ঘুমের সময় মুখে লালা জমে সমাধান কী জেনে নিন বিস্তারিত

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা পড়ে। লোক লজ্জার কারণে এই কথাগুলো আসলে কোথাও বলা যায় না। যার কারনে এই সমাধান আমরা পাই না। অথচ ঘুমের কিছু অভ্যাসের কারণে এই ধরনের সমস্যায় আমরা পড়তে পারি।
ঘুমের সময় মুখে লালা জমে সমাধান কী জেনে নিন বিস্তারিত
এক্ষেত্রে ঘুমের কিছু নিয়মকানুন এবং পরিবর্তন মেনে চললেই এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় ঘুমের সময় মুখে লালা জমে সমাধান কী সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।

ভূমিকা

ঘুমের সময় মুখে লালা জমে সমাধান কী জানতে হলে আমার আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। রোগ বালাই যেমন আছে তেমনি তার উপসমের উপায়ও রয়েছে। আমার মুখ থেকে লালা ঝরার বিষয়টি বিব্রত হলেও হেলাফেলার নয়। কারণ লালা ঝরে সমস্যাটি হতে পারে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ। শিশুদের মুখ থেকে লালা স্বাভাবিক কিন্তু বড়দের মুখ থেকে লালা ঝরা বিষয়টি অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

ঘুমের সময় মুখে লালা জমে সমাধান কী জেনে নিন বিস্তারিত

আমাদের প্রত্যেকের জীবনের গুণের মধ্যে লানা ধরার ঘটনাটি ঘটে থাকে প্রতিনিয়ত। মুখে অতিরিক্ত লালা উৎপাদন হলে তখন এর মধ্যে লালা ঝরতে দেখা যায়। লালা একটি স্বচ্ছ তরল যা লালা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। আমাদের হজমে সহায়তা করে থাকে লালা। নানা খাদ্যকে সিক্ত হতে এবং এর এনজাইমের দ্বারা খাবারগুলোকে ভাঙতে সাহায্য করে।
পছন্দের কোন খাবার বা টক খাবারের কথা মনে পড়লে মুখে লালা চলে আসে আমাদের তাই না! কিন্তু অনেক বেশি লালনের স্মরণ হলে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ কোন কারণ নির্দেশ করতে পারে।মুখ থেকে লালা পড়লে লজ্জা না পেয়ে সেটির কারণ এবং যথাযথ সুস্থ হওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আসলে মুখের অতিরিক্ত লালা ঘুমের মধ্যে বেরিয়ে আসে।
এটা অবশ্যই স্বাভাবিক বিষয় নয়। বড়দের জন্য এটা অনেক অস্বস্তিকর একটি বিষয় হয়ে ওঠে। ঘুমানোর সময় খাবার বা পানীয় গুলো মত দেহের অন্যান্য পেশিগুলো নিষ্ক্রিয় থাকে। এজন্য মুখের ভেতর থেকে লালা বেরিয়ে আসতে পারে। তখন বেশিগুলো এদের আর ধরে রাখতে বা নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারে না।চলুন তাহলে জেনে নেই ঘুমের সময় মুখে লালা জমে সমাধান কী!

ঘুমের ভঙ্গি

সাধারণত চিত হয়ে বা সোজা ভঙ্গিতে ঘুমালে এরকম হওয়ার কথা না। আবার কাত হয়ে ঘুমালে কিংবা উপুর হয়ে ঘুমিয়ে থাকলে সাধারণত মুখের লালা ঝরার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এ অবস্থায় সাধারণত মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়। লালা পড়ার সময় মুখ হা হয়ে থাকে যার কারণে লালা বেরিয়ে আসে। এজন্য সব সময় চিৎ হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।

ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বিশেষ করে রোগের চিকিৎসা নিতে থাকলে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে। এজন্য কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। সাধারণত এন্টি সাইকটিক ওষুধ আলঝেইমার্চ রোগে ব্যবহৃত ওষুধের প্রভাবে মুখ থেকে লালা ঝরতে পারে।

বন্ধ সাইনাস

অনেক সময় ঠান্ডা এবং সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং সে সময় মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়। ঠান্ডা সর্দির কারণে নাকি যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এটি জটিল কোন সমস্যা নাই বরং নাক বন্ধ হয়ে থাকার কারণে মুখ থেকে লালা করতে পারে। এমনকি একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের যদি মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেয় তাহলে মুখ থেকে লালা ঝরতে পারে।

গলার মধ্যে সমস্যা

যদি অযথা কোনো কারণ ছাড়া অন্যকে লালা বেরিয়ে আসে তাহলে ডিসফাজিয়াকে সন্দেহের তালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়াও পারকিনসন, মাসকুলার ডিস্ট্রফি এবং বিশেষ কিছু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে লক্ষণ হিসেবে দেখা যেতে পারে। এজন্য মুখ থেকে লালা পড়ার সমস্যা যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

স্লিপ এপনিয়া

এটি এমন ধরনের রোগ যা থাকলে ঘুমের সময় দেহ শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করে দেই। বাধ্য হয়ে মুখ দিয়ে জোর করব শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হয়। তাই এরকম ঘটনায় স্লিপ অপনিয়ার নেপথ্য থাকতেই পারে। আর এটি এক ধরনের ভয়াবহ রোগ তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

জিইআরডি

এটি হজম প্রক্রিয়ার এক ধরনের সমস্যাকে নির্দেশ করে থাকে। রোগ থাকলে পাকস্থলী থেকে খাবার অন্যনালিতে ফিরে যাই। এতে করে অনোনালীর ভেতরে এক ধরনের দেয়ালে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে এরকম হলে খুব খাবার গলার মধ্যে মাংসপিণ্ডে আটকে যাচ্ছে বলে মনে হয়। যার কারণে ঘুমের সময় মুখ থেকে লালা ঝরতে পারে।

রাতে কেন লালা বেশি ঝরে

অনেকেই ঘুমের মধ্যে মুখ খুলে হা করে ঘুমিয়ে থাকে। আবার কেউ উপুর হয়ে ঘুমায়। এসব ক্ষেত্রে লালা ধরার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। অনেকেই নাক দিয়ে ঠিকঠাকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারে না তাই তারা মুখ খুলে নিশ্বাস নেই। যার কারণে মুখ থেকে লালা ঝরতে পারে। এছাড়াও চিকিৎসকদের মতে উপর হয়ে পেটে চাপ দিয়ে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। মানুষের শরীরে প্রতিদিন এক লিটারেরও বেশি লালা উৎপাদন হয়। এটি লালা গ্রন্থির দ্বারা উৎপাদিত হয়ে থাকে। জেগে থাকা অবস্থায় আল্লাহর লালা ঝরতে দেই না। কারণ জেগে থাকা অবস্থায় মুখের লালা আমরা গিলে ফেলি। পরক্ষণে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে পুনরায় লালা উৎপাদিত হয়ে থাকে। কিন্তু বিভোর ঘুমে থাকা অবস্থায় নানা যেহেতু গেলে ফেলা যায় না সেই কারণে লালা মুখে জমে এবং সেটি মুখের কোনা দিয়ে বাইরে ঝরে পড়তে থাকে।

মুখ থেকে লালা পড়লে করণীয় কি

  • প্রাথমিকভাবে এই সমস্যা দূর করতে ঘুমের বিভিন্ন ভঙ্গি দূর করা উচিত। যেহেতু অতিরিক্ত লালা বেরিয়ে আসাটাই সমস্যা তাই এটা কাটানোর জন্য প্রথমত ঘুমের ভঙ্গি ঠিক করতে হবে। পেটে নয় পিঠের ওপর ভর করে ঘুমাতে হবে। তাহলে আর মুখে লালা জমবে না।
  • আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, লালা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আবার অনেকের মতে সাইট্রাস জাতীয় ফল খেলে মুখ থেকে লালা ঝরার সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। এজন্য সাইট্রাস জাতীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে এতে করে শরীর যেমন হাইড্রেট থাকবে ঠিক তেমনি সমস্যা সমাধান হবে।
  • ম্যান্ডিবুলার ডিভাইস এক ধরনের সরঞ্জাম। এটি মুখে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আরামের সঙ্গে ঘুমাতে পারবেন আর পাশাপাশি আপনার মুখের লালা ঝরাও বন্ধ হবে। তাই মুখে লালাঝরা বন্ধ করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার কিংবা মিষ্টি জাতীয় কোন পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আর ঘুমানোর 10 থেকে 15 মিনিট আগে একটু টক কিংবা একটু লবণ মিশ্রিত পানি পান করবেন।
  • মুখের লালা আসার অন্যতম একটি কারণ হলো পেটে কৃমি। পেটে কৃমি বেড়ে গেলে মুখ থেকে লালা বের হতে পারে। এজন্য লালা পড়ার সমস্যা দেখা দিলে কৃমির ওষুধ খেয়ে দেখা দরকার। এছাড়াও ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করতে ভুলবেন না অবশ্যই।
  • এছাড়াও আপনি সকালে এবং বিকালে দুইবার দাঁত ব্রাশ করার চেষ্টা করবেন। ভালো মাউথ ওয়াশ দিয়ে দিনে তিনবার গড়গড়া করবেন এবং খাওয়ার আগে এবং পরে গড়গড়া করবেন। ডায়াবেটিস এবং পরিপাকতন্ত্র জনিত অন্য কোন জটিল রোগ আছে কিনা সেটা অবশ্যই পরীক্ষা করাবেন। ধূমপান অবশ্যই বাদ দিতে হবে এবং তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • সিপিএপি মেশিন ঘুমের মধ্যে যারা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। কেননা ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে মুখ থেকে লালা ঝরতে পারে। যার কারণে শ্বাসকষ্ট কমাতে এটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
  • যাদের মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা ঝরে তাদের ক্ষেত্রে সার্জারির মাধ্যমে লালাগ্রন্থি গুলো অপারেশনে্র পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরকম ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে স্নায়বিক সমস্যা থাকে যার কারণে ঘুমের মধ্যে তাদের অতিরিক্ত লালা ঝরতে পারে।
  • দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থাকলে আজ থেকে সেটা বাদ দিতে হবে। কেননা এই অভ্যাস থাকলে মুখের ভেতরে হাত দিলে বা নখ কামড়ালে তাপমাত্রা ও আদ্রতা কমে গিয়ে মুখের ভেতর সহজে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। সেখান থেকেই রাতের বেলা মুখ থেকে লালা ঝরতে পারে। এজন্য এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

বাচ্চাদের মুখ থেকে লালা পড়া বন্ধের উপায়

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম বড়দের মুখে লালা পড়লে কি করবো সে সম্পর্কে। কিন্তু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে।আপনার আদরের ছোট শিশুদের সুস্থ রাখতে আপনার হয়তো চেষ্টার কোন কমতি থাকে না। কিন্তু এর মধ্যে দিয়েও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। বাচ্চাদের মুখ থেকে নানা করা তেমন খারাপ কিছু না।
সাধারণত বাচ্চাদের মুখ থেকে নালা পড়েই থাকে। কিন্তু তারপরও আপনার হয়তো চিন্তার শেষ নাই। আপনি হয়তো অল্পতে ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বাচ্চার মুখ থেকে লালা পরা বন্ধ করার কিছু উপায় জানা থাকলে অবশ্যই আপনার কাজে আসতে পারেন। সাধারণত বাচ্চাদের দুধের দাঁত 6 থেকে 8 মাসের মাথায় বের হতে শুরু হয়।
আবার কোন কোন বাচ্চার ক্ষেত্রে তিন মাস থেকে মুখ দিয়ে লালা ঝরতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি একটি নরম সুধি কাপড় দিয়ে যখনই বাচ্চার মুখ থেকে লালা বের হবে সাথে সাথে সেটি মুছে দিবেন। খুব আলতো করে থুতিতে ঘষা দিবেন যাতে বাচ্চা ব্যথা না পায়। আপনার বাচ্চার মুখে লালা পরা বন্ধ করতে আপনার বাচ্চাকে নরম কোন জিনিস চিবাতে দিতে পারেন।
যেটাতে তার মাড়ি নরম হবে এবং সে স্বস্তি বোধ করবে এবং লালা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। প্রত্যেকদিন একটি কাঠি বা কটনবার দিয়ে আপনার বাচ্চার মাড়ি দিনে দুই থেকে তিনবার হালকা করে ঘষে দিন। এতে করে বাচ্চার মুখের অনুভূতি বেড়ে যাবে এবং যখনই মুখে লালা আসবে তখন সেটি গেলে ফেলার চেষ্টা করবে।
যদি ঘুমের মধ্যে খুব বেশি লালা পড়ে তাহলে ঘুমের পদ্ধতি পাল্টিয়ে দিতে পারেন।শোয়ানোর ভঙ্গিটা পাল্টে দিতে পারলে মুখ থেকে লালা ঝরা বন্ধ হয়ে যাবে। এটা ছিল মোটামুটি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি কিছু পরামর্শ। আপনি চাইলে এই পরামর্শ গুলো ব্যবহার করে আপনার বাচ্চার মুখের লালা পড়া বন্ধ করতে পারেন।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ঘুমের সময় মুখে লালা জমে সমাধান কী সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম ঘুমের সময় মুখে লালা পড়লে আমরা প্রতিকার হিসেবে কি কি করতে পারি এবং বাচ্চাদের মুখে লালা করা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url