জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করা ভালো হবে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করলে ভালো হবে এটা নিয়ে আমাদের বিভিন্নজনের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পরে আমাদের সামনে চলে আসে ভর্তি যুদ্ধ।এই ভর্তি যুদ্ধের লড়াই করছেন প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীরা। আবার অনেকেই এসব নিয়ে চিন্তা করছেন যে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে ভবিষ্যতে ভালো চাকরি করা যাবে।আমাদের মধ্যে অনেকের ধারণা যে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, ইংলিশ এসব বিষয় নিয়ে পড়াশুনা না করলে হয়তোবা জীবনে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটা একদমই ভুল কথা। এজন্যই আপনার সুবিধার্থে প্রিয় পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয়ে নিয়ে এসেছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করলে ভালো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন এবং ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করা ভালো
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করা ভালো হবে চলুন তাহলে জেনে নেই। বর্তমান সময়ে আমাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সৃজনশীলতা, নেটওয়ার্কিং এবং দক্ষতা। এখন আপনি কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন বা করছেন এটার চেয়ে বেশি দরকারই হচ্ছে আপনার নিজেকে দক্ষ করে তোলা।
দক্ষতার জন্য প্রধান কাজ গুলোর মধ্যে একটি দলীয় কাজ হল পরিকল্পনা, সৃজনশীলতা, ক্রিটিকাল থিংকিং এবং সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব। আসল কথা হচ্ছে আপনি যে কোন বিষয় নিয়ে ডিগ্রি অর্জন করে নিতে পারেন কিংবা নিয়েছেন কিন্তু আপনার দক্ষতা নেই। তাহলে সেই ডিগ্রী অনর্থক। সব সময় আমাদের মাথায় চিন্তা করতে হবে যে আমরা কোন বিষয়টি নিয়ে পড়তে পছন্দ করি কিংবা কোন বিষয়টি আমরা খুব সহজে আয়ত্ত করতে পারি।
সে বিষয়টি নিয়ে আমাদের সামনে আগানো উচিত। আপনি যদি সাহিত্য পছন্দ করেন কিংবা ব্যবসা শাখা পছন্দ করেন তাহলে আপনি সেই দিক বেছে নিয়ে আগাতে পারেন। কেননা পছন্দের বিষয় না হলে পড়াশোনার প্রতি আমাদের কোনো আগ্রহ থাকে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই সাবজেক্ট নিয়ে ভিন্ন চোখে দেখে কিংবা ছোট করে দেখি। এটা এক ধরনের মূর্খতা বা অজ্ঞতা।
এ ধরনের মূর্খতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন, তুমি যেটা পড়ো এবং সেটার গভীরে যাও। সেটাই তুমি ভালোবাসো। আমার এক শিক্ষক ক্লাসে প্রতিনিয়ত বলতেন, অনার্স হচ্ছে আনারসের মত। তুমি এটাকে ভালোভাবে পড়লে ভালো রস পাবে । অর্থাৎ অনেক জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।
আর যদি তুমি সেটার ভেতরে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারো তাহলে সেটি তোমার অন্তরে জায়গা করে নেবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে হচ্ছে প্রোগ্রামারদের অনেক ডিমান্ড। তাহলে ফিজিক্স কেমিস্ট্রির মত সাবজেক্ট দিয়ে কি তাদের সঙ্গে পালা দেওয়া সম্ভব? তবে মজার বিষয় লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে বাংলাদেশে এখন প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় আছে এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক ভালো ভালো বিষয়ে অনেক স্টুডেন্ট পড়াশোনা করছে।
কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেরই চাকরি হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে চাকরির ক্ষেত্রে বা যে কোন ক্ষেত্রে এমন লোক খুঁজছেন যারা অনেক সৃজনশীল এবং সমস্যা সমাধানে দক্ষ। এরকম লোককেই সকলের চাকরি দিচ্ছে। এজন্য শুধুমাত্র চাকরির কথা ভেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করবেন সেটা নির্ধারণ করা ঠিক নয়।
মানবিক থেকে কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করা ভালো
মানবিক থেকে কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করা ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন আজকের আর্টিকেল থেকে। কলেজ লাইফ শেষ করার পরে অনেক সময় আমাদের মাথায় প্রশ্ন আসে যে মানবিক থেকে কোন বিষয় নিয়ে অনার্স করলে ভালো হবে। এটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ার কোন কারণ নেই। অনার্সে মানবিকের যে কোন বিষয় নিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত পড়াশোনা করা যায়। অনেক সময় মানবিক বিভাগ নাম শুনলে আমাদের মধ্যে অনেকেই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য চোখে দেখে।
কিন্তু দেশের বাইরে মানবিক বিভাগের অনেক চাহিদা রয়েছে। অনেক এনজিওতে কাজ করার জন্য মানবিক বিভাগের লোক খুঁজে থাকে অনেক কোম্পানি। মানবিক বিভাগের সবচেয়ে কঠিন সাবজেক্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে ইংরেজি, বাংলা এবং অর্থনীতি। আর সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস, ভূগোল, লোক প্রশাসন, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি।
মানবিক বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে কি কি হওয়া যায়
আজকাল মানবিক বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে বিভিন্ন লোক বিভিন্ন চাকরি বেছে নিচ্ছেন। কেউ শিক্ষকতা বেছে নিচ্ছেন আবার কেউ কেউ ব্যারিস্টার বা বিচারক হতে বেছে নিচ্ছেন। আজকাল সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ গুলোতে শিক্ষকের প্রচুর পরিমাণ চাহিদা থাকে।সে দিক থেকে মানবিক বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা করার পেশাকে বেছে নিয়ে থাকে।
তবে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করার পর বিভিন্ন ব্যাংক সেকশনে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ইতিহাস কিংবা লোকপ্রাসন নামের বিষয়গুলোতে অনার্স করলে আপনি পরবর্তীতে বিভিন্ন এনজিও এবং প্রশাসন সংক্রান্ত অফিসে চাকরি করতে সক্ষম হবেন।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কোন বিষয় নিয়ে অনার্স করা ভালো
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কোন বিষয় নিয়ে অনার্স করা ভালো সেটা নিয়ে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কোন বিষয় নিয়ে অনার্স করা ভালো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। বিজ্ঞান বিভাগে বিভিন্ন বিষয়ে রয়েছে যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান এবং গণিত।
সবগুলো বিষয় অনেক ভালো। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স করলে আপনি অনেক ভাল জায়গায় চাকরি করতে সক্ষম হবেন। আপনি কলেজের শিক্ষকতা থেকে শুরু করে প্রফেসর পর্যন্ত হতে পারবেন। আবার অন্যদিকে আপনি বাইরের দেশের যেও অনেক ডিমান্ডেবল চাকরি করতে পারবেন।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে চাকরির সুযোগ কেমন
উদ্ভিদবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে চাকরির সুযোগ কেমন জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি পুরোটা ভালোভাবে পড়ুন। প্রিয় পাঠক সমান সঙ্গে সঙ্গে চাকরির বাজার অনেক পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। আগের মত যে কোন একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলেই চলবে না। লাগবে দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা।
লাগবে নতুন কিছু সৃষ্টি করার দক্ষতা। মানুষের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান এবং বড় বড় দুর্ভিক্ষ এসবের মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছে যে বিজ্ঞানের উদ্ভিদবিজ্ঞান শাখা। উদীবিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারলে আমরা উচ্চতর ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পাবো। এছাড়াও বিদেশে গিয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের অধীনে প্রায় অনেকগুলো রিসার্চ ইনস্টিটিউট রয়েছে।এসব ইনস্টিটিউটের প্রায় সবগুলোতে ৩০ শতাংশের বেশি বেশি রয়েছে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ বনবিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এগুলো বিষয়ে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃবাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কার বেতন কত
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয় এবং এর ক্যারিয়ার
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয় এবং এর ক্যারিয়ার খুবই ভালো। এটি এমন একটি বিষয় যেটা নিয়ে পড়াশোনা করার ফলে আমরা বড় পরও জায়গায় চাকরি করতে পারব। এই বিষয়টি নিয়ে যদিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পড়াশোনা করানো হয় না তবে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিষয়ের অনেক কদর রয়েছে।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ে আমাদের জীবন যাত্রার মানের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা পালন করে থাকে। মৃত্তিকা শুধুমাত্র খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে নয় বরং আমাদের জীবের বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণ এবং জীবনচক্র কে সহজ থেকে সহজতর করে তুলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলোতে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করানো হয়।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে আপনি পড়াশোনা করলে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় জায়গায় আপনি চাকরি করতে পারবেন। যেমনঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা, গম গবেষণা কেন্দ্র, আম গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ইত্যাদি জায়গায় আপনি চাকরি করার সুযোগ পাবেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ে আপনি ক্যারিয়ারে কোন পেশাটি বেছে নিবেন
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ে আপনি ক্যারিয়ারে কোন পেশাটি বেছে নিবেন? রাষ্ট্রবিজ্ঞান করলে বাস্তব জীবনের রাজনীতি সম্পর্কে বিভিন্ন দিক আমাদের আয়ত্ত থাকে এবং খুব সহজেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করা যায়। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার পরে পরবর্তীতে কোন পেশাকে বেছে নেওয়া যায় এটা নিয়ে আমাদের মনে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন থাকে।
সর্বপ্রথম রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ে স্নাতক হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে স্কুল অথবা কলেজের শিক্ষকতাকে বেছে নিতে পারে। এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পড়াশোনাও করে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা সিভিল সার্ভিসে চাকরি করছে। দেশের আইন রক্ষার ক্ষেত্রে এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও গ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
সে ক্ষেত্রে আপনি সিভিল সার্জন এর এক বিশেষ অংশে চাকরি করতে পারবেন। অন্যদিকে সংবাদপত্র অথবা গণমাধ্যমগুলোতে আমরা যে খবরগুলো দেখি তার বেশিরভাগই হয়ে থাকে রাজনৈতিক খবর। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা যেহেতু এই বিষয়গুলোর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত সে ক্ষেত্রে তারা সাংবাদিকতার পেশা খুব সহজেই করতে পারবে।
কমার্স নিয়ে পড়ে কি হওয়া যায়
কমার্স নিয়ে পড়ে কি হওয়া যায় এটা নিয়ে আমরা খুব বিভ্রান্তির মধ্যে থাকি। আপনি যদি কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন তাহলে আপনি ব্যাংকের চাকরিগুলোতে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যাংকে শুধু কমার্সের স্টুডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয় বিষয়টি এরকম নয় অন্যান্য বিভাগগুলো শিক্ষার্থীদেরও নিয়োগ দেওয়া হয়।
আজকাল অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর বড় বড় পদে কমার্সের শিক্ষার্থীগুলোকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও একটা শিল্প প্রতিষ্ঠান কিভাবে চালাতে হয় কিংবা এর নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করতে হয় এটা সর্বোচ্চ ভালো বুঝবে কমার্সের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও আমাদের দেশে বিভিন্ন বীমা কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে কমার্সের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে কমার্সের ছাত্রছাত্রীরা বেশিরভাগ সুযোগ পেয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃঅনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট
চাকরি নাকি মাস্টার্স কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ
অনার্স শেষ করার পরে চাকরি নাকি মাস্টার্স কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ এটা নিয়ে আমরা অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে থাকি। এখনকার দিনে অনার্স শেষ করার পরেই চাকরিতে ঢুকে পড়া একটি ট্রেন্ড হয়ে গেছে। কিন্তু অনার্স করার পরে কর্ম জীবনটা এক ধরনের ক্লাস রুমের মতো। ক্লাসে শুধু তাত্ত্বিক বিষয় পড়ানো হয় এবং ঠিক কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগ ঘটতে থাকে।
সাধারণত কয়েক বছর চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে মাস্টার্স করার সুবিধা অনেক বেশি। মাস্টার্সের সাধারণত কোর্স গুলোর বিশেষায়িত করা হয়ে থাকে। শিক্ষক এবং গবেষক ছাড়া সাধারণত কারণ মাস্টার্স করার প্রয়োজন হয় না। এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় যে সরকারি এবং বেসরকারি কিছু চাকরির পদোন্নতির ক্ষেত্রে মাস্টার্স এর পাসের জন্য আলাদা কিছু নম্বর বরাদ্দ করা থাকে।
সে ক্ষেত্রে মাস্টার্স করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মাস্টার্স ছাড়াও প্রথম শ্রেণি সরকারি চাকরি পাচ্ছেন এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে। এজন্য সবকিছু মিলিয়ে ভবিষ্যতের ঝুঁকি এড়াতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো অনার্স শেষ করার পরপরই মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে যাওয়া। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাস্টার্সের ক্লাসের সংখ্যা এবং চাপ কম থাকে। তবে মাস্টার্সের পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে রুটিন করে চাকরি প্রস্তুতি নিতে হবে।
পাঠকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স করা ভালো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে। এছাড়াও আরো জানতে পারলাম কোন বিষয়ে পড়াশোনা করার পরে আমরা কোন পেশাটি বেছে নিতে পারব সে সম্পর্কে।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url