চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

বয়স হলে অনেক সময় আমাদের চেহারায় মেছতার দাগ পড়ে যায়। মেছতা পরলে দেখতে ভীষণ খারাপ লাগে। প্রিয় বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে। আজকাল সবাই ত্বক নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি।
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়
তার মধ্যেও হয়তো আমাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্রণের দাগ, মেছতা, বয়সের ছাপ ইত্যাদি পড়ে থাকে। বিশেষ করে মুখের উপর যখন মেছতার দাগ পড়ে তখন দেখতে খুবই খারাপ লাগে এবং আমাদের মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত শুষ্ক ত্বকে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়।

ভূমিকা

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের মেছতার সমস্যা অতিরিক্ত বেশি দেখা যেতে পারে। কেননা শুষ্ক ত্বক মানে আদ্রতা কম।আদ্রতার অভাবে কালচে ছোপে ভরে যায় মুখ।এই কালচে ছোপ ঢাকতে অনেক সময় বিভিন্ন প্রসাধনীও কাজে আসেনা।আবার ঠিক সময়মতো যত্ন না নিলেও মুখে দাগ বেশি পড়ে যায়। এজন্য সময়মতো যত্ন নিলে চিরতরে আমাদের মুখের মেছতা দূর করা যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেই চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে।

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

বিভিন্ন সময় আমাদের ত্বকের বিভিন্ন জায়গাতে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ। যেমনঃ চোখের নিচে, কপালে, ঠোটের নিচে ইত্যাদি জায়গায়।মেছতার কারণে আমাদের চেহারার সৌন্দর্য একদমই নষ্ট হয়ে যায় বললেই চলে। মেস্তা দূর করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ইউজ করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় ভুল উপায়ে মেছতা দূর করতে গিয়ে আমরা আমাদের চেহারার আরো খারাপ অবস্থা করে ফেলে দেই।
আর এই সকল উপায় অবলম্বন করতে গিয়ে মেছতা দূর হওয়ার পরিবর্তে আমাদের ত্বকের আরও বিভিন্ন সমস্যা আমরা নিজেরাই ডেকে আনি। মেছতা দূর করার যতগুলো উপায় আছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজ পদ্ধতি হলো ঘরোয়া উপায়ে মেছতা দূর করা।এজন্য আমরা যদি ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করে মেছতা তুলতে পারি তাহলে সেটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই চিরতরে দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যঃ

কাঁচা হলুদ

হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। এটি সাধারণত আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকলেও আমাদের মেছতা দূর করার জন্য এবং ত্বকের যত্নের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। হলুদ আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করে।
এজন্য হলুদ ভালোভাবে বেটে নিয়ে অথবা ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিয়ে সন্ধ্যার পর যেখানে মেছতা রয়েছে সেখানে হলুদ লাগিয়ে রাখুন। কমপক্ষে 15 থেকে 20 মিনিট রাখুন। ২০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন রেগুলার ব্যবহার করলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার ত্বকের মেছতাগুলো খুব সহজেই দূর হয়ে গেছে। মনে রাখবেন আপনি রোদে থাকা অবস্থায় হলুদ ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনার ত্বক আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

লেবুর রস

আমরা সবাই জানি লেবুর রস যেমন আমাদের শরীরের জন্য উপকার ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেবুর মধ্যে যে উপকারী এসিড রয়েছে সেগুলো আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এক চামচ লেবুর রস এবং তার সঙ্গে এক চামচ বেসন নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন। প্রয়োজনে এর সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপজল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিন কমপক্ষে 15 থেকে 20 মিনিটের জন্য। ২০ মিনিট পর ভালোভাবে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে চিরতরে আপনার মুখের মেছতা দূর হয়ে যাবে। তাই দেরি কেন আজ থেকে শুরু করে ফেলুন এই টিপসগুলো ফলো করে রূপচর্চা করা।

গরুর দুধ

আমরা সকলেই জানি গরুর দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। তার পাশাপাশি গরুর দুধ আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। অল্প পরিমাণে গরুর দুধ এবং এক চামচ আটা বা ময়দা এবং তার সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন।
তারপর সেটি 15 থেকে 20 মিনিটের জন্য তোকে লাগিয়ে রাখুন। 15-20 মিনিট পর ভালোভাবে আপনার মুখ ধুয়ে নিন। এরপর মুখে একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার চিরতরে মুখের মেছতা দূর হয়ে যাবে।

পাকা পেঁপে

আমরা অনেকে হয়তো পাকা পেঁপে খুব পছন্দ করি। পাকা পেঁপের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করে। শুধু মেছতা দূর করা নয় আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়াতে সাহায্য করে পাকা পেঁপে। দুই চামচ পেঁপে নিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিয়ে সেটি মুখে ব্যবহার করুন। এবার ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের মেছতা চিরতরে দূর হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা জেল

রূপচর্চার কাজে এলোভেরা জেল আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। অনেকে এটি ব্যবহার করে থাকে চুলে বা মুখে। এলোভেরা শুধুমাত্র আমাদের ত্বকের জন্য নয় বরং আমাদের শরীরের জন্য এটি ভীষণ উপকারী। এলোভেরার শরবত আমাদের শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান।
চামচ এলোভেরা জেল এর সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটি মুখে লাগিয়ে বিশ মিনিট রেখে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। তারপর হালকা হাতে একটু মাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুগ ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহের তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলেই উপকার আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

টমেটো

মেছতা দূর করার জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী একটি উপাদান হলো টমেটো। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতে ভীষণ উপকারী। দুই চামচ টমেটোর রস নিয়ে নিন এর মধ্যে হাফ চামচ ময়দা ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটি মুখে ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে এর সাথে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল অ্যাড করতে পারেন।
মুখে ব্যবহার করে বিশ মিনিটের জন্য রেখে দিন। বিশ মিনিট পর আপনি দেখতে পাবেন আপনার মুখের ফেসপ্যাকটি হালকা শুকিয়ে এসেছে। তারপর সামান্য পানি নিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি মেছতা দূর হয়ে যায়।

মুলতানি মাটি

মুলতানি মাটিকে আমরা অনেকেই ফেসিয়াল ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করে থাকি বা জানি। কারণ মুলতানি মাটির ত্বকে ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়। এক চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে হাফ চামচ মধু এবং পরিমাণ মতো গোলাপজল দিয়ে ভালোভাবে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন 15 মিনিটের জন্য।
15 মিনিট পর বুঝতে পারবেন আপনার ত্বকে হালকা টানটান ভাব অনুভব হচ্ছে। তখন আপনারা কথা বলবেন না। কথা বললে মুখ টান হওয়ার জন্য চামড়া কুচকে যেতে পারে। এরপর তো ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার মেছতা অনায়াসে দূর হয়ে যেতে পারে।

আলুর রস

আলুর রস আমাদের চোখের নিচে এবং বিভিন্ন জায়গার দাগ দূর করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। যদি আপনাদের তকে মেছতার দাগ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই আপনি নিয়মিত আলুর রস দিতে পারেন। ভালোভাবে আলু ধুয়ে নিয়ে এরপর গ্রেটারে গ্রেট করে আলুর রস বের করে নিন। আলুর রসের মধ্যে হালকা এক চামচ পরিমাণ এলোভেরা জেল এবং সামান্য মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেটি ভালোভাবে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন।
15 থেকে 20 মিনিট তোকে লাগিয়ে রাখার পরে সেটি ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনারা প্রতিদিন ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন আপনার ত্বক থেকে মেছতার দাগ চলে যাবে কয়েক দিনে। আবার এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনাদের চিরতরে মেছতা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও যাদের চোখের নিচে কালো দাগ রয়েছে তাদের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এজন্য অবশ্যই চিরতরে মেছতা দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করবেন।

টক দই

টক দই আমাদের স্কিনের জন্য এবং শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। কেননা টক দইয়ের মধ্যে থাকা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আমাদের ত্বকের ভিতর থেকে ক্লিন করতে সাহায্য করে। আর ত্বক যখন ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকে তখন কখনোই মেছতা পরবে না। দুই থেকে তিন চামচ টক দই নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে তার সঙ্গে একটা মধু দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য।
বিশেষ করে যেখানে মেছতার দাগ রয়েছে সেখানে একটু বেশি করে লাগিয়ে রাখবেন। ৩০ মিনিট পর ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর যদি শীতের দিন হয় তাহলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে চিরতরে মেছতা দূর হয়ে যাবে।

শসা

শসা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। দুই চামচ শসা ভালোভাবে গ্রেট করে বা কুচি করে নিয়ে এরপর শসার সঙ্গে এক চামচ বেসন এবং এক চামচ গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে আপনারা ত্বকের মেছতা চিরতরে দূর হয়ে যাবে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এটি মুখে সরাসরি লাগাবেন না। হালকা পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে শুধুমাত্র মেছতার জায়গায় লাগাবেন। তবে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না মিনিট পাঁচেক রাখলেই হবে। তারপর ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

কলার খোসা

কলা খেয়ে কলার খোসার ভেতরের দিক দিয়ে ভালোভাবে মেছতার জায়গায় তিন থেকে চার মিনিট ঘষতে থাকুন। আপনি চাইলে এর মধ্যে এক চামচ মধু ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আরো পাঁচ মিনিট কলার খোসা রেখে দিন যাতে করে আপনার ত্বক কলার খোসার অংশগুলো ভালোভাবে চুষে নেই। প্রতিদিন একবার করে এই টিপসটি ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার ত্বকের বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে এবং এর পাশাপাশি মেছতা দূর হয়ে যাবে খুব সহজেই।
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ঘরে বসে চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে। আশা করি আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে ঘরে বসে আমরা রূপচর্চা করে চিরতরে মেছতা দূর করতে পারব সে সম্পর্কে।

মেছতা হওয়ার কারণ

সাধারণত আমাদের ত্বকে বা স্কিনে মেলানোসাইট সেল বা কোষ থাকে যার একমাত্র কাজ হচ্ছে মেলানির নামক এক ধরনের পদার্থ তৈরি করা। এই মেলানিন পদার্থ দ্বারা আমাদের টপ অনেক সময় কালো অনেক সময় ফর্সা অনেক সময় আবার দাগহীন আবার অনেক সময় অনেক দাগ দেখা যায়। এটির কারণ মূলত মেলানিন।
যাদের স্কিনে অনেক বেশি পরিমাণ মেলানিন রয়েছে তাদের ত্বক বেশি কালো বা শ্যাম বর্ণের হয়ে থাকে। অন্যদিকে যাদের স্কিনের মেলানিন অনেক কম তারা ফর্সা হয়। এজন্য যখন আমাদের ত্বকে অনেক মেছতা বা বিভিন্ন ধরনের দাগ দেখা যায় তখন বুঝতে হবে আমাদের ত্বকের কোষের সাধারণত মেলানিন অনেক বেড়ে গেছে। আবার আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা মেছতাকে মূলত ফাংগাল ইনফেকশন মনে করে থাকে। কিন্তু এটি মূলত ফাংগাল ইনফেকশন নয়।
কেউ যদি ফাংগাল ইনফেকশন মনে করে ক্রিম বা অন্য কিছু ব্যবহার করে তাহলে তার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আমাদের শরীরে সব জায়গায় ঢাকা থাকলেও মুখ কিন্তু সবসময় খোলা থাকে। যার কারণে সূর্যের রশ্মি সরাসরি আমাদের মুখে এসে পড়ে এবং আস্তে আস্তে মেছতা বেড়ে যেতে পারে। আবার অনেকে রান্না করার সময় চুলার তাপে বসে থাকতে হয় যার ফলে সেখান থেকে তার মেছতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যদি দেখেন যে কোন কিছু করেই ভালো হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম মেছতা কেন হয় সে সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।এধরনের আরো আর্টিকেল করতে এবং বিভিন্ন সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url