ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। যখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর কথা একসাথে শুনে থাকি তখন আমাদের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আছে যে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে আসল পার্থক্য কোথায়?
ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কোনটা বেশি ভালো? এ ধরনের বিভিন্ন কোশ্চেন এর সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। প্রিয় পাঠক আজকে আপনার সুবিধার্থে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে।

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্ক না জানার কারণে আমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়ে থাকে। আজকাল ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং আমাদের ইনকামের অনেক বড় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে আমরা অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং জগতে আসতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য আপনাকে সঠিকভাবে জানতে হবে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে আসি ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কেঃ

ফ্রিল্যান্সিং কি

ফ্রিল্যান্সার শব্দটি সর্বপ্রথম ১৮১৯ সালে ওয়াল্টার স্কট নামক একজন লেখকের বইয়ে ছাপানো হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিভিন্ন কথা। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন কল্পনা জল্পনা। বিভিন্ন জন একে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন। ফ্রি শব্দের অর্থ হচ্ছে মুক্ত এবং লেন্সিং শব্দের অর্থ হচ্ছে যন্ত্রপাতি যেগুলো দ্বারা কাজ সম্পন্ন করা হয়।
অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং শব্দের পুরো অর্থ দাঁড়াচ্ছে এরকম যে, কোন কাজ মুক্ত স্বাধীনভাবে করা।ফ্রিল্যান্সিং মূলত এক ধরনের পেশা যেখানে আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করে আমাদের প্রয়োজনমতো অর্থ উপার্জন করে থাকে। এটা হতে পারে দেশের ভেতরে এবং হতে পারে দেশের বাইরে। অর্থাৎ আমরা দেশের বাইরে কাজ করেও অর্থ উপার্জন করতে পারি।
এটা একটা সাধারণ চাকরির মতোই কিন্তু সেটা আপনার ইচ্ছা মতো আপনি করতে পারবেন। অনেক সময় আপনার কাজ করতে ইচ্ছা নাও করতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি কাজ বন্ধ রাখতে পারেন বা জায়গা ভেদে ধরে ধরে কাজ করতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার কাজের ফাঁকে ফাঁকে অফিসে বসেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন আবার ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন খুব সহজেই।

আউটসোর্সিং কি

আউটসোর্সিং একটি ইংরেজি শব্দ। মূলত ইংরেজি শব্দ আউটসাইড রিসোর্সিং থেকেই এর সংক্ষিপ্ত রূপ হয়েছে আউটসোর্সিং।১৯৮৯ সালের দিকে সর্বপ্রথম আউটসোর্সিং শব্দটির উৎপত্তি হয় এবং এটাকে একটা বিজনেস স্ট্রাডিজি হিসেবে দেখা যায়। পরবর্তীতে ১৯৯০ দশকের দিকে এই বিষয়টি ব্যবসায়িক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে।
এরপর থেকে আউটসোর্সিং নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন মতামত সৃষ্টি হয়। মূলত আউট শব্দের অর্থ হচ্ছে বাইরে এবং সোর্স শব্দের অর্থ হচ্ছে উৎস। অর্থাৎ আউটসোর্সিং শব্দের অর্থ দাঁড়াচ্ছে বাইরের কোন উত্তর দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া।আউটসোর্সিং এর মূল অর্থ হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কাজ বাইরের কোন সোর্স বা উচ্চ দিয়ে করিয়ে নেওয়া।
ধরুন একটি উদাহরণ হিসেবে আপনাকে বুঝায়। আপনার একটি কোম্পানি আছে এবং সেটিতে কাজ করার জন্য আপনি লোক খুঁজে পাচ্ছেন না। এরকম একটি অবস্থায় আপনি বাইরের দেশের ফ্রিল্যান্সারকে কাজটা করিয়ে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে তাকে কিছু অর্থ প্রদান করছেন। ব্যাস এই পুরো বিষয়টাই হচ্ছে আউটসোর্সিং। অর্থাৎ আপনার কোম্পানির কোন কাজ যখন আপনি কোন পারিশ্রমিককে টাকার বিনিময় করিয়ে নিচ্ছেন এবং সেটা অনলাইন বা অফলাইন ভিত্তিক তখন সেটাকে আউটসোর্সিং বলে।

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হল।আশা করি এটা পড়ে আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং আসলে কি।
১.অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইচ্ছামত কাজ নির্বাচন করে আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কাজ সম্পন্ন করে দেওয়ার বিনিময়ে যে অর্থ উপার্জন করে থাকেন সেটাই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। আর আউটসোর্সিং হলেও ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে কাজ করে নেওয়ার বিনিময়ে তাকে অর্থ প্রদান করতে হয়। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সারদের থেকে কাজ হাসিল করে নেওয়া হল আউটসোর্সিং।
২.একজন ফ্রিল্যান্সার যখন কাজ করে তখন বাইরের কোন সোর্স থেকে তার পেমেন্ট সে পেয়ে থাকে। কোন দিকে একজন আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সারকে কাজের বিনিময়ে এবং কাজ শেষে পেমেন্ট উভয় দিয়ে থাকেন।
৩.কাজ করার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের ধরা বাধা কোন নিয়ম নেই। তারা যখন ইচ্ছা তখন ঘরে শুয়ে বসে বা অফিসে বসে কাজ করতে পারে। কিন্তু একজন আউটসোর্সের নিজের কাজ করানোর জন্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সার নিয়ে থাকে অস্থায়ীভাবে।
৪.একজন ফ্রিল্যান্সার কাজ করার পূর্বে তার পেমেন্ট চুক্তিবদ্ধ করে নেয় এবং কাজের শেষে এসে সেই পেমেন্টটাই পেয়ে থাকে। অন্যদিকে আউটসোর্স ছাড়া যখন ফ্রিল্যান্সার হার করে থাকে তখন তারা মাসিক চুক্তি করে থাকে। অর্থাৎ মাস শেষে তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকে।
৫.ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে তাকে কাজ নিয়ে কোন চাপ নিতে হয় না। যেমন আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে কাজের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে।কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো সময় কাজ করলে চলবে।
৬.ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে একটানা একটা ঝুঁকি থেকেই যায় যেমন আপনি সবসময় কাজ পাবেন কিনা সেটার কোন গ্যারান্টি নেই। কিন্তু আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে কোন ধোঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা নাই। আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে মানসম্মত এবং গ্যারান্টি যুক্ত কাজ পাওয়া যায়।
সব কথার শেষ কথা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং হচ্ছে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিট। কারণ ফ্রিল্যান্সারদের ছাড়া আউটসোর্সিং হয় না এবং আউটসোর্সিং সিস্টেম চালু আছে বলেই বাজারে ফ্রিল্যান্সাররা টিকে আছে। আশা করি আমি আপনাদের বোঝাতে পেরেছি ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য আসলে কি।

আউটসোর্সিং এর জন্য জনপ্রিয় সেরা ৬ টি ওয়েবসাইট

আউটসোর্সিং এর জন্য জনপ্রিয় সেরা ৬ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারবেন আমার এই আর্টিকেলে। জানতে হলে আমার আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।বর্তমান সময়ে আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। গত বছর বিশ্বে আউটসোর্সিং এর মোট বাজার মূল্য ছিল আনুমানিক প্রায় 89 বিলিয়ন ডলার। সেটিও সর্বোচ্চ নয়। বিশ্বে লাখো লাখো তরুণ তরুণীরা তাদের নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য বেছে নিয়েছে আউটসোর্সিংকে। আজকে আমি আপনাদের বিশেষ জনপ্রিয় কয়েকটি আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

১.guru.com

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটের তালিকায় guru.com সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে এই অনলাইন ভিত্তিক আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানে। আউটসোর্সিং এর যতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে guru.com কিছুটা আলাদা। এখানে ফ্রিল্যান্সারদেরকে সরাসরি কাজের লিস্ট ধরিয়ে না দিয়ে এদেরকে কিছু গুরুর অধীনে রাখা হয়।
এবং সেখান থেকে কাস্টমার তাদের কাজ করে নেওয়ার জন্য পছন্দমত একজনকে বেছে নিতে পারে।এখানে একজন ফ্রিল্যান্সার যখন বড় কোন কাজে প্রজেক্ট পায় তখন সে নিজের আরও দলবল নিয়ে কাজটি করতে শুরু করে। বর্তমান জগতে গুরু ডট কম খুবই সহজলভ্য এবং নিরাপদ একটি ওয়েবসাইট। বড় বড় প্রজেক্ট এর জন্য এটি খুবই জনপ্রিয়।

২.ফাইবার ডট কম

নতুনদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক একটি প্লাটফর্ম হতে পারে ফাইবার ডট কম। কিছুদিন আগেও এটি এত বেশি জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু সহজলভ্যতা এবং অনায়াসে কাজ করার সুবিধার জন্য বর্তমানে এটি বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাত্র ৫ ডলার পারিশ্রমিক থেকে ছোট ছোট প্রজেক্ট এর কাজ পাওয়া যায় ফাইবার ডট কমে।
পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ডলার বৃদ্ধি পায়। তবে অন্যান্য ওয়েবসাইটের মত ফাইবারে প্রথমেই কোন একটি প্রজেক্ট জমা দিতে হয় না বরং শুরুতে নিজের যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং কি কি কাজ করতে চায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করার পরে বায়ার নিজেই আপনাকে খুঁজে নিবে। ফাইবার থেকে অনেক সময় স্থায়ীভাবে চাকরি করা যায় এবং অতিরিক্ত আয় করা যায়।

৩.Upwork.com

কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য ফ্রিল্যান্সার ভাড়া করার কাজে সেরা ওয়েবসাইট হচ্ছে আবহাওয়া.com। বাস্তব জীবনের যেমন ইন্টারভিউ নেওয়ার পরবর্তীতে চাকরি দেওয়া হয় অনলাইন ভিত্তিক কাজে সেটা সব সময় সম্ভব হয় না।ফলে অনেক সময় অনেক অযোগ্য ব্যক্তিকে কাজ দেওয়া হয়ে থাকে।তবে আপনাকে প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সার কে যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হয়।আবার কোন প্রজেক্ট এর কাজ দেওয়া হলে ফ্রিল্যান্সাররা ঠিকঠাকমতো করছি কিনা তার দেখভাল করা যায়।

৪.এলেন্স

আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধ ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে এলেন্স। এখানে আপনি খুজে পাবেন ঝাক ঝাঁক অভিজ্ঞ ডিজাইনার প্রোগ্রামার এবং বিভিন্ন লেখক। যারা আপনার যেকোনো ধরনের কাজ করে দিতে সক্ষম। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পেতে হলে সর্বপ্রথম আপনার যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং পারিশ্রমিকের যাবতীয় তথ্য এখানে প্রদান করতে হবে।
বর্তমানে এলেন্সের কার্যক্রম upwork এর অধীনেই চলছে।তবে এই ওয়েবসাইটে কাজের পারিশ্রমিক প্রদান করার পদ্ধতিটা কিছুটা আলাদা।আউটসোর্সিং এর অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলোর মত কাজ শেষ করার পরে একবারে পেমেন্ট করে না এই ওয়েবসাইট। ধাপে ধাপে নির্ধারিত সময়ে কাজ করে নেওয়ার পরে সেটা ভালোভাবে দেখভাল করার পরে তারা পেমেন্ট করে থাকে।

৫.পিপল পারআওয়ার ডট কম

আউটসোর্সিং এর জগতে ঢোকার সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা। অনেক সময় আউটসোর্সিং এর ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু পিপল পার আওয়ার ডটকমে আপনার কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। অন্যান্য ওয়েবসাইটের তুলনায় এই ওয়েবসাইটে খুব সহজে কাজ করা যায়।
ফাইবারের মতো এখানে কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে নিজের কাজের ক্ষেত্র এবং পারিশ্রমিক গুলো উল্লেখ করলেই হয়ে যাবে। এরপর খদ্দেররা নিজেদের কাজের বিবরণ এবং পারিশ্রমিক উল্লেখ করে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করার আবেদন করতে পারে। পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সাররা এর কাছে নিজের কাজের পরিকল্পনা পেশ করে থাকে। এই ওয়েবসাইটে একটি বিশেষত্ব হলো এর সে বাগানের বৈচিত্র। অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলো ছোটখাটো অনেক কাজে যেগুলোর চাহিদা কম কিংবা সেবাগুলো প্রদান করে না। কিন্তু বিপুল পার আওয়ার ডটকমে আপনি সব ধরনের সেবা পেয়ে থাকবেন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে আমাদের অনেকের কোন ধারণা নেই। আমরা সকলেই হয়তো জানি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। কিন্তু সব সেক্টরের ডিমান্ড কিন্তু এক সমান নয়। কিছু কিছু সেক্টর রয়েছে যেগুলো ডিমান্ড অনেক বেশি এবং সেখান থেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে ডিমান্ডডেবল সেক্টর কোনগুলোঃ

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট। ওয়েবসাইট ডেভলপার গুলো ওয়েব এপ্লিকেশন, কমার্স সাইট, ব্লগ এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলি তৈরি এবং উন্নতি করতে সক্ষম হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট ডিজাইনগুলো প্রযুক্তির সাথে মিশিয়ে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে সক্ষম ওয়েবসাইট ডেভলপাররা। এমন কি বর্তমান বাজারে এর ডিমান্ড অনেক বেশি।

ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে এসে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়।ডিজিটাল যুগে কোন বিজনেস করতে গেলে প্রথমে আমাদের যেটা দরকার হয় সেটা হচ্ছে ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করা। আজকাল বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনে অনেক বেশি একটিভ থাকে। এজন্য ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করতে পারলে আমরা অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই লাভবান হতে পারব।ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও এসবের প্রসার আজকাল অনেক বেশি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইনার সাধারণত যারা লোগো ডিজাইন করে বা বিভিন্ন এনিমেশন ভিডিও বানায় তাদেরকে ধরা হয়ে থাকে। আজকাল গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সার মার্কেটের একটা বড় অংশ হয়ে গেছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আমরা মার্কেটপ্লেস থেকে ডলার ইনকাম করে থাকি।অর্থাৎ বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং জগতে আরো একটি ডিমান্ডেবল কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন।

সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট

সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট গুলো ওয়েব এপ্লিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য সফটওয়্যার প্রজেক্ট এ কাজগুলো করতে পারে। এটাও ফ্রিল্যান্সিং জগতের অনেক বড় একটা অংশ এবং বর্তমানে এটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ডাটা এন্ট্রি

ব্যক্তিগত পছন্দ এবং দক্ষতার উপর আপনি ডাটা এন্ট্রিকে কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই কাজ করতে আপনাকে সাধারণত বেসিক কম্পিউটার টাইপিং দক্ষতা থাকতে হবে। শুধুমাত্র কম্পিউটারের বেসিক ধারণা এবং টাইপিং ধারণা থাকলে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন।বর্তমানে ডাটা এন্ট্রির কাজ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

আমরা বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে। আজকাল ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের আয়ের একটি বড় উৎস হয়ে উঠেছে। এখন প্রতিটা ব্যবসা ব্র্যান্ডগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে খুব সহজেই ব্র্যান্ড প্রোমোটারের কাজ করে দিয়ে এবং নিয়মিত কনটেন্ট লিখে পোস্ট করে ফলোয়ারদের রিপ্লাই দিয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং

বর্তমানে ভিডিও কনটেন্ট এর জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে অনেক বেশি। ইউটিউবাররা এবং ফেসবুকিং যারা করে তাদের প্রতিনিয়ত ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে হয়। বড় বড় ইউটিউবার যারা তাদের অনেক সময় ভিডিও এডিটিং এর জন্য বাইরে থেকে ফ্রিল্যান্সার নিয়ে আসতে হয়। এক্ষেত্রে আপনার যদি ভিডিও এডিটিং এর দক্ষতা থাকে তাহলে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন এই বিষয়েকথা বললে প্রথমেই বলা যায় যে এটি অনেক বিস্তৃত এবং ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং কর্মজীবনে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং আরও বেশি পেশায় পরিণত হয়ে গেছে মানুষের। ঘরে বসে তরুণ তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং এর ওপর ঝুঁকে পড়ছে।আজকাল অনলাইন ভিত্তিক কাজের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে এবং আমাদের প্রায় প্রত্যেকটা কাজে এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে পৃথিবীর ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা যে যুগে অবস্থান করছি সেটা হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ।স্মার্ট বাংলাদেশে বসে দক্ষতার বিকাশ থাকলেই আপনি ঘরে বসেই আপনার কর্মসংস্থান নিজেই তৈরি করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে যুক্ত থাকলে কর্মজীবনে আপনার স্বাধীনতা থাকবে এবং আপনার ইচ্ছামত আপনি নিজের কাজ বেছে নিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং প্রেসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি আয়ের বহুমুখী উৎস তৈরি করে।ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে শুধু দেশে নয় বরং বাহিরের দেশের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। এমনকি এর মাধ্যমে নতুন নতুন প্লাটফর্ম তৈরি হচ্ছে যেমন এ আই। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আমাদের নেটওয়ার্কিং আরো ভালো হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা বলতে পারি ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অবশ্যই ভালো।

পাঠকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত।এছাড়াও আরো জানলাম ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন এবং ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সম্পর্কে।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url