হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে

হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে এটা নিয়ে আমাদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন। ডায়মন্ড বা হিরার গহনা কে না পড়তে চাই বলুন। আমাদের সবার মধ্যেই সব থাকে হীরার গহনা পরার। বিভিন্ন পাথরের মধ্যে হীরা হল অন্যতম। হীরাকে সহজে কাটা বা ভাঙ্গা যায় না। একমাত্র আসল হীরাই পারে অন্য হীরাকে ভাঙতে বা কাটতে। তবে হীরার গহনা কিনতে গেলে তো কেটে দেখা সম্ভব নয়। দাম দিয়ে হীরার গহনা কেনার পরে যদি জানতে পারেন বা বুঝতে পারেন যে হীরার গহনাটি আসল নয় তাহলে আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে
বর্তমানে হীরার গয়নার কদর অনেক। এখন অনলাইন থেকেও হীরার আংটি বা নাকফুল সহ অনেকেই অনেক ধরনের গয়না কিনছেন। সে ক্ষেত্রে হীরার গয়না আসল নাকি নকল সেটা বুঝার উপায় সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমার আর্টিকেল এর বিষয় হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে সে সম্পর্কে।

ভূমিকা

হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। বলা হয় হীরা একটি অমূল্য রতন। বিয়ে কিংবা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে অথবা কাউকে উপহার হিসেবে দেওয়াতে হীরার আংটি ব্যবহারের বা হীরার গহনা ব্যবহারের প্রজনন রয়েছে অনেক আগে থেকেই।কিন্তু আমরা স্বর্ণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলেও হীরা সম্পর্কে এমন অনেক কিছুই জানে না যার কারণে মাঝেমধ্যেই কিনতে গেলে আমরা প্রতারিত হয়ে থাকি বিভিন্নভাবে।হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে চলুন জেনে আসি।

হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে

হীরার গহনা বা ডায়মন্ডের গহনা কেনার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারবো যে হীরাটি আসল নাকি নকল। চলুন তবে জেনে নেই কি সেই বিষয়গুলো যেগুলোর মাধ্যমে আমরা আসল নকল হীরা পার্থক্য করতে পারবঃ

পানি দিয়ে পরীক্ষা

কি অবাক হচ্ছেন! হ্যাঁ, হীরার গহনা আসল নাকি নকল সেটা পানি দিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব। একটি কাঁচের গ্লাসে অর্ধেকের বেশি পানি নিয়ে নিতে হবে। এরপর হীরার টুকরোটি ওই গ্লাসের মধ্যে দিয়ে দিন। যদি আসল হীরা হয়ে থাকে তাহলে তা পানির মধ্যে ডুবে যাবে। অনেকেই বলে থাকে, হীরার টুকরো না হয়ে যদি কাচের টুকরো হয় তাহলে সেগুলো পানিতে ভেসে থাকে। এজন্য হীরার গয়নার পরীক্ষা করার জন্য সেটি পানির মধ্যে ডুবিয়ে দেখতে পারেন।

ধোঁয়া দিয়ে পরীক্ষা

বাড়িতে বসে এই পরীক্ষা করা যায় খুব সহজেই। প্রথমে হীরার গয়না বা হীরার টুকরোটি দুই আঙ্গুলের মধ্যে ধরে রাখুন। তারপর ধোয়া উড়ছে এমন জায়গায় হাতটি নিয়ে যান যেন হীরার গহনা বাহিরার টুকরোর আশেপাশে ধোঁয়া উঠতে থাকে। হীরা আসল হলে তার উপর থেকে তৎক্ষণাৎ ধোঁয়ার স্তরটি সরে যাবে কিন্তু নকল হলে ধোঁয়া হীরার ওপর কয়েক সেকেন্ড থাকবে। এভাবে খুব সহজেই আপনি বাসায় বসে ধোঁয়া দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন যে আপনার হীরার গহনাটি আসল নাকি নকল।

কলমের কালি দিয়ে পরীক্ষা

এই পরীক্ষায় করার জন্য প্রয়োজনীয় একটি সাদা কাগজ এবং একটি কলম নিয়ে নিন। এরপর প্রথমে সাদা কাগজের ছোট্ট একটি বিন্দু একে নিন এবং হীরার সূচালো বা উল্টো করে ওই বিন্দুর ওপর বসিয়ে দিন। এবার হীরা দিয়ে ওই ছোট্ট বিন্দুটি খোঁজার চেষ্টা করুন। হীরা যদি আসল হয়ে থাকে তাহলে সাদা কাগজে আঁকা বিন্দু খুঁজে পাওয়ার কথা নয়। আর যদি বিন্দু দেখতে পাই বা হীরার টুকরো দিয়ে যদি বিন্দুটি খুঁজে পাই তাহলে বুঝতে হবে হিরাটি নকল।

লোপের ভিতর দিয়ে দেখুন

বিশেষ এক ধরনের ম্যাগনিফাইং গ্লাস হলো লোপ। এটিতে হিরা বা অন্যান্য পাথর পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। লোপের মধ্যে যখন কয়েকটি হীরা দেখবেন তখন এর মধ্যে কয়েকটি চেহারা আপনি দেখতে পাবেন। কিছু পাবেন যেগুলো মোটেও নিখুঁতভাবে মসৃণ করা নয়। ওই অবস্থায় দেখলে আপনার মনে হবে যে হীরার কখনো প্রাকৃতিক অবস্থাতে আছে। সেগুলোই হল আসল হীরা। কিন্তু নকল হীরা একদমই নিখুঁত ও মসৃণ হবে।

শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষা

এটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। হীরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্ত একটি বস্তু। কোন কিছু দিয়ে এটি ঘোষে মসৃণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু যদি কৃত্রিম হীরা হয় বা নকল হীরা হয়ে থাকে তাহলে এটি শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষলেই দাগ পড়ে যাবে।

আলোর প্রতিফলন দেখা

আসল হীরা যেভাবে আলোর প্রতিফলন ঘটায় নকল হীরা বা কৃত্রিম হীরা সেভাবে আলোর প্রতিফলন ঘটাতে পারে না। হীরার গহনাতে আলো ফেললে এর ভেতরে ধূসর ও ছাই রংয়ের অনেকটা ছটা দেখা যাবে যাকে বলা হয় "ব্রিলিয়ানস"। আর বাইরের দিকে প্রতিফলিত হবে রংধনুর মতো রং যাকে বলা হয় "ফায়ার"। কিন্তু নকল হীরার ভেতরের রংধনুর রং প্রতিফলিত হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই ভুল ধারণা আছে যে, হীরার মধ্যে সব সময় রংধনু রঙ প্রতিফলিত হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা কেননা হীরা প্রতিফলনে বেশিরভাগ ধূসর ভাব থাকে।

নিঃশ্বাসের পরীক্ষা

হীরার গহনার ওপর মুখের গরম বাতাস দিন। দেখবেন গরম বাতাস দেওয়ার পর দেখতে কুয়াশার ভাব বা ঝাপসা ভাব হয়ে গেছে। যদি হেরাটি নকল হয় তবে খুব দ্রুত সময় ঝাপসা ভাবটি চলে যাবে। কিন্তু যদি সেটি আসল হীরার টুকরো হয় তাহলে সে ঝাপসা ভাব কাটতে বা সরে যেতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে। কেননা আসল হীরা একেবারে তাপ ধরে রাখে না তাই বাসবো খুব দ্রুত উড়ে যাবে।

পত্রিকার ওপর রেখে পরীক্ষা

আসল হীরা পত্রিকার ওপর রাখলে এর ভেতরে পত্রিকার কালো রঙের লেখার কোনো প্রতিসরণ ঘটবে না। কিন্তু নকল হীরার মধ্যে কালো লেখার অক্ষর দেখা যেতে পারে। এটি খুব সহজ একটি পরীক্ষা। আপনি হীরার দোকানে গহনা কেনার সময় তখন তৎক্ষণাৎ এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। আশা করি আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে আসল নকল হীরা পার্থক্য করবেন কিভাবে। চলুন তাহলে এখন জেনে নেই হীরার গহনার যত্ন সম্পর্কে।

হীরার গহনার যত্ন

হীরার গহনা আজকাল বেশ সহজলভ্য হয়ে গেছে। কমপক্ষে না ফুল বা আংটি তো সবার সংগ্রহে কমবেশি রয়েছে। আর যেহেতু ত্বকের সাথে এই রত্নটির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না তাই সবাই এই ঘটনা পড়তে পারে অনায়াসে। আর গহনার সাথে একটু হীরের ঝলক মানে অন্যরকম এক আভিজাত্যের প্রকাশ।
হীরার গহনা নতুন অবস্থায় যতটা সুন্দর দেখায় কিছুদিন পর এর উজ্জ্বলতা কেমন জানি কমে আসে। অথচ আপনি বাসায় বসে কিছু টিপস অনুসরণ করলেই আপনার হীরার গহনা কে রাখতে পারেন সব সময় নতুনের মত চকচকে। চলুন জেনে নিয়ে আপনার প্রিয় হীরার গহনা চির নতুন রাখার কিছু টিপস সম্পর্কেঃ
  • ঘোসা মাজা কাজের সময় হীরের গহনা খুলে রাখুন। হীরা নিঃসন্দেহে একটি কঠিন পদার্থ। তাই এটি সহজে না ভাঙলেও এর উপর বিভিন্ন ধরনের দাগ পড়ে যে এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য ঘষামাজা টাইপের কাজ করার সময় এটি যথাসম্ভব খুলে রাখার চেষ্টা করুন।
  • অন্যান্য গহনার সাথে হীরার গহনা রাখলে এটিতে বিভিন্নভাবে দাগ পড়তে পারে। তাই এটি আলাদা করে টিস্যু পেপারের মুড়িয়ে আলাদা গহনার বাক্সে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার হীরার গহনা সুরক্ষিত থাকবে।
  • নিয়মিত চেক করুন হীরের গহনার সেটিং। নিয়মিত খেয়াল করে দেখুন আপনার হীরের গভনার সেটিং ঠিকঠাক আছে কিনা। কোনটি আলগা হয়ে যেতে শুরু করেছে বা কোনটি বাঁকা হয়ে গেছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। আলগা হয়ে যেতে শুরু করলে বা কোন রকম সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে সেটি সাথে আর গয়না তৈরি নিয়ে যেয়ে ঠিক করে নিয়ে আসুন। ভুলেও এটি কখনো নিজে নিজে ঠিক করার চেষ্টা করবেন না।
  • এছাড়াও যত্নে রাখুন আপনার হীরের গহনার গ্যারান্টি কাগজটিও। কেননা এদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হীরের গহনার কোনো সমস্যা হলে সেটি ফ্রিতে ঠিক করে নিতে পারবেন। তাই এসব বিষয় সম্পর্কে আপনার নজর রাখতে হবে।
  • অনেকেই গহনা থেকে খুলে যাওয়া হীরা গহনার মধ্যে রেখে দিয়ে থাকেন। এতে হীরার গহনা নষ্ট হয়ে যায়। গহনা থেকে ভুলে যাওয়া হীরার যেমন তেমন ভাবে গহনার বাক্সে ফেলে রাখা যাবে না। এতে হীরার ওপর দাগ পড়ে যেতে পারে এবং ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। এজন্য গহনা থেকে ভুলে যাওয়া হীরা ভালোভাবে টিস্যু পেপারে মুড়িয়ে অন্য একটি বাক্সে সংরক্ষণ করুন।
  • গোসলের আগে আপনার হীরার আংটি, চুরি বা লকেট যেটাই থাকুক না কেন সেটি খুলে রাখুন। কেননা ক্ষারীয় শ্যাম্পু বা সাবানের সংস্পর্শে এসে এটির উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন গহনা খুলে সেটি বাথরুমে বা বেসিনের পাশে কখনোই রাখবেন না। তাহলে সহজেই হারিয়ে যেতে পারে। এজন্য খুলে এটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • আবার আমাদের মধ্যে অনেকে ভুল পদ্ধতিতে হীরা পরিষ্কার করে থাকে। গহনা ব্যবসায়ীরা এটি পরিষ্কার করেন জুয়েলারি ক্লিনার নামক বিশেষ তরল দিয়ে। কিন্তু আপনি চাইলে ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার হীরার গহনাটি পরিষ্কার করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে খুব সহজেই ভিনেগারের মাধ্যমে আপনার হীরার ঘটনাটি পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
  • সাধারণত পাথর বা মুক্তার ক্ষেত্রে ভিনেগার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে আপনি যদি আসল হীরার গহনা বা না ফুল বা চুরি যেটাই হোক পরিষ্কার করতে চান তবে ভিনেগার হতে পারে উৎকৃষ্ট উপায়। প্রথমে একটি বাটিতে গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে হীরার গহনা গুলো দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট গরম পানিতে রাখার পর সেই পানিটি ফেলে দিন।
  • এরপর এর মধ্যে এক কাপ সাদা ভিনেগার দিয়ে দিন। ভিনেগারের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট গয়নাটি রেখে দিন। তারপর ভিনেগার থেকে আংটি বা নাকফুল অথবা হীরের গয়নাটি তুলে ঠান্ডা পানিতে রাখুন। সেখান থেকে তুলে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন আর দেখুন ম্যাজিক। আপনার গহনাটি আবার নতুনের মত চকচকা হয়ে যাবে।
  • আপনার হীরার গহনার হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করতে পারেন ব্রেকিং সোডা। একটি বাড়িতে এক থেকে দুই টেবিল চামচ ব্রেকিং সোডা আর গরম পানি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণটির মধ্যে আপনার হীরার গহনাটি কয়েক মিনিট রেখে দিন। তারপর সেখান থেকে আপনার গণনাটি তুলে নিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
  • অন্যদিকে আরেকটি উপায় হল তিন চার কাপ ব্রেকিং সোডার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর ওই মিশ্রণ হীরার ওপর লাগিয়ে নরম ব্রাশ দিয়ে হালকা করে বসতে থাকুন। এতে করে হীরার ওপরের চকচকে ভাব ফিরে আসবে এবং ময়লা দূর হয়ে যাবে।
  • এছাড়াও আপনি ব্যবহার করতে পারেন আপনার হাতের কাছে থাকা দাঁত ব্রাশ করা টুথপেস্ট দিয়ে। টুথপেস্ট শুধু দাঁত পরিষ্কার করার জন্য নয় এটি হিয়ার গহনা পরিষ্কার ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হীরার গয়নার উপর পেস্ট লাগিয়ে ব্রাশের সাহায্যে হালকা করে ঘষে নিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন। তবে মনে রাখবেন সোনার গহনায় হীরা থাকলে এই পদ্ধতিটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম হীরার গহনা আর যত্ন সম্পর্কে এমনকি কিভাবে পরিষ্কার করা যাবে সে সম্পর্কেও আমরা জানলাম। প্রিয় বন্ধুরা এখন বিষয় হচ্ছে যে হীরার গহনা আমরা কতদিন পরপর পরিষ্কার করতে পারি। উপরের যে কোন পদ্ধতি মেনে প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর হীরার আংটি বা নাকফুল কিংবা হীরার বর্ণনাগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।
যদি আপনি সপ্তাহে না পারেন তাহলে অন্তত মাসে একবার পরিষ্কার করতে পারেন। আর মাসেও যদি পরিষ্কার করা সম্ভব না হয় তাহলে বছরে দুইবার অন্তত হীরার গহনা কারিগরের কাছে থেকে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কখনো ব্লিচ জাতীয় কোন উপাদান দিয়ে হিয়ার কখনো পরিষ্কার করবেন না। বরং উল্টো ঘোলাটে আবরণের সৃষ্টি হয়ে যাবে। সঠিক নিয়ম মানুন তবেই বহুবছর ঝলমলে থাকবে আপনার প্রিয় হীরার গহনা।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম হিরার গহনা কেনার সময় আসল নকল বুঝবেন কিভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা জেনেছি হীরার গহনার বিভিন্ন রকম যত্ন নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।
আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
এধরনের আরো আর্টিকেল করতে এবং বিভিন্ন সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url