মোশন সিকনেস দূর করার উপায়-বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার উপায়
মোশন সিকনেস দূর করার উপায় খুঁজছেন? আপনার বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রিয় পাঠক আপনার সুবিধার্থে আজকে আমাদের আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি মোশন সিকনেস দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকতে হবে। মোসন সিকনেস সাধারণত জাহাজ, নৌকা, বিমান চলাকালীন কিংবা গাড়ির ভেতরে দ্রুতগতিতে বারবার জায়গা পরিবর্তন এমনকি ভবনের লিফটে ও যে ঝাকি হয় এরকম কারণে হতে পারে।
মোশন সিকনেস দূর করার উপায়
মোশন সিকনেস দূর করার উপায় আমাদের প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া আসা করতে হয়। যাত্রা পথে অনেকেরই মোশন সিকনেস বা মাথা ঘুরানো কিংবা বমি হওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। যাত্রা পথে মাথা ঘুরানো কিংবা বমি হওয়ার মত সমস্যাকে সাধারণত মেডিকেলের ভাষায় বলা হয়ে থাকে মোশন সিকনেস।
তবে আপনি চাইলেই এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য দরকার সঠিক পরামর্শ। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের এমন কিছু পরামর্শ দিব যেটা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করলে আপনার মোশন সিকনেসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- যাদের মোশন সিকনেসের মতো সমস্যা রয়েছে তারা সবসময় চেষ্টা করবেন যেদিকে গাড়ি চলে সে দিকে সিটে বসতে। কেননা উল্টোদিকে বসলে অটোমেটিক আপনার বমি বমি ভাব হতে পারে।
- চেষ্টা করবেন সবসময় গাড়ির সামনে বসে যাত্রা করার। কেননা পেছনে বসলে গাড়ি অনেক বেশি গতিশীল মনে হয় এবং ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে আপনার দেখা যেতে পারে মোশন সিকনেস।
- গাড়িতে বসলে সব সময় চেষ্টা করবেন জানালার পাশে বসার। জানালার পাশে বসে জানালা খুলে রাখবেন। জানালার বাইরে তাকায় থাকার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার মোশন সিকনেস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
- চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে না কিংবা ঘুমিয়ে যেতে পারেন। তবে যাত্রা করার আগের দিনের সব সময় আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। এতে করে আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং যাত্রাপথে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
- বমি বমি ভাব দূর করার জন্য আপনি আদা, লেবু, লবঙ্গ, টক জাতীয় খাবার ইত্যাদি সাথে রাখতে পারেন। আপনার যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে লেবু খেতে পারেন কিংবা এর সুঘ্রাণ নিতে পারেন। এতে করে আপনার মোশন সিগনেসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- চুইংগাম কিংবা লজেন্স কিনে নিন যাত্রাপথে। কোন সমস্যা হলে এটা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার বমি বমি ভাব দূর হয়ে যাবে।
- গাড়িতে ওঠার আগে বার যাত্রা পথে যাওয়ার আগে আপনি সকালে হালকা কিছু নাস্তা করতে পারেন। কখনোই খালি পেটে ভ্রমন করা যাবে না। তবে ভ্রমণ করার আগে অতিরিক্ত পেট ভরে বেশি কিছু খেয়ে ফেলবেন না। এতে করে আপনার বমি বমি ভাব বেড়ে যেতে পারে।
- আপনার পার্টনার যদি আপনার যাত্রা পথে থাকে তাহলে তার সাথে কথা বলার বা গল্প করার চেষ্টা করুন। তবে খেয়াল রাখবেন যাত্রাপথে আপনার অপরিচিত লোক যদি আপনাকে কিছু খেতে দেয় তাহলে অবশ্যই সেটা এড়িয়ে যাবেন।
- এছাড়াও বমি রোধক কিছু ওষুধ আপনি সাথে রাখতে পারেন। যেমন বাজারে জয়ট্রিপ নামক এক ধরনের ঔষধ পাওয়া যায় যেটা আমাদের বমি রোধ করতে সাহায্য করে। অথবা অনডেনসেট্রন জাতীয় ঔষধ গাড়িতে ওঠার আগে কিংবা খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিতে পারেন।
- তবে যাদের অতিরিক্তমোশন সিকনেস এর মত সমস্যার রয়েছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন করে ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- অনেক সময় দেখা যায় এই গ্যাসের কারণে যাত্রা পথে আমাদের বমি হতে পারে। এজন্য অবশ্যই যাত্রা পথে যাওয়ার আগে বা গাড়িতে বসে আপনি গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেবেন।
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার উপায়
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে প্রত্যেক মায়ের জানা উচিত। বাচ্চাদের বমি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। একেক বয়সের শিশু বা বাচ্চারা একেক ধরনের কারণে বমি করতে পারে। কোন বাচ্চা বা নবজাতক যদি জন্মের পর পর বমি করা শুরু করে তাহলে অবশ্যই তার খাদ্যনালীদের জন্মগত ত্রুটি রয়েছে এবং অবশ্যই সাথে সাথে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে হবে। তিন মাস থেকে এক বছর বয়সী শিশুর যদি বমি হয় তাহলে তার কারণ হতে পারে পেটে গ্যাস। আবার অনেক সময় শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণে কাশির সাথে বমি হতে পারে।বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে বমি এবং পেট ব্যথা হতে পারে। যদি আপনার বাচ্চাদের বমি বন্ধ করতে চান তাহলে প্রথমেই বাম কাত করে সোয়াতে হবে উপুর করে। এরপর খাবার খাওয়ানোর ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে অবশ্যই বমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। তারপরও কমপক্ষে 15 মিনিট পরপর এক চামচ করে পানি খাওয়াতে হবে। যাও ভাত খাওয়াতে হবে এমন পাশাপাশি স্যালাইন খাওয়াতে হবে। আর যদি বড় বাচ্চা হয় তাহলে তাকে ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি থাকে একটু পুষ্টিকর তরল খাবার যেমন সব খাওয়াতে হবে। আর অতিরিক্ত বমি হতে লাগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব দূর করার উপায়
গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব দূর করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়েদের বমি হওয়ার সমস্যাটি রয়েছে। এই সমস্যা দূর করতে হলে সর্বপ্রথম জানতে হবে বমি বমি ভাব দূর করার উপায় সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব দূর করতে কি কি করবেন। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে।
গর্ভবতী মহিলারা বিভিন্ন জিনিসের গন্ধ নিতে পারেনা এবং ওই সময়টা তাদের বমি হয় যাকে বলা হয় মর্নিং সিকনেস। গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব দূর করতে আপনি চায়ের মত একটি পানীয় তৈরি করে তাজা আধা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও খাবারের গ্রেট করা আদা আর বমি বমি ভাব দূর করতে পারে। গর্ভাবস্থায় বমি বন্ধ করার জন্য ভাব দূর করার জন্য লেবুর রস খুব ভালো একটি প্রতিকার।
বমি বমি ভাব দূর করতে তাজা লেবুর খোসার গন্ধ নিতে পারেন। কিংবা এক গ্লাস পানির মধ্যে লেবুর রস দিয়ে তার মধ্যে এক চামচ মধু দিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন। এছাড়াও বমি বমি ভাব দূর করতে আরো একটি কার্যকর উপাদান হলো পুদিনা। পুদিনা পাতার মধ্যে রয়েছে মেন্থল বৈশিষ্ট্য।যা আমাদের পেটের ভেতরের অংশকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে।
সকালবেলা উঠে পরিষ্কার কয়েকটি তাজা পুদিনা পাতা ধুয়ে চিবিয়ে এর রস পান করলে বমি বমি ভাব দূর হয়ে যায়। এছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় নিয়মিত হাতে চলে আয় এবং হালকা ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যক। এভাবেই আপনি ঘরে বসে গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব দূর করতে পারেন।
গ্যাস হলে বমি বমি ভাব দূর করতে কি করবেন
গ্যাস হলে বমি বমি ভাব দূর করতে কি করবেন চলুন জেনে নেই। অনেক সময় আমাদের অনেক ভাজাপোড়া বা তেল-চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে অতিরিক্ত গ্যাস হয়ে যায় পেটে। ফলে অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে বমি হতে থাকে। সে সময়ে গ্যাসের ওষুধ খেয়েও বমি বমি বন্ধ হয় না।গ্যাসের কারণে যদি বমি বমি ভাব হতে থাকে তাহলে তার প্রতিকার হিসেবে প্রাকৃতিক উপাদান আদা খেতে পারেন।
আদা সাধারণত আমাদের বমি বমি ভাব এবং গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি জনক সমস্যা প্রতিকার করতে পারে। এছাড়াও আপনি পুদিনা পাতার পিপারমেন্ট এর সুবাস নিতে পারেন। অথবা একটি লেবু ভালোভাবে ধুয়ে সেটা কেটে সেটা সুগন্ধ বা সাস নিন দেখবেন আপনার পেটের গ্যাস অনেকটা কমে গেছে এবং আপনি সত্যি বোধ করছেন। অতিরিক্ত গ্যাস হলে আপনি মৌরি জিরা খেতে পারেন।
মৌরি যেটা আমাদের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। তবে পাশাপাশি গ্যাসের ওষুধ খেতে হবে। এবং যেগুলো খাবারে গ্যাস হবে সেগুলো খাবার পরিহার করতে হবে।
অতিরিক্ত বমি ভাব এবং খাবারে অরুচি কিসের লক্ষণ
অতিরিক্ত বমি ভাব এবং খাবারে অরুচি অবশ্যই ভালো লক্ষণ নয়। বয়স ভেজে অতিরিক্ত বমি বমি ভাব এবং খাবারের অরুচি লক্ষণ ভিন্ন। শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় অতিরিক্ত বমি ভাব এবং খাবারের অরুচি আসলে সাধারণত পেটে গ্যাসের মত সমস্যা বা জ্বর কিংবা নিউমোনিয়া এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। আর বড়দের ক্ষেত্রে অনেকটা আলাদা।
বড়দের ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত বমি ভাব এবং খাবারে অরজিন কিংবা তীব্র মাথাব্যথা দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা এই ধরনের সমস্যা যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এই ধরনের অভিজ্ঞতা দেখা দিলে সাধারণত গলব্লাডারের রোগ, মস্তিষ্কের আঘাত কিংবা পেটের কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অথবা হতে পারে মাইগ্রেনের মতো সমস্যা কিংবা ব্রেন টিউমার। এজন্য অতিরিক্ত বমি ভাব এবং খাবারে অরুচি দেখা দিলে অবশ্য চিকিৎসা পরামর্শ করতে হবে।
বমি হওয়ার পর কি ধরনের খাবার খাবেন
বমি হওয়ার পর কি ধরনের খাবার খাবেন? হঠাৎ যদি মনে হওয়া শুরু হয় এবং যদি খাবার খাওয়ার এক ঘন্টার পর বমি শুরু হয় তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনার বদ হজম হয়েছে। আর যদি কোন অসুস্থতার কারণে বমি হয় তাহলে সাথে সাথে কোন কিছু খাওয়া উচিত নয়। বমি হওয়ার পরে সব খাবার বেরিয়ে গেলে জোর করে কোন কিছু খেতে যাবেন না এতে করে আপনার আরও বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আর অতিরিক্ত বমি হলে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিবে। বমি হওয়ার পরে অল্প অল্প করে পানি কিংবা বড় মুখে নিতে পারেন। অথবা খেতে পারেন আদা, দারুচিনি, লবঙ্গ কিংবা কমলার রস। মসলাদার কিংবা ভাজাপোড়া খাবার থেকে বিরত থাকবেন। চা কফি দুধ এগুলো থেকে বিরত থাকবেন। বমি হওয়ার পর ডাবের পানি কিংবা স্যালাইন জাতীয় তরল খাবার খাবেন। যদি আপনি তরল খাবার না খান তাহলে আপনার শরীরে পারিস না তো দেখা দিবেন।
আরও পড়ুনঃঘরে বসে গোল্ড ফেসিয়াল করার নিয়ম
বাচ্চাদের বমি হওয়ার পরে কি ধরনের খাবার দিবেন
বাচ্চাদের বমি হওয়ার পরে কি ধরনের খাবার দিবেন সেটা নিয়ে অনেক মায়েদের অনেক টেনশন। যখন শিশুর পেট খারাপ হয় কিংবা বমি হয় তখন এ যুগে অবশ্যই অল্প বা হালকা খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। এমন খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন যাতে খুব সহজেই বাচ্চা হজম করতে পারে। অবশ্যই বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াবেন। সাথে স্যালাইন এবং ডাবের পানি। বমি হওয়া বন্ধ হয়ে গেলে তাকে অবশ্যই কলা খাওয়াবেন।
দুগ্ধ জাতীয় খাবার কম খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। কেননা দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেলে আবার গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে এবং ফলশ্রুতিতে বমি হতে পারে। খুবই অল্প পরিমাণে নরম করে খিচুড়ি, ওটমিল, দই কিংবা সিদ্ধ রুটি খাওয়াতে পারেন। দইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রবায়োটিক উপাদান যা পাকস্থলীতে খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ভাল ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।
পাঠকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম মোশন সিকনেস দূর করার উপায় সম্পর্কে। এছাড়াও আরো জানতে পারলাম বাচ্চাদের বমি হওয়ার পরে কি ধরনের খাবার দিবেন এবং বমি হওয়ার পরে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত বমি বমি ভাব এবং খাবারের অরুচি আসলে কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।
FAQ: মোশন সিকনেস দূর করার উপায় সম্পর্কে এবং বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন
১.ঘন ঘন বমি হলে কি করতে হবে?
ঘন ঘন বমি হয় তাহলে অবশ্যই পর্যন্ত পরিমাণ পানি এবং স্যালাইন খেতে হবে। এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর পাশাপাশি বিশ্রাম করতে হবে কেননা বিশ্রাম একমাত্র আমাদের অসুস্থতা দূর করতে পারে।
২.প্রতিদিন বমি হওয়ার কারণ কি?
যদি আপনার খাবারের মধ্যে কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার প্রতিদিন বমি হতে পারে। এমনকি যদি ঘন ঘন পেটে গ্যাস হয় তাহলে বমি হতে পারে প্রতিদিন।
৩.বেশি বেশি দুশ্চিন্তা করলে কি বমি হতে পারে?
অবশ্যই এটাই তো দুশ্চিন্তা করলে আপনার বমি হতে পারে। মনে রাখবেন বমি শুধুমাত্র আপনার চরম উদ্বেগের কারণে হয়ে থাকে।
৪.কি খেলে তাড়াতাড়ি বমি বন্ধ হয়?
তাড়াতাড়ি বমি বন্ধ হওয়ার জন্য আপনি আদা কিংবা লেবুর রস খেতে পারেন। অন্যদিকে পুদিনা পাতাও অনেক উপকারী বমি বন্ধ হওয়ার জন্য।
৫.বাচ্চাদের মোশন সিকনেস দূর করার উপায় কি?
বাচ্চাদের মোশন সিকনেস দূর করতে সাধারণত তার মনোযোগের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। তাকে বিভিন্ন বই পড়াতে পারেন কিংবা খেলার জিনিসপত্র দিয়ে তার মনোযোগ পরিবর্তন করালেই হয়ত মোশন সিকনেস দূর করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে বাচ্চাকে চকলেট খাওয়াতে পারেন।
৬.সব সময় মাথা ঘোরার কারণ কি?
সাধারণত যখন আমাদের শরীর দুর্বল হয় কিংবা প্রেসার কমে যায় তখন সাধারণত সবসময় আমাদের মাথা ঘুরতে থাকে। তবে সবসময় মাথা ঘুরলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করতে হবে এবং আমাদের শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে পারলেই সব সময় মাথা ঘোরার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url