টিউমার ভালো করার বিশেষ ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রতিকারের উপায় জানুন

টিউমার রোগ সম্পর্কে আমরা কম বেশি সকলেই জানি। টিউমার ভালো করার বিশেষ ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জেনে রাখা প্রয়োজন। তোমার ভালো করার উপায় কি এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে।
টিউমার ভালো করার বিশেষ ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রতিকারের উপায় জানুন
কেননা এটি জানা থাকলে টিউমার মারাত্মক রূপ দেওয়ার আগে আমরা এটিকে ঘরোয়াভাবে প্রতিরোধ করতে পারব। টিউমার বর্তমানে খুব মারাত্মক হিসেবে পরিচিত। টিউমার থেকে আস্তে আস্তে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে আমাদের এই বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা জরুরী।

ভূমিকা

টিউমার ভালো করার বিশেষ ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রতিকারের উপায় জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় টিউমার হতে পারে। আমাদের শরীরে শত শত কোষ রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত জন্ম নিচ্ছে এবং মরে যাচ্ছে। সাধারণত অস্বাভাবিক কোষের বা টিস্যুর বৃদ্ধির কারণে টিউমার হয়ে থাকে।

টিউমার ভালো করার বিশেষ ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রতিকারের উপায় জানুন

টিউমার ভালো করার পদ্ধতি এবং প্রতিকারের উপায় জানার আগে আমাদের সর্বপ্রথম জানা দরকার টিউমার আসলে কি! সাধারণত বলতে গেলে টিউমার বলতে এমন একটি মানব শরীরের উপরে গঠিত এবং চামড়ার উপরে অবস্থিত এক ধরনের মাংসপেশিকে বোঝানো হয়।যেটার মাধ্যমে শরীরে অস্বাভাবিক ভাবে সকল কোষের বৃদ্ধি ঘটে। সেটাকেই আমরা সাধারণত টিউমার বলে থাকি। টিউমার আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। তবে টিউমারকে দুই প্রকার ধরা হয়।
১.বিনাইন টিউমার
২.ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যাকে আমরা ক্যান্সার টিউমার বলে থাকি।
বিনাইন টিউমার বলতে সাধারণত সেই সকল টিউমারকে বোঝানো হয় যেগুলো মানুষের শরীরে তেমন কোন ক্ষতি করে না। তবে এ ধরনের টিউমার যেখানে সৃষ্টি হয় সেখানে বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ যতদিন যাবে তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এই টিউমার আমাদের শরীরে তেমন কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় না।
তবে যদি কখনো বিনাইন টিউমার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অবহেলা করে বসে না থেকে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কেননা কোন টিউমার শরীরে হয়ে থাকলে সেগুলো হয়তো ভালো কিছু বয়ে আনবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা বিনাইন টিউমার সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন।
অন্যদিকে ক্যান্সার টিউমার বা ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যদি আমাদের শরীরে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কেননা এই টিউমার আমাদের শরীরে আরো ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। শরীরের মধ্যে অর্থাৎ এই টিউমার যেখানে হবে সেই জায়গায় অস্বাভাবিক ভাবে পোস্টগুলো বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে একত্রিত হবে।
সাধারণত বিভিন্ন রক্তের মাধ্যমে কিছু রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রনের শরীরের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সকল কিছু জমা হয়। যখনই এমন কিছু হয় তখনই আমাদের শরীরে এ ধরনের টিউমার হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। যখন আপনাদের শরীরে এ ধরনের টিউমার হবে কখন আপনারা সাধারণভাবে কোন কাজ করতে পারবেন না।
বিভিন্ন কাজ করার সময় আপনারা সমস্যা ভোগ করবেন। এমনকি এই টিউমার থেকে আপনাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। তবে অনেকেই মনে করেন যে টিউমার হলেই সেখান থেকে ক্যান্সার হবে। এমনটা ভাবার দরকার নেই। কিছু কিছু টিউমার রয়েছে যেগুলো ক্যান্সারের কারণ হয় না। তাই আপনাদের শরীরে যদি এমন প্রকার টিউমার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

টিউমার ভালো করার ঘরোয়া উপায়

টিউমার যখন কম আকার ধারণ করে বা শুরু হয় তখন তার চিকিৎসা অনেকটাই কাজে আসে। কেন চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে টিউমার অপারেশন করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। আর অপারেশন করার পর বিভিন্ন ধরনের কেমোথেরাপি চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় সেটা অনেক ব্যয়বহুল এবং কষ্টকর। যদি আমরা টিউমার প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আগে থেকে জানে তাহলে সে উপায় গুলো অবলম্বন করে আমরা ঘরে বসেই টিউমার ভালো করতে পারব।
কাজেই টিউমার ভালো করার উপায় সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের অবগত থাকা জরুরী একটা বিষয়। টিউমার ভালো করার পূর্বশর্ত হচ্ছে আমাদের নিত্যদিনের কিছু বদ অভ্যাস ত্যাগ করা এবং পুষ্টিকর শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণ করা। নিচে টিউমার ভালো করার কিছু ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া

নিয়মিত পরিষ্কার স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। কেননা ওদিক তেল চর্বিযুক্ত খাবার এবং অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার মূলেই হল টিউমারের কারণ। তাই সুষম খাবারের তালিকা তৈরি করার মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায় আমরা টিউমার প্রতিরোধ করতে পারি।

তামাকজাদ দ্রব্য পরিহার করা

তামাক কিংবা তামাকদ্রব্য যে শুধুমাত্র টিউমারের জন্য ক্ষতিকর বিষয়টা এরকম নয় বরং এটি আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য সম্পূর্ণরূপে তামাক এবং তামাক জাত দ্রব্য পরিহার করা টিউমার ভালো করার উপায় এবং টিউমার প্রতিরোধ করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

যখন কোন ব্যক্তি শারীরিকভাবে মোটা হয় বা ফ্যাট জমে তার শরীরে তখন টিউমারসহ আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধতে শুরু করে। এজন্য শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবে সবসময় শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে যাতে করে আমাদের শরীরে কোন ধরনের রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধতে না পারে। আর শরীরের ওজন কমাতে বা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সেজন্য টিউমারকে প্রতিরোধ করতে এবং ভালো করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা

অতিমাত্রায় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ করে যাদের টিউমার রয়েছে তাদের জন্য ভীষণ রকমের ক্ষতি করে। তাই যতটা সম্ভব সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা উচিত। তবে একান্তই যদি যাওয়ার দরকার হয় তাহলে অবশ্যই সানস্ক্রিন জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করে বাইরে বের হওয়া উচিত। এজন্য টিউমার সারানোর ঘরোয়া একটি পদ্ধতির মধ্যে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।

বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে হবে

যদি আপনারা টিউমার ভালো করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বিভিন্ন ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে হবে অর্থাৎ নিজেকে সকল ধরনের ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। না হলে আপনার শরীরে টিউমারের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যদি আপনি বিভিন্ন ভাইরাসের দ্বারা আক্রমণ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে টিউমারের সংক্রমণ বেড়ে যাবে এবং পরবর্তীতে এটি ভয়াবহ কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কি খেলে টিউমার ভালো হয়

আত্মীয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম টিউমার ভালো করার ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য। এবার আমাদের জানার প্রয়োজন কি খেলে টিউমার ভালো হয়। কি খেলে টিউমার ভালো হয় এটা নিয়ে আমাদের মনে অনেকের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। এবং প্রশ্নটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেন টিউমার প্রতিরোধ করতে কি ধরনের খাদ্যের প্রয়োজন সেটা সবার জেনে থাকা দরকার। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কি খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায় সে সম্পর্কেঃ
  • বেল খুবই কমন এবং উপকারি একটি ফল। প্রাচীনকাল থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগের জন্য এই বেল খুবই সুপরিচিত। দিল আমাদের শরীরে টিউমার বলাতে সাহায্য করে এটা হয়তো বা আমাদের অনেকেরই অজানা। কিন্তু বেল আসলেই আমাদের টিউমার করাতে সাহায্য করে। এজন্য টিউমার রোগীদের বেশি বেশি বেল খাওয়া উচিত।
  • শীতকালীন একটি জনপ্রিয় সবজি হলো ব্রকলি। সবুজ রঙের এই সবজিটি প্রাকৃতিক গুনাগুনে ভরপুর। তাই এই সবজিটি আপনি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার টিউমারের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • সিম জাতীয় সবজি খেলে আমাদের টিউমার ভালো হয়ে যায়। হয়তো আমাদের মনে এই প্রশ্নটি বারবার ঘুরপাক খায় জাতীয় খাবার খেলে আসলেই আমাদের শরীরের টিউমার ভালো হয় কিনা! কিন্তু আপনি বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তারের কাছে জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারবেন যে সিম জাতীয় খাবার আসলে আমাদের টিউমার ভালো করতে সাহায্য করে।
  • রান্নার কাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা হলুদ। হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও টিউমার সারাতে হলুদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টিউমার ব্যতীত অন্যে যেকোনো রোগ ব্যাধি সারাতেও হলুদ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
  • বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুনাগুনের ভরপুর শীতকালীন একটি সবজি গাজর। এটি বহু রোগের নিরাময় কারক হিসেবে পরিচিত। কি খেলে টিউমার ভালো হয় সেই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর হচ্ছে গাজর খাওয়া। গাজর খেলে টিউমার রোগ ভালো হয়ে যায় খুব সহজেই।
  • বর্তমান সময়ে মাছ খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। কমবেশি প্রায় সব মানুষের মাছ খুব পছন্দ। আমরা যদি প্রতিনিয়ত খাবারের সঙ্গে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের টিউমার ভালো করার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। এছাড়াও ছোট মাছ খেতে পারেন। ছোট মাছ খেলে আপনার দৃষ্টি শক্তি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই দুধ জাতীয় খাবার বা দুধ খেতে খুব পছন্দ করে। আপনারা চাইলে প্রতিদিন গরু এবং ছাগলের দুধ খেতে পারেন এতে করে আপনাদের শরীরে অনেক ক্যালোরি জমা হবে এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে পাশাপাশি টিউমার ভালো করতেও কাজে লাগবে।
  • আমরা সবাই কমবেশি মাশরুম চিনি। মাশরুম হচ্ছে এক প্রকার ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ। বাংলাদেশে এই খাবারের চাহিদা অনেক বেশি। এই মাশরুমের মধ্যে রয়েছে আমিষ, শর্করা চর্বি এবং ভিটামিন ও মিনারেল। মাশরুমের মধ্যে রয়েছে আন্টি ক্যান্সার এবং এন্টি টিউমার প্রপার্টি। যার কারণে এটি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে টিউমার ভালো হয়ে যাবে।

ব্রেন টিউমার থেকে নিরাপদ থাকার উপায়

ব্রেন টিউমার হল মস্তিষ্কের কোন পুরুষের অস্বাভাবিক ব্যক্তি। যখন মাথার ভেতর টিউমার বেড়ে যায় তখন মসজিদকে ভিতরে চাপ অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার কারণে মস্তিষ্ক অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ব্রেন টিউমার ভয়াবহ একটি অসুখ। সঠিক সময় ব্রেন টিউমারের সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে ব্রেন টিউমার হওয়ার কারণ এখনো অজানা রয়েছে।
দেখা গেছে ছোট ছোট কিছু টিউমার থেকে জিনগত বিভিন্ন ত্রুটির কারণে একই পরিবারের মধ্যে অনেকের ব্রেন টিউমার হয়। মস্তিষ্কের ভিতরে কোন কারণে বিভিন্ন কোষ জোট তাকিয়ে গেলে সেখান থেকেও হতে পারে ব্রেন টিউমারের মত জটিল সমস্যা। ব্রেন টিউমারের অনেক রকমের প্রকারভেদ রয়েছে। কিছু কিছু রয়েছে ম্যালিগন্যান্ট আবার কিছু কিছু রয়েছে নন ক্যান্সার।
তবে বলে রাখা ভালো ব্রেন টিউমারের লক্ষণ কিন্তু সবার এক রকম হয় না। সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন প্রায় পাঁচ ছয়টা থেকে বেশি মানুষের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। কিছু ব্রেন টিউমার হয় শরীরের বিভিন্ন জায়গার টিউমার থেকে। তবে ব্রেন টিউমারের কিছু লক্ষণের মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত মাথা ব্যথা যা সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে। মাথা ব্যথার সঙ্গে বৃষ্টি শক্তিরও কিছু সমস্যা দেখা যায়।
এখানেও হঠাৎ করে মাথার মধ্যে চাপ অনুভব করা। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর তীব্র মাথা ব্যাথা এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় মাথা ঘুরানো। বমি বমি ভাব। এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও টিউমারের অবস্থান এবং আকার অনুযায়ী আরও বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খিচুনি, চোখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া, কথা বলার সময় কথা আটকে যাওয়া, বারবার ভুলে যাওয়া এই সমস্ত হতে পারে ব্রেন টিউমারের কিছু লক্ষণ।
যদি আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি বড় হয়ে যায় তখন তারা মস্তিষ্কের ভীষণভাবে চাপ ফেলে। আর টিউমার মাথার খুলির মধ্যে থাকায় তা প্রসারনের জায়গা পায়না। এভাবেই মস্তিষ্কে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। তবে ব্রেন টিউমার হলে হঠাৎ রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, খিচুনির মতো সমস্যা হতে পারে। এগুলো যে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ব্রেনের চিকিৎসক্যান ও এমআরআই করে দেখতে হবে।
সাধারণত ব্রেন টিউমার হলে অপারেশন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। তবে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত একান্তই ডাক্তারের। কারো কারো ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে এটি ভালো করা সম্ভব হয় আবার কারো কোন ক্ষেত্রে অপারেশন করার প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তবে ফ্রেন্ড টিউমার প্রতিরোধ করতে অবশ্যই চোখ এবং মস্তিষ্কের বিশ্রাম দেওয়া প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ কমানো দরকার এবং মোবাইল ফোন কম ব্যবহার করা।
মোবাইল ফোন থেকে নিশ্চিত রশি ব্রেন টিউমার দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে মোবাইল ফোন যত সম্ভব কম ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়া ওর ধূমপান বর্জন করতে হবে এবং নিয়মিত শরীর প্রচার এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম ও তার বৃদ্ধিকারী বিভিন্ন রকম ধাঁধা এবং গণিতের সমাধান করতে হবে। এছাড়াও মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

পাঠকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম টিউমার ভালো করার বিশেষ ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম ব্রেন টিউমার থেকে নিরাপদ থাকার উপায় এবং কোন ধরনের খাবার খেলে টিউমার ভালো হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url