নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও লক্ষন এবং আমাদের করনীয় জানুন
আপনার কি মাঝে মধ্যেই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে! শরীরের অন্যতম একটি অঙ্গ হলো নাক। নাকের প্রধান কাজ হলো শ্বাস গ্রহন এবং শ্বাস ত্যাগ করা। শ্বাস প্রশ্বাস সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে বুঝা যায় যে ওই ব্যক্তি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। কিন্তু এই নাক দিয়ে যখন রক্ত পরে তখন কিন্তু পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে যেতে পারে।বাংলাদেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ জীবনের কোন না কোন সময় না দিয়ে রক্ত পড়ার সম্মুখীন হয়ে থাকে। নাক কান গলা এবং শরীরের অন্য যেকোনো রোগের কারণে নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।
নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার জন্য কোনো বয়স লাগে না। যে কোন বয়সেই নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও লক্ষন এবং আমাদের করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
ভূমিকা
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও লক্ষন এবং আমাদের করনীয় সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন। যখন তখন নাক দিয়ে রক্ত পড়লে আমরা অনেকেই ভাবি যে এটি কোন বড় ধরনের অসুখ হতে পারে। কিন্তু অনেক সময় এটি কোন কারণ ছাড়াই হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার ঘন ঘন ঘটে থাকলে আমাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও লক্ষন এবং আমাদের করনীয় জানুন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়া খুব সাধারণ সমস্যা হলেও অনেক সময় তার জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এটি নাকের এক পাশ দিয়ে অথবা উভয় পাশ দিয়ে বের হতে পারে। কারো কারো হঠাৎ করে নাক দিয়ে অনেক বেশি রক্ত পড়তে থাকে। অনেকে যারা রক্ত দেখতে পারে না তারা অনেক সময় খুব ভয় পেয়ে যায়।
এই সময় ভয় না পেয়ে বরং রক্তপাতের কারণ খুঁজে বের করে তার সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা করা উচিত। কারণ সময় মতো সঠিক চিকিৎসা করালে পরবর্তী সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। নাকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রক্তনালী থাকে যা নাকের ঝিল্লি আবরণে এমন ভাবে থাকে যা একটু আঘাত লাগলেই রক্তপাত হতে পারে। সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়ার সময় এ ধরনের সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। তবে সঠিক সময় এর কারণ খুঁজে বের করা উচিত।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
কোনোভাবেই নাকে বা নাকের ভেতরে আঘাত পেলে নাকের সাইনাসের সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের টিউমার ইনফেকশন বা এলার্জির সমস্যা থাকলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ এবং মাদক সেবন কিংবা বংশগত কিছু রক্তের সমস্যার কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
নাকের মধ্যে যদি ফাংগাল ইনফেকশন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।আবার অনেকের নাকের ঝিল্লি শুকিয়ে যায় বা ফেটে যায় তখন সেখানে শক্ত আবরণ সৃষ্টি হলে স্বাভাবিকভাবে নাটকে রক্তপাত হতে পারে। এসব সমস্যা বড় কোন সমস্যা নয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় রক্ত জমাট বাঁধা দূর করার ওষুধ সেবন করার ফলে নাক দিয়ে রক্ত নির্গত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিংবা বয়স বেশি হয়ে গেলে রক্তনালীর সংকোচনশীলতা কমে যাওয়ার কারনেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। হঠাৎ যদি নাকে কোন কিছু জোরে আঘাত লাগে তাহলে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। নাকের বিভিন্ন টিউমারের কারনেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে নাকে সর্দি অথবা সায়ানোসাইটিস এর কারণে হতে পারে। আবার অনেকের নাকের মাঝখানের হাড় যখন অতিরিক্ত বেঁকে যায় তখন এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও কোন কোন মায়ের গর্ভাবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকতে পারে। অনেক মেয়েদের আবার পিরিয়ডের সময়ও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। তবে ছোটবেলা থেকে যদি জন্মগত কোন ত্রুটি থাকে তাহলে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
তবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যায যদি অনেক বেশি হয়ে যায় বা সহজে রক্ত বন্ধ হতে না চায় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যাদের নিয়মিত না দিয়ে রক্ত পড়ে তাদের অবশ্যই নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে ভালোভাবে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে আমাদের করণীয়
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে সোজা হয়ে একটু সামনের দিকে ঝুঁকে চেয়ারে বসতে হবে। শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে নাকের দুই ছিদ্র করে বন্ধ করতে হবে। তারপর মুখ দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে হবে। এভাবে কমপক্ষে ১০ মিনিট নাক ধরে রাখতে হবে। এই সময় হাতের আঙুল ছাড়া যাবেনা প্রয়োজন হলে আরো বেশিক্ষণ চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে।
এ সময় যদি তাহলে কপালে এবং নাকের চারপাশে বরফ দিয়ে ঠান্ডা দিতে হবে। তাহলে রক্ত পড়া খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর রক্ত যদি ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে পড়তে থাকে তাহলে দেরি না করলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নাকি আগের জন্তুর রক্ত পড়া বন্ধ হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেই কারণ মাটির হাড় ভেঙে গেছে কিনা তা দেখার জন্য।
সম্ভব হলে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে অবশ্যই কিছু বিষয়ের লক্ষ্য রাখবেন। সেটা হচ্ছে নাক দিয়ে যখন রক্ত পড়বে তখন কোন ভাবে শুবেন না। কেননা নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সময় যদি আপনি শুয়ে থাকেন তাহলে সেই রক্ত ফুসফুসে গিয়ে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আর যদি না দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে না পরিষ্কার করতে যাবেন না। কেননা এতে করে আবার পুনরায় রক্ত বের হতে পারে।নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া দেখে কখনো আতঙ্কিত হওয়া যাবেনা। বিশেষ করে কোন ছোট বাচ্চা এরকম হলে তার অভিভাবকেরা ভয় পেট কান্নাকাটি করতে শুরু করলে বাচ্চাটি ও ভয়ে কেঁদে ফেলবে। এতে করে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।
যার কারণে না দিয়ে রক্ত বের হওয়া দেখলে ভয় না পেয়ে ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে।অনেক সময় বিশেষ করে শীতকালীন সময় নাক শুষ্ক হয়ে থাকে এই সময় ঘরোয়া পদ্ধতিতে লবণ এবং চিনির মিশ্রণ দিয়ে খুব সহজে এ ধরনের সমস্যা দূর করা যায়। নাকের ভেতরে আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে লবণ এবং চিনি মিশিয়ে ভালোভাবে তুলার মধ্যে করে নিয়ে সেটা নাকের মধ্যে দিয়ে রাখুন।
এতে করে আপনার শরীরে সোডিয়াম প্রবেশ করবে যার কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়া খুব দ্রুত থেমে যাবে। গোলমরিচ গুঁড়ো মেশানো পানি আমাদের শরীরে উদ্দীপকের কাজ করে থাকে। নিয়ন্ত্রণ করতেও এটি বেশ কার্যকর যার কারণে এটি আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পারে। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এক চা চামচ গোল মরিচ গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে রোগীকে খাইয়ে দিতে হবে।
কিছুক্ষণের মধ্যে তার নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং সে অনেকটা সুস্থ বোধ করবে। আমাদের বাড়িতে অনেকের আপেল সিডার ভিনেগার সব সময় মজুদ থাকে। শুধুমাত্র এটি রান্নার কাজে নয় বরং নাক থেকে রক্ত পড়লেও তা বন্ধ করার কাজে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘরোয়া উপাদান। একটি তুলার মধ্যে সামান্য পরিমাণ আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে নাকের ভেতর লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে নাকের রক্ত জালিকাগুলো মজবুত হয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করে দিবে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া প্রতিরোধে কিছু সাবধানতা
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মুহূর্তে কি করতে হবে এবং নাক দিয়ে রক্ত কেন পড়ে সে সম্পর্কে এতক্ষণ ধরে আমরা অনেক কিছু জানলাম। চলুন তাহলে এখন জেনে নেই নাক দিয়ে রক্ত পড়া প্রতিরোধ করতে আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
- অযথা নাক খুঁটবেন না। আমাদের মধ্যে অনেকের পছন্দের কাজ এটা। খুঁটে খুঁটে নাক থেকে ময়লা বের করেন যে কোন সময়।এতে করে অনেক সময় না খেয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়।এজন্য এই বিষয়টি প্রত্যেকের খেয়াল রাখতে হবে।
- ঊর্ধ্বশ্বাসতন্ত্র সংক্রমন অর্থাৎ সর্দি কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।কেননা দীর্ঘদিন ধরে সর্দি কাশি লেগে থাকলে আপনা আপনি নাক থেকে রক্ত বের হতে পারে। আবার অনেক সময় নাকের হাড় বাঁকা হয়ে গেলে হুট করে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- সব সময় আপনাদের বাচ্চাদের খেয়াল রাখুন। বাচ্চাদের ঘন ঘন এক নাকে দুর্গন্ধযুক্ত সর্দি হওয়া এবং এর সাথে রক্ত গেলে সতর্ক হবেন।অনেক সময় বাচ্চারা নাকের মধ্যে দুষ্টুমির ছলে কোন কিছু দিয়ে ফেললে নাক থেকে রক্ত পড়তে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
- যারা বয়স্ক তাদের নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য প্রত্যেকদিন নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। কেননা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হুট করে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার অন্যতম একটি কারণ। তাই উচ্চ রক্তচাপ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং হুট করে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু হলে সর্বপ্রথম রক্তচাপ মাপতে হবে।
- যারা স্ট্রোক হতে পারে আক্রান্ত তারা বিভিন্ন ধরনের রক্ত তরল করা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকে। এসব রোগীদের নাক থেকে রক্ত পড়লে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের কথা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
- যাদের নাকের ভেতর শুকিয়ে খটখটে হয়ে যায় এবং ময়লা জমে তারা নাকের ভেতরে সব সময় খোঁচাখুঁচি না করে দিনে তিন থেকে চারবার করে নাকে ড্রপ দিতে পারে। কিংবা উভয় না খেয়ে ভেসলিন দিতে পারে। এতে করে নাক আদ্র থাকবে এবং নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
- অতিরিক্ত ঠান্ডা কিংবা অতিরিক্ত গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা দেখা দিলে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
- ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।কেননা ধূমপানের আগুন এবং গরম হাওয়া নাকের আবরণের ক্ষতি করে।
- আর আপনি যদি কোষ্ঠকাঠির রোগে ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে সবজি এবং ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার খেতে থাকুন। মলত্যাগের সময় বেশি চাপ দেবেন না।
- অতিরিক্ত ক্যাফেইন পান করা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত ক্যাফেইন পান করলে আমাদের শরীর শুষ্ক হয়ে যায়।তাই এ ধরনের পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন। আর যাদের নাম দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যার রয়েছে তারা নিয়মিত বেশি পরিমাণে পানি পান করুন এবং ফল ও শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- শীতকালে নাকের ভেতরে শুষ্ক ভাব হওয়ার কারণে রক্ত পড়ার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি স্যালাইন পানি দিয়ে খুব সহজেই এ ধরনের সমস্যা দূর করতে পারেন। নাকের ভেতরের অংশের আদ্রতা ফেরাতে একটা বাটিতে কিছু সামান্য পরিমাণ স্যালাইন ্নিয়ে ভালোভাবে পানির সাথে মিশিয়ে নাকের মধ্যে কয়েক ফোটা দিয়ে দেখুন খুব সহজেই আপনার নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
পাঠকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও লক্ষন এবং আমাদের করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।
আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url