অহেতুক অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানুন
অহেতুক অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হয়তো আমাদের অনেকের জানা নেই। কোথায় আছে চিন্তাবিহীন কার্য নাকি ডেকে নিয়ে আসে বিপদ। তাই সুক্ষভাবে চিন্তাভাবনা করার গুরুত্ব আমরা সকলেই কম বেশি বুঝি। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়াই যদি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি চিন্তা ভাবনা আমরা করি তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারি। অতিরিক্ত চিন্তা আমাদের শরীর এবং মানুষের দিক দুটোর উপরে অনেক প্রভাব ফেলে।বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা অনেকটা চক্রের মত, যত দূর করতে চাইবেন তত আপনাকে ঝেঁকে ধরবে। আবার আমরা অনেকেই ছোট থেকে হয়তো এই কথা শুনে আসি যে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। মস্তিষ্ক যত অলস থাকবে তত আমাদের মাথায় অহেতুক চিন্তাভাবনা চলবে। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় অহেতুক অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
ভূমিকা
অহেতুক অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। সাধারণত কল্পনা বিলাসী মন মানসিকতার মানুষেরা কল্পনা প্রবন হয়ে থাকে বা কল্পনা করতে পছন্দ করে। সেসব মানুষেরা তাদের ভাবনা বিলাসী মনে কল্পনার রং মিশিয়ে কবিতাত্ত্ব দিয়ে স্বপ্নের জগৎ তৈরি করে নেই কারণ তারা সাধারণত শিল্পী মনের অধিকারী হয়ে থাকে। কিন্তু যারা সারাক্ষণ কোনো একটি ছোট্ট বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করে এরকম ভাবতে ভাবতে শিখে বৃহৎ ব্যাপার পর্যন্ত ভেবে ফেলে সেগুলোকে অহেতুক চিন্তা ভাবনা বলা হয়।
অহেতুক অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
অহেতুক প্রটেই তো দুশ্চিন্তা এবং হতাশার জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে এবং তারা ঠিকঠাক মতো ঘুমাতে পারেনা। হওয়ার কারণে তাদের মস্তিষ্ক সবসময় চিন্তা মগ্ন থাকে। মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়না। তখন মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট এটাক, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। চলুন তাহলে জেনে নেই অহেতুক অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কেঃ
আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি একাই অহেতুক দুশ্চিন্তা এবং হতাশায় ভুগতেন তাহলে সেটা আপনার ভুল ধারণা। কেননা পৃথিবীর 90 শতাংশ মানুষের এই একই সমস্যা রয়েছে এবং তারা এই সমস্যাতে প্রতিনিয়ত ভুগছেন। এজন্য ভয় না পেয়ে চেষ্টা করুন নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখার। সমস্যার কথা চিন্তা না করে এর সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। আপনি কি নিয়ে এত ভাবছেন সেটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
যেটা আপনার বসে নেই সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে যাবেন না। নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে আপনি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে কখনোই যাবেন না। এতে করে দেখবেন আপনার চিন্তার পাহাড় অনেক কমে গেছে। কোন পরিস্থিতিতে আপনার শরীরের অবস্থা কেমন হবে সেটা আপনার থেকে ভালো হয়তো আর কেউ বুঝবে না।
এজন্য নিজের সমস্যা জানতে পারলে আপনি তাড়াতাড়ি সতর্ক হয়ে যাবেন এবং ভবিষ্যতে আপনাকে কষ্ট দিবে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন। নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখার জন্য ধ্যানের কোন বিকল্প নেই। ধ্যান একটি মানসিক ঔষধ। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ডাক্তার এবং মনিসেরা ধ্যান কিংবা যোগাসনের মাধ্যমে নিজের দুশ্চিন্তা দূর করে আসছে বলে জানা যায়।
প্রতিদিন নিয়ম করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট মেডিটেশন কিংবা যোগাসন করলে খুব সহজেই আপনি আপনার মনকে দুচিন্তা মুক্ত রাখতে পারবেন। আপনার যখনই মনে হবে যে আপনি চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়ছেন তখনই আপনার কোন না কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে। এমন কাজ করুন যাতে আপনি আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন।
সিনেমা দেখুন ছবি আঁকুন, বই পড়ুন কিংবা গাছ লাগান দেখবেন দুশ্চিন্তা আপনাকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মনের কথা জমিয়ে রাখা দুশ্চিন্তার সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ ।এজন্য যখনই মনে হবে যে আপনার মনের মধ্যে কথা জমে যাচ্ছে তখনই সব কথা খুলে বলে ফেলুন আপনার কাছে মানুষের কাছে। এতে করে আপনার নিজের যথেষ্ট চিন্তা মুক্ত লাগবে।
আবার কারো কারো অতিরিক্ত বেশি দুশ্চিন্তা চেপে বসলে তারা সমাধান হিসেবে আত্মহত্যাকে বেছে নেই। কেউ কেউ আবার জীবনের স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলে। কেউ কেউ এই সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে না আবার কেউ কেউ খুব সহজেই সমাধান খুঁজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং মুমিনরা মাথা নত করে আল্লাহর দরবারে।
মুসলিম হিসেবে আমরা সকলে বিশ্বাস করি যে আল্লাহ তাআলা সমস্ত রোগ দিয়েছে এবং তার চিকিৎসাও অবশ্যই দিয়ে দিয়েছেন। মানসিক কাজের বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে শুরু করে আরো বড় বড় সমস্যার সমাধানে ইসলামী ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর। এবং জীবনের সব জায়গাতে আল্লাহর উপর আস্থা রাখায় সুস্থ থাকার এবং বুদ্ধিমানের কাজ।
মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করার কোন বিকল্প নেই। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,"যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।" আল্লাহর উপর নির্ভরশীলতা এবং পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপন করলে মানুষের মনোবল বেড়ে যায়। যার কারণে সে অন্তরে শান্তি খুঁজে পায় এবং পাই এক অনাবিল সুখ ও পরিতুষ্ট।
মানসিক চাপ কমানোর জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত দোয়া করা উচিত কেননা হাদিসে এসেছে ইবাদতের মূল হলো দোয়া। প্রার্থনা করলে কোন কিছু মন থেকে চাইলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতেন তখন সালাত আদায় করতেন। মানসিক চাপ কমাতে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করার কোন বিকল্প নেই।
যেসব মানুষেরা মানসিক চাপে পড়ে এর মধ্যে অন্যায় অপরাধ বেশি করা, পারিবারিক সমস্যা, সামাজিক সমস্যা, বেকারত্ব ইত্যাদি সমস্যা গুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। মনের মধ্যে কখনো রাগ জমে রাখার অভ্যাস করা যাবে না। এটা হৃদ যন্ত্রের জন্য মঙ্গল হবে না। এক গবেষণায় জানা গেছে, ক্ষমা করার পরিবর্তে রাগ জমা রাখলেই সেটি মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয় এবং সেই সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়িয়ে দেয়।
অন্যদিকে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা দিনে অতিরিক্ত বেশি ক্যাফিন পান করে থাকে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন আপনার দ্রুত ইন্দ্রিয় কে সজাগ করে তুলে এবং মানসিক চাপ বর্ধক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এজন্য ঘন ঘন চা কফি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। সব সময় একাকী থাকার অভ্যাস অনেকের হয়তোবা রয়েছে। এই অভ্যাস বাদ দিয়ে সব সময় বন্ধুবান্ধব হোক বা পছন্দের মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করবেন।
এছাড়াও ২০০৫ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে যে, সব সময় গম্ভীর থাকার পরিবর্তে যদি আপনি প্রাণ খুলে হাসতে পারেন তাহলে শতকরা 20 ভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানোর সম্ভব হয়। কিছু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামূলক গভীর চলচ্চিত্র গবেষণায় এই সিদ্ধান্ত জানা যায়। নিয়মিত আমদ প্রমদ হার্টেরস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে আপনি ডায়েরি লেখার অভ্যাস করতে পারেন। যখন আমরা অতিরিক্ত মানুষের চাপে থাকি বা কেউ আমাদের কষ্ট দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা ডাইরিতে লিখে রাখতে পারি। লেখার ফলে আমাদের এক ধরনের মনের ভাব প্রকাশ হয় এবং আমরা মন হালকা বোধ করি। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমানো অভ্যাস করে। যেটা একদমই ঠিক নয়। সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন নিয়মিত ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর আবশ্যক।
এজন্য রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। দেখা যায় যারা বেশি দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে তারা বেশিরভাগই খাওয়া-দাওয়া ঠিকঠাক মতো করে না বা স্বাস্থ্যকর খাবার খায় না। পুষ্টির অভাব হলে মানসিক চাপ বেশি করে আঁকড়ে ধরে এই জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করার ফলে আমাদের শরীর থাকে এবং খুব সহজে আমাদের মুড সুইং হয় না। এবং ভার্চুয়াল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি না হয়ে সব সময় বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
কিভাবে বুঝবেন যে আপনি দুশ্চিন্তায় ভুগছেন
অনেক সময় আমাদের মাথায় বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা ঘুরে কিন্তু আমরা কখনো বুঝতে পারি না।দুশ্চিন্তা সবসময় দেখা দিলে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় গ্রাস করে পাশাপাশি কাজ করতেও ভালো লাগে না এবং মানসিক এবং শারীরিক নানা পরিবর্তন দেখা যায় যেমনঃ
- যে কোন কিছুতেই নার্ভাস ফিল করা।
- আত্মবিশ্বাসের অভাব।
- আজ এমনো যদি না হওয়া।
- হুটহাট ঘাবড়ে দেওয়া এবং হার্টবিট বেড়ে যাওয়া।
- বুকে ব্যথা করা।
- শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যাওয়া।
- রাতে অপর্যাপ্ত ঘুম এবং ঘুম না আসা।
- মানসিকভাবে অস্বস্তিতে থাকা এবং কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
- শরীরে ব্যথা হওয়া।
- সারাদিন ক্লান্ত থাকে শরীর কিন্তু রাতের ঠিকঠাক মতো ঘুম হয় না এরকম সমস্যা।
- মাথা ব্যথা চোখে ঝাপসা দেখা শরীর কাপুনি দেখা দিতে পারে।
- পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া।
- শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল থাকা।
- খাবার খাওয়ার রুচি না থাকা।
প্রিয় বন্ধুরা আমরা উপরের লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝিনি হয়ে যায় আমরা দুশ্চিন্তা এবং হতাশায় ভুগছি। তখনই আমাদের দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আশা করি আমার কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
অহেতুক দুশ্চিন্তা কেন হয়
আমরা সব সময় বিভিন্ন জিনিস নিয়ে দুশ্চিন্তা করি এবং দুশ্চিন্তা ও হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি যে দুশ্চিন্তা আসলে কেন হয়? কোন বিষয়গুলো থেকে হয়? এইসব বিষয়ে আমরা আসলে কখনো ভেবে দেখি না। যার কারণে দুশ্চিন্তা চলে আসে এবং এর প্রভাব পড়ে আমাদের বাস্তব জীবনে। চলুন তাহলে জেনে নেই অহেতুক দুশ্চিন্তা আমাদের কেন হয়ঃ
কাজের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং বেকারত্ব
দুশ্চিন্তা সবার আগে প্রভাব ফেলে দৈনন্দিন কাজের উপরে। যখনই আমরা ফাঁকা সময় পার করি তখনই আমাদের দুশ্চিন্তার উদ্রেক আস্তে আস্তে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। যার জন্য কাজের উৎপাদনশীলতায় আরো প্রভাব ফেলে এবং আমরা মানসিকভাবে অনেক সমস্যায় পড়তে শুরু করি। এছাড়াও এর মধ্যে বেকারত্ব অন্যতম একটি বিষয়। বেকার থাকার কারণে সব সময় আমি বোরিং সময় কাটায় এবং যার কারণে আমরা বিভিন্ন রকম চিন্তাতে ভোগে থাকি।
ঘুম কমে যাওয়া
অহেতুক দুশ্চিন্তায় সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে হচ্ছে ঘুমের মধ্যে। যখনই আমরা ঘুমাতে পারবো না বা ঠিকঠাক মতো ঘুম আসবে না তখনই আমাদের বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে যাবে। এজন্য ঘুমানোর জন্য একটি শান্ত মন প্রয়োজন এবং যখনই আমরা শান্ত মনে ঘুমাতে পারবো তখনই আমাদের আর দুশ্চিন্তা হামলা করতে পারবেনা। এজন্য সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
অলসতা
দুশ্চিন্তা একবার শুরু হয়ে গেলে বা আমাদের শরীরে যখনই অলসতা দেখা দিবে ঘুম না হওয়ার কারণে ততই দোষ চিন্তা আমাদের মাথায় ঝেঁকে বসবে। এজন্য আমরা অলসতা না করে সব সময় আমাদের একটিভ থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং সব কাজে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যার কারণে অল্প তার দূর হবে এবং আমাদের মাথায় অযথা চিন্তাভাবনা ঘুরবেনা। ফলে আমরা দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকবো।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম অহেতুক অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা জেনেছি অহেতুক অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা কেন আসে এবং হতাশা আসার ফলে আমাদের শরীরে কি ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।
আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।এধরনের আরো আর্টিকেল করতে এবং বিভিন্ন সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url