দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়-চাকরি পাওয়ার দোয়া

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়-চাকরি পাওয়ার দোয়া সম্পর্কে জানার জন্য আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি আগ্রহী হয়ে থাকি। কেননা বেকারত্ব একজন মানুষের জীবনে অভিশাপ স্বরূপ। আর প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ে সবাই চায় দ্রুত সরকারি চাকরি পেতে। প্রিয় পাঠক আপনি কি এই দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় খুঁজছেন? চাকরি পাওয়ার সম্পর্কে গুগলে সার্চ করছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়-চাকরি পাওয়ার দোয়া বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।

ভূমিকা

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়-চাকরি পাওয়ার দোয়া সম্পর্কে জানতে হলে আমার আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।সুস্থ সুন্দর এবং দারিদ্র্যমুক্ত একটা জীবনের আশা নিয়ে মানুষ যখন লেখাপড়া শেষ করে তখন একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য খুব চেষ্টা করে।কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সঠিকভাবে পড়াশোনা শেষ করার পরেও বেকার জীবন অতিবাহিত করছে।

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়-চাকরি পাওয়ার দোয়া

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলো সঠিকভাবে আমাদের জানা উচিত।দ্রুত সরকারি চাকরি না পাওয়ার একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে আমাদের সঠিক আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং চাকরির বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকা।আমরা মূলত আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি বাংলাদেশের দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় কি সে সম্পর্কে।
আপনি যদি এ বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী থাকেন তাহলে অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়তে থাকুন।দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে একটা সরকারি চাকরি করার প্রবল ইচ্ছা আপনার মধ্যে থাকা এবং সেই চাকরির জন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করা। আমাদের প্রায় ৯৯% মানুষের ধারণা যে পড়াশোনা শেষ করে এখন বেকার জীবন কাটাতে হয়।
বর্তমানে টাকা ছাড়া চাকরি পাওয়া যায় না। যারা এরকম চিন্তা-ভাবনা করে থাকে তারা কখনোই সরকারি চাকরি পাবে না। একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি যদি কোন চাকরির জন্য নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলেন এবং মানসিকভাবে সে চাকরি করার জন্য প্রস্তুতি নেনতাহলে অবশ্যই আপনি সরকারি চাকরি পাবেন।
এখন আপনার মনে হতে পারে বা অনেকেই এসে বলতে পারেন যে আমি তো এই পর্যন্ত অনেকগুলো চাকরির এপ্লাই করেছি বা পরীক্ষা দিয়েছি কিন্তু আমার চাকরি হয়নি কেন? আমি তাদের জন্য বলব এটা আপনার সমস্যা আমি একটি বিফলতা। আপনি যদি একটু ভালোমতো পড়াশোনা করে চাকরির জন্য চেষ্টা করেন তাহলে অবশ্যই আপনি দ্রুত একটি সরকারি চাকরি পাবেন।
এজন্য আর চাকরি চিন্তাই কাতর হওয়ার কোন দরকার নাই। সব সময় মনে রাখবেন মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক।দ্রুত সরকারি চাকরি পেতে অবশ্যই আপনার শারীরিক, মানসিক এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ, মানসিকভাবে পরিপূর্ণ ভারসাম্যপূর্ণ এবং উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে কেবল আপনি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পরবর্তীতে মৌখিক এবং লিখিত পরীক্ষা ও শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য মনে হলে আপনাকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।

সরকারি চাকরির জন্য কিভাবে পড়াশোনা করবেন

সরকারি চাকরির জন্য কিভাবে পড়াশোনা করবেন এটা অনেকেই হয়তো জানেন না। তারা বাজার থেকে যেকোনো একটি বই কিনে নিয়ে এসে পড়া শুরু করে।কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে পড়াশোনা না করেন তাহলে কখনোই দ্রুত সরকারি চাকরি আপনি পাবেন না। সরকারি চাকরির জন্য নিজেকে যোগ্য রূপে গড়ে তুলতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই।
আপনি যদি চাকরির জন্য নিজেকে যোগ্য করে করে তুলতে পারেন তাহলে সরকারি চাকরি আপনাকে খুঁজে বের করবে আপনাকে চাকরির খোঁজ করতে হবে না। অর্থাৎ মূল মন্ত্র হচ্ছে সরকারি চাকরির পরীক্ষাগুলোতে যে সকল বিষয় প্রশ্ন করা হয় সেসব বিষয়ে আপনাকে ভালোভাবে পড়াশোনা করে যেতে হবে। এমনকি ওই বিষয়গুলোর উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান আপনার থাকতে হবে।
মনে রাখবেন সরকারি চাকরি আজকাল সোনার হরিণ, সহজে ধরা দিতে চায় না। প্রচুর প্রতিযোগিতামূলক একটি পরীক্ষা। শুধুমাত্র একটি পদের জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। এজন্য এই প্রতিযোগিতায় আপনাকে টিকতে হলে সর্বোচ্চ যোগ্যতার অধিকারী আপনাকে হতে হবে। সাধারণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোন সিলেবাস থাকে না।
এজন্য যেকোনো চাকরি পরীক্ষার বিষয়গুলোতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান এ সকল বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।বাংলা বিষয় থেকে ব্যাকরণ এবং সাহিত্য একইভাবে ইংরেজি বিষয়গুলো থেকে গ্রামার এবং অন্যান্য প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। গণিত বিষয়ের মধ্যে থেকে প্রশ্ন করা হয় বীজগণিত, পাটিগণিত এবং জ্যামিতি থেকে।সাধারণ জ্ঞান গুলোতে রয়েছে বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা এবং ইতিহাস বিষয় বিভিন্ন প্রশ্ন।

বাংলা বিষয়ে প্রস্তুতি

সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আপনি বিশেষ করে অষ্টম শ্রেণি এবং নবম শ্রেণির সিলেবাস কে বেশি করে গুরুত্ব দিবেন। এক্ষেত্রে বাংলা বইয়ের অষ্টম এবং নবম শ্রেণীর ব্যাকরণ বোর্ড বইটা আপনাকে ভালো করে পড়তে হবে।সমাস, সন্ধি , কথায় প্রকাশ, সামর্থক শব্দ, কারক ও বিভক্তি এগুলো থেকে সাধারণত প্রশ্ন আসে। এছাড়া ও বোর্ডের সকল ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন এসেছে সেগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
আর অন্যদিকে বিভিন্ন ভর্তির পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণের অংশের সমাধান করা থাকে সেগুলো আপনাকে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।তবে যদি আপনি আরো ভালো প্রস্তুতি নিতে চান এবং আপনি আরো ভালো পজিশনের মার্ক তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পড়তে হবে উপসর্গ, অনুসর্গ, লিঙ্গ, ধাতু, বাগধারা, ক্রিয়ার কাল, বিরাম চিহ্ন এবং বাচ্চু ও বচন এগুলো পড়তে হবে।
এই অংশগুলো ভালোভাবে পড়লে বাংলা থেকে আপনি ফুলমার্ক পেয়ে যাবেন।এগুলোর বাইরে সাধারণত বাংলা ব্যাকরণ থেকে খুব একটা বেশি প্রশ্ন আসে না। এজন্য বাংলা ব্যাকরণের ক্ষেত্রে এই কয়েকটি অংশ ভালোভাবে আপনার আয়ত্ত করতে হবে।অন্যদিকে বাংলা সাহিত্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণীর সাহিত্য বই থেকে শুরু করে একাদশ শ্রেণির বাংলা বোর্ড বইয়ের সকল গল্প কবিতার উৎস, কবি পরিচিতি, পটভূমি ইত্যাদি অংশগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করা।
এই বিষয়গুলো ভালোভাবে মুখস্ত করতে পারলে এবং বাংলা সাহিত্যের নাম করা কবি এবং সাহিত্যিকের জীবনী সম্পর্কে ভালোভাবে মুখস্ত করতে পারলে আপনি সাহিত্য অংশ থেকে যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। এছাড়াও নোবেল বিজয় কিছু সাহিত্যিকদের নাম অবশ্যই আপনার মনে রাখতে হবে এবং তাদের জীবন কাহিনী আপনার ভালো হবে পড়তে হবে।

ইংরেজি বিষয়ে প্রস্ততি

বাংলাদেশী প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের কমবেশি ইংরেজি নিয়ে অনেক ভয় রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ইংরেজি কম বোঝে। তবে যথাযথভাবে ইংরেজি পড়াশুনা করলে আর কারো কোন ইংরেজি নেই ভয় থাকবে না। ইংরেজি কিছু সিলেক্টেড বিষয় আছে যেগুলো পড়লে অবশ্যই চাকরি পরীক্ষাতে আপনি ভালোভাবে পাস করতে পারবেন।
Noun,Pronoun,Adjective,Adverb,Preposition,Articles,Right form of verb,Idioms & Phrases,Vocabulary এই টপিকগুলো করতে পারলে পরীক্ষার ইংরেজি বিষয় নিয়ে আপনার কোন ভয় থাকবে না।এছাড়াও ইংরেজি বিষয় নিয়ে এনালাইসিস করলে আরো কিছু টপিক হয়েছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই ইংরেজি কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।
ইংরেজি সাহিত্যের ক্ষেত্রে গল্প, কবিতা, নাটক এবং সাহিত্যিকদের নাম মনে রাখতে হয়। অন্যদিকে রয়েছে Sentence,Parts of Speech,Gender,Translationএই বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে.

গণিত বিষয়ে প্রস্তুতি

আপনি যদি চাকরি পরীক্ষার মতো এক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে গণিত বিষয়ে ভালো করতে হবে।গণিত বিষয়ে আপনাকে সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনি চাইলে গণিত বিষয়ের পুরোপুরি মার্ক পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অষ্টম এবং নবম শ্রেণীর গণিত বইয়ের প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে হবে।বিগত প্রশ্নগুলো সমাধান করতে হবে।
গণিতের ক্ষেত্রে পাটিগণিত থেকে শুরু করে লাভ ক্ষতি, সুদ, মুনাফা, অনুপাত- সমানুপাত, ঐকিক নিয়ম, লসাগু গসাগু, সংখ্যার ধারণা, ভগ্নাংশ, বীজগণিতিক রাশিমালা, সূত্রের প্রয়োগ এবং প্রমাণ, সরল সমীকরণ, উৎপাদকে বিশ্লেষক, মান নির্ণয় করা, সময় এবং গতিবেগ, দূরত্ব এবং ধারা ও মানসিক দক্ষতা থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে চাকরি পরীক্ষায়। বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে গণিত বিষয়ে আপনাকে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর প্রস্তুতি

বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত বিষয়ে ছোটখাটো কিছু সিলেবাস রয়েছে এবং কিছু টপিকের মধ্যে পড়াশোনা করলে এবং সেগুলো আয়ত্ত করতে পারলে আপনি কমন পাবেন বলে ধারণা করা যায়। কিন্তু সাধারণ জ্ঞান এই বিষয়ের উপর কোন সিলেবাস নেই। সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্নগুলো অনেক বেশি করা হয় যার কারণে সাধারণ জ্ঞানের জন্য একটি ভালো বই দেখে সিলেক্ট করে পড়াশোনা করতে হবে।
নিয়মিত বাংলা এবং ইংরেজি খবর কাগজ পড়ার অভ্যাস করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর উপর নজর দিতে হবে। বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত প্রণালী, দেশের মুদ্রা এবং রাজধানীর নাম, বিভিন্ন স্থাপনা, ঐতিহাসিক স্থান এবং আবিষ্কার গুলো ওএত ব্যক্তিদের উল্লেখযোগ্য কর্ম অবদান এবং তাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিভিন্ন সাল আপনার ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
এগুলোর মধ্যে থেকে অনেক প্রশ্ন আপনি কমন পেতে পারেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাচীন শাসনামল, সভ্যতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতার ঘোষণা, আদমশুমারি, নারী পুরুষের সংখ্যা, মাথা কিছু গড় আয়, শিক্ষার হার, জন্ম এবং মৃত্যুর হার, জেলা ও বিভাগের সংখ্যা,
 ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, গ্রাম, বিভিন্ন আদিবাসীদের বাসস্থান, ধর্ম, সংস্কৃতি, পোশাক, বিভিন্ন আইন শাসন এবং বিচার, নীতি নির্ধারণ, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় অর্জন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুরস্কার, বাংলাদেশের বাজেট, উন্নয়ন, বিভিন্ন জাতীয় দিবস, আন্তর্জাতিক দিবস, ভৌগোলিক অবস্থান, গণিত সম্পদ, বাংলাদেশের খেলাধুলা এবং চলচ্চিত্রের বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে।

তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রস্তুতি

তথ্যপ্রযুক্তি হলো সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।বিভিন্ন সরকারি চাকরি পরীক্ষাগুলোতে প্রযুক্তি বিষয়ক অনেক প্রশ্ন আসে। এজন্য কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ক বইটি সংগ্রহ করে প্রযুক্তির তথ্যগুলো আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। কম্পিউটারের ইতিহাস, গঠন, হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার এবং বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে আপনার জানা উচিত।
এছাড়াও আরো জানতে হবে সাইবার সিকিউরিটি, সোশ্যাল মিডিয়া, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, বিভিন্ন ডিভাইস, সর্বশেষ আবিষ্কার এবং সংস্করণ ও নামকরণ। আপনি চাকরি পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে সকল বিষয়ে প্রচুর পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করতে এবং অনেক পড়াশোনা করতে হবে।
এই আর্টিকেলটিতে যেসব বিষয় উল্লেখ করলাম সেগুলো বিষয় আপনার জানা আবশ্যক। তবে অবশ্যই যথেষ্ট সময় নিয়ে এবং ধৈর্য ধরে নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। কখনোই কঠোর শ্রম, অধ্যাবসায় এবং নিয়মিত চর্চা ছাড়া আপনি সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে পারবেন না।

জবস পাসওয়ার্ড বই

বিগত সকল বছরের প্রাক প্রাথমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, শিক্ষক নিবন্ধন এবং অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করি রচিত করা এই বইটি। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ কমন পাওয়ার জন্য এবং প্রতিটা অধ্যায়ের কোন অংশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানতে আপনি এই বইটি কিনতে পারেন।এই বইতে বিস্তারিত সকল কিছু আলোচনা করা হয়েছে।
বইয়ের দাম মূল মাত্র ৪৩০ টাকা। সেই সাথে প্রতিটা মেম্বার এর জন্য আলাদা করে ১০০ দিনের পরীক্ষার রুটিন পরিকল্পনা করা রয়েছে।আপনি যেদিন বইটি কিনবেন এবং পরীক্ষার রুটিন ডাউনলোড দিবেন সেই দিন থেকে আপনার জন্য ১০০ দিনের পরীক্ষার রুটিন তৈরি হবে এবং আপনি ১০০ দিনে বইটি শেষ করতে পারবেন। প্রতিটি চাকরি পরীক্ষার জন্য এই বইটির ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়াও আপনি মনে রাখবেন দ্রুত সরকারি চাকরি পেতে আপনাকে-
  • প্রথমত নিজের ইচ্ছাই শক্তিকে দৃঢ় মজবুত করতে হবে।
  • দ্বিতীয়ত নিজের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
  • তৃতীয়ত আপনার নেতিবাচক ধ্যান ধারণা পরিত্যাগ করে বাস্তব ধারণা আনতে হবে।
  • চতুর্থ হচ্ছে আপনার মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে সবসময়।
  • পঞ্চম হচ্ছে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে।

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার দোয়া

আমরা মুসলিম এবং মুসলিম হিসেবে আমাদের ধর্মে বেশ কিছু আমল করার কথা বলা হয়েছে।ইসলাম ধর্মের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরা দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু দোয়া এবং আমল সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য যে দোয়া রয়েছে সে সম্পর্কে।
কেননা এই নিয়ে কোরআন ও হাদিসে কিছু আমল পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দোয়াটি হচ্ছেঃ “রাব্বি ইন্নি লিমা- আনযালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।”এর অর্থ হচ্ছে হে আমার পালনকর্তা, আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে আমি সেটারই মুখাপেক্ষী।এছাড়াও ভালো চাকরি লাভের জন্য এখন আমাদের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা এবং বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এজন্য ভালো চাকরি লাভে প্রত্যাশায় আল্লাহর কাছে সব সময় জিকির এবং প্রার্থনা করা উচিত।আমাদের উচিত মহান আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামের আমল করা এবং বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। আমরা চাইলে আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম গুলোর মধ্যে একটি নাম নিয়ে জিকির করতে পারি।
 “ইয়া ওয়াহহাবু” আল্লাহ তায়ালার এই গুণবাচক নামের অর্থ হচ্ছে কোন রূপ প্রতিদান ব্যতীত অধিক দানকারী। এই নাম নিয়ে যারা বেশি বেশি জিকির-আজকার করে তাদের অভাব অনাদন দূর হয়ে যায় এবং বরকত আসে। এবং কোন কিছুর দরকার থাকলে আল্লাহ তার সমাধান করে দেন।
এছাড়াও এক হাদিসে এসেছে, যে ব্যাক্তি রিজিকের প্রশস্ততার জন্য অর্থাৎ ভালো কাজ কিংবা চাকরির প্রত্যাশায়ী রাষ্ট্রের নামাজের সময় ১২ রাকাত নামাজ পড়ে সেজদাতে গিয়ে’ইয়া ওয়াহহাবু’ এই গুণবাচক নাম ৫০ বার কিংবা ১০০ বার জিকির করলে তার অবশ্যই কোন রিযিকের অভাব হবে না।

হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর দোয়া প্রেক্ষিতে একটি ঘটনাঃ

আল্লাহ তা'আলা হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে নিয়ে কুরআনে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করেছেন। আল্লাহ তা'আলা তার প্রতি তার আশ্রয় লাভ এবং কাজের অনুসন্ধানের আহ্বান উঠে এসেছে। পবিত্র কুরআনে ঘটনাটি যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত রূপ আমি বর্ণনা করলাম-
ফেরাউনের কষাঘাতে পড়ে একদিন মুসা আঃ মিশর থেকে অনেক দূরে চলে যান এবং মাদায়িন নামক এক শহরে গিয়ে পৌঁছান।তিনি কিছুই চিনতেন না কিংবা তার জীবিকা নির্বাহ করার কোন সংস্থান ছিল না। এমনকি তার আশ্রয়ের কোন জায়গা ছিল না।
সেই ঘটনা কুরআনে উল্লেখ করলে আল্লাহ তা'আলা বলেন, যখন মুসা আলাইহিস সালাম মাদাইন নামক শহরের অভিমুখে রওনা হলেন তখন তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আপনি অবশ্যই আমাকে সরল পথ দেখান। তিনি যখন মাদইয়ানের কুপের কাছে পৌঁছে গেলেনতখন সেখানকার কুপের ধারে একদল লোককে পেলেন।এবং লোকগুলো পশুদের পানি পান করানোর কাজে ব্যস্ত ছিল।
এবং সে সময়ে পেছনে দুইজন নারীকে দেখতে পেলেন। যারা তাদের পশুগুলোকে আগলে রেখেছেন। তখন মুসা আলাইহিস সাল্লাম ওই দুই নারীকে জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার তোমাদের এখানে কি খবর? তখন তারা উত্তর দিল রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারবো না। আর আমাদের বাবা অতি বৃদ্ধ।
এর পরের আয়াতে মুসা আলাই সাল্লাম এর কাছে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার বিনীত নিবেদন এসেছে।অতঃপর মুসা আঃ ওই দুই নারীর পশুগুলোকে পানি পান করান। এরপর তিনি ছায়ার দিকে ফিরে গেলেন এবং বললেন হে আমার সৃষ্টিকর্তা তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ অবতীর্ণ করবে আমি সেটারই মুখাপেক্ষী। অর্থাৎ আমার কাজ আশ্রয় এবং কর্মসংস্থান খুবই দরকার।
আর তুমি আমার জন্য যে কাজ কিংবা কর্মসংস্থান অথবা জিরিকার ব্যবস্থা করবে আমার তোমার করা সেই ব্যবস্থা এবং জীবিকার মুখাপেক্ষী। আল্লাহ তা'আলা বলেন তখন ওই দুই নারীর একজন লজ্জাজনিত পদে তার কাছে এসে বললেন, আপনি যে আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়েছেন তার পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য আমাদের বাবা আপনাকে ডেকেছেন।
অতঃপর মুসা আলাইহিস সাল্লাম তাদের বাবার কাছে গিয়ে সব ঘটনাগুলো খুলে বলল। তখন সে বৃদ্ধ লোকটি বললেন, ভয় করোনা তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবর থেকে বেঁচে গেছ। ঠিক তখনই ওই দুই নারীর মধ্যে একজন বললেন,হে আব্বা! আপনি একে মজুরি কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করুন দয়া করে। কেননা আপনার চাকর হিসেবে নিশ্চয়ই সে উত্তম হবে।
আল্লাহর নবী হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এভাবেই আল্লাহর কাছে দোয়া করে এবং অন্যকে সাহায্য সহযোগিতা করার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম কর্মক্ষেত্র এবং আশ্রয় লাভ করতে পেরেছিলেন।অর্থাৎ যাদের উত্তম চাকরি এবং কর্মসংস্থানের প্রয়োজন তারা আল্লাহর কাছে অবশ্যই সহযোগিতা কামনা করবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে একটি ভালো চাকরি তৌফিক দান করুন। আমীন।

পাঠকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়-চাকরি পাওয়ার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এর দোয়া প্রেক্ষিতে একটি ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url