মাথার পাতলা চুলকে ঘন দেখানোর কিছু দুর্দান্ত টিপস জেনে রাখুন

আমাদের চুল যখন হয় নরম,কোমল,বাউন্সি তখন আমাদের আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যায় কয়েকগুন। মনে হয় তখন পৃথিবীটাকে জয় করা সম্ভব। আর যখন চুল ন্যাকানো পড়া হয় এবং দেখতে সুন্দর হয় না তখন আমাদের আত্মবিশ্বাসটা আরো কমে যায়। প্রিয় বন্ধুরা আজকের আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব মাথার পাতলা চুলকে ঘন দেখানোর কিছু দুর্দান্ত টিপস সম্পর্কে।আজকাল ব্যস্ত জীবন আর পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের চুল পড়া দিন দিন বাড়তেই আছে।
মাথার পাতলা চুলকে ঘন দেখানোর কিছু দুর্দান্ত টিপস জেনে রাখুন
চুলের সঠিক যত্নের অভাবে অনেক সময় চুল পাতলা হয়ে যায় চুলের বিভিন্ন সমস্যা তে আমরা ভুগে থাকি। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের চুলের যত্নে আমরা পেতে পারি ঘন চুল। কিন্তু এত সময় যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলে কি করবেন? হঠাৎ করে যদি কোন পার্টি বা বিয়ের অনুষ্ঠান থাকে তখন কি করবেন? প্রিয় বন্ধুরা অল্প সময় মাথার পাতলা চুলকে ঘন দেখানোর কিছুর দুর্দান্ত টিপস নিয়ে আজকের আর্টিকেল।

ভূমিকা

মাথার পাতলা চুলকে ঘন দেখানোর কিছু দুর্দান্ত টিপস জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। আপনি হয়তো ইন্টারনেটে সার্চ করলেই চুল ঘন হওয়ার বিভিন্ন রকম উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিন্তু সেগুলো সব সময় সাপেক্ষ। তাই সাময়িক কিছু টিপস জেনে রাখা ভালো। কোন সময় আমাদের কাজে দিতে পারে।

মাথার পাতলা চুলকে ঘন দেখানোর কিছু দুর্দান্ত টিপস জেনে রাখুন

অল্প সময়ে পাতলা চুল ঘন দেখানোর কিছু সহজ টিপস রয়েছে। যেগুলো ফলো করলে আপনি আপনার চুলের সমস্যার সমাধান করার জলদি করতে পারবেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজে লাগাতে পারবেন।

ব্লো ড্রাই

আপনি যদি আপনার পাতলা চুল ঘন দেখাতে চান তাহলে আপনাকে কোকরা চুলের হেয়ারস্টাইল করতে হবে। এতে করে আপনার চুল ঘন দেখাবে। গোসলের পর অনেকেই ব্লো ড্রাই করে ঝটপট চুল শুকিয়ে নিতে পছন্দ করে। এজন্য গোসলের পরে চুল শুকানোর সময় উল্টো করে ব্লো ড্রাই করুন। এরপর মোটা দাঁতের জন্য দিয়ে চুল আঁচলে নিন। দেখবেন আপনার চুল ঘন ও আগের চেয়ে দ্বিগুণ বাউন্সি দেখাচ্ছে।

হাইলাইট

চুলের রং পরিবর্তন করেও চুল ঘন দেখানো যায় এটি কি আপনি জানেন! এর জন্য চুল রং করতে হবে সরু সরু করে। অল্প চুলে রং করতে হবে। মুখের রং এবং আকৃতির সাথে ঠিক রেখে সঠিক রং বাছাই করে হাইলাইট করলে পাতলা চুল ঘন দেখায়। আপনি কি এখন ভাবছেন যে কি রং করা যায়! বিশেষজ্ঞরা বলেন, কফি কালার কিংবা ব্রাউন কালার অথবা ক্যারামেল কালার করলে চুল অনেক ঘন দেখায়।

সিঁথি করা

দিনের পর দিন একই দিকে সিঁথি করার ফলে আমাদের চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এবং ধরে পড়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। এটা চুল ঘন দেখাতে হলে কিছুদিন পরপর সিঁথির সাইড পরিবর্তন করতে হবে। পেতে করে চুল ঘন দেখাবে এবং চেহারার মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসবে।

শ্যাম্পু কন্ডিশনার করা

অল্প সময়ে চুল ঘন দেখাতে এবং নিয়মিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পরিবর্তে অন্য কোন ব্র্যান্ডের ভালো শ্যাম্পু এবং ব্র্যান্ডের কন্ডিশনের ব্যবহার করতে পারেন। এতে করার জলদি আপনার তুলে ফোলা ভাব আসবে এবং চুল ধরার পরে অবশ্যই তুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে এতে আপনার চুল দেখাবে বাউন্সি। এরপর ফ্যানের বাতাস দিয়ে দ্রুত চুল শুকিয়ে নিতে হবে। এতে করে চুলের দ্বিগুন ফোলা ভাব আসবে এবং উল্টা করে আঁচরাতে হবে।

স্টাইলিশ হেয়ার কাট

চুল যখন অনেক পাতলা হয়ে যাবে তখন একটি ভালো হেয়ার কাট করুন। অবশ্যই ভালো সেলুন থেকে হেয়ার কাট করতে হবে। অনেক হেয়ারকাট আছে যেগুলো তুলে দেয়ার ফলে চুল অনেক বেশি দেখায়। এজন্য চুল ঘন দেখাতে অবশ্যই আপনাকে একটা স্টাইলিশ হেয়ার কাটিং দিতে হবে।
প্রিয় বন্ধুরা উপরোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই মাথার পাতলা চুলকে ঘন দেখাতে পারবেন।

পাতলা চুলের জন্য যত্নের রুটিন

  • অবশ্যই সপ্তাহে দুদিন শ্যাম্পু করার আগে গরম তেল মাথার ত্বকে মাসাজ করুন ভালোভাবে। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল কিংবা ক্যাস্টর অয়েলের মত প্রাকৃতিক তেল চুলের জন্য ভালো। আর যদি আপনি চুল বড় করতে চান তাহলে নারকেল তেলের সঙ্গে অবশ্যই ক্যাস্টর অয়েল মেশিয়ে নিন।
  • চুলের জন্য ড্রাই মাসাজ অনেক উপকারী। এর জন্য আপনি যদি চুলে তেল নাও দেন তাহলে হালকা হাতে একটি মাসাজ করে নিন। মাথা নিচু করে পুরোটা চুল সামনের দিকে নিয়ে আসুন এবং আঙ্গুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বক মাসাজ করতে থাকুন।
  • ভালো মানুষ শ্যাম্পু কিংবা তেল অথবা কন্ডিশনারের তালিকা রাখুন। প্রয়োজনের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ভালো মানের কন্ডিশনার এবং চুলের তেল ও শ্যাম্পু বেছে নিন।
  • ভিটামিন সি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে চুলের কেরাটির মজবুত হয় এবং চুল ঘন করে তোলে।
  • চুল এবং মাথার ত্বকের জন্য ইউ ভি সুরক্ষা দরকার। সূর্যের ক্ষতিকর রশি থেকে রক্ষা পেতে আপনি আপনার মাথার ত্বক এবং চুলকে বাঁচাতে বাজারের কিছু পণ্য ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই সেটি ভালো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে।
  • কঠোর আবহাওয়াতে চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। ঠান্ডা তাপমাত্রা, উচ্চ আদ্রতা কিংবা অতিরিক্ত বাতাস সব আপনার চুলকে প্রভাবিত করতে পারে। এজন্য কোন পরিস্থিতিতে আপনার চুলকে প্রভাবিত হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে মাথা ঢেকে বাইরে যেতে হবে।
  • সব সময় আটোসাটো বা টাইট করে চুল বাধা যাবে না। এতে করে আমাদের চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং চুল পড়ে যায়। চুলের স্টাইল যেমন বিনুনি এড়িয়ে চলতে হবে।

চুল পাতলা হয়ে যাওয়া আটকাতে কি করবেন

চুল আঁচড়াতে গিয়ে যখন সেটি ছোটহয়ে যায় কিংবা চুলের গোছা কমে যায় সেটি দেখলে তখন আমাদের হতাশ লাগে। তবে চুল পড়ার নিয়ন্ত্রণ যোগ্য হতে পারে আবার বিভিন্ন কারণে এটা আটকানো অসম্ভব হতে পারে। গড় অবস্থায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মাসে চুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং শিশুর জন্মের পর চুল পড়া বাড়তে পারে। এটি হরমোনের পরিবর্তনের ফলে হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের চুলের ফলিকলের বৃদ্ধি আটকাতে পারে। এতে করে নির্দিষ্ট সময় পর চুল ধরতে শুরু হয়।মাঝে মাঝে অনেক অসুস্থতার জন্য আমাদের চুল পড়ে যেতে পারে এবং পাতলা হয়ে যেতে পারে। এজন্য এই সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চুল পড়ার একটি প্রতিষ্ঠিত কারণ হলো জেনেটিক যেখানে চুল পড়া কোন রোগের কারণ নয় বরং বংশগত জিন, হরমোনের প্রভাব এবং পার্থক্য প্রক্রিয়ার প্রাকৃতিক সংমিশ্রনে চুল পড়তে পারে।
এছাড়াও অনেক সময় চুলের ফোলিকল গঠন বিভিন্ন হরমোনের মাধ্যমে প্রভাবিত হয় যার কারণে আমাদের চুল পড়তে পারে। তবে চুল পড়া কমানোর জন্য অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খেতে হবে। জীবন থেকে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কাজকর্ম এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্যের ঘাটতি থাকলে সেটা পূরণ করতে হবে।
কোন চুল শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার দিয়ে ট্রিটমেন্ট করার আগ্রহী হলে আগে সমস্যা শনাক্ত করতে হবে তারপর ট্রিটমেন্ট করতে হবে। এছাড়া মেয়েদের পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। এতে করে চুলের আগা ফাটা কমে যাবে এবং চুল পড়া কমে যাবে।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম মাথার পাতলা চুলকে ঘন দেখানোর কিছু দুর্দান্ত টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।তাহলে আর দেরি কেন আপনারা সকলেই এই টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।এধরনের আরো আর্টিকেল করতে এবং বিভিন্ন সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url