লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ টি বাইক সম্পর্কে জানুন
লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ টি বাইক সম্পর্কে আমাদের অনেকের কোন ধারণা নেই। মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের জন্য আপনি বা মোটরসাইকেল লাভারদের জন্য শীতকাল মানেই ট্যুরের একটি উপযুক্ত সময়।অনেকেই এই সময় দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যান প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। প্রিয় পাঠক আজকে আপনার সুবিধার্থে আর্টিকেলের বিষয়ে নির্ধারণ করেছি লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ টি বাইক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে। জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন।
লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ টি বাইক সম্পর্কে জানুন
বর্তমান সময়ে বাইকাররা সবচেয়ে বেশি বাইক নিয়ে ট্যুর দিতে বেশি পছন্দ করে। বাইক নিয়ে টুর দেওয়ার জন্য ভালো বাইক নির্ধারণ করা খুবই জরুরি একটি বিষয়। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ টি বাইক সম্পর্কে। আমি সকলেই জানি একটু উর দেওয়ার জন্য আলাদা বা স্পেশাল কোন বাইকের প্রয়োজন হয় না। যেকোনো বাইক নিয়ে ট্যুর দেওয়া সম্ভব। কিন্তু টুরের মধ্যেও কিছু বাইক রয়েছে যেগুলো আসলে আপনার জন্য অনেক বেশী কমফোর্টেবল হবে।
1. Suzuki Gixxer SF Fi ABS
লং ড্রাইভ এ যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ টি বাইকের মধ্যে Suzuki Gixxer SF Fi ABS বাইকটি অন্যতম। সুজিকি বাইকগুলো উচ্চ গতিপ্রেমী বাইকারদের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি বাইক। সাধারণত লং ট্যুর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় একটি বিষয়। এর পাশাপাশি দরকার ব্রেকিং এর ব্যবহার।Suzuki Gixxer SF Fi ABS এই বাইকটিতে কন্ট্রোলিং এর পাশাপাশি রয়েছে ব্রেকিং এর ব্যবহার।
যার কারনে আপনার বাইকের গতি যদি কিছুটা বেশিও থাকে তারপরও আপনি খুব সহজে নিরাপত্তার সাথে বাইকটি ব্রেকিং করতে পারবেন। এছাড়াও হাইওয়ে রাইট কিংবা লং ট্যুর এর জন্য পিকআপ ভালো থাকাটা খুবই বেশি জরুরী। এই বাইকটির পিকআপ অন্যান্য বাইকের চেয়ে বেশ ভালো। যার কারণে জরুরীভাবে আপনি ওভার টেকিং এর সময় আলাদা একটা মজা অনুভব করবেন।
suzuki বাইক আপনাকে হাইওয়েতে এবং পাহাড়ি রাস্তাতে বেশ ভালো একটি সাপোর্ট দিয়ে থাকবে। মনে রাখবেন ডুও দেওয়ার ক্ষেত্রে বাইকগুলো অবশ্যই কমফোর্ট হওয়াটা খুবই জরুরী।Suzuki Gixxer SF Fi ABS এই বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফুয়েল ইনজেকশন ইঞ্জিন যার কারণে আপনি এটি চালালে বুঝতে পারবেন এর পারফরম্যান্স কতটা ভালো। রাস্তায় অনেক বেশি জ্যাম থাকলো আপনি সাইডে অনেক সুন্দর মুভ করে নিতে পারবেন।
2.Yamaha Fazer V2
লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ র্টি বাইকের কথা আসলে সর্বপ্রথম স্থানে আসে Yamaha Fazer V2। কারণ ইয়ামাহা ফেজার বাংলাদেশের প্রথম টুরিং বাইক এটা আমরা সকলেই জানি। লং টুর এর জন্য সর্বপ্রথম Yamaha Fazer V1 দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু এখন বাজারে Yamaha Fazer V2 পাওয়া যাচ্ছে।
আর যারা ট্যুর প্রেমি বাইকার আছে তাদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। লং ড্রাইভ যাওয়ার জন্য বর্তমানে বাইকে যে জিনিসটা অবশ্যই থাকা দরকার সেটি হচ্ছে কম্ফোটেবল সেটিং পজিশন। সিটিং পজিশন যদি কম্ফোর্টেবল না হয় তাহলে আপনি লংড্রাইভে মজা পাবেন না।Yamaha Fazer V2 এই বাইকের মধ্যে রয়েছে কমফোর্টেবল সেটিং পজিশন যার কারণে আপনি হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারবেন খুবই ইজিলি।
লং ড্রাইভের যাওয়ার জন্য বাইকের সাসপেনশন ভালো থাকাটা খুবই জরুরী একটি বিষয়। কেননা আমাদের বাংলাদেশের রাস্তার যা অবস্থা এতে করে লং ড্রাইভ এ গেলে আমাদের মেজাজটাই খারাপ হয়ে যেতে পারে। আমাদের দেশের বাইকাররা অনেকেই পাহাড় যেতে পছন্দ করে। আর পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য Yamaha Fazer V2 বাইকটি আপনাকে দারুন সাপোর্ট দিয়ে থাকবে।
এছাড়াও এই বাইকের মধ্যে রয়েছে ডুয়েল হেডলাইট যা রাতের আলোতেও বেশ আলো দিবে যা আপনাকে দিনের বেলা ফিল করাবে। ট্যুর করার বাইক গুলোর মধ্যে কন্ট্রোলিং ভালো থাকাটা খুব জরুরী এবং এই ইয়ামাহা বাইকের মধ্যে খুবই সুন্দর কন্ট্রোলিং এবং ব্রেকিং রয়েছে যা আপনাকে খুব ভালো ফিডব্যাক দিবে। অন্যদিকে এই বাইকটিতে পিলিয়ন সিট বেশি কমফোর্টেবল হওয়ার কারণে আপনি চাইলে আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে লং ড্রাইভে যেতে পারেন।
3.Lifan KPT 150
বাংলাদেশের যত বাইকের ব্র্যান্ড রয়েছে এবং জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো লিফান। বাংলাদেশে এডভেঞ্চার প্রেমী বাইকারদের কাছে লিভান বাইকটি খুবই জনপ্রিয়।Lifan KPT 150 এই বাইকটি ইঞ্জিন এর ওপর প্রচুর প্রেসার নিতে পারে। যার কারণে আপনি এই বাইকে করে অনেক ভারী জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে এই বাইকের হ্যান্ডেল বার একটু উঁচু হওয়ার কারণে আপনি যখন হাইওয়ে তে কোন দূরের রাস্তা অতিক্রম করবেন তখন আপনার হাতের উপর প্রেসার পড়বে না।Lifan KPT 150 বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স অন্যান্য বাইকের চেয়ে বেশ উঁচু হওয়ার কারণে আপনি এই বাইকটি নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মধ্যেও খুব সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন।
সবচেয়ে ভালো যে বিষয়টি সেটা হচ্ছে এই বাইকের বিল্ড ইন ক্যাশ গার্ডটি খুব বেশি মজবুত হওয়ার কারণে বাইক নিয়ে হঠাৎ করে পড়ে গেলেও বাইরে তেমন কিছু ক্ষতি হবে না। অর্থাৎ আপনি বাইকটি নিয়ে সবসময় সেভ থাকবেন।
4.Aprilla Terra 150
Aprilla Terra 150 বাইকটি সাধারণত বাইরের দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয় হলেও আমাদের দেশে আগে পাওয়া যেত না। কিন্তু সম্প্রীতি আমাদের বাংলাদেশের এই বাইকটি পাওয়া যাচ্ছে। এবং লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ টাই বাইকের মধ্যে এটিও অন্যতম। যার কারণে বাইকারদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়।
সর্বপ্রথম এই বাইকটির সিটির পজিশন বেশ কমফোর্টেবল হওয়ার কারণে খুব সহজে এটি নিয়ে আপনি অনেক দূরের পথ অতিক্রম করতে পারবেন। এই বাইকটিতে আপনি অনেক ব্যাগ বহন করতে পারবেন। এমনকি ব্যাগ বহন করার জন্য এই বাইকে ক্যারিয়ারের ব্যবস্থা আছে।
5.Haojue TR 150
Haojue বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় চাইনিজ মোটরসাইকেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এটি সাধারণত চায়নাতে অনেক বেশি জনপ্রিয়। মূলত এটি একটি ক্রেজার বাইক। নিঃসন্দেহে এটি টুরের জন্য সেরা। এই বাইকের দুই পাশে দুটি বক্স করা আছে। যা লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বেশ উপকারি।
বাইরের দুই পাশে দুটি বক্সের মধ্যে আপনি ছোট ছোট কিছু জিনিস কারি করতে পারবেন যার কারণে আপনার এক্সট্রা করে ব্যাগ বহন করতে হবে না। এই বাইকের সাথে রয়েছে বাইকের টায়ারটির গ্রিপ অসাধারণ। যার কারণে এটি খুব সুন্দর ভাবে রাস্তার সাথে আটকে রাখতে পারে। লং ড্রাইভ করার সময় আলাদা করে বাইকের প্রয়োজন নাই যদি আপনি এটা রাখেন। এটি আপনার লং ড্রাইভের জন্য বেশ ভাল সাপোর্ট দিবে।
মোটরসাইকেল নিয়ে লং ড্রাইভে যাওয়ার আগের প্রস্তুতি
মোটরসাইকেল নিয়ে লং ড্রাইভে যাওয়ার আগের প্রস্তুতি নিবেন কিভাবে? অনেক রাইডার লং ড্রাইভের জন্য সব সময় আগ্রহ দেখালেও এদের মধ্যে অনেকেই জানেনা যে লং ট্যুরে যাওয়ার জন্য কি কি প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য নিরাপদ ভাবে ও ঝামেলা মুক্ত করতে পারলে তখনই লং ড্রাইভ আপনার জন্য আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
আর একটা পারফেক্ট টুর প্ল্যান এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে আপনি এটিকে আরও বেশি উপভোগ করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নেই মোটরসাইকেল নিয়ে লং ড্রাইভে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি সম্পর্কেঃ
বাস্তবসম্মত টুর প্ল্যান
মোটরসাইকেলে করে লম্বা একটা ট্যুর দেওয়ার জন্য আপনি সর্বপ্রথম জানতে হবে আপনি কোথায় যাচ্ছেন এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে কতটুকু পথ পাড়ি দিতে হবে সে সম্পর্কে। তবে আবহাওয়া ট্রাফিক কিংবা বিভিন্ন সমস্যার কারণে জরুরি অবস্থাতে আপনার প্ল্যান এর পরিবর্তন আসতে পারে। এজন্য সব পরিস্থিতিকে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। অন্যান্য রাইডারদের সঙ্গে বের হলে তাদের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে এক জায়গায় যেতে হবে।
বাইক সার্ভিসিং করা জরুরী
বাইক সার্ভিসিং করানোর সবচেয়ে বেশি জরুরী লং ড্রাইভে যাওয়ার আগে। কেননা লং ড্রাইভের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নির্ভর করবে আপনার বাইকের উপরে। দীর্ঘ একটি বাইক জার্নিতে হঠাৎ করে আপনার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা তেল শেষ হয়ে গেলে অথবা ক্লাব কাজ না করলে আপনার আপত্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। এজন্য অবশ্যই লং ড্রাইভে যাওয়ার আগে আপনার বাইক সার্ভিসিং করা জরুরী।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং বাড়তি সরঞ্জাম সঙ্গে রাখুন
লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম একজন দক্ষ মেকানিক দিয়ে আপনার বাইক সার্ভিসিং জুয়েলারি এবং তারপর তার কাছ থেকে জেনে নিয়ে কিছু সরঞ্জাম আপনার রাখা দরকার। সেই অনুযায়ী আপনার প্যাকিং রেডি করতে হবে। যেমনঃ বাড়তি টিউব, ব্রেক এবং ইঞ্জিন অয়েল ইত্যাদি।
বাইক নির্বাচন বা মডিফিকেশন
লং ড্রাইভ এর যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি বাইক বেছে নিতে হবে যেটা আপনি চালিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। নিজস্ব কোন বাইক না থাকলে বা লং ড্রাইভে যাওয়ার উপযোগী বাইক না থাকলে এমন একটি বাইক বাছাই করুন যেটাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লং ট্যুরে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল এবং নিজের সব জরুরী কাগজপত্র আপনার সঙ্গে রাখতে হবে। টোল প্লাজাতে অযাচিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব কাগজ আপনার কাছে জরুরী ভিত্তিতে রেডি রাখতে হবে।
রাইডের আগে আবহাওয়া চেক করুন
যেহেতু লং ড্রাইভের ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গার আবহাওয়া বিভিন্ন রকম হতে পারে। শীতকালে কিংবা বর্ষাকালে বের হওয়ার সময় খুব বেশি সতর্কতার সাথে বের হতে হবে। অনেক সময় দেখতে অসুবিধা হলে সেখানে থেমে যেতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে। আর বৃষ্টির সময় বাইক চালানো বন্ধ রাখতে হবে।
ভালো মানের হেলমেট পড়তে হবে
শীতকালে শিশির এবং বর্ষাকালের বৃষ্টির কারণে\ সব সময় স্লিপ কাটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যার কারণে চালক এবং পিলিয়ন উভয়কে ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব হলে একজনের বেশি বিলিয়ন দুইজন না নেওয়াই ভালো। এতে করে আরো দুর্ঘটনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মামলা খাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।অতিরিক্ত গতি হতে পারে মৃত্যুর কারণ এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে।
রাইড এর আগে ব্রেক চেক করতে হবে
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্রেকিং সিস্টেম। শীতকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে কিংবা বৃষ্টির মধ্যে অনেক সময় হুট করে আমাদের ব্রেক করার প্রয়োজন পড়ে। এই জন্য বের হওয়ার আগে ঠিকমতো চেক করতে হবে যে মোটরসাইকেলের ব্রেক ঠিকঠাক আছে কিনা।এছাড়াও হুটহাট ব্রেক করা থেকে বিরত থাকুন। ব্রেক করার সময় অবশ্যই নিরাপদ দূরত্বে ব্রেক করতে হবে।
সঠিক পোশাক নির্বাচন
লংড্রাইভে যাওয়ার জন্য রাইডিং এর জন্য সবসময় চেষ্টা করতে হবে গোড়ালি পর্যন্ত প্যান্ট পরার এবং রাইডিং জ্যাকেট পড়ে রাইডিং করার। এছাড়াও লম্বা জুতা কিংবা লম্বা বুট পরিধান করতে পারলে আরো ভালো হয়।লং ড্রাইভে যাওয়ার সময় সব সময় চেষ্টা করতে হবে ফিটিং জামা কাপড় পড়ার।এতে করে আপনি নিরাপত্তার সাথে থাকতে পারবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়া দাওয়া করুন
সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এইসব পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। বেশি খাবার খেয়ে ফেললে হজম করতে অনেক এনার্জি খরচ হয় যার কারণে আপনার ওপর ক্লান্তি ভর করতে পারে। এজন্য গন্তব্য স্থানে না পৌঁছানো পর্যন্ত আপনি বরপেড খাবেন না। সীমিত পরিমানে খাওয়া দাওয়া করতে হবে আর বেশি খাওয়া দাওয়া করলে ওয়াশরুম যাওয়ার ঝামেলা রয়েছে। এছাড়াও বাইরের খাবার বেশি পরিমানে খেয়ে ফেলে আপনার ফুড পয়জনিং হতে পারে। খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।
লং ড্রাইভ এর ক্ষেত্রে বাইকের যেসব জিনিস রেডি করা প্রয়োজন
লং ড্রাইভ এর ক্ষেত্রে বাইকের যেসব জিনিস রেডি করা প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে অনেকের মধ্যে কমলা ধারণা নেই।আমাদের দেশে বেশিরভাগ বাইক রাইডার কে দেখা যায় বাইক চালানোর সময় ঘাড়ে একই ব্যাগ এবং মাথায় হেলমেট পড়ে লং ড্রাইভের জন্য বের হয়ে যায়। কিন্তু এগুলো খুবই খারাপ অভ্যাস। এগুলোর কারণে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের বিপদে পড়তে হতে পারে আমাদের।
- সর্বপ্রথম ট্রাভেলের পূর্বে বাইকের তিনটি নাট চেক করা দরকার।সামনের চাকার নাট, পেছনের চাকার নাট এবং বাইকের চালকের পাদানের উপর দিয়ে থাকা মাইন বডি নাট। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
- সামনের হাইড্রোলিক ব্রেক এবং তেল চেক করা খুবই জরুরী।
- বাইকের চেন ঠিকঠাক আছে কিনা ইঞ্জিন অয়েল পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে কিনা এসব ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে।
- ইলেকট্রনিক্স সাইট ঠিকঠাক মতো কাজ করছে কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে।
- একটা প্লাগ, একটি করে ক্লাচ এবং পিক আপ তার সাথে করে এক্সট্রা নেওয়া জরুরী।
- বাইকে তেল ভরে নেওয়া।
- বাইক চালানোর সময় অবশ্যই হ্যান্ড গ্লাভস পরে বাইক চালানো। এতে করে আপনার হাত ধুলাবালি এবং ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাবে।
- বাইকের সামনে অবশ্যই ফোন বসানোর জন্য একটি স্ট্যান্ড লাগিয়ে নেবেন।
- আপনার বাইকে ডিফল্ট ঘড়ির সিস্টেম না থাকলে ছোট একটা ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি লাগিয়ে নিবেন।
- লুকিং গ্লাস ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখবেন সব সময়।
- হেডলাইট ছাড়াও অনেক সময় বাইকে অতিরিক্ত ফগ লাইট লাগানো থাকে। এগুলোর সুইচ ঠিকঠাক মতো আছে কিনা সেগুলো চেক করে নিন।
- পানির বোতল রাখার জন্য অবশ্যই একটি জায়গা রাখবেন।
- লং জার্নিতে পা রাখার জন্য আলাদা আলাদা জায়গা তৈরি করুন যাতে চালকরা পাদানি ছাড়াও পিলিয়নের পাদানিতে পা রাখতে পারে এরকম।
- মনে রাখতে হবে বাইক চালানোর সময় বাইকে লাগানো কোন জিনিস যেন কোন রকম ভাবে নড়াচড়া না করে। সব জিনিস ভালোভাবে ফিক্স করে বেঁধে নিতে হবে।
- বাইক মুছার জন্য এক টুকরো পরিষ্কার কাপড় বাইকে রাখতে হবে অবশ্যই।
- দুই ঘন্টা পর পর অবশ্যই বাইক থেকে নেমে একটু হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার বাইক চালাতে শুরু করবেন।
পাঠকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টপ ৫ টি বাইক সম্পর্কে।এছাড়াও আরো জানতে পারলাম মোটরসাইকেল নিয়ে লং ড্রাইভে যাওয়ার আগের প্রস্তুতি।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url