ব্যবহারের পরে আপনি পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।
  • ভেসলিনের সঙ্গে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পায়ের গোড়ালির ফাটা স্থানে মালিশ করুন। এতে ওই মিশ্রণ সেখানে শোষণ হয় বলে পা ফাটা খুব দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়।

ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

শুধুমাত্র শীতের শুরুতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা যায় বিষয়টি একদমই তেমন নয়। অনেকের গ্রীষ্মকালেও বা অতিরিক্ত গরমের সময় ঠোঁট ফাটার মত সমস্যা দেখা যায়।এটি যে শুধু আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করে বিষয়টির মধ্যেও তেমন নয় বরং এটি আপনার একটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

 এজন্য আমাদের ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধ করা ভীষণ জরুরি।আমাকে একটু যত্ন নেওয়ার জন্য খুব বেশি উপকরণের প্রয়োজন নেই। ঘরে থাকা কয়েকটি জিনিস দিয়ে আপনি আপনার ঠোঁটের যত্ন নিতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেই ঘরে থাকা কোন কোন উপাদান দিয়ে আমাদের ঠোঁটের উপর নেওয়া যায়ঃ
  • ঠোঁট কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর নরম টুথব্রাশ বা পাতলা কাপড়ের টুকরো ভিজিয়ে ঠোঁটের উপর আলতো করে ঘষে নিন।তবে খেয়াল রাখবেন বেশি জোরে ঘষা করা যাবে না। এতে করে ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। এভাবে হালকা করে ঘষার ফলে ঠোঁটের উপরে মৃত চামড়া গুলো উঠে যাবে এবং ঠোঁট সব সময় নরম হয়ে থাকবে।সপ্তাহে অন্তত একবার এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন।
  • আমাদের ঠোঁটে কোনরকম থাকে না।
  • বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন কারণ সূর্যের রশ্মির কারণে ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। তাই মুখে মাস্ক লাগানো থাকা সত্ত্বেও আমাদের স্কিনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আমাদের ঠোঁট ও সুরক্ষা পাবে।
  • ঠোঁট ফাটা সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে লিপবাম। সেজন্য সব সময় ঠোঁটে লিপবাম ব্যবহার করলে ভালো হয়। দিনে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এছাড়াও খাওয়ার পরে এবং মুখ ধোয়ার পরে লিপবাম লাগিয়ে নিবেন। এতে করে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • আমরা অনেকেই ভুল করে মুখে ব্যবহার করা স্ক্রাবার বা বডিতে ব্যবহার করা স্ক্রাবার ঠোঁটে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ঠোঁটের জন্য আলাদা স্ক্রাবার কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে ঠোঁটের ব্যবহার করতে হবে ভুলেও বডি লোশন বা কোন মোশ্চারাইজার ঠোঁটে ব্যবহার করা ঠিক নয়।
  • আমরা সকলেই জানি মধু খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়া জাত পদার্থ। পাশাপাশি ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি আমাদের ঠোঁটকে নরম এবং কোমল করতে সাহায্য করে। এই দুটো জিনিস একসঙ্গে মিক্স করে যদি ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারে তাহলে ঠোঁটের উপকার হবে এবং সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।
  • অ্যালোভেরা সব সময় ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী একটি পদার্থ। যাদের অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ঠোঁটে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ঠোঁটের রুক্ষতা ভাব চলে যাবে এবং ঠোট হবে নরম এবং কোমল।
  • ঠোঁট কাটার সমস্যা দূর করতে অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিনে দুইবার ঠোঁটে জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ঠোঁট নরম থাকে।
  • এছাড়া নারকেল তেল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড তাই ঠোঁটকে শুষ্ক তার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল ব্যবহার করে নিতে পারেন। মাত্র কয়েকদিন ব্যবহার করলেই আপনি আপনার ঠোঁটের উপকারিতা দেখতে পাবেন।
  • এছাড়াও শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য অনেক সময় ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেকের শরীরে কিছু ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফেটে যায়। যেমন শরীরে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি এর অভাব দেখা দিলে ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরী।
  • ঠোঁট ফাটা সমস্যা দূর করতে ঘি খুবই উপকারী একটি উপাদান। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে ভালোভাবে ঘি মাসাজ করে নিন কিছুক্ষণ সময় ধরে। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এখন ঠোঁট ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে নিয়ে ঠোঁটে ভেসলিন ব্যবহার করুন।
  • আবার আমাদের ঘরে থাকা কয়েকটি উপাদান যেমন শসা দিয়ে আপনি ঠোঁটফাটা বন্ধ করতে পারেন। প্রথমে একটি শসা ভালো হবে ধুয়ে নিবেন তারপর সেগুলো চাকা চাকা করে কেটে নিয়ে ঠোঁটের ওপর ভালোভাবে ঘষতে থাকবেন। আবার অন্যভাবে করলেও যেমন শসা ভালো হবে ব্লেন্ড করে নিয়ে ঠোটের উপর কিছুক্ষণ সময় ধরে লাগিয়ে রাখুন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি দেখবেন আপনার ঠোঁট ফাটা অনেক কমে গেছে।
  • ঠোঁট কাটা কমানোর জন্য গ্রিন টি অনেক উপকারী এবং কার্যকর। এক গ্রিন টি এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান। এজন্য একটি গ্রিন টি এর ব্যাগ দিয়ে গ্রিন টি তৈরি করে নিন। তারপর সেই ক্রিমটি ব্যাগটি ফেলে না দিয়ে ঠোঁটের ওপর রসগুলো লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এভাবে কিছুদিন করার ফলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার ঠোঁট ফাটা অনেক কমে গেছে।
  • ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলোর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেরা উপায় হল দই এবং লেবুর রস ঠোঁটে ব্যবহার করা। প্রথমে একটা মুখ লেবুর রস এবং তার মধ্যে দুই টেবিল চামচ দই ভালোভাবে মিক্স করে নিন। তারপর সেটি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর তোর ভালোভাবে ধুয়ে মুছে নিয়ে ভেসলিন লাগিয়ে রাখুন।
  • ঠোঁট কাটা কমানোর জন্য যদি নিয়মিত ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগান তাহলে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারেন। গ্লিসারিন সব সময় আমাদের ত্বক নরম এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম গরমকালে ঠোঁট এবং পা ফাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমার আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url