কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো অজানা আছি। দেশে এবং ফার্মের মুরগির ডিমের পাশাপাশি এখন কোয়েল পাখির ডিমের খাবারের প্রচলন বেশ বেড়েছে এবং মানুষের চাহিদা মেটাতে কোয়েল পাখির ডিম এখন খামারেও উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। যার কারণে এটি বেশ সহজ লভ্য হয়েছে আগের চেয়ে।পাওয়া যায় এলাকার ছোট বড় বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায়। এই ডিমের আকৃতি ছোট হলেও এতে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টি গুনাগুন। আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন এই ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে। তবে কোয়েল পাখির মাংস খাওয়া যায়। এটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
ভূমিকা
কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। আমি নিশ্চিত যদি আপনি আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি কোয়েল পাখির ডিম নিয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন এবং এটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কতটুকু উপকারিতা আসে সেটাও আপনি জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে আসি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ আগুন যা সকল ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে খাওয়া জরুরী। বিশেষ করে গর্ভবতী মা এবং বাচ্চার জন্য কোয়েল পাখির ডিম অতুলনীয়। কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা অন্যান্য ডিমের তুলনায় অনেক বেশি বলে জানা যায়। কোয়েল পাখির গায়ের রং বাদামী রঙের হয় এরা সাধারণত খুব কম বয়সের ডিম পাড়ে। একটি সম্পূর্ণ কোয়েল পাখির ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। চলুন তাহলে জেনে নেই কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেঃ
শক্তিবর্ধক
কোয়েল পাখির ডিম আমাদের শরীরের জন্য বেশ ভালো একটি শক্তির উৎস হতে পারে। এই ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আয়রন যা আমাদের শরীরের এনার্জি লেভেল কে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। সব ধরনের প্রোটিনে বহু অ্যামিনো এসিড অনুর দ্বারা তৈরি চেইন দিয়ে গঠিত। কোয়েল পাখির ডিমের অ্যামিনো এসিড প্রোফাইল তৈরি করে দেখা যায় এতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যামিনো এসিড রয়েছে।
যার মধ্যে কিছু অ্যামিনো এসিড শরীরের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্য কিছু অ্যামিনো এসিড রয়েছে যারা টিস্যুর ক্ষয় রোধ ও নতুন টিস্যু গঠন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই পাখির ডিমের পাওয়া যায় লাইসিন নামক এক ধরনের অ্যামিনো এসিড যা আমাদের শরীরের অ্যান্টিবডি তৈরিতে এবং হরমোন, কোলাজেল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নতুন রক্ত তৈরিতে আয়রনের ভূমিকা অনেক। শরীরে আয়রনের অভাব হলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা যায় যার কারণে ঘন ঘন ক্লান্তি ও শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়। যার কারণে আপনি নিয়মিত খেতে পারেন কোয়েল পাখির ডিম এতে করে আপনার শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ এনার্জি থাকবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
কোয়েল পাখির ডিমের পর্যাপ্ত ক্ষণিক উপাদান গুলোর মধ্যে একটি হলো সেলিনিয়াম। এই উপাদানটি আমাদের শরীরের প্রোটেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সেলেনিয়ামে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকোষের ক্ষয় রোধ হয়ে যাওয়া ও জারন থেকে রক্ষা করতে পারে।
এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের দেহে সেলেনিয়ামের অভাব লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত স্বাভাবিক মানুষের শরীরে সেলেনিয়াম কেমন ঘাটতি পরিলক্ষিত না হলেও প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাসে সিলেনিয়ামযুক্ত খাদ্য রাখাটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। এক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম খুবই সহায়তা করে। এটি আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য বেশ কার্যকর।
যকৃত,ত্বক,চুল ও চোখে সুরক্ষায়
রিবোফ্লাভিন যা মূলত ভিটামিন বি টু নামে পরিচিত দেহে বিভিন্ন শারীর ভিত্তিক প্রক্রিয়ার জন্য খুবই দরকারী একটি উপাদান। সাধারণত ভিটামিন বি ২ সহ অন্যান্য বি শ্রেণীর ভিটামিন আমাদের লিভার বা যকৃত,ত্বক,চুল ও চোখের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আমাদের শরীরের লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনীয় এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোয়েল পাখির ডিমের আকারের অনুপাতে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে রিবোফ্লাভিন। কোয়েলের ডিম নিয়মিত খেলে তা আমাদের লিভার এবং চুলের সুস্থতার জন্য যথেষ্ট।
মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রে সুস্থতা
আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য সাধারণত ভিটামিন বি ১২, থাইমিন, ভিটামিন বি ২ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে ভিটামিন বি১২ আমাদের স্মৃতিশক্তির ক্ষয় রোধ করতে সহায়ক। আর কোয়েল পাখির ডিমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ এবং রিবোফ্লাভিন। যে কোন ডিম নিঃসন্দেহে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখার মত একটি খাবার হলেও কোয়েল পাখির ডিম একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অবিচ্ছেদ্য উপাদান হতে পারে ডিম। তবে মাথায় রাখতে হবে ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল যা আমাদের ফ্যাক্টরের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন হৃদরোগের সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে কিংবা কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে আপনি ডিম খাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতন হবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে যে ডিম খেলে হয়তো শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণই ভুল। খেলে আমাদের শরীরের ওজন হ্রাস পায় কারণ ডিম খেলে পেট ভার হয়ে থাকে যার ফলে আমাদের ক্ষুধা কম পায়। যার কারণে আমরা আমাদের ওজন দ্রুত কমাতে পারি এবং আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আজ থেকে নিয়মিত দুই থেকে তিনটি করে কোয়েল পাখির ডিম খাবেন দেখবেন আপনার ওজন আগের থেকে আরও কমে গেছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
আমাদের মধ্যে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তারা বিভিন্ন রোগে বারবার আক্রান্ত হয়ে যায় ফলে তারা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাদের জন্য কোয়েল পাখির ডিম ভীষণ উপকারী। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে সিদ্ধ ডিম খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে এবং শরীরে পুষ্টি যোগাবে। যার ফলে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে
এখনকার দিনে কম বয়সী এবং বেশি বয়সী অনেক লোকেরই চোখের সমস্যা রয়েছে। অনেকেই কাছের জিনিস অথবা দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন ২ থেকে তিনটি করে কোয়েল পাখির ডিম সিদ্ধ করে খেতে পারেন কারণ এই টিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের যদি বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে এবং চোখ সংক্রান্ত যাবত সমস্যা দূর করে দিতে পারে।
আজকাল খেয়াল করলে ছোট বাচ্চাদের চোখে চশমা দেখা যায়। তার একটি বড় কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং অনিয়মিত জীবন যাপন করা। কোয়েল পাখির ডিমের পাশাপাশি আপনি সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন এতে করে আপনার চোখের জ্যোতি বাড়বে।
কিডনি সুস্থ রাখে
কোয়েল পাখির ডিম আকারে খুব ছোট হলেও এর পুষ্টিগুণ বলে আসলে শেষ করার মত নয়। এটি আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখতে পারে। আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গগুলোর মধ্যে কিডনি অন্যতম। কিডনি আমাদের শরীরে একপ্রকার ছাকনি হিসেবে কাজ করে থাকে যা আমাদের রক্তকে পরিশোধন করতে পারে।
এজন্য কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আমাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরী। আপনি কিডনিকে সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম দুই থেকে তিনটি খেতে পারেন। কেননা কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ভরপুর এবং ভিটামিন পাওয়া যায় যা আমাদের কিডনিতে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।
এলার্জি কমাতে
কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে আরও এক ধরনের উপাদান রয়েছে যার নাম হল ওভোমিউকয়েড। এটি এক ধরনের প্রোটিন যা প্রাকৃতিক এন্টি অ্যালার্জি উপাদান হিসেবে আমাদের শরীরের কাজ করে এবং আমাদের সুবিধের বিভিন্ন প্রদাহ ও অ্যালার্জি প্রাদুর্ভাবকে কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ডিমের খনিজ প্রোটিন গুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে।
হাঁপানি শিথিল করে
কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে এলার্জি প্রতিরোধকারী উপাদান হাঁপানির বিরুদ্ধেও কাজ করে থাকে। ধুলাবালিতে আক্রান্ত জীবাণুতে 180 জন হাঁপানি আক্রান্ত শিশু নিয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কোয়েল পাখির ডিম খেয়েছে নিয়মিত তাদের হাঁপানি তীব্রতা ও অস্থিরতা উল্লেখযোগ্য হাড়ে কম শিশুদের তুলনায়। এজন্য হাঁপানি কমানোর জন্য আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা করে কোয়েল পাখি খেতে পারেন।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
খাওয়ার উপযোগী এমন সমস্ত ডিম বাচ্চাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপযোগী এমন সমস্ত ডিমের চেয়ে অধিক ভিটামিন ও গুণসম্পন্ন তাই এটি নিয়মিত বাচ্চাদের খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত।কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ হয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের শরীরের বেশি এবং হাড় মজবুত করে।
বিশেষ করে শীতকালের সময় বাচ্চাদের ক্ষমতা অনেক কমে যায় যার কারণে শীতকালে বাচ্চারা একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। শীতকালীন সময়ে তাদের প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা করে ডিম খাওয়ানো উচিত। এছাড়াও বাচ্চাদের হাড় মজবুত এবং হাড়ের দুর্বলতা কমাতে দরকার ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম। যার কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
এজন্য বাচ্চাকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ালে আপনার বাচ্চার শরীরে অনেক এনার্জি পাবে। পাশাপাশি আপনার বাচ্চা দৃষ্টিশক্তি আরও উন্নত হবে প্রতিদিন যদি দুই থেকে তিনটি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানো হয় তাহলে। কেননা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে যা বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানোর জন্য আমরা কত কিছুই না বাচ্চাদের খাইয়ে থাকি।
কিন্তু আমাদের হাতের নাগালে থাকা দুই তিনটি কোয়েল পাখির ডিম আমাদের বাচ্চাদের দ্রুত মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য এবং সুবুদ্ধি সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এছাড়া অনেক সময় বাচ্চাদের শরীর খুব বেশি দুর্বল হয়ে যায় তা সাথে সাথে তাদের ক্ষমতা অনেক কমে যায়। বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিতে প্রতিদিন কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানো উচিত। এজন্য আজ থেকে আপনার বাচ্চাকে কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা খাওয়ানো অভ্যাস করুন।
গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
অনেকে গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ধারণা করে থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ, এমাইনো এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং প্রোটিন।
আর এই উপাদান গুলো একজন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়।এসব উপাদান গুলো গর্ভবতী মায়ের পেটের ভেতরে থাকা ভ্রূণের বিকাশএবং গঠনে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও গর্ব অবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমনঃ
- কোয়েল পাখির ডিম গর্ভপাতের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও একটি টক্সিকোসিসের লক্ষণ কমায়।
- এই ডিম গর্ভবতী মায়ের অম্বল ভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে থাকে।
- এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
- কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার ফলে কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- এই ডিম গর্ভবতী মায়ের শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে।
- এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় অনেকে গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা নিয়ে ভুগে থাকে। কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ এবং আয়রন যা লাল রক্ত কণিকার গঠন এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও আয়রন সরবরাহ করে যার রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে পারে।
- কোয়েল পাখির ডিম কোলাজেন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি আমাদের ভ্রূণের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান।
- এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে রয়েছে এ প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের গর্ভবতী মা এবং শিশুর শরীরের কোর্সগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও খেয়াল রাখবেন গর্ভাবস্থায় যেন কোন মায়েরা হাফ সিদ্ধ করার ডিম না খায়। কেননা সম্পূর্ণ রান্না করার না হলে ডিমের মধ্যে কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থাকতে পারে যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করে বা ভালোভাবে সময় নিয়ে ভাজি করে সেটি খেতে হবে।
আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যদি গর্ভবতী মায়েদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই এটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। অন্যদিকে গর্ভবতী মায়েদের যদি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পরে কোন ধরনের এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভবতী মায়েদের জন্য বা গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম কতটা কার্যকর।
পাঠকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কেও। তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।
আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।
আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।এধরনের আরো আর্টিকেল করতে এবং বিভিন্ন সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url