কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন

আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা তে ভুগছেন!কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন সেটা সম্পর্কে জানাতে আজকের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক বেশি উপকৃত হতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন
দৈনন্দিন চলার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। এই খাবার গুলো আমাদের শরীরে উপকারের পরিবর্তে মাঝেমধ্যে অনেক বিপদ ডেকে নিয়ে আসে। এজন্য খাবার খাওয়ার সময় আমাদের প্রত্যেকের সতর্ক থাকা উচিত।

ভূমিকা

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন জানতে হলে শেষ পর্যন্ত আমার আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই কমবেশি কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাতে ভুগে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অনেকের ধারণা যে ওষুধ ছাড়া দূর করা সম্ভব নয়। যেটা সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। এই সমস্যাটি খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে খুব সহজেই দূর করা সম্ভব।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন সেটা জানার আগে আমাদের আসলে জানা দরকার এর লক্ষণ সম্পর্কে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মলত্যাগ কমে যায়, অনেক সময় পেট ফুলে যায় এবং পেট ব্যথা হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং বাথরুমে যথেষ্ট সময় কাটানোর পরেও আমাদের তেমন কোন কাজ হয় না বা আমরা উপকৃত হই না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের ভুলভাল খাদ্য খাওয়ার অভ্যাসের কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণত একটি হজম জনিত সমস্যা। যা প্রধানত অনিয়মিত মলত্যাগ হিসেবে বিবেচিত হয়। ব্যক্তিভেদে এর লক্ষণ গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ মল শক্ত, মলত্যাগে অসুবিধা, মলত্যাগের সময় ব্যথা ও টান পড়া, রক্তপাত, সপ্তাহে তিন দিনের কম মলত্যাগ ইত্যাদি।
 ডায়েট কিংবা খাদ্য পরিকল্পনা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। এটা পাচনতন্ত্রের সাথেও সম্পর্কিত। সাধারণত ভাজাপোড়া খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার অন্যতম কারণ। যখনই কষ্ট কাঠিন্য হবে তখন এই সাথে সাথে আপনার খাদ্যের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
এছারাও বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে যেমনঃ খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণ আশ জাতীয় খাবার না রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, এমনকি মানসিক চাপ এবং ওষুধের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার কারণে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শাকসবজি খেতে হবে

কোষ্ঠকাঠিন্য ও দূর করতে আঁশযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প হতে পারে না। আর শাকসবজি হলো আঁশ জাতীয় খাবারের সবচেয়ে ভালো উৎস। এজন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আঁশ জাতীয় খাবার রাখতে হবে অর্থাৎ টাটকা শাকসবজি রাখতে হবে। শাক সবজির মাঝে রাখবেন লাউ, চাল কুমড়া, পেঁপে, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি। অবশ্যই প্রতিবেলার খাবার তালিকায় সালাদ রাখুন।
সালাদ হিসেবে আপনি শসা, গাজর, টমেটো এবং কাঁচা পেঁপের সালাদ রাখতে পারেন। শসা এবং কাঁচা পেঁপের সালাদ আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। শসার মধ্যে 94% পানি থাকে যা আমাদের মল নরম করতে সাহায্য করে। এজন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে এবং পাশাপাশি সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অন্যদিকে ডুমুর ফাইবারের অন্যতম একটি উৎস।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ডুমুর দেখা যায় অনেক বেশি। শহরে এটি সংখ্যা বেশ কম। এটি মলত্যাগে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ফিসিন নামক এক ধরনের এনজাইম যা আমাদের রেচন প্রভাবে অবদান রাখে। ডুমুর আপনি শুকনো খেতে পারেন কিংবা সারারাত ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারেন।

ফলমূল খেতে হবে

অনেকের ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস একদমই নেই। কিন্তু টাটকা ফলমূল আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকর। ফলমূলের মধ্যে আপনি রাখতে পারেন আপেল, নাশপাতি, কলা ইত্যাদি। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আজ যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে।
 যারা সকলের নাস্তায় একটি করে পাকা কলা রাখে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা যায় না বললেই চলে। আবার যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত খোসা সহ আপেল খাবেন। কেননা আপেলের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ। এছাড়াও প্রতিদিন একটি করে নাশপাতি খেলে আমাদের দৈনন্দিন আশের চাহিদার 22% পূরণ হয়।
এছাড়াও আপনি পাকা পেঁপে খেতে পারেন। কেননা পাকা পেঁপের মধ্যে রয়েছে পেপেইন নামক এক ধরনের উপাদান যা আমাদের হজমে সহায়তা করে থাকে। খালি পেটে পাকা পেঁপের সাথে চিয়াস মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন।

ইসবগুলের ভুষি

ইসবগুলের ভুষি প্রাকৃতিকভাবে মলত্যাগের জন্য সাহায্য করে থাকে। এটি আমাদের মল নরম করতে এবং মালের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ও সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে থাকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় আঁশ যা প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করতে পারে। ইসুবগুলের ভুষি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গোসল গরম পানিতে দুই চামচ মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন।
এমনকি একইভাবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও ইসবগুলের ভুষি খেয়ে ঘুমাতে যাবেন। প্রতিদিন এ অভ্যাস গড়ে তুললে দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আর নেই। তাই দেরি না করে আজ থেকেই এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন ইসুবগুলের ভুষির মাধ্যমে।

তোকমা

তোকমা কমবেশি অনেকেই হয়তো চিনেনা। আবার বিশেষ করে যারা গ্রামের দিকে বসবাস করে তারা সবাই এটির সাথে বেশ পরিচিত। তোকমা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে উপকারী একটি খাবার। এটি ঘন্টাখানেক পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিলে এর ভেতর থেকে সব পুষ্টিগুণ বের হয়ে আসে। তারপর এর মধ্যে ফল কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।

টক দই

টক দই আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এটি যেমন আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এর মধ্যে থাকা ল্যাকটিক এসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার পর দুই থেকে তিন চামচ টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলেও এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। পাশাপাশি আপনার নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

আমলকির রস

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আমলকি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারী ভিটামিন। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকাতেও সাহায্য করে আমলকির রস। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীরা প্রতিদিন গরম পানিতে আমলকির রস মিশিয়ে খেতে পারেন। অবশ্যই আপনি সুফল পাবেন।

অ্যালোভেরা

এলোভেরা আমাদের সবারই অনেক পরিচিত। বিশেষ করে ত্বক এবং চুলের যত্নে এটি আমরা সবাই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই এলোভেরার শুধু রূপচর্চার গুণাগুন আপনারা হয়তো জানেন। কিন্তু এর আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। এলোভেরার সাথে তোকমা এবং ইসবগুলের ভুষি দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হয়ে যাবে খুব সহজেই।

চিয়া সিড

আমাদের সবার কাছে বেশ পরিচিত এই উপাদান। এটি সাধারণত আমরা ডায়েটের তালিকায় রেখে থাকি।চিয়াবীজ আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটি উপাদান।অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যাতে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে আমরা চিয়া বীজ রাখতে পারি।এরমধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করার পাশাপাশি আমাদের হার্টের সমস্যাও দূর করতে পারে। এজন্য সকালে খালি পেটে এক চামচ গ্লাসের মধ্যে মিশিয়ে পান করে নিন।

ডাল এবং মটরশুটি

ডাল এবং মটরশুঁটির ডালের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ১০০ গ্রাম ডাল রান্না করলে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় আঁশের 26 শতাংশ পূরণ হয়। যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। এছাড়াও শুকনো ফলের মধ্যে কিসমিস এবং খেজুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিসমিস এবং খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে এসে কিসমিস এবং খেজুর সহ ওই ভেজানো পানি খেতে পারেন। এতে করে আপনার কষ্ট পাঠানোর সমস্যা দূর হয়ে যাবে খুব সহজেই। এছাড়াও ওট মিল খুব আশযুক্ত খাবার। বাদাম একবারে ২০ থেকে ৩০ টি খেতে পারেন। কেননা বাদামে প্রায় ৩.৫ গ্রাম আঁশ থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়ার বিভিন্ন কারণ

কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়ার সাথে সাথে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই কিংবা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকি। কিন্তু সঠিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা দেখা যাবে না। এটি সাধারণত কয়েকটি কারণে হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের যখন আঁশযুক্ত খাবারের অভাব দেখা যায় তখন কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
ফাইবার হলো এক ধরনের শর্করা পেট পরিষ্কার করার জন্য ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের যে জায়গায় মল তৈরি হয় বা জমা থাকে সেখানে ফাইবার অনেকটা স্পঞ্জ এর মত কাজ করে থাকে। পানি শোষণ এবং ধারণ করার মাধ্যমে ফাইবার মল ধরে রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে মল নরম ও ভারী হয় এবং সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে আসতে পারে।
কিন্তু খাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার না থাকার কারণে মল শক্ত হয়ে যায় এবং পরিশেষে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার অভ্যাস না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যেতে পারে। পানি ফাইবারের সাথে মিল রেখে আমাদের মলকে নরম ও ভারী করে।
নিয়মিত ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম হলো আমাদের শরীরে সুস্থ থাকার অন্যতম একটি চাবিকাঠি। নিয়মিত ব্যায়াম এবং পরিশ্রম করলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র এবং পেটের ভেতর থাকা নারীভূড়িগুলো সচল হয়।এতে করে স্বাভাবিক মল গুলো বেরিয়ে আসতে সহজ হয়। এজন্য যথাযথ পরিশ্রমের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা যেতে পারে।
অনেকে আছে যারা মলত্যাগের চাপ লাগলেও টয়লেটে যেতে চায় না। এই অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল সমস্যা দেখা দেওয়ার অন্যতম একটি কারণ। যখন মল চেপে রাখা হয় তখন সেখান থেকে আবারো আমাদের শরীর পানি চুষে নিতে থাকে। যার কারণে পেটের ভেতর মল গুলো আরো বেশি শক্ত হয়ে যায়। এজন্য মলত্যাগ চেপে রাখা যাবে না।
আবার অনেক সময় মানসিক চাপ এবং কোন কিছু নিয়ে বিষন্ন থাকার কারণে শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় থাকে না। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলেও আমাদের সমস্যা দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে আমরা কিছু কিছু ওষুধ সেবন করে থাকি যেমনঃ ব্যাথা নাশক ঔষধ, আয়রন ট্যাবলেট, ক্যালসিয়াম কিংবা কেমোথেরাপিতে ব্যবহার্য কিছু ঔষধ। এ ধরনের ওষুধ সেবন করার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা অত্যাধিক বেশি হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে কোন ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন

কোষ্ঠকাঠি নিয়ে সমস্যা মানে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।এই সমস্যার কারণে পেট ঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না যার কারণে খাবারের প্রতি আমাদের অনেক অনীহা চলে আসে।এই সমস্যার কারণে আমাদের মলদ্বারে ব্যথা হতে পারে এবং কোলনে চাপ পড়তে পারে। সেখান থেকে আরও বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
এজন্য দরকার আমাদের সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করা এবং কিছু খাবার এড়িয়ে চলা।কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অবশ্যই আমাদের মোটা মাংস বা রেড মিট খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকে সসেজ, স্টেক বা রোস্ট কিংবা বাইরের বিভিন্ন ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া পছন্দ করে থাকে। যা একদমই এড়িয়ে চলতে হবে।
এ ধরনের খাবার হজম হতে অনেক বেশি দেরি হয় যার কারণে দিন শেষে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা যায়। এছাড়া রেড মিট আমাদের হার্টের সমস্যা করতে পারে। এছাড়াও গম এবং বার্লিতে ও বাইরের রুটি, পাউরুটি, চিপস, পাস্তা ইত্যাদি খাবার গুলোর মধ্যে গ্লুতেন নামক এক ধরনের জটিল প্রোটিন থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্যর মত জোটের সমস্যা থাকলে অবশ্যই এ ধরনের খাবার আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরের ফ্লাক্স কিংবা ফাস্ট ফুড চিকেন ফ্রাই বা চিপস সহ সব ধরনের খাবার আমাদের অন্ত্রের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এসব খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। সব সময় টাটকা খাবার চেষ্টা করতে হবে। কেননা হিমায়িত খাবার সাধারণত খাবারের পানি চুষে নেই।
এছাড়াও এ ধরনের খাবারের লবণ অনেক বেশি থাকে।যে কারণে বেড়ে যেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য।দুধ এবং বেকারি পণ্য সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে। সেসঙ্গে দুধ এবং বেকারি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম কি কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে ও কোষ্ঠকাঠিন্যর লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url