মাতৃত্বকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন

মাতৃত্বকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আমাদের অনেকের কোন ধারনা নেই। মাতৃত্বকালীন সময়টা প্রত্যেক নারীদের জন্য একটু অন্যরকম সিজন। সন্তান জন্মদান একটা মেয়ের জন্য সবচেয়ে গর্বের একটা বিষয়। কিন্তু এই সন্তান পেটে ধরা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত একটি মায়ের বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মায়েদের একটি সমস্যার নাম হলো পেটের ফাটা দাগ বা স্ট্রেস মার্ক।
মাতৃত্বকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন
বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় কোন সমস্যা দেখা যায় না কিন্তু বাচ্চার জন্মের পর পেটে বিভিন্ন ধরনের ফাটা দাগ দেখা যায়। যেটা দেখতে আসলে খারাপ দেখায়। এই ফাটা দাগ আবার অনেকের একাই চলে যায়। আবার অনেকেই সহজে যেতে চায় না। তবে গর্ভাবস্থায় একটু সচেতন থাকলে এই দাগ থেকে মুক্তি মিলবে খুব সহজেই। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমার আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন মাতৃত্বকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে।

ভূমিকা

মাতৃত্বকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। পেটের এই কাটার দাগ মা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না হলেও বরং এটি মায়ের শরীরের বিভিন্ন রকম চুলকানি দেখা দিতে পারে।যা আসলে বেশ অস্বস্তিকর। এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের পেটে ও কোমরে বা ঘাড়ে এক ধরনের সাদা ফাটা দাগ দেখা যায়। এগুলোর জন্য ডাক্তার কিছু ওষুধ প্রেসক্রিপশন করে থাকে আবার আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায়ও এই সমস্যা গুলো ঠিক করে দিতে পারেন।

মাতৃত্বকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন

গর্ভকালীন সময়ে মেয়েদের শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে শুধু পেট নয় আরো বিভিন্ন জায়গায় ফাটাফাটা দাগ হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।থাই,ঘাড়ের ভাজের চামড়া ফেটে যায় অনেক সময় যা দেখতে খুবই খারাপ লাগে। তবে ঘরে বসেই আপনি কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে এই দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেই মাতৃত্বকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যঃ

ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার

ডেলিভারির পর ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। নমনীয়তা ঠিক রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি আমাদের স্কিনকে হাইটেক রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে। পরবর্তীতে স্কিনের যেন কোন ধরনের ক্ষতি না হয় সেই দিকে সাহায্য করে ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার।এটি ডেলিভারির পর নয় বরং গর্ভকালীন সময় থেকে পেটে ব্যবহার করতে পারেন। ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার করলে আমাদের পেটের ফাটা দাগ দূর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিমের সাদা অংশ

পেটের ফাটা দাগ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাগ দূর করার জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান হল ডিমের সাদা অংশ। ডিমের সাদা অংশের একটি মোটা প্রলেপ দিয়ে প্রতিদিন মালিশ করতে থাকে ফাটা জায়গার উপরে। তারপর যখন শুকিয়ে যাবে তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন। অন্তত দুই সপ্তাহ প্রতিদিন এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। দেখবেন আপনার পেটের ফাটা দাগ দূর হয়ে গেছে খুব সহজে।

ভিটামিন সি

খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের পরিমাণ আমাদের বাড়াতে হবে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় লেবু, টমেটো বা টক জাতীয় ফলমূল রাখতে হবে। এছাড়াও পালং শাক, মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইত্যাদি খাবার গুলো বেশি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাতিলেবুর রস প্রতিদিন ফাটা জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন।
এক অথবা দুই টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে ওই দাগের ওপর ভালোভাবে মালিশ করুন এরপর ১০ মিনিট রাখুন শুকিয়ে যাওয়ার জন্য। শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে গরম পানি দিয়ে মুছে নিয়ে একটি ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে ফেলুন। এতে করে পেটের ফাটা দাগ দূর হয়ে যাবে খুব সহজে।

নারকেল তেল

নারকেল তেল খুবই জনপ্রিয় একটি তেল। এটি আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। নারকেল তেল প্রয়োগে রেহাই মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে। নারকেল তেলে যদি আপনার এলার্জি না থাকে তাহলে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল কিন্তু ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করে অনেকে। প্রতিদিন এটি ব্যবহার করার ফলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার পেটের ফাটা দাগ দূর হয়ে যাচ্ছে। ফাটা দাগের ওপর নারকেল তেল নিয়ে ভালোভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মাসাজ করবেন।

আলুর রস

আলুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের চামড়া ভালো রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন মিনারেলসের সমৃদ্ধ এ আলুর রস আমাদের চামড়ার রঙ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এমনকি ভেতর থেকে মৃত কোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত আপনার ফাটা জায়গার ওপর আলুর রস লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসেজ করতে পারেন তাহলে আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার উপকার বুঝতে পারবেন। আলুর রস মাসাজ করার পর এটি শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

এলোভেরা জেল

অ্যালোভেরা খুবই উপকারী আমাদের জন্য। ইংরেজিতে এর নাম অ্যালোভেরা হলেও এর বাংলা নাম হল ঘৃতকুমারী। বিভিন্ন গুনাগুনের জন্য এর শরবত অনেকে খেয়ে থাকে। মাতৃত্ব দাগের জন্য এলোভেরা জেল খুবই উপকারী। সরাসরি ফাটা জায়গার লাগিয়ে ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে। 10 থেকে 15 মিনিট মেসেজ করার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এটা কয়েক সপ্তাহ করে দেখুন আপনার পেটের ফাটা দাগ দূর হয়ে যাবে।

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল যেকোন সুপার ফ্লপ বা কসমেটিক্স এর দোকানে পাওয়া যায়। এর দামও খুব একটা বেশি নয়। আমাদের ত্বকের বলি রেখা দূর করতে এবং যে কোন দাগ দূর করতে এটি বহুল প্রচলিত একটি তেল। আর পেটের ফাটা দাগ দূর করার জন্য এই তেলের কোন বিকল্প নেই। ক্যাস্টর অয়েল ফাটা জায়গায় দিয়ে ভালোভাবে মাসাজ করে নিতে হবে। তারপর হালকা কুসুম গরম পানির সে পেটে দিলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে হালকা মশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।

অলিভ অয়েল

যুগ যুগ ধরে ত্বকের যত্নে এবং চুলের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার হয়ে আসছে। এর কারণ অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে নরম করতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল হালকা গরম করে দাগের জায়গার লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এই তেল ধুয়ে ফেলার প্রয়োজন নেই এটি ত্বকের সাথে অটোমেটিক মিশে যায়। এই তেল নিয়মিত দুই সপ্তাহ ব্যবহার করলেই আপনার উপকার বুঝতে পারবেন।

মধু এবং হলুদ

বাচ্চা হওয়ার পর প্রতিদিন পেটে হলুদের গোড়া এবং তার মধ্যে এক টেবিল চামচ টমেটোর রস এবং এক চামচ মধু এবং কফি নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ভালোভাবে পেটে মাসাজ করতে থাকবেন। এতে করে আপনার পেটের ফাটা দাগ তো কমে যাবে পাশাপাশি আপনার পেটে থাকা ময়লা গুলো বের হয়ে যাবে।

চিনির স্ক্রাব

আপনি চাইলে ঘরে বসে চিনির স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। চিনির সাথে একটু কফি এবং মধু মিশ্রিত করে একটি স্ক্রাব তৈরি করুন। এরপর এই চিনির স্ক্রাবটি আপনার পেটের ফাটা দাগের ওপরে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। সপ্তাহে কয়েকবার এই স্ক্রাব তৈরি করে আপনার পেটে ম্যাসাজ করতে পারলে খুব ভালো উপকার আপনি দেখতে পাবেন।

হাইলারনিক অ্যাসিড

কোলাজেন হচ্ছে ত্বকের এক ধরনের প্রোটিন যা আমাদের ত্বকে স্বাস্থ্য এবং নরম রাখতে সাহায্য করে থাকে। বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক থেকে যখন কোলাজেন কমে যায় এর ফলে আমাদের ত্বক রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তো ভালো রাতে এবং ত্বকের কোলাজেন সঠিক রাখতে হাইলারনিক এসিডের ক্যাপসুল খেতে পারেন। আমাদের ত্বকে যখন খোলা দিনের মাত্রা সঠিক থাকে তখন আমাদের ত্বক টানটান এবং মসৃণ থাকে।

লেবুর রস এবং বেকিং সোডা

গর্ভাবস্থায় ত্বকের দাগ এবং পেটের দাগ দূর করার জন্য পাতি লেবুর রস এবং ব্রেকিং সোডার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমপরিমাণ পাতিলেবুর রস এবং তার পরিমাণে ব্রেকিং সোডা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেই পেস্ট আপনার পেটের ফাটা জায়গা এবং ত্বকের ফাটা ওপর কয়েক মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পরে সেটি হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর সেই জায়গায় ভালোভাবে মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি অন্তত দুই সপ্তাহ ব্যবহার করার ফলে আপনি নিজেই এর উপকার বুঝতে পারবেন।

শিয়া বাটার

বাজারের বিভিন্ন কেনা প্রসাধনে ব্যবহার না করে আপনি ঘরোয়া উপায়ে এর সমাধান করতে পারেন। এর জন্য দরকার হল শিয়া বাটার। এক টেবিল চামচ শিয়া বাটার নিয়ে এটি গরম পানির উপর রেখে ভালোভাবে তরল করে নিন। এরপর একটু ঠান্ডা করে শরীরের ফাটা দাগ গুলোর উপর মাসাজ করতে থাকুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন।
নিয়মিত শিয়া বাটার ব্যবহারের ফলে দেখবেন আপনার শরীরের ফাটা দাগগুলো চলে গেছে খুব সহজেই। এছাড়া ভালো ফলাফল পেতে আপনি শিয়া বাটার এর সঙ্গে অ্যালোভেরা এবং অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও শিয়া বাটার ও গোলাপজলের মিশ্রণ ব্যবহার কিন্তু মন্দ নয়। পেটের ফাটা জায়গার ওপরে শিয়া বাটার দিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন।

স্ট্রেস মার্ক বা বিভিন্ন জায়গায় ফেটে যাওয়ার কারণ

গর্ভকালীন সময়ে একজন মায়ের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এক একজন নারীর ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির পরিমাণ একেক রকমের হতে পারে। স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন বেড়ে যায় তখন আপনার শরীর তাড়াতাড়ি প্রসারিত হতে থাকে। তবে এই প্রসানের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চামড়া বা ত্বক প্রসারিত হতে পারে না। ফলে ত্বকের মাঝে স্তরে অতিরিক্ত টান পড়ে এবং এটি ফেটে যায়।
গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন স্ট্রেস মার্ক হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ। এই পরিবর্তনের ফলে অনেক সময় আমাদের ত্বকে থাকা কোলাজেন তন্তু দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কোলাজেন তন্তু হলো ত্বকের একটি উপাদান যা আমাদের চামড়া বা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা করতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত চামড়া প্রসারিত হওয়ার পর আবার তাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে সাহায্য করে। কিন্তু কোলাজেন তন্তু যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন এই ক্ষমতা কমে আসে।
ফলে গর্ভাবস্থায় শরীর যখন প্রচলিত হতে শুরু করে তখন এই তোর তন্তু খুব সহজেই ভেঙে যায় এবং স্ট্রেস মার্ক বা ফাটা দাগ তৈরি হয়। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা খুব ভালোভাবে বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম মাতৃত্বকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আরো জানলাম মাতৃত্বকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের পেটে সহ আরো বিভিন্ন জায়গায় ফাটা দাগ দেখা যায় কেন সে সম্পর্কেও।
আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
এধরনের আরো আর্টিকেল করতে এবং বিভিন্ন সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url