গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় সেটা হয়তোবা আমাদের অনেকের অজানা। সন্তান বুদ্ধিমান হবে এমন স্বপ্ন আমাদের প্রত্যেক বাবা-মায়েরই আছে। কিন্তু সন্তান কতখানি বুদ্ধিমান হবে সেটা অনেকটাই নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্য অভ্যাসের উপর। মা যদি গর্ব অবস্থায় সঠিক পরিমাণে খাবার না খায় তাহলে তার সন্তান মেধাবী এবং স্বাস্থ্যবান নাও হতে পারে।এজন্য গর্বের বাচ্চা কতটুকু বুদ্ধিমান ও মেধাবী হবে এবং কতটুকু স্বাস্থ্যবান হবে তার নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্যের অভ্যাসের ওপর। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
ভূমিকা
গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় সেটি জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকতে হবে। যেহেতু আমরা আমাদের সন্তানকে বুদ্ধিমান ও মেধাবী বানাতে চাই সে ক্ষেত্রে তার মস্তিষ্কের গঠনের উপর জোর দিতে বলেছে বিশেষজ্ঞরা। জন্মের প্রথম দুই বছর সন্তানের জন্য দরকার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ। এজন্যই গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার আমাদের বাচ্চাদের মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের ধারণা থাকা দরকার।
গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
মায়ের সঠিক খাবারের অভাবে এই শিশুর মানসিক বিকাশে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় মা কি খায় সেটা সন্তানের শারীরিক ও মানসিক দুটো বিষয়ের ওপরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে গড় অবস্থায় আপনি এমন কিছু খাবার খেতে পারেন যা আপনার বাচ্চার আইকিউ লেভেল কে বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে তখন নবজাতকের মস্তিষ্কের মাপ যে কোন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ২৫% হয়ে থাকে। দুই বছর বয়সে সেটা বেড়ে গিয়ে ৭৫ পার্সেন্ট হয়ে যায় যা একটি স্বাভাবিক মস্তিষ্ক হিসেবে প্রকাশ পায়। প্রথম দুই বছর সন্তানের জন্য দরকার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ। আসুন এখন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় ঃ
মাছ
স্যালমন, টুনা, মেকারেল ইত্যাদি জাতীয় মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক ও বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুই দিনের বেশি মাছ খায় তাদের সন্তানের বুদ্ধি বা আইকিউ লেভেল অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় অনেক বেশি হয়।
দই
দই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার আমরা এটি সকলেই জানি। সন্তানের স্নায়ু কোষ গুলো গঠনের জন্য আমাদের শরীর প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে থাকে। এজন্য আমাদের বাড়তি কিছু প্রোটিন দরকার শরীরের জন্য। এজন্য আপনাকে প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। দুইয়ের মধ্যেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের গর্ভাবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ডিম
ডিম অ্যামাইনো এসিড কলিন সমৃদ্ধ যা মস্তিষ্ক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং স্মরণশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন অন্তত দিনে দুইটি করে ডিম খাওয়া উচিত। যার কারণে কোলিনের প্রয়োজনের অর্ধেক পাওয়া যায়। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন ও লোহার জন্মের সময় আমাদের বাচ্চার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
আয়রন
গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যা সন্তানকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য করে থাকে। এই খাবারগুলোর গড় অবস্থায় অবশ্যই খাওয়া উচিত। আয়রন আপনার বাচ্চার অর্থাৎ আপনার গর্ভের সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে আপনার আয়রনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত।
ব্লুবেরি
ব্লুবেরি একটি ফল যা আমাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। টমেটো ও লাল বিনসের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের গর্ভের বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই গর্ভাবস্থায় চেষ্টা করতে হবে এই ধরনের ফলগুলো খাওয়ার। কেননা এতে আপনার গর্ভে সন্তানের মস্তিষ্কের টিস্যুকে রক্ষা করে ও বিকাশে সহায়তা করে।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজি আমাদের প্রত্যেকেরই প্রত্যেকের খাদ্য তালিকায় রাখা দরকার। গর্ভাবস্থায় আরো বেশি দরকার। পালং শাক, লাল শাক, ডাল এবং বিভিন্ন রংবেরঙের সবজিতে রয়েছে ফলিক এসিড। এছাড়াও ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি ১২ এর সঙ্গে খাওয়া উচিত।
ভিটামিন ডি
শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ভিটামিন ডি খুবই দরকারী একটি উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েদের ভিটামিনের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক অন্যান্য বাচ্চার তুলনায় দুর্বল হতে পারে। এজন্য গর্ভাবস্থায় মায়েদের পরিমিত পরিমাণে মাংস, কলিজা, পনির এবং ডিম ইত্যাদি জাতীয় খাবার খেতে হবে। এছাড়াও ভিটামিন ডি এর সর্বোচ্চ উৎস সূর্যের আলো তো আছেই।
আয়োডিন
গর্ভবতী মায়েদের জন্য আয়োডিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম বারো সপ্তাহে সন্তানের আইকিউ কম করে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। অন্তত সপ্তাহে দুদিন আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে বাচ্চার আইকিউ ভাল হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার
সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, বিনস, গাজর, টমেটো ইত্যাদি খাবারের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার কারণে এগুলো প্রতিদিন আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরী। অন্যদিকে এই খাবারগুলো আমাদের বাচ্চার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এগুলো তো বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
কপার এবং জিংক
খাদতালিকায় কপার সমৃদ্ধ খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কাজুবাদাম, এভোকাডো, মটরশুটি ইত্যাদি জিংক সমৃদ্ধ খাবার। অন্যদিকে শষ্য জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে ছোলা, গরুর মাংস ইত্যাদি। এই খাবারগুলো আমাদের খাদ্য তালিকায় পরিমাণ মতো রাখতে হবে এতে করে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের কোষ সঠিকভাবে বাড়তে পারবে।
এছাড়াও জন্মের ছয় মাস পর বাচ্চাকে দুধ এবং দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার যেমন সুজি, সেমাই, সাগু ইত্যাদি তে হালকা পরিমাণের বাদামের গুড়া মিশিয়ে খাওয়ালে বাচ্চার মেধা বিকশিত হয়। ধীরে ধীরে বাচ্চার খাবারের পরিমাণ এবং ধরন বাড়ালে বাচ্চার পাকস্থলী শক্তিশালী হয়। খিচুড়ির সঙ্গে প্রথমওয়ের ডিমের কুসুম যাতে প্রোটিন ও করিম থাকে যা নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে থাকে।
ডিমের কুসুম খেলে বাচ্চার এক থেকে দেড় ঘন্টা খিদে পাবে না পাশাপাশি ডিমের সাদা অংশ খাওয়াবেন যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এলবুমিন। অন্যদিকে ছোটবেলা থেকেই ড্রাই ফ্রুটস যেমন চেরি, খেজুর, কিসমিস ইত্যাদি জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন এতে করে ক্যালোরির চাহিদা পূরণ হবে। মুরগির মাংস থেকে মাছের দিকে নজর দিবেন বেশি।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড জাতীয় মাছ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। খাবারের মধ্যে এক চামচ ঘি সপ্তাহে একবার দুইবার ব্যবহার করবেন এতে করে ব্রেনের কার্যক্ষমতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। আশা করি আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম,গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় সে সম্পর্কে। চলুন এখন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কি খেলে আমাদের গর্ভের সন্তান ফর্সা হয় সে সম্পর্কে। অনাগত সন্তানের গায়ের রং যেন ফর্সা হয় এটি সব বাবা মায়েরাই চেয়ে থাকেন। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এ নিয়ে আমাদের মনে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন জাগে।
বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। এবং গর্ভাবস্থায় মায়েরা বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকেন শিশুর গায়ের রং ফর্সা করার জন্য। পাঠক আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সে সম্পর্কে। কিন্তু শিশুর গায়ের রং কেমন হবে তা বেশিরভাগ নির্ভর করে তার বাবা-মায়ের জেনেটিক ফ্যাক্টর এর ওপর। কিন্তু তার মধ্যেও কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে গর্ভে থাকা বা তার গায়ের রং উজ্জ্বল হয়।
পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যরা গণপতি মাকে কিছু খাবারের তালিকা দিয়ে থাকেন তাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। তাদের মধ্যে কিছু খাবার তালিকা মেনে চললে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয় তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলগুলো খাওয়া জরুরী। কেননা এতে করে শিশুর গায়ের রং ফর্সা হতে পারে।
অন্যদিকে টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইকপেন এবং আমরা সূর্যের আলো থেকে বিভিন্ন আলট্রা ভায়োলেট রে পেয়ে থাকি। এজন্য প্রতিদিন টমেটো খেলে আমাদের টকের পড়া দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়। গর্ভবতী মহিলারা যদি প্রতিদিন পরিমতো পরিমাণে দুধ পান করে তাহলে শিশুর গায়ের রং ফর্সা হয়। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন সি খাওয়ার ফলে গর্ভের বাচ্চার ত্বক ফর্সা হতে পারে এবং পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের ত্বকও মসৃণ রাখে। নারকেলের সাদা শার্ট গর্ভস্থ শিশুর গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। তবে এটি সম্পূর্ণ প্রচলিত ধারণা। তবে গর্ভাবস্থায় ডাব খাওয়া ভালো কিন্তু সেটা পরিমিত পরিমাণে।
গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় প্রথম সপ্তাহ থেকে একদম 40 সপ্তাহ পর্যন্ত একজন নারী অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন ধারণ করেন। এই সময় চাইলেই যে কোন ঔষধ সেবন করা যায় না বা যেকোনো খাবার দাবার খাওয়া যায় না। গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন খাবার খেতে ইচ্ছে হতে পারে। কিন্তু যখন ই যেটা খেতে ইচ্ছে করবে তখনই সেটা খাওয়া যাবে না।
এ অবস্থায় বিভিন্ন খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করে বা অতিরিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করে থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কি আসলে অতিরিক্ত মসলা বা ঝাল তো খাবার খাওয়া উচিত? এটা নিয়ে আমাদের গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন রকম প্রশ্ন থাকে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা জানতে পারবো গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঝাল খেলে কি হয় এবং অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া ক্ষতিকর কিনা সে সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় যদি আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে ঝাল খাবার খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অন্ত্রের বিভিন্ন প্রদাহ বাড়তে পারে। বমি বমি ভাব অথবা ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে খুব সহজেই। এছাড়াও মাথা ঘোরা সহ আরো বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার ফলে। তবে ঝাল খাবার যে একেবারে খাওয়া যাবেনা বিষয়টি এরকম নয়। তবে গড় অবস্থায় একদম শেষ তিন মাসে ঝাল মসলাযুক্ত খাবার খুব কম পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় কোন খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা জেনেছি গর্ভাবস্থায় কোন খাবারগুলো খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয় এবং গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঝাল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।
আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।এধরনের আরো আর্টিকেল করতে এবং বিভিন্ন সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url