আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা বুঝবেন কিভাবে বিস্তারিত জানুন
আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা বুঝবেন কিভাবে বিস্তারিত জানা আমাদের প্রত্যেকের উচিত। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে হাজার হাজার বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের পেছনে বিভিন্ন রকম কারণ থাকলেও পরকীয়া একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এখনকার অধিকাংশ দম্পতি দু-একটি বিষয়ে মতের অমিল হলে এখন বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন খুব সহজে।এখনকার অধিকাংশ দম্পতিরা তাদের নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুল পরিমাণ লড়তে চাই না। বিয়ের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নির্দ্বিধায় ভেঙে ফেলতে তারা সময় নেয় না। আর যারা বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারছেন না তাদের মধ্যে অনেকেই জড়িয়ে পড়ছেন অবৈধ সম্পর্কে বা পরকীয়াতে। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা বুঝবেন কিভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
ভূমিকা
আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা বুঝবেন কিভাবে সেটা জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। পরকীয়া একটি বিষাক্ত সম্পর্ক। একটি সুন্দর হাসি খুশি সুখের সংসার নেমেছে এই ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য পরকীয়া যথেষ্ট। পরকীয়া সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডক্টর মোহিত কামাল। তিনি বলেন যদি দুই একটি বিষয়ে মতের অমিল হয় তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে অনেক দম্পতি। তারা খোলামেলা কথা বলতে পছন্দ করেনা।
আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা বুঝবেন কিভাবে বিস্তারিত জানুন
- সাম্প্রতিককালে যেসব সামাজিক ব্যাধি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এই পরকীয়া। আর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সমাজে খুন খারাপের মতো ঘটনা ঘটছে অনেক। বর্তমানে এই পরকীয়ার জন্য সমাজে বিভিন্ন রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই পরকীয়ার জন্য নিষ্ঠুর বলি হচ্ছে স্বামী বা স্ত্রী, পিতা-মাতা এবং সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে আসি আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা বুঝবেন কিভাবে সে সম্পর্কেঃ
- হঠাৎ করেই আপনার স্বামী যদি ইন্টারনেটে অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে বা ফোনের পেছনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে তাহলে এই বিষয়ে আপনার অবশ্যই নজর রাখতে হবে। একসাথে বসে থেকে ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, মেসেজ কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে তাহলে তার নিশ্চিতভাবে অন্য একটি সম্পর্কের ইঙ্গিত বোঝায়।এছাড়াও দিনের বেশিরভাগ সময় যদি থাকে ফোনের আলাপে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় তাহলে বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্য করবেন।
- অনেকে বলতে পারেন হয়তো কাজের প্রয়োজনে মানুষ বেশি বেশি ফোন করে বা ফোন বেশি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন যে কাজের প্রয়োজনে ফোনে আলাপ করা এবং কারোর সাথে প্রেমের আলাপ করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্য বুঝার ক্ষমতা প্রত্যেকটি বৈবাহিক জীবনের মানুষের হওয়া উচিত। শুধুমাত্র ফোন নয় বা ফেসবুক নয় অন্য যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতি আসক্তির বিষয়টাও আপনাকে নজর দিতে হবে।
- আপনার স্বামী যদি আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে আগের তুলনায় সময় কম দেয় তাহলে এটি একটি পরকিয়ার লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। এরকম পরিস্থিতিতে খুব ভালো করে আপনার স্বামী প্রতিদিনের কাজকর্ম লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে সে আগের চেয়ে কম সময় পাচ্ছে তাহলে সেটা আপনাকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
- আর যদি বুঝতে পারেন যে সে বাড়তি সময়টা তিনি কিভাবে ব্যয় করছে এবং আপনি তাকে সময় দেওয়ার কথা বললে তার উত্তরটা কেমন হচ্ছে সেটা আপনাকে খেয়াল করতে হবে। এরকম সময় একসঙ্গে বসে টিভি দেখার সময় কথা বলুন একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করুন কিংবা পারিবারিক বন্ধুদের সময় দেওয়ার কথা বলুন।
- অবশ্য সেই সময় যদি আপনার স্বামী নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাহলে সেটা আলাদা বিষয়। আর যদি অজুহাত দেখায় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে হয়তো পরকীয়াতে আসক্ত হয়েছে। কোনটা ব্যস্ততা আর কোনটা সময় না দেওয়া এই দুটো জিনিস আপনাকে বুঝে নিতে হবে।
- আপনার সঙ্গিনের মুখে বা স্বামীর মুখে যদি নতুন কোন মেয়ের নাম ঘনঘন শুনতে পান তবে এটাও পরকীয়ার একটি ইঙ্গিত হতে পারে। আপনার স্বামীর যে বন্ধুদের কথা আগে কখনো শোনেননি, এমন কারো কথা তাকে ঘন ঘন জিজ্ঞেস করুন এবং তার মুখের ভাব প্রকৃতি সব লক্ষ্য করুন ভালোভাবে। যদি তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান কিংবা তার মুখের অভিব্যক্তিগুলো বদলে যায় তবে অবশ্যই বিষয়টি নজরে রাখবেন।
- আরো একটি বিষয় লক্ষ্য নিয়েও যা হল আপনার হাজবেন্ডের কথার সুর। আপনি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখবেন আগে যে বিষয়গুলো আপনার স্বামীর রাগের উদ্রেক কারণ হতো না সেসব বিষয়টি তিনি এখন রেগে যাচ্ছেন বা অস্বাভাবিক আচরণ করছেন কিনা!
- কিংবা কথায় কথায় আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে অভিশাপ হিসেবে অভিহিত করছেন কিনা! তার কথার যুক্তি বা বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন ভালোভাবে। বিনা কারণে রাগ বা অযৌক্তিক কোন রাগ করা অথবা সব সময় খিটখিটে আচরণ করা পরকীয়ার অন্যতম লক্ষণ।
- ভালোভাবে খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিদিনের রুটিন আপনার স্বামী হঠাৎ করে কখনো জিজ্ঞাসা করছে কিনা। জিজ্ঞেস করছে কিনা আজকে কি প্ল্যান বা কোথায় যাবে কি করবে? এই ধরনের কোন প্রশ্ন করছে কিনা এটা ভালোভাবে খেয়াল রাখবেন। কেননা এ ধরনের প্রশ্ন যখনই করবে তখনই আপনার নিশ্চিত থাকতে হবে যে বা আপনার বুঝে নিতে হবে যে আপনার চোখ নিয়ে নিরাপদে সে কোন সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
- আপনার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের সময় আপনার স্বামী যদি উদাসীনতা দেখায় তাহলে আপনি এটি পরকীয়ার নিশ্চিত একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। সে সময়ের মুখের অভিব্যক্তি আপনাকে এসব কথা বলে দেবে। তাই এই সময় আপনার স্বামীর মুখের অভিব্যক্তিটি ভালোভাবে খেয়াল করুন।
- আপনার স্বামী যদি হঠাৎ নিজের সৌন্দর্য নিয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠে তাহলে এটি আপনি পরকীয়ার একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। অফিসে যাওয়ার সময় যদি তার নিজের সাজগোজ শারীরিক গঠন কিংবা পরিহিত পোশাক আশাকের দিকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে শুরু করে তাহলে আপনি বুঝে নিবেন যে হয়তো সে অন্য কোন সম্পর্কে জড়াতে যাচ্ছে বা জড়িয়ে আছে।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে যে বিষয়গুলো আলোচনা করলাম এগুলোর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা। তবে একটু সময় নিয়ে বিষয়গুলো নোটিশ করবেন এবং এই স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে কোন তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না বা আপনার স্বামীর সাথে রাগারাগি বা ঝগড়া করবেন না। মাথা ঠান্ডা রেখে বিষয়গুলো নোটিশ করার চেষ্টা করুন।
পরকীয়াতের জড়িত হওয়ার বিভিন্ন কারণ
পরকীয়াতে জড়িত হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে কারণগুলো আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত আর নিজেকে বিরত রাখা উচিত। তাহলে প্রত্যেকটি সংসারই হবে সুখের। প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা বুঝবেন কিভাবে সে বিষয়ে। এখন আমরা জানবো পরকীয়াতে জড়িয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কেঃ
বাল্যবিবাহ
অল্প বয়সে বিয়ে করা বা বাল্যবিবাহ করলে পরকীয়ায় জড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাল্যবিবাহে অনুভব হয় যে তারা এই বয়সে জীবন উপভোগ করেনি। যার কারণে তাদের চাওয়া পাওয়ায় বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে অন্য কোথাও। এজন্য পরকীয়া আটকাতে হলে সর্বপ্রথম বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে।
দাম্পত্য জীবনে অসন্তুষ্ট
দাম্পত্য জীবনে অসন্তুষ্ট থেকে পরকীয়া জড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ সব মানুষই সর্বপ্রথম মানসিক জানতে চাই, ভালোবাসা চাই। কিন্তু তার পরিবারের দিন শেষে তার স্ত্রীর কাছ থেকে যদি সে মানসিকভাবে শান্তি না পাই বা দুজন দুজনের প্রতি ভালোবাসার না থাকে তাহলে আমাদের বিপরীত পার্টনাররা সবসময় অন্য জায়গায় ভালোবাসা খুঁজে বেড়ান।
পিতা মাতা হওয়ার কারণে
পিতা-মাতা হওয়ার ফলে স্বামীর বা স্ত্রীর সম্পর্ক পুরো পরিবর্তন হতে পারে। এই সময় সংসারে সন্তান হয় মূল বিন্দু। সন্তানকে সময় দিতে গিয়ে বা সন্তানদের খেয়াল রাখতে গিয়ে স্বামীর প্রতি একটু বেখেয়ালি হয়ে গেলে স্বামীর নিজেকে অবহেলিত ভাবে এবং প্রাধান্য পেতে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।
শারীরিক চাহিদায় অসন্তুষ্ট
পরকীয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো শারীরিক চাহিদা পূরণে অক্ষম হওয়া। বিবাহের পরে নারী এবং পুরুষের মধ্যে কেউ একজন শারীরিক মিলনের যদি অক্ষম হয়ে থাকে বা আগ্রহ না দেখায় তাহলে বিপরীত দল এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। এবং সেখান থেকে জন্ম নেয় পরকীয়ার।
ক্যারিয়ারে অগ্রগতি
অনেক ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারে অগ্রগতি ও পরকীয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। অনেকেই ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে শারীরিক বা মানসিক ঘনিষ্ঠতা কিংবা ফ্লার্টিং এর মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং পেশাদারদের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। এতে করে ক্যারিয়ারের উন্নতি করতে গিয়ে বিবাহের মত সম্পর্কে লিপ্ত হয় অনেকে।
মানসিক যোগাযোগ না থাকা
অনেক সময় সময়ের অভাবের কারণে মেয়েদের কাজের ব্যস্ততার কারণে আমাদের সঙ্গির সাথে আমরা বেশি সময় কাটাতে পারি না যার কারণে তাদের সাথে আমাদের মানসিক সম্পর্ক ও বা যোগাযোগ নষ্ট হয়ে যায় বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা দুই পক্ষই কেউ কারো সাথে আবেগ অনুভূতি শেয়ার করতে পারি না। এ সময় পরকীয়াতে জড়িয়ে যেতে পারে অনেকেই।
মতবিরোধ হলে
জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়। সে সময় আমাদের সকলের সাথে মতামত মিল নাও হতে পারে। কিন্তু এই বিষয়গুলো যখন চরম পর্যায়ে চলে যায় বা জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সঙ্গীর সাথে মদের মিল না হয় সেখান থেকে পরকীয়ার জন্ম নিতে পারে।
আর্থিক কারণে
কখনো কখনো আর্থিক লোভের কারণে অনেকেই পরকীয়াতের জড়িয়ে যেতে পারে। আর্থিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বা টাকার লোভে অনেকে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে পারে। এজন্য পরকীয়াতে জড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো আর্থিক টানাপোড়ন।
প্রযুক্তিগত কারণ
আজকাল প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা আরও মাধ্যমে মানুষের যোগাযোগের সহজলভ্যতা হয়েছে এবং সুযোগ বেড়েছে। যার কারণে এর মাধ্যমে মানুষজন খুব সহজেই যেকোনো সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে পারছে। আবার এসব জায়গায় পরকীয়া দেখতে দেখতে মানুষ এটাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত কারণ পরকীয়াতে জড়িয়ে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ।
আপনার স্বামী পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়লে কি করবেন
সামাজিক নিয়মে বিয়ে হয় একজনের সঙ্গে। কিন্তু আমরা সব সময় আশা করে থাকি যে তাকে ভালোবেসে আমরা সারাটা জীবন পার করে দিব। কিন্তু এক পক্ষ যখন অন্য কোন সম্পর্ককে জড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের পক্ষে সেটা সহ্য করা কষ্টকর হয়ে যায়। যখনই আপনার এবং আপনার স্বামীর দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট শূন্যতা তৈরি হয় এবং এই শূন্যতা থেকে বাক্যকর দিয়ে দুর্বল মুহুর্তে আপনার স্বামী জড়িয়ে যেতে পারে পরকীয়াতে।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষ মানুষ নিজের ঘর ভাঙার কথা ভাবে না। সবচেয়ে বেশি ভাবে একজন মেয়ে। এর মধ্যেও যদি আপনার স্বামী পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে আপনি কিছু কিছু বিষয় খেয়াল রেখে চলাফেরা করবেন। যেমন আপনার স্বামী সারাক্ষণ কোথায় যাচ্ছে কোথা থেকে আসলো এ ধরনের প্রশ্ন করবেন না। কারণ আপনি নিজেই জানেন তিনিও বলছে কিনা।
তাই বারবার তাকে প্রশ্ন করে সত্য মিথ্যা প্রমাণ করা থেকে বিরত থাকুন। বারবার আপনার স্বামীর অফিসে ফোন করে খোঁজ নিবেন না যে আপনার স্বামী অফিসে আছে কিনা। এতে করে আপনার স্বামী তার সহকর্মীদের কাছে বিব্রত হয়ে যাবে। এছাড়াও সহকর্মীদের কাছে তার সম্মানও নষ্ট হয়ে যাবে।
কিছু কিছু সময় এড়িয়ে যাবেন যেমনঃ অফিস থেকে ফেরার পর যদি আপনাদের যদি দুই কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকতো বা সারাদিন নিজেরা কি কি করেছেন এসব বিষয় নিয়ে গল্প করার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি বাদ দিয়ে দিন। আপনি নিজের মতো করে সময় কাটাতে থাকুন। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেও একজন পুরুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চায় না তার নিজের স্ত্রীর ওপর অধিকার হারিয়ে ফেলতে।
এরকম অবস্থায় আপনি তাকে না জানিয়ে নিজের মতো বিভিন্ন কাজে বাইরে বেরিয়ে যান এবং তাকে সেটা না বলে। কিছুদিনের মধ্যে দেখবেন তার অধিকারবোধ গায়ে লাগবে। কখনোই কান্নাকাটি করে স্বামীকে ফেরানোর চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন আপনার স্বামীর ভালোবাসা আপনার কাম্য তার সহানুভূতি নয়। পরিবারের অন্য কোন সদস্যকে এ ব্যাপারে জড়াবেন না।
অনেক সময় স্বামীর অভিভাবক কে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন অনেক স্ত্রী। কিন্তু এটি কখনোই করা যাবে না। বরং আপনার ব্যবহার তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে। আপনার ছেলেমেয়েদের কখনোই এই বিষয়ে জানতে দিবেন না বা বুঝতে দিবেন না। কারণ এতে করে তার বাবাদের ওপর ছেলেমেয়েদের একটি বিরূপ মন মানসিকতার সৃষ্টি হবে। এত কিছু করার পরেও যদি আপনার স্বামী ফিরে না আসে তাহলে বুঝবেন সে কখনোই আপনার ছিল না।
পাঠকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত কিনা বুঝবেন কিভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা আরো জানলাম পরকীয়াতে জড়িয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে এবং পরকীয়াতের জড়িয়ে গেলে আপনি কি করবেন সে সম্পর্কে।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।এধরনের আরো আর্টিকেল করতে এবং বিভিন্ন সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url