একটি পকেট রাউটারের দাম কত এবং কিভাবে এটি কাজ করে
আপনি কি একটি পকেট রাউটারের দাম জানতে চাচ্ছেন?বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে সবকিছুই হয়ে পড়েছে ইন্টারনেট নির্ভর। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুগ আরো অনেক উন্নত হচ্ছে। আর দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে শুরু করে বিনোদন পর্যন্ত সবকিছুতেই ইন্টারনেট দরকার হচ্ছে।কোন কিছু জানার জন্য আমরা ইন্টারনেটে সার্চ করি বা youtube এ ভিডিও দেখে ইনফরমেশন নিয়ে থাকি। এটার কারণে আমাদের সবসময়ই ইন্টারনেট কানেকশনের দরকার হচ্ছে। প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় একটি পকেট রাউটারের দাম কত এবং কিভাবে এটি কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
ভূমিকা
একটি পকেট রাউটারের দাম কত এবং কিভাবে এটি কাজ করে সে সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকতে হবে।সব সময় আমাদের ইন্টারনেট প্রয়োজন হলেও সব সময় কিন্তু আমাদের ইন্টারনেট কানেকশন সাথে থাকে না। বিশেষ করে আমরা যখন বাইরে যাই তখন ইন্টারনেট কানেকশন আমাদের সাথে থাকে না।
বিশেষ করে আমরা যখন যাত্রাপথে থাকি কিংবা বিদেশে যাই তখন কিন্তু আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন হয় সবসময়। এজন্য সব সময় দরকার একটি সাশ্রয়ী ইন্টারনেট কানেকশনের। অনেক সময় আমরা মোবাইল ফোনের সিমের ডাটা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু একেক সিমের ডাটা কানেকশন সব সময় সব জায়গায় ভালো পাওয়া যায় না। তখন আমাদের বিভিন্ন বিপাকে পড়তে হয়।
একটি পকেট রাউটারের দাম কত এবং কিভাবে এটি কাজ করে
ওপরের সবগুলো সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিশেষ উপায় হল পকেট রাউটার ব্যবহার করা।পকেট রা wi-fi router এর ছোটখাটো ভার্শন। রাউটারের মত পকেট রাউটারেও রয়েছে ইন্টারনেট সুবিধা। এটি যেখানে সেখানে নিয়ে যেয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি ওজনই হালকা এবং যার কারণে যেখানে সেখানে নিয়ে যাওয়া বেশ সুবিধাজনক।
ওয়াইফাই রাউটারের মতো পকেট রাউটারেও পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনি খুব নিরাপত্তার সাথে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও বাইরে কোথাও বের হলে কিংবা জার্নিতে অথবা রেস্টুরেন্টে কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা পেতে আপনি পকেট রাউটার ব্যবহার করতে পারেন।এর আরো একটি বিশেষত্ব হলো এটি এক বা একাধিক মানুষ ব্যবহার করতে পারবে একসাথে।
কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ ফুট ব্যাসার্ধের মধ্যে দশ বা তার চেয়ে বেশি ডিভাইস একসাথে সংযুক্ত করা যায় একসাথে। পকেট রাউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধার রয়েছে। যেমনঃ
সহজে বহনযোগ্য
পকেট রাউটার এই প্রথম এবং প্রধান সুবিধা হল এটি যে কোন জায়গায় খুব সহজে বহন করা যায়। আকারে ছোট হওয়ার কারণে এটি ব্যবহার করেও বেশ সুবিধা। এর মাধ্যমে ঘরে কিংবা বাইরে কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে কোন জায়গায় আপনি এটি ব্যবহার করে ইন্টারনেট সংযোগ আপনার ফোনে দিতে পারেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ট্রাভেলের ক্ষেত্রে যেমন ধরুন বা সে অথবা ট্রেনে কিংবা লঞ্চে করে ভ্রমণের সময় আপনি ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারেন। এটি গ্রহণযোগ্য এবং সাইডে ছোট হওয়ার কারণে খুব কম দিনের মধ্যেই এটির জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে।
পকেট রাউটারের বিভিন্ন ব্র্যান্ড
ইন্টারনেট হটস্পট তৈরির জন্য পকেট রাউটারে একটি সিম কার্ড যুক্ত করতে হয় এটি আসলে সকলেই জানেন। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো ব্র্যান্ডের পকেট রাউটার কিনতে পারেন এবং যেখানে গ্রামীণফোন এয়ারটেল কিংবা টেলিটক অথবা রবি সিম সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পকেট ব্র্যান্ডের রাউটার বাজারে পাওয়া যায়।এর সাথে যে কোন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি যেমন গ্রামীণফোন,টেলিটক, রবি ইত্যাদি কোম্পানির সিম আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
পকেট রাউটারের ব্যাটারি
প্রচলিত রাউটারের পকেট রাউটারের ব্যবহার তুলনামূলক ভিন্ন। কারণ পকেট রাউটার চালাতে ব্যাটারির প্রয়োজন হয়। আর এই ব্যাটারি ব্যবহারের কারণে পকেট রাউটার মানুষের ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠেছে। পকেট রাউটারের চার্জ দিলে এটি অনায়াসে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ব্যাকআপ দিয়ে থাকে।
এর ব্যাটারি এবং পকেট রাউটার আপনি যে কোন জায়গায় দুটোই ব্যবহার করতে পারবেন এবং খুব সহজে বহন করতে পারবেন। ইউএসবি ক্যাবল দিলে চার্জ দেওয়া যায় খুব সহজে। তাছাড়া প্রয়োজনের ল্যাপটপে কেবল সংযোগ দিয়েও সাময়িকভাবে ব্যাটারি চার্জ দিয়ে নিতে পারেন।
ইন্টারনেট সুবিধা
পকেট রাউটারের মূল সুবিধা হল ইন্টারনেট সুবিধা। যে কোন জায়গায় যে কোন প্রয়োজনে আমাদের ইন্টারনেট দরকার হতে পারে। সব সময় সব জায়গায় আমরা ইন্টারনেট কানেকশন নাও পেতে পারি। সিমের ইন্টারনেট দেখা যায় সব জায়গায় পাওয়া যায় না। এজন্য পকেট রাউটার ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই যেখানে সেখানে গিয়ে ইন্টারনেট সুবিধা পেতে পারি।
বাড়তি ক্যাবলের প্রয়োজন নেই
আজকাল বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের তারের ঝামেলা বহাতে হয়।পকেট রাউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের কোন ঝামেলা নেই। তারবিহীন এই ডিভাইস যে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।আপনি একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে বাড়িতে বা বিভিন্ন জায়গায় রাউটার ব্যবহার করতে অনেক তারের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
কিন্তু এই রাউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঝামেলা বিহীন। এছাড়াও অতিরিক্ত কেবল ব্যবহার ঝুঁকি এবং ঝামেলা বয়ে আনে। তাই নিরাপদ থাকতে পকেট রাউটার ব্যবহার করুন।
নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি
পকেটে রাখার ব্যবহারের অন্যতম একটি সুবিধা হল আপনি যেকোনো পাবলিক সিটি ব্যবহার করতে পারবে। আপনার কোন চিন্তা করতে হবে না। কারণ পাবলিক প্লেসে অনেক ফ্রি ওয়াইফাই থাকে যা মূলত সকলে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আপনার কাছে থাকা পকেট রাউটার আপনি যে কোন পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।এটাতে নেটওয়ার্কের সমস্যা জনিত এবং সিকিউরিটি নিয়ে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই।
অধিক মানুষের ব্যবহারযোগ্য
এর অন্যতম একটি সুবিধা হল এটি একসাথে অনেক মানুষ ব্যবহার করতে পারে। এছাড়াও আপনার স্মার্ট হওয়া ল্যাপটপ এবং অন্যান্য ডিভাইসে কানেক্ট করে একসাথে সবগুলো আপনি চালাতে পারবেন। আপনি চাইলে কয়েকজন মিলে একসাথে একটি পকেট রাউটার কিনে ব্যবহার করতে পারেন। যার কারণে এটি একসাথে অধিক মানুষ সুবিধা ভোগ করতে পারে।
পকেট রাউটার কিভাবে কাজ করে
পকেট রাউটার কিভাবে কাজ করে সেটা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের আলোচনা করব পকেট রাউটার কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে। প্রথমে একটি ডাটা প্যাক কেনা আছে এরকম সিম পকেট রাউটারের মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে। পকেট রাউটারের মধ্যে সিম রাখার স্লট থাকে। সেখানে প্রবেশ করাতে হবে।
তারপর এমএসবি ক্যাবল দিয়ে পিসি কিংবা ল্যাপটপের সাথে অথবা মোবাইল ফোনের সাথে সংযোগ দিতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনি সুরক্ষিত করে রাখতে পারবেন রাউটার। যাতে অন্য কেউ ব্যবহার করতে না পারে। এরপর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন ইচ্ছা মত। একটি বরগেট রাউটারের সাহায্যে সাধারণত ১০ টি ডিভাইস পরিচালনা করা যাবে।
পকেট রাউটারের দাম
পকেট রাউটার খুবই বহনযোগ্য ও ছোট একটি ডিভাইস।ওয়াইফাই রাউটার এর থেকে পোর্টেবল রাউটারের দাম অনেক কম। তবে বাজারের বিভিন্ন দামের পকেট কিনতে পাওয়া যায়।মাত্র দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে আপনি পকেট রাউটার কিনতে পারবেন। আর যদি আপনি অরজিনাল ব্র্যান্ডের পকেট রাউটার কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে শো রুমে যেতে হবে এবং শোরুম থেকে কিনতে হবে।
গ্রামীণফোন পকেট রাউটারের দাম
আমাদের দেশে যে বিভিন্ন রকমের পকেট রাউটার হয়েছে তাই পকেট রাউটার কিনার আগে অবশ্যই এটা সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে।আমরা একেক জন একেক ধরনের পকেট রাউটার কিনে থাকি। যার কাছে যেটা পছন্দ হয় সে সেটাই কিনে নেয়।তবে পকেট রাউটার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য রয়েছে।
পকেট রাউটারের হাই কোয়ালিটি এবং লো কোয়ালিটি ফোরজি এবং ৫জি বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য রয়েছে। আপনি যদি গ্রামীণফোনের ফোরজি প্যাকেট রাউটার কিনতে চান তাহলে আপনার তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার মতো খরচ হবে।এখন আপনি কোন জায়গায় পকেট রাউটার ব্যবহার করবেন এবং সেই জায়গায় গ্রামীনফোনের ব্যবহার রয়েছে কিনা,
কিংবা সেই জায়গায় গ্রামীণফোনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে কিনা সেটার উপর ভিত্তি করে কিনতে হবে। গ্রামীণফোন তার গ্রাহকের প্রয়োজনে নিয়ে এসেছে নিত্য নতুন একেক ধরনের সেবা।এটার ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয় অনেক ভালো। একবার ফুল চার্জ করে আপনি টানা ৭ থেকে ৮ ঘন্টা চালাতে পারবেন।
পকেট রাউটারের মাসিক খরচ
যারা পকেট রাউটার কিনেছেন বা কিনতে চাচ্ছেন তারা পকেট রাউটারের মাসিক খরচ নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন। কি পরিমান টাকা খরচ হবে বা কি পরিমাণ টাকা তুললে ভালোভাবে চলবে এসব বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে আমাদের মাথায় বিভিন্ন চিন্তা চলতে থাকে। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পকেট রাউটারের মাসিক খরচ সম্পর্কে।
সাধারণত পকেট রাউটার গুলোকে মোবাইল সিম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কতজন মিলে আপনি একটি পকেট রাউটার ব্যবহার করছেন এবং কতক্ষণ পর্যন্ত পকেট রাউটার ব্যবহার করতেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার পকেট রাউটারের মাসিক খরচ।ধরুন আপনি একটি পকেট রাউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এবং একসাথে ১০ জন মিলে ব্যবহার করছেন।
তাহলে অবশ্যই আপনার পকেট রাউটারের সিমে বেশি করে মেগাবাইট তুলতে হবে।যদি আপনি পকেট রাউটারের মাধ্যমে বেশিক্ষণ ধরে ইন্টারনেট চালান এবং অনেকজন মিলে চালিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি করে মেগাবাইট তুলতে হবে এবং খরচ বেশি পড়বে।
আর যদি আপনি একাই পকেট চালান এবং খুব কম সময় নিয়ে চালিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই পকেট রাউটারের মাসিক খরচ কম হবে।মনে রাখবেন পকেট রাউটারের মধ্যে যে কোম্পানির মোবাইল সিম ব্যবহার করবেন উক্ত কোম্পানির মোবাইল ডাটা আপনাকে কিনতে হবে।
4g পকেট রাউটারের দাম কত
4g পকেট রাউটারের দাম কত এটা কম বেশি আমাদের মধ্যে অনেকের অজানা রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ২০২৫ সালে এসেও পকেট রাউটারের দাম কত এটা জানেনা। প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্য আজকে আমার আর্টিকেলের মধ্যে উল্লেখ করেছি পকেট রাউটারের দাম সম্পর্কে। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই।
TP-Link M7200 4G Pocket Router
২০২৫ সালে বাংলাদেশে TP-Link M7200 4G Pocket Router পাবেন ৬০০০ থেকে ৬৫০০ টাকার মধ্যে। এই পকেট রাউটারে থ্রিজি, ফোরজি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে এবং ১৫০ mbps আপলোড সাপোর্ট করে। এই ব্র্যান্ড এর নাম টিপি লিংক। এর চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং পয়েন্টে মাইক্রো ইউএসবি যুক্ত করা আছে। এর ব্যাটারি দুই হাজার এম্পিয়ার যার কারনে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা সাপোর্ট দিতে পারে। এর ডিসপ্লে ধরন এলইডি।
JioFi MF800 4g Pocket Router
বাংলাদেশে JioFi MF800 4g Pocket Router এর দাম ২২০০-২৬০০ টাকা পর্যন্ত। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে এই পকেট রাউটারের মধ্যে সিম স্লট সহ মেমোরি কার্ড যুক্ত করার সিস্টেম রয়েছে। মেমোরি কার্ড অন্তত ৩২ জিবি হলেও সমস্যা নেই।
জনপ্রিয় এই JioFi MF800 4g Pocket Router ব্যাটারি ক্ষমতা প্রায় 2100 এম্পিয়ার পর্যন্ত যা ছয় ঘন্টা ব্যাকআপ দিতে পারবে। ওয়াইফাই কানেকশন করা যায় এবং সর্বোচ্চ ৩০০ mbps স্পিড ব্যবহার করতে পারে। এখানে একটি সিম সাপোর্ট করে এবং এর ওজন প্রায় ৫১০ গ্রাম।
Olax MF980 VS 4G LTE Pocket Router
Olax MF980 VS 4G LTE Pocket Router এর দাম বাংলাদেশে প্রায় ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত। এটি আমাদের ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক সমর্থন করে এবং এই পকেট রাউটারের স্পিড এতটাই বেশি চেয়ে এটি খুব সহজে একাধিক জায়গায় ব্যবহার করা যায়।
এই পকেট রাউটার মধ্যে একটি শক্তিশালী ব্যাটারি যোগ করা রয়েছে যার কারণে প্রায় ১০ ঘন্টা পর্যন্ত সাপোর্ট দিতে পারে। এটাতে প্রায় 2100 এম্পিয়ার যুক্ত করা হয়েছে। এখানেও ঠিক একইভাবে ৩২ জিবি মেমোরি কার্ড লাগানো যায়।
Jio WD680 Plus LTE Pocket Router
Jio WD680 Plus LTE Pocket Router এর দাম প্রায় ১৭০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে। এই ছোট ডিভাইসটিতে ফোরজি নেটওয়ার্ক সহ ৩০০ এমবিপিএস স্পিড সরবরাহ করে। এ পকেট রাউটারের সাথে ইউএসবি পোর্ট যুক্ত করা আছে এবং এর সাথে ৩২ জিবি মেমোরি সংযুক্ত করা যায়। এর ব্যাটারি সক্ষমতা প্রায় ২১০০ এম্পিয়ার পর্যন্ত। যা আমাদের ১০ ঘন্টা ব্যাকআপ দিতে পারবে। এখানেও সিম কার্ড ব্যবহার করা যায়।
Olax MF982 4G Pocket Router
এই পকেট রাউটারের দাম বাংলাদেশের ৪০০০ থেকে ৪২০০ টাকার মধ্যে। তবে বর্তমানে এর কিছু অফার মূল্য রয়েছে।Jio WD680 Plus LTE Pocket Router এ কিছু জনপ্রিয় আকর্ষণীয় ফিচার যুক্ত করা আছে। এই রাউটার সর্বোচ্চ 15 মিটার দূর থেকে যুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও এই রাউটারের মাধ্যমে একসাথে ১০ জন ব্যক্তি যুক্ত হয়ে চালাতে পারবে।
এর ব্যাটারি সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টা ব্যাকআপ দিতে পারে। এর ব্যাটারি পাওয়ার ৩০০০ অ্যাম্পিয়ার। এমনকি এখানেও ফোরজি সাপোর্ট করে।
5g পকেট রাউটারের দাম
5g পকেট রাউটারের দাম হিসেবে বাজারে অনেক বেশী দামের রাউটার রয়েছে।কিন্তু ৫জি ভার্সন পকেট রাউটারের দাম খুবই সীমিত। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে আমার আর্টিকেলে 5g পকেট রাউটারের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
Vemo E5783 Plus 4G + 5G Pocket Router
দেশ ডিজিটাল হিসেবে আপডেট হওয়ার সাথে সাথে রাউটারের বিভিন্ন আপডেট চলে আসছে। শুধু রাউটারের নয়, সব ইলেকট্রনিক্স পণ্যের আপডেট চলে আসছে। বাংলাদেশে এই পকেট রাউটারের দাম সাধারণত ৩০০০ থেকে ৩৩০০ টাকার মধ্যে।
এই পকেট রাউটারে ফোরজি ,ফাইভ জি দুটোই সাপোর্ট করে এবং এটাতে ১০০mbps পর্যন্ত স্পিড সরবরাহ করতে পারে। এ রাউটার থেকে প্রায় ১০ জন ব্যক্তি একসাথে মেগাবাইট ইউজ করতে পারবে। এছাড়াও এই ডিভাইসটির মাধ্যমে ৫০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত দূরে ব্যবহার করা যায়।
৫০০ টাকায় পকেট রাউটার
বর্তমানে চীনের প্রযুক্তির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ৫০০ টাকার পকেট রাউটার উদ্ভাবন করেছেন। এটি আপনি পাবেন গ্যাজেট গ্যাং ৭ এ। রাজধানীর আগারগাঁয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গ্যাজেট গ্যাং ৭ এর ২৪০ নম্বর স্টাইলে আপনি এটি পেয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।যেকোনো ইন্টারনেট সংযুক্ত পিসির সঙ্গে কিংবা মোবাইলের সঙ্গে এই রাউটার কানেক্ট করে নিন।
37 ফিট পর্যন্ত ওয়াইফাই জোন বানিয়ে যত খুশি তত ব্যবহার করতে পারবেন। এটি একাধিক ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করা যাবে। এছাড়াও এই পকেট রাউটার মধ্যে রয়েছে রিমোট কন্ট্রোল সুবিধা। যে কোন স্মার্ট ফোনে ওয়াইফাই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ফোনের মাধ্যমে কম্পিউটার শাটডাউন করা।
পাওয়ার পয়েন্ট কিংবা ফোন থেকে ডেস্কটপে ফাইল ট্রান্সফার করার সুবিধা পাবেন এই রাউটারের মাধ্যমে। তাহলে দেরি কেন আজকেই কিনে ফেলুন এবং ব্যবহার করতে থাকুন ৫০০ টাকায় পকেট রাউটার।
পাঠকের শেষকথা-একটি পকেট রাউটারের দাম কত এবং কিভাবে এটি কাজ করে
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম একটি পকেট রাউটারের দাম কত এবং কিভাবে এটি কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।এছাড়াও আরো জানলাম পকেট রাউটারের মাসিক খরচ,গ্রামীণফোন পকেট রাউটারের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url