সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ-সরকারিভাবে বিদেশে চাকরির সুযোগ ২০২৫

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রিয় পাঠক আপনার সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ
জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য এক ধরনের নিবন্ধন দেওয়া হয় সেখানে খুব সহজে এপ্লাই করে আপনি সহজে সরকারি ভাবে যেতে পারবেন।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ সাধারণত তারাই পায় যারা দক্ষ, স্বল্প দক্ষ, পেশাজীবী নারী-পুরুষ। নির্দিষ্ট একটি সময় সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়ে থাকে। আপনাদের মধ্যে যারা এই বিষয়ে আগ্রহী তারা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অথবা নগদ, বিকাশ কিংবা রকেটের মাধ্যমে ২০০ টাকা পাঠিয়ে নিবন্ধন করে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।
সম্প্রীতি জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং পরিসংখ্যান ব্যুরো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ধরনের তথ্য জানিয়ে থাকেন। তারা বলেন কোনরকম দালাল ছাড়াই বাংলাদেশের ৬১ টি জেলার নিবন্ধন চালু আছে। বি এম ইটির বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণত বলা হয়ে থাকে, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রতি বছরে প্রত্যেক উপজেলা থেকে প্রায় এক হাজার কর্মী সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ পেয়ে থাকে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে থাকে যারা নিবন্ধন করতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে। নিবন্ধনকারীদের সর্বনিম্ন ছয় মাসের বৈধ পাসপোর্ট এবং নিজস্ব মোবাইল থাকতে হবে। এছাড়াও নিবন্ধন সম্পর্কে বিভিন্ন আপডেট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিজ নিজ মোবাইলে পাঠিয়ে দেবে।এছাড়া ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়ে থাকে নিবন্ধন সাধারণত একটি চলমান প্রক্রিয়া।
এই প্রক্রিয়ায় শুরুর পরে যেকোনো সময় সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান এবং জনশক্তি অধিদপ্তর বা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়েও আপনি নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন খুব সহজেই। এভাবে নিবন্ধনের সময় সব যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ডাটা সংযোজন করতে হবে ডাটা ব্যাংকে। এছাড়া কোনভাবেই ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধন না হলে বিদেশ যাওয়া নিশ্চিত হবে না।
অন্যদিকে এই নিবন্ধনের মেয়াদ হবে দুই বছর। এই দুই বছরের মধ্যে যদি আপনার কোন রকম যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ডাটা ব্যাংকে যুক্ত করতে হবে। নিবন্ধনকারীর যোগ্যতার ভিত্তিতে অবশ্যই সরকার তার কাজের ব্যবস্থা করে দেবে। এভাবেই আপনি সরকারীভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ পাবেন।

সরকারিভাবে বিদেশে চাকরির সুযোগ ২০২৫

সরকারিভাবে বিদেশে চাকরির সুযোগ ২০২৫ সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। সরকারি ভাবে বিদেশে চাকরির সুযোগ পাওয়ার জন্য কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে একাধিক ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। এই পদক্ষেপটি আপনার জীবনকে একটি নতুন দিগন্তের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
এবং আপনাকে অবশ্যই এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ অনুসরণ করে চলতে হবে।বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ থেকে কিছু লোকজনকে চাকরির সুযোগ দিয়ে থাকে। সাধারণত এ ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে থাকে।
সরকারিভাবে বিদেশে চাকরির সুযোগ পেতে হলে প্রথমে আপনাকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে নিয়মিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে খোঁজ রাখতে হবে এবং অফিসগুলোতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় সেগুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। এরপর নির্ধারিত আবেদন ফরম জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
এরপর কিছু দিক বিবেচনা করার মাধ্যমে আপনাকে নির্বাচিত করা হবে এবং পরবর্তীতে আপনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সরকারিভাবে বিদেশে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে। কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেমন কুয়েত, কাতার, আমিরাত এসব দেশগুলোতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ব্যাপারে বেশি চাহিদার রয়েছে।
এবং বিশেষ করে নির্মাণ গৃহকর্মী এবং নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে বাংলাদেশের অনেক চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে সৌদি আরব যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার গুলোর মধ্যে এক কে যেখানে বাংলাদেশী শ্রমিকদের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে।

বিদেশের চাকরির সুযোগের জন্য প্রশিক্ষণ

বিদেশে চাকরির সুযোগের জন্য প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ না নিয়ে আপনি বিদেশে চাকরি করার সুযোগ পেলেও সেটা সঠিকভাবে করতে পারবেন না। যেকোনো বিদেশের নিয়োগের প্রোগ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল বিদেশে চাকরি সুযোগের জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া।
 এটি যাকে পাওয়ার সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে দেই এবং কাজের ক্ষেত্রে আরো সফলতা এনে দেই। বিদেশে চাকরির সুযোগের জন্য সর্বপ্রথম আপনার ভাষাগত প্রশিক্ষণের দরকার রয়েছে। বিশেষ করে আরবি ইংরেজি এবং যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশের ভাষা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দরকার।
এছাড়াও আপনার দরকার কারিগরি কিছু দক্ষতা। যেমন অবশ্যই আপনাকে ইলেকট্রিক্যাল এবং ওয়ার্কশপ ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখতে হবে। যোগাযোগ দক্ষতা এবং দলগত কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য হতে হবে এমনকি অন্যদের সাথে কাজ করার জন্য দক্ষতা আপনার দরকার। বিদেশি চাকরির জন্য সর্বপ্রথম প্রশিক্ষণের দরকার।

সরকারিভাবে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ

সরকারিভাবে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে আজকাল অনেক শিক্ষার্থীরা। সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার আর একটি উল্লেখযোগ্য উপায় হচ্ছে সরকারিভাবে স্কলারশিপ বা বৃত্তি। বাংলাদেশী অনেক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে যার মাধ্যমে তারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারে।
সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সরকারের অধীনে বিভিন্ন ভিত্তি এবং স্কলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং সেখানে আপনার আবেদন করতে হবে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে। এরপর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয়। স্কলারশিপ প্রাপ্তদের জন্য শিক্ষার অর্থ প্রদান করা হয় যার মধ্যে টিউশন ফ্রি ব্যবস্থা এবং বাসস্থান ও দৈনন্দিন খরচের জন্য অর্ধ প্রদান করা হয়।
বিদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি দেশের রয়েছে জনপ্রিয় স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। আই ইএল টি এস স্কোরের ভিত্তিতে অনেক স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এছাড়াও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল এক সুযোগ।অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরব সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।
বিদেশি যাওয়ার জন্য সরকারের মাধ্যমে স্কলারশিপ পাওয়া খুবই বড় একটি মাধ্যম। শুধুমাত্র সরকারি সুযোগের উপর নির্ভর করে না নিজে প্রস্তুতি নেওয়া এবং কঠোর পরিশ্রম এবং আপনার দক্ষতা ও প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে এটা নিয়ে আমাদের অনেকের মনে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। এখানে বলতে গেলে বিদেশে যাওয়ার জন্য মোট ব্যয়ের সঙ্গে সরকারের নির্ধারিত ব্যয়ের কোনো রকম মিল পাওয়া যায় না। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে হিসাব পাওয়া গেছে, সিঙ্গাপুরে যেতে সরকার খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রায় দুই লাখ ৬২ হাজার ২৭০ টাকা।
এছাড়াও সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বাজেট করে দিয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা, এছাড়াও মালয়েশিয়া যেতে খরচ পড়বে প্রায় এক লাখ ৬০হাজার টাকা। প্রতিবছরের মতো এবং আগেকার দিনের মতো এখনো বড়সংখ্যক জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায় স্বল্প মেয়াদী কাজে নিয়োজিত হয়ে প্রবাসে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এতদিন সাধারণত অনেকে হয়তো জেনে থাকবেন যে সরকারিভাবে কম টাকায় বা কম খরচে বিদেশে যাওয়া যায়।
এ কথা যে সত্য নয় এটি জরিপের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। একজন লোক যখন এত টাকা খরচ করে বিদেশে যায় কিন্তু মেয়াদ শেষে দেখা যায় তার খরচের টাকাটা উঠে আসে না। যার কারণে ওই ব্যক্তির খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়। এজন্য সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের মোট ব্যয়ের নির্ধারিত কোনো রকম মিল পাওয়া যায় না।

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন করবেন কিভাবে

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন করবেন কিভাবে এটা আমাদের মধ্যে অনেকেরই অজানা রয়েছে। সরকারিভাবে বিদেশ যেতে আগ্রহী দক্ষ, স্বল্পদক্ষ ও পেশাজীবীদের নারী এবং পুরুষদের উভয়ের নিবন্ধন শুরু হয়ে গেছে। যারা আগ্রহী তারা প্রথমে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিকাশ কিংবা নগদগতবার রকেটে 200 টাকা পাঠিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
সম্প্রীতি জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং পরিসংখ্যান ব্যুরো সংক্রান্ত এই বিজ্ঞপ্তিতে এরকম একটি তথ্য জানিয়েছেন যে কোনরকম দালাল ছাড়া ৬১ জেলায় নিবন্ধন চালু হয়ে গেছে। সরকারের কথা অনুযায়ী বছরে প্রতি উপজেলা থেকে এক হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর কথা রয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর কেন্দ্রীয় ঢাকা ব্যাংকের এই ধরনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। নিবন্ধনকারীর যোগ্যতা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা রয়েছে নিবন্ধনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।যারা সাধারণত নারী গৃহকর্মী হিসেবে যেতে ইচ্ছুক তাদের বয়স সর্বনিম্ন ২৫ থেকে ৪৫ এর মধ্যে হতে হবে।
নিবন্ধনের সময় সব যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার সনদ আপনাকে অবশ্যই ডাটা ব্যাংকে সংযোজন করে রাখতে হবে। ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধন কোনভাবেই নিবন্ধনকারী বিদেশ যাওয়ার নিশ্চিত করতে পারবে না। নিবন্ধনের মেয়াদ হবে দুই বছর তাই এই সময়ের মধ্যে কোন যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন হলে সেটা অবশ্যই ডাটা ভেঙে সংযোজন করতে হবে। নিবন্ধনকারীর যোগ্যতার ভিত্তিতে তাকে সরকার কাজের ব্যবস্থা করে দিবে।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি

বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য বিশ্বস্ত কিছু এজেন্সি রয়েছে। আমাদের মধ্যে যারা বিদেশে যায় তারা সাধারণত দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় গ্রামের কিছু লোকদের কাছ থেকে দালাল মোটা অংকের টাকা খেয়ে ফেলে। যার কারণে আমরা অবশ্যই দালালের সাথে যোগাযোগ না করে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করব। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি গুলোর ঠিকানা হলঃ
১.মাহবুর ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি
ঠিকানাঃ ডি.আই.টি রোড, ৪৭৬/বি গ্রাউন্ড ফ্লোর ঢাকা
২.এমপি ট্রাভেলস লিমিটেড
ঠিকানাঃ শাপলা ভবন,চতুর্থ তলা,সাইট নম্বর ৫০২-৫০৪। মতিঝিল ঢাকা
৩.ডায়মন্ড ট্রাভেলস
ঠিকানাঃ কমলাপুর বাজার রোড ৩৫/৪ মতিঝিল সি/এ ঢাকা।
৪.কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি
ঠিকানাঃ কাজী টাওয়ার,দ্বিতীয় তলায়,ভিআইপি রোড,নয়া পল্টন/ঢাকা।
৫.বি এম এস ট্রাভেলস
ঠিকানাঃ নোয়াখালী টাওয়ার,তৃতীয় তলা ৫৫/বি পুরনো পল্টন/ঢাকা।
৬.খান টুরিস্ট এন্ড ট্রাভেলস
ঠিকানাঃ এসআর গার্ডেন, পঞ্চম তলা,নয়া পল্টন/ঢাকা

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন।
  • সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিদেশে কাজ করার জন্য পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। এজন্য আপনাকে বিদেশে যেতে হলে সর্বপ্রথম মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। সব পরিবেশের সাথে এবং সংস্কৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো প্রস্তুতি আপনার থাকতে হবে।
  • এরপর আপনার করণীয় কাজ হচ্ছে বিদেশে চাকরির জন্য আপনার নাম নিবন্ধন নাগরিক সনদপত্র এগুলো তৈরি করতে হবে। আপনি যদি কর্মজীবী হয়ে বিদেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাধ্যতামূলকভাবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বা বি এম ই টি অফিসের অনলাইন ডাটাবেজ নেটওয়ার্কের নাম নিবন্ধন করতে হবে।
  • কাজের জন্য বিদেশ যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই নাগরিক সনদপত্র এবং পাসপোর্ট তৈরির সময় জন্ম সনদের প্রয়োজন হবে। এজন্য আগে থেকেই এসব কাগজপত্র তৈরি করে রাখতে হবে আপনাকে।
  • নাগরিক সনদপত্র পাওয়ার জন্য আপনার অত্র এলাকার বাসিন্দা হিসেবে সেই এলাকার ইউনিয়ন অথবা পৌরসভা কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে গিয়ে তার থেকে সনদপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এতে আপনার কিছু টাকা খরচ করতে হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সংশ্লিষ্ট অফিসের সচিবের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
  • আপনাকে ভালো পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে বিদেশ যাওয়ার জন্য। এবং অবশ্যই সেটি সরকারের অনুমোদিত একটি পরিচয় পত্র। আপনার পাসপোর্ট না থাকলে আপনি কখনোই বিদেশে যেতে পারবেন না বা বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি পাবেন না।
  • এরপর দরকার হচ্ছে ভিসা। আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করছেন তারা আপনার কাজের জন্য ভিসা বা কাজের ভিসা সংগ্রহ করে দিবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ভিসা সংগ্রহের সময় অবশ্যই আপনি ভালোভাবে চেক করে নিবেন।
  • কর্মজীবী হয়ে যদি বিদেশে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনি চাকরির চুক্তিপত্র হাতে পাওয়ার পর সেটা আসল নাকি নকল সেটা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার এজেন্সির লোকজন বা আপনি যেখানে আবেদন করেছেন সেখানে আপনার চাকরির চুক্তিপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে।
  • দেশে বৈধভাবে টাকা পাঠানো এবং অর্জিত টাকা সঞ্চয় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি দুই ধরনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। একটা হচ্ছে যৌথ নামে আর একটি আপনার নিজের নামে।
  • কর্মজীবী হিসেবে বিদেশ যেতে বৈধ ভিসা পেতে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা মেডিকেল সেন্টার থেকে মেডিকেল টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। পাসপোর্ট ভিসা বা চাকরির চুক্তিপত্র হাতে পাওয়ার পর অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার চুক্তিপত্র দরকার হয়। যেমনঃ সাধারণ সকল শারীরিক পরীক্ষা, মলমূত্র পরীক্ষা, এক্সরে পরীক্ষা ইত্যাদি।
  • আপনি যদি কর্মজীবী হয়ে বিদেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঢাকায় অবস্থিত জনশক্তি, কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো অফিসের পরিচালিত মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। এই মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করলে এরা আপনাকে এক ধরনের স্মার্ট কার্ড দিবে। এটা পরবর্তীতে আপনার কাজে আসবে।
  • স্মার্ট কার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড দরকার। এখানে আপনার যাবতীয় তথ্য যেমন পাসপোর্ট এর তথ্য কিংবা আঙ্গুলের ছাপ অথবা যে এজেন্সির মাধ্যমে আপনি কাজ পেয়েছেন তাদের লাইসেন্স নম্বর দেওয়া থাকে। এজন্য স্মার্ট কার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড অবশ্যই বাধ্যতামূলক।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ-সরকারিভাবে বিদেশে চাকরির সুযোগ ২০২৫

বিদেশে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করণীয় কাজ
বিদেশে যাওয়ার সময় যাত্রা পথে করণীয় অনেক কাজ থাকে। যেমনঃ
  • বিদেশের যাত্রা পথে আপনি বিমানে নিজের সাথে যে ব্যাক্তি রাখবেন সেখানে টাকা পয়সা গহনা এবং জরুরি কাগজপত্র রাখুন এবং সেটা অবশ্যই বিমানের লকারে রেখে দিবেন। মনে রাখবেন ওজন সবসময় ২০ কেজির মধ্যে হতে হবে।
  • ব্যাগটি অবশ্যই দড়ি কিংবা টেপ দিয়ে শক্ত করে বেঁধে নিবেন যাতে যাত্রা পথে খুলে বা ছিড়ে না যায় কোন ভাবে। ভ্রমণের জন্য হালকা কিছু শক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি এবং ভালো তালা লাগিয়ে নিবেন।
  • প্রতিটি ব্যাগে অবশ্যই আপনার নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার লিখে রাখবেন। এতে করে আপনার ব্যাগ অনুভবে হারিয়ে গেলে আপনার খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।
  • ব্যাগের মধ্যে কখনোই ধারালো ছুরি বা ব্লেড কিংবা বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ কিংবা আগুন ধরে যাবে এরকম তরল পদার্থ বহন করা যাবে না। এছাড়াও ফুল ফল সবজি কিংবা পচন জাতীয় কিছু ভ্রমণের সময় নেওয়া নিষেধ।
  • এছাড়াও প্লেনে কিংবা এয়ারপোর্টে ধূমপান এবং মোবাইল ফোন ট্রানজিস্টর ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
  • মনে রাখবেন কখনোই অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া কোন জিনিস বহন করবেন না। এতে করে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
  • ইমিগ্রেশনে আপনার পাসপোর্ট ভিসা এবং বাকি সব কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং তারপরে আপনাকে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে। সেই সময় পর্যন্ত অবশ্যই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এবং পরবর্তীতে অফিসার আপনাকে ওই দেশে যাওয়ার জন্য তারিখসহ সিল মেরে দিবে।
  • বিমানে আরোহণের পূর্বে ইংরেজি এবং বাংলাতে মাইক্রোফোনে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হবে এবং সেগুলো আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনবেন সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।
  • ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আপনি বিমানের দিকে অগ্রসর হবেন।

বিদেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে করণীয়

বিদেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে বেশ কিছু করণীয় থাকে আমাদের। সেগুলো ঠিকঠাক মতো যদি আমরা না জানি তাহলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রথমেই বিদেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরের নেমে আপনার ব্যাগ সংগ্রহ করতে হবে। দেখ সংগ্রহ করার জন্য কনভেয়ার বেল্ট এর ওপর আপনার ফ্লাইট নম্বর দেওয়া থাকবে এবং সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
এবং কাস্টম অফিসার চাইলে সাথে সাথে সেটা দেখাতে হবে। আপনি যদি বেল্টে আপনার ব্যাগ না পান কিংবা আপনার ব্যাক কোন ভাবে হারিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনার এয়ার লাইন্স কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য কেন্দ্রের সহায়তা নিতে পারবেন আপনি। আর যদি কোন ভাবে আপনার ব্যাগ খুঁজে পাওয়া না যায় তাহলে টিকিটের উল্লেখিত নীতিমালা অনুযায়ী তারা আপনাকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিবে।

পাঠকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে এবং সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার কিছু এজেন্সি সম্পর্কে ও যাত্রাপথে করণীয় এয়ারপোর্টের নেমে কি করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

FAQ: সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়ম এবং সরকারি বিদেশে চাকরির সুযোগ ২০২৫ সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন

১.বিদেশে যাওয়ার জন্য কিভাবে আমি সরকারি প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবো?

সর্বপ্রথম আপনাকে সরকারি অধিদপ্তর কিংবা অফিসের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফলো করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আপনার আবেদন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে এবং ধাপে ধাপে পরবর্তী কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে।

২.বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য কতটা সময় লাগতে পারে?

বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য কতটা সময় লাগবে সেটা সাধারণত নির্ভর করে আপনার নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ভিসা প্রক্রিয়া সময়ের উপরে। তবে সাধারণত কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

৩.বিদেশে যাওয়ার জন্য কি বিশেষ কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন?

বিদেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনারা কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন। হোক সেটা ভাষাগত যোগ্যতা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা অথবা আপনার নিজের কাজের বা বিগত চাকরির কোন অভিজ্ঞতা।

৪. ফুল ফ্রী স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়?

স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনার বেশ কিছু যোগ্যতা দরকার হয়। সাধারণত একাডেমিক রেজাল্ট, আইইএলটিএস কোর্স স্কোর ইত্যাদি বিষয়ে বিবেচনা করে আপনাকে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url