শিশু জন্মের পর যে কাজগুলো সুন্নাহ এবং করনীয় জেনে নিন
ইসলাম আমাদের জীবনের একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানুষের জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে জীবনের ইসলামের শরীয়ত তথা পবিত্র কোরআন এবং সহিহ হাদিস এর দিক থেকে দিকনির্দেশনা রয়েছে। পৃথিবী জুড়ে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে কত শত নবজাতক শিশু।একজন নবজাতকের বাবা-মা তাকে নিয়ে বুনছে বিভিন্ন ধরনের রঙিন স্বপ্ন। পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় শিশু জন্মের পর যে কাজগুলো সুন্নাহ এবং করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
ভূমিকা
শিশু জন্মের পর যে কাজগুলো সুন্নাহ এবং করনীয় সে সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকতে হবে। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত মানুষের প্রত্যেকটি কাজে হবে কুরআন সুন্নাহের আলোকে। কুরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে পারাটা অনেক সৌভাগ্যের একটি বিষয়। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের জীবনের রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। চলুন তাহলে জেনে নেই শিশু জন্মের পর যে কাজগুলো সুন্নাহ এবং করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
শিশু জন্মের পর যে কাজগুলো সুন্নাহ এবং করনীয় জেনে নিন
শিশু জন্মের পর যে কাজগুলো সুন্নাহ এবং করনীয় সেসব বিষয় জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকতে হবে। সন্তান জন্ম দেওয়ার যেমন আনন্দের কাজ ঠিক তেমনি সেই সন্তান হওয়ার পর তার প্রাথমিক কাজগুলো পালন করা আরও বেশি আনন্দের। কেননা এই সুন্নাত অনুসরণ করেই ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের সুন্দর জীবন ধাবিত হয়।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে খুব সুন্দর করে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য বর্ণনা করে গেছেন। এবং সেভাবে আমাদের প্রত্যেকটি বাবা-মায়ের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে সুন্নাহ কাজগুলো করা দরকার। সর্বপ্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আল্লাহর প্রশংসা করার এবং তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
আর সন্তানের কল্যাণের জন্য দোয়া করা। যেভাবে হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করেছিলেন। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম তার সন্তানের জন্য দোয়া করেছিলেন এভাবে," সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি দীর্ঘ বয়সে আমাকে ইসমাইল ও ইসহাক কে দান করেছেন। নিশ্চয়ই আমার রব শ্রবনকারী এবং তিনি সবকিছু দেখেন এবং শুনেন।
হে আমার রব, আমাকে আপনি সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমাদের সন্তানদের যেন নামাজী এবং উত্তম সন্তান আপনি কায়েম করুন। হে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করুন। যেদিন হিসাব কায়েম হবে সেদিন আপনি আমাকে এবং আমার পিতা-মাতা এবং মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।"(সূরা ইব্রাহীম আয়াত ৩৯-৪১)।
- সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সর্বপ্রথম কাজ হল সন্তানের ডান কানে আযান দেওয়া এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া। হযরত আবু রাফে রাঃ থেকে বর্ণিত," ফাতেমার ঘরে হাসান ইবনে আলীর ঘনিষ্ট হওয়ার পর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে নবজাতকের ডান কানে আজান দিতে দেখেছি।"
- সন্তান জন্ম হওয়ার প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত নবজাতকের ইসলামিক এবং অর্থপূর্ণ নাম রাখা সুন্নাত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,"আজ রাতে আমার একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে এবং আমার পিতা ইব্রাহিমের নামানুসারে আমি তার নামকরণ করেছি ইব্রাহীম।"
- অন্য হাদিসে এসেছে নবজাতকের অর্থপূর্ণ এবং ইসলামিক সুন্দর নাম রাখার সুন্নাহ। রাসুল সাঃ বলেন কেয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নিজ নামে এবং তোমাদের বাপ দাদার নামে আহবান করা হবে। অতএব তোমরা তোমার সন্তানদের সুন্দর নাম রাখ। ছেলে হলে ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল আকিকা করা উত্তম।
- নবজাতকের বয়স সাত দিন হলে আকিকা দেওয়া সুন্নাহ। হযরত সামুরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত," রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন প্রত্যেক সন্তান তার আকিকার বিনিময়ে বন্ধক হিসেবে রক্ষিত। অতএব প্রথম দিন তার পক্ষ থেকে আকিকা কর, তার চুল কেটে দাও এবং তার সুন্দর নাম রাখো। তবে কেউ যদি সাত দিন পর আকিকা দিতে না পারে তবে সে ১৪ কিংবা ২১ দিন পর আকিকা করবে।"
- নবজাতকের জন্মের সপ্তম দিন মাথা মুণ্ডন করে চুলের ওজন পরিমাণ রুপা(টাকা) দান করা। হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত," প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তম দিন হাসান এবং হোসাইন এর চুল কাটার নির্দেশ দেন এবং চুল কাটার পর চুলের সমপরিমাণ ওজনের রুপা সাদকা করেন।"
- হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত," হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসানের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করেছেন এবং বলেছেন, হে ফাতিম্ তার মাথা মুন্ডন করো এবং তার চুলের ওজন পরিমাণ রুপা সাদকা কর।" উল্লেখ্য যে, নবজাতকের মাথা মুন্ডন করার পর তার মাথায় জাফরান লাগানো সুন্নত।
- তাহনিক করা। অর্থাৎ নবজাতকের জন্মের পর মুখে খেজুর চিবিয়ে দেওয়া। ইমাম নববী বলেন, সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে খেজুর দিয়ে তাহনিক করা সুন্নত। হযরত আনাস রাদিআল্লাহ তায়ালা আনহু বলেন,আব্দুল্লাহ ইবনে আবু তালহা ভূমিষ্ঠ হলে আমি তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে গেলাম, তিনি বললেন, তোমার সাথে কি খেজুর আছে?
- আমি বললাম হ্যাঁ আছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটি চিবিয়ে বাচ্চার মুখে দিলেন এবং তখন বাচ্চাদের জিব্বা দিয়ে চুষে চুষে ও ঠোঁটে লেগে থাকা অংশ কেটে চেতে খেতে লাগলো। রাসুলুল্লাহ সাঃ এ দৃশ্য দেখে বলেন, দেখো আনসারদের খেজুর কত প্রিয়!
- ছেলে সন্তান হলে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৭ দিন পর কথা করা সুন্নত। হযরত যাবের রাঃ থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এবং হোসাইনের আকিকা দিয়েছেন এবং খতনা করেছেন।
- তবে নবজাতকের জন্মে ৭ দিন থেকে শুরু করে তিন বছরের মধ্যে খতনা করা উত্তম। আর সাত বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই খতনা করে নেওয়া ভালো। তবে সাবালক হওয়ার আগে খতনা করে নেওয়া জরুরি। মুসলিম উম্মতের প্রত্যেক অভিভাবকের জন্য হাদিসের আলোকে নবজাতকের উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথ পালন করার জরুরি।
মুসলিম হিসেবে প্রত্যেক উম্মতে উল্লেখিত কাজগুলো নিজেদের সন্তানের জন্য পালন করার তৌফিক দান করুন। কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক আমাদের সমাজ বিনির্মাণের এই বিষয়গুলোর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং সেগুলো আমল করা আমাদের প্রত্যেকের জরুরি। আল্লাহতালা আমাদের সকলকে সেই তৌফিক দান করুন। আমীন।
সন্তান জন্মের পর প্রচলিত কুসংস্কার
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম শিশু জন্মের পর যে কাজ গুলো সুন্নাত এবং করণীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে। এছাড়াও শিশু জন্মগ্রহণের পর আমাদের দেশের অনেক প্রকার কুসংস্কার প্রচলিত আছে। এগুলো সম্পন্ন শিরক। যেমনঃ প্রসব বেদনায় কষ্ট হলে অথবা প্রসবের বিলম্ব হলে গর্ভবতী মায়ের দেহে বিভিন্ন রকমের তাবিজ বাধা। এটি সম্পূর্ণ শিরক।
বরং এই সময় করণীয় হচ্ছে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নেওয়া এবং আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা। এছাড়া প্রস্তুতির ঘরে ছেড়া জাল, লোহার বস্তু, মুড় ঝাড়ু ইত্যাদি টানানো। এটি সম্পূর্ণ শিরক। অন্যদিকে শিশু ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর পর জিন ভূতের আসর কিংবা মানুষের বদ নজর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শিশুর পায়ে কিংবা গলায় বিভিন্ন ধরনের তাবিজ বেধে দেওয়া।
শিশুকে বদ নজর থেকে রক্ষার জন্য কপালের পাশে কালো ফোটা বা টিপ দেওয়া সম্পূর্ণ শিরক। এগুলো শুধুমাত্র আমাদের মানুষের ভুল এবং প্রচলিত কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। শিশু জন্মের ৭ দিনের মাথায় অনুষ্ঠান করাও শিরক। শিশু ভূমিষ্ঠের ৪০ দিনে প্রস্তুতির পবিত্রতা অর্জনের জন্য বাড়ির ঘর ধোয়া লেখার বিশেষ আয়োজন করা শিরক।
যেকোনো অবস্থায় সকল প্রকার তাসবিহ ব্যবহার করা শিরক। হোক সেটা কুরআনের সূরা আয়াত অথবা বিভিন্ন নকশা দিয়ে তৈরি লেখা দিয়ে তৈরি হোক না কেন। বরং শিশুর বদ নজর থেকে রক্ষার জন্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কিছু দোয়া শিখিয়ে গেছেন। সেটি হলঃ "আউযুবি কালিমা তিল্লাহি তাম্মাতি মিন কুল্লি সায়তানীন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আয়নিন লাম্মাহ।"
এর অর্থ হে আল্লাহ আমি আপনার নিকটে পূর্ণ গুণাবলীর বাক্য দ্বারা সকল শয়তান বিষাক্ত প্রাণী এবং ক্ষতিকর চক্ষু থেকে পরিত্রাণ চাই। সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য উপরোক্ত দোয়া এবং তার সাথে সূরা ফালাক এবং নাত তিনবার করে আপনি পাঠ করে সকাল সন্ধায় শিশুদের ফুঁ দিতে পারেন। এটি হাদিস কুরআনের দ্বারা প্রমাণিত।
উত্তম শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া
শিশু প্রারম্ভিক শৈশব হচ্ছে সেই সময়টা যখন শিশুর যত্ন ও বেড়ে ওঠার বিষয় সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। শিশুর জন্মের পর প্রথম আট মাস থাকবে ওঠার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। একটি সময়টি পরিবর্তন এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠা উভয় ধরনের পরিবর্তনের সময়। প্রথম তিন বছর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
এই সময় শিশুর মস্তিষ্কের নরম থাকে এবং বিকশিত হয়। এজন্য শিশুর ভালো ও খারাপ অভিজ্ঞতা গুলো মস্তিষ্কের বৃদ্ধির উপর ভীষণভাবে প্রভাব পড়তে থাকে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশু ব্যক্তিত্ব গঠনের যত্নশীল হওয়া প্রত্যেক বাবা মায়ের দায়িত্ব। এজন্য প্রত্যেকটি বাবা মায়ের ইসলামিক নির্দেশনা অনুযায়ী তার শিশুকে শিক্ষা দিতে হবে। শিশুকে অবশ্যই উত্তম শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে হবে।
লুকমান রাঃ তার সন্তানকে বলেন, আর তুমি মানুষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না। আর জমিনে দম্ভ করে চলাফেরা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহর কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো তোমার আওয়াজ নিচু কর। কেননা নিশ্চয়ই সবচেয়ে নিকৃষ্ট আওয়াজ কোন গাধার আওয়াজ। অবশ্যই আপনার শিশুকে মন্দ কাজের ব্যাপারে সচেতন করা।
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ব্যভিচারী ব্যভিচার করার সময় মুমিন থাকে না, মদ্যপানকারী মদ পান করার সময় মুমিন থাকে না, চোর চুরি করার সময় মুমিন থাকে না। ছোটবেলা থেকেও শিশুদের অন্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সার্থ ত্যাগের অনুশীলন করানো উচিত। সর্বদা সত্য কথা বলা এবং আল্লাহর ব্যাপারে কোন নিন্দুকের ভয় না করার সাহস শিশুদের দিতে হবে।
শিশুকে ধৈর্য্য ও স্থিরতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ তোমরা ধৈর্য ধারণ করো। ধৈর্য ধরাতে প্রতিযোগিতা করো এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো, আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। হাদিস শরীফে এরশাদ হয়েছে এমন দুটি গুন যা আল্লাহর কাছে অতি পছন্দ। একটি হচ্ছে ধীরস্থিরতা এবং ধৈর্য।
শিশুকে ছোটবেলা থেকেই ওয়াদা পালন করা শেখানো উচিত। কারোর কাছে কোন কিছু ওয়াদা দিলে তা দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করা শেখাতে হবে। কেননা কোন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভঙ্গ করা মানে মুনাফিকের অভ্যাস। অতিরিক্ত শাসন না করা। শিশুর প্রতি অতিরিক্ত কঠোরতা পরিহার করা দরকার। কেননা এতে করে সে আতঙ্ক হতে পারে এবং তার ফোনে সেই মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে। যার কারণে তাকে ভালোবাসা দিয়ে বড় করুন। নবীজি রাসূল সাঃ নিজে শিশুদের আদর করতে এবং তার উম্মাদের বলে গেছেন সবসময় শিশুদের আদর করতে।
পাঠকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম শিশু জন্মের পর যে কাজগুলো সুন্নাহ এবং করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম শিশু জন্মের পর প্রচলিত কুসংস্কার সম্পর্কে এবং শিশুকে শিষ্টাচার কিভাবে শিখাতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।ইসলামে প্রত্যেকটি বিষয়ের ছোটখাটো অনেক নির্দেশনা রয়েছে।
জীবনের বৃহৎ থেকে খুঁটিনাটি প্রত্যেক বিষয়ে সমাধান দিয়েছে ইসলাম।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।
আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url