পেমেন্ট বেশি সহজ করতে বিকাশ চালু করলো বিজনেস ড্যাশবোর্ড

পেমেন্ট বেশি সহজ করতে বিকাশ চালু করলো বিজনেস ড্যাশবোর্ড এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানি। আজকাল যুগে অনলাইন ভিত্তিক ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উত্তর দেয় এবং গ্রাহকদের মধ্যে লেনদেন আরো সহজ করার জন্য এই প্রথমবার বিকাশ নিয়ে চলে আসলো বিজনেস ড্যাশবোর্ড সেবা।
পেমেন্ট বেশি সহজ করতে বিকাশ চালু করলো বিজনেস ড্যাশবোর্ড
৫০ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশে এখন এগিয়ে চলছে সমৃদ্ধির পথে। কেউ পাঠক আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় পেমেন্ট বেশি সহজ করতে বিকাশ চালু করলো বিজনেস ড্যাশবোর্ড সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।

পেমেন্ট বেশি সহজ করতে বিকাশ চালু করলো বিজনেস ড্যাশবোর্ড

প্রতিদিন নতুন নতুন অর্জন যোগ হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশে। শুধুমাত্র আমরা পরিসংখ্যানে দৃষ্টি কাটছে বিষয়টি এরকম নয় বরং অন্তর্ভুক্তমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যেমনটা গত 11 বছরে বেশি মোবাইল আর্থিক সেবা, ব্যাংকিং সেবা কিংবা এর বাইরে ও থাকা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মূলধারার অর্থনীতি যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

বিকাশ প্রতিষ্ঠানটি আমাদের গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে এনে দিয়েছে চরম স্বাধীনতা। পাশাপাশি আমাদের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্যই সরকারের ডিজিটাল অভিযাত্রার সহযোগী হয়ে উঠেছে বিকাশ। নতুন এই আর্থিক সেবা খাতের বিকাশের নেটওয়ার্ক সংযোগের জন্য মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে অংশীদার, ক্যাশ ব্যবস্থা করার জন্য ব্যাংকের সহায়তা, এজেন্টের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরির বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই খাত সংস্কৃত সবার নিরলস পরিশ্রম সকল হয় যখন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের জীবন যাপনের পরিবর্তনের জন্য বিকাশের উপর আস্থা রাখতে শুরু করে। মাত্র ১ দশকের ব্যবধানে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের গ্রাহকদের অভ্যস্ততায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে বিকাশ। এই বিজনেস ড্যাশবোর্ড সেবার কল্যাণে এখন উদ্যোক্তারা বিকাশ পেমেন্ট লিংকের মাধ্যমে সহজে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে।

 এছাড়াও অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সহ লেনদেনের সকল তথ্য সব বিবরণ দেখতে পারবে তার বিজনেস ড্যাশবোর্ড থেকে। যার কারণে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আরো গতিশীল আসবে এবং ব্যবস্থা পরিচালনায় হবে আরো দক্ষ।ফেসবুক বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক পণ্য বিক্রেতারা বিকাশ বিজনেস ড্যাশবোর্ডের পেমেন্ট লিংকের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে খুব সহজে আরও দ্রুত সময়ে নিরাপত্তার সাথে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।

পাশাপাশি গ্রাহকদের আরো আস্থা এবং সচ্ছলতা বাড়ছে। ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট লিংক পেতে সর্বপ্রথম উদ্যোক্তাকে মার্চেন্ট একাউন্ট কিংবা পার্সোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট এবং সক্রিয় একটি ইমেইল একাউন্ট দিয়ে সাইট আপ কিংবা নিবন্ধন করতে হবে https://business.bkash.com । নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে গেলে পাওয়া যাবে পেমেন্ট লিঙ্ক যা মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, এসএমএস কিংবা ইমেইলের মাধ্যমে শেয়ার করে নেওয়া যাবে যেকোনো পণ্যের পেমেন্ট।

একজন বিক্রেতা বিজনেস ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করে খুব সহজে পেমেন্ট ডিম তৈরি করে গ্রাহকদের সঙ্গে চাইলে শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও বিক্রেতা চাইলে টাকার পরিমাণ নির্ধারিত করে ফিক্সড পেমেন্ট লিংক নির্ধারণ করে গ্রাহককে পাঠিয়ে দিতে পারেন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে ড্যাশবোর্ড সেবা চালু উপলক্ষে মার্চেন্টরা পাচ্ছেন ১০০ টাকা বোনাস।

এছাড়াও বিকাশ বিজনেস ড্যাশবোর্ড রেজিস্টার করার পর পেমেন্ট লিঙ্ক দিয়ে প্রথমবার ন্যূনতম ১০০ টাকা পেমেন্ট করলেই মার্চেন্ট পাবে এ বোনাস। এ অফারটি তুলবে পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত। বিকাশ পেমেন্ট চার্বিকভাবে ব্যবসায়ী গতিশীলতা এনেছে এবং ব্যবসার পরিধি বাড়াতে আরো বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বিকাশের এই সাশ্রয় সেবা ব্যবহার করে সারাদেশে অসংখ্য গ্রাহকদের কেনাকাটা হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং নিরবিচ্ছিন্ন ও ক্যাশবিহীনভাবে।

বিকাশ ব্যবসা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হালাল নাকি হারাম

বিকাশ ব্যবসা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হালাল নাকি হারাম এটা নিয়ে আমাদের মনের বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতামত দিয়ে থাকেন। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো বিকাশ ব্যবসায় ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হালাল নাকি হারাম সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। আমরা সকলেই জানি ব্র্যাক একটি সুদি ব্যাংক।সুতরাং এর উদ্যোগে পরিচালিত বিকাশে সুদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।

এ সম্পর্কে বলা হয়েছে আপনি বিকাশ একাউন্টে টাকা জমিয়ে বছরে চার পার্সেন্ট পর্যন্ত ইন্টারেস্ট ভোগ করতে পারেন। আর এই কথা আমরা সকলেই জানি যে ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ খুব ভয়ানক একটি জিনিস। ধ্বংসাত্মক কবিরা গুনাহ। ইসলামে দৃষ্টিকোণ থেকে শোধ যেমন ভয়াবহ হারাম ঠিক তেমনি আল্লাহতালা ক্রয় বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সকল প্রকারের সুদ করেছে হারাম।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে মুমিনগণ তোমরা থাকো অবলম্বন করো এবং সুদের যা বকে আছে তা ছেড়ে দাও যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো। এত কষ্ট তোমরা যদি সেটা না করো তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও। আর যদি তোমরা তওবা করে থাকো তাহলে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে।

এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাবে না। তোমরা আল্লাহতালাকে ভয় করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলতে পারি বিকাশ ব্যবসায় সর্বোচ্চ এড়িয়ে চলাই ভালো।

বিকাশ কোম্পানিতে চাকরি করা জায়েজ হবে কি

বিকাশ কোম্পানিতে চাকরি করা জায়েজ হবে কিনা এটা নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে এই ধরনের সুধি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও সুদখোরদের প্রতি আল্লাহ ও তার রাসূল অভিশাপ করেছেন। গির্জা ঘর, মদের কারখানা কিংবা দোকান, সিনেমা হল, সুদি ব্যাংক, এই ধরনের যেকোনো অবৈধ জায়গায় চাকরি করা জায়েজ নয়।

এটাতে চাকরি করা মানে ওই কোম্পানিকে এক প্রকারের সাহায্য করা হচ্ছে। আর আল্লাহতালা এর সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এবং কঠোর শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা সবসময় মুমিন ব্যক্তিদের ভালো কাজের জন্য সহায়তা করতে আদেশ দিয়েছেন এবং অন্যায় ও অসৎ এবং হারাম কাজে সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন।

যেহেতু ব্যাংকিং ব্যাংকিং সেবা এবং নেট ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সমস্ত কর্মপদ্ধতি হারাম এবং সুদের অন্তর্ভুক্ত এজন্য আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক এগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এবং এই কোম্পানিতে চাকরি করা অবশ্যই জায়েজ হবে না।

বিকাশের ক্যাশব্যাক অফার গ্রহণ করা যাবে কিনা

বিকাশের ক্যাশব্যাক অফার বিভিন্ন উপলক্ষ সামনে রেখে দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আলেমদের মতে, বিকাশ, নগদ কিংবা রকেটে যেসব ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে থাকে এটা কোম্পানির পক্ষ থেকে এক ধরনের উপহার। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা সম্পূর্ণ বৈধ।হাদীস শরীফে এসেছে, একতা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন," এটা হাদিয়া নাকি সাদকা?"

 যদি থাকে বলা হতো যে হাদিয়া তাহলে তিনি গ্রহণ করতেন। আর যদি বলা হতো সাদিকা তাহলে সাহাবীদের বলতেন এটি তোমরা খাও। আরেক হাদিসে এসেছে আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাকে হাদিয়া পাঠানোর জন্য আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর কাছে নির্ধারিত দিনের জন্য অপেক্ষা করতে। এতে করে রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করতো তারা। এজন্য বিকাশের ক্যাশব্যাক অফার গ্রহণ করা অবশ্যই জায়েজ হবে।

বাটন ফোন থেকে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম

বাটন ফোন থেকে বিকাশে টাকা দেখার কিছু নিয়ম রয়েছে। বাংলাদেশের যে সকল মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার রয়েছে তার মধ্যে বিকাশ হচ্ছে। বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজে আমরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা আদায় প্রদান করতে পারে খুব সহজে। কিন্তু বর্তমান সময়ে বেশিভাগ স্মার্টফোন হওয়ার কারণে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে পিন বসিয়ে টাকা দেখা যায় খুব সহজে।

কিন্তু আমাদের মধ্যে যাদের এখনও বাটন ফোন রয়েছে তাদের বিকাশ থেকে টাকা দেখার কিছু অন্য নিয়ম রয়েছে। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নেই বাটন ফোন থেকে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
  • প্রথমে আপনাকে ডায়াল করতে হবে *২৪৭#। এরপর বিকাশ একাউন্ট খোলার রয়েছে সেই নাম্বারে সেট করতে হবে।
  • এরপরে আপনার সামনে বেশ কিছু অপশন আসবে সেখানে থেকে আপনার একাউন্টে কত টাকা রয়েছে সেটা দেখতে যদি চান তাহলে My Bkash অপশনে ক্লিক করে সেন্ড করতে হবে।
  • এরপরে আপনার সামনে আরো কিছু অপশন আসবে সেখানে থেকে আপনাকে Check Balance ক্লিক করে সেন্ড করতে হবে।
  • পরবর্তীতে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন চাইবে। সেখানে আপনার হয়ে সঠিক পিন কোড দিয়ে সেন্ড অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার বিকাশের টাকা দেখতে পারবেন।

বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম

আপনি কি বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এখন সরাসরি বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার করা যায় খুব সহজেই। আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টে এই প্রক্রিয়াটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। রকেটে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম বা মাধ্যম হচ্ছে বিনিময় একাউন্ট যা বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করছে।

তাই বলা যায় এটি নিঃসন্দেহে টাকা ট্রান্সফারের একটি নিরাপদ মাধ্যম। অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে টাকা ট্রান্সফার নিয়ে আমাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। বিশেষ করে বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার কিংবা বিকাশ থেকে নগদে টাকা ট্রান্সফার এইসব নিয়ে। যদিও রকেট এই সব সেবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কিন্তু সাধারণত এখন পর্যন্ত নগদকে সেবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, বিনিময় একাউন্ট কি? বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্ভিস যার মাধ্যমে কিছু ব্যাংক এবং এর অভ্যন্তরের অত্র লেনদেনের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। তাহলে জেনে নেই বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কেঃ
  1. সর্বপ্রথম আপনাকে বিকাশ অ্যাপ এ ঢুকতে হবে এবং সেখানে গিয়ে অন্যান্য সেবা কিংবা More Service ওখানে যেতে হবে।
  2. এরপর আপনার ইমেইল নম্বর, পোস্টাল কোড এবং ইউজার আইডি দিয়ে সফলভাবে একাউন্ট খুলতে হবে।
  3. তারপর আপনার পছন্দমত একটি পিন দিয়ে Submit Click করতে হবে।
  4. ইউজার আইডি সফলভাবে খোলা হয়েছে এরপর আপনার প্রতিটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং এসএমএস এর জন্য আলাদাভাবে বিনিময়ে আইডি খুলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন একটি ইমেইল আইডির।
  5. এখন আপনার রকেটে ঢুকে একইভাবে আপনার একাউন্টটি খুলে ফেলতে হবে।
  6. সাধারণত বিনিময় আইডি টু বিনিময় আইডিতে অথবা আদান প্রদান হয়ে থাকে।
  7. বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে সাধারণত আপনার ইমেইল একাউন্ট, পোস্টাল কোড এবং টিআইএন নাম্বার দরকার হয়।
  8. এরপর আপনার বিকাশে বিনিময় অপশনে আসুন।
  9. Direct Pay এরপর আপনি কত টাকা ট্রান্সফার করতে চান তার অ্যামাউন্ট এবং রেফারেন্স দিয়ে দিবেন।
  10. এরপর আপনার যেই বিনিময় আইডিতে টাকা পাঠাতে চান সেটা দিন এবং পিন কনফার্ম করে ফেলুন। এক্ষেত্রে রকেটে টাকা পাঠাতে চাইলে রকেটের বিনিময় আইডি দিতে হবে।
  11. লেনদেন সম্পন্ন হলে এই সংক্রান্ত স্টেটমেন্ট দেখতে পারেন।
  12. অবশেষে আপনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনার বিকাশ একাউন্ট চেক করলে আপনি বুঝতে পারবেন টাকা ট্রান্সফার হয়েছে কিনা।
বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফারের পদ্ধতিতে কিছুটা চার্জ কাটবে। যদিও প্রথম দিকে এটি সম্পূর্ণ ফ্রি ছিল তবে বর্তমানে লেনদেন করার ক্ষেত্রে কিছুটা চার্জ কেটে নেই।

বিকাশ থেকে কি লোন নেওয়া যায়

বিকাশ থেকে কি লোন নেওয়া যায় কিনা এটা আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু প্রিয় পাঠক আপনি বিকাশে ঢুকে অ্যামাউন্ট স্ক্রিনের নিচে পে লেটার আইকন দেখতে পাবেন। এটাই হচ্ছে বিকাশ অ্যাপ এ গ্রাহকদের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন সিটি ব্যাংক থেকে পেমেন্ট অপশনের সময় মুহূর্তের লোন নেওয়ার একটি সুযোগ।

একজন বিকাশ গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। লোন নেওয়ার পরে নির্ধারিত তারিখে বিকাশ একাউন্ট থেকে সক্রিয়ভাবে লোনেল কিস্তি পরিশোধ হয়ে যাবে বলে জানা যায়। ইন্টারেস্ট হার, প্রসেসিং ফি, লোনের লিমিট, পরিশোধের সময়সীমা, লোন পাওয়ার যোগ্যতা।

এবং লোন প্রধানের নীতিমালা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংক নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারণ করে লোন দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিকাশ লিমিটেড শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করে থাকে।
পেমেন্ট বেশি সহজ করতে বিকাশ চালু করলো বিজনেস ড্যাশবোর্ড

বিকাশ থেকে কিভাবে ব্যাংকে টাকা পাঠাবো

আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন যে বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করা যায়। বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানো যাবে যে কোন সময়। তবে তালিকাভুক্ত কিছু ব্যাংক রয়েছে যেগুলোতে আপনি কোন কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই টাকা পাঠাতে পারবেন খুব সহজেই।

বিকাশ টু ব্যাক সার্ভিস এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে যেগুলো এমাউন্টের টাকা পাঠাতে পারবেন ব্যাংক। এক্ষেত্রে বিকাশ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টাকা সরাসরি ব্যাংকে পাঠাতে পারবেন। সেই ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
  • অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি।
  • সোনালী ব্যাংক।
  • ব্র্যাক ব্যাংক।
  • সিটি ব্যাংক।
  • এবি ব্যাংক।
  • ঢাকা ব্যাংক।
  • মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।
  • কমার্শিয়াল ব্যাংক।
  • প্রিমিয়ার ব্যাংক।
  • পূবালী ব্যাংক।
  • রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
  • ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।
  • ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
  • কমিউনিটি ব্যাংক।
  • মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড।
  • সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি।
বিকাশ টু ব্যাক করতে নিজের ধাপ গুলো অনুসরণ করুনঃ
  • সর্বপ্রথম আপনাকে বিকাশ অ্যাপ এ লগইন করতে হবে।
  • লগইন করার পর বিকাশ টু ব্যাংক আইকন সিলেক্ট করে নিন।
  • এরপর আপনি যে ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান সেই ব্যাংক সিলেক্ট করে নিন।
  • এরপর আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে দিন।
  • আপনি যে পরিমাণ টাকা পাঠাতে চান সেই পরিমাণটি লিখে ফেলুন।
  • লেনদেন করার জন্য একটি রেফারেন্স লাগে সেটি দিয়ে দিন।
  • এরপর আপনার বিকাশ পিন দিয়ে লেনদেনটি সম্পন্ন করুন।
  • একজন বিকাশ গ্রাহক একটি বিকাশ একাউন্ট থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা থেকে মাসে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বিকাশ টু ব্যাংক করতে পারবেন।

বিকাশ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয় কি

অনেক সময়ে আমরা বিকাশ ব্যবহার করতে বিকাশ একাউন্টের পিন ভুলে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে বিকাশ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে নিজে নিজে পিন রিসেট করা সম্ভব। নিজে নিজে বিকাশের পিন রিসেট করতে আপনি *২৪৭# ডায়াল করে নয় বরং পিন ভুলে গিয়ে রিসেট করুন বিকাশ অ্যাপস থেকে কিংবা ১৬২৪৭ নম্বরে কল করে। বিকাশ অ্যাপস দিয়ে পিন রিসেট করার ক্ষেত্রে হিসেবে প্রথম আপনাকে
  • অ্যাপের লগইন স্ক্রিন থেকে "পিন ভুলে গিয়েছেন" এই অপশনে ট্যাপ করতে হবে।
  • এরপর পিন রিসেট অপশনে ট্যাপ করুন।
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেরিফিকেশন কোড এড হয়ে যাবে এবং কনফার্ম বাটনে চাপ দিবেন।
  • এরপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে আপনার ফেস স্ক্যানিং প্রসেসটি সম্পন্ন করুন ভালোভাবে।
  • বিকাশ থেকে পাঠানো অস্থায়ী পিন নম্বরটি দিয়ে ট্যাপ করুন।
  • আপনার পছন্দমত পাঁচ ডিজিটের নতুন পিন নাম্বার দিন এবং পুনরায় নতুন পিন নাম্বার দিয়ে কনফার্ম করুন এবং আবারও অ্যাপস এ লগইন করে ফেলুন।

বিকাশ সম্পর্কে পাঠকের কিছু প্রশ্নঃ

১.বিকাশের বর্তমান চেয়ারম্যান কে?

বিকাশ লিমিটেড এর পরিচালনা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হল শামেরান আবেদ।

২.বিকাশে ১০০০ এ কত টাকা কাটে?

বিকাশে এপ্স থেকে ক্যাশ আউট খরচ প্রতি হাজারে ১৭.৫০ টাকা এবং *২৪৭# ডায়াল করে ক্যাশ আউট করলে হাজারে ১৮.৫০ টাকা কাটবে।

৩.ডেবিট কার্ড থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করবো কিভাবে?

ডেবিট কার্ড থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশনটি ইনসাল্ট করতে হবে এবং চালু করতে হবে। এরপর আপনি সরাসরি ব্যাংকের ওয়েবসাইটেও যেতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনার এমাউন্ট ট্রান্সফার করতে পারেন।

৪.প্রতিদিন বিকাশে ক্যাশআউট সীমা কত?

একজন বিকাশ অ্যাকাউন্ট হারিয়ে তার একাউন্ট থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা এবং মাসে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারবে(এটিএম এবং এজেন্ট মিলে)। প্রতিদিন এর জন্য সর্বনিম্ন অর্থ প্রদানের পরিমাণ এক টাকা। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বত্র সীমা ব্যবসায়ীর ওপর নির্ভর করবে এবং পরবর্তীতে পরিবর্তন হতে পারে।

৫.মোবাইল রিচার্জ ব্যবসায় লাভ কেমন?

মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা করে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব। কিভাবে শুরু করবেন সেটা আপনার পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর নির্ধারণ করা উচিত। যদি আপনি মার্কেট কিংবা বাজারে মধ্যবর্তী কোন স্থানে করতে চান তাহলে সেখানে অনেকভাবে স্বাভাবিক এবং আপনি লাভবান হবেন।

পাঠকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম পেমেন্ট বেশি সহজ করতে বিকাশ চালু করলো বিজনেস ড্যাশবোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। এছাড়াও আরো জানলাম বিকাশ কোম্পানিতে চাকরি করা জায়েজ হবে কি না,বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম,বাটন ফোন থেকে বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম।

এবং বিকাশ কোম্পানিতে চাকরি করা জায়েজ হবে কি না সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করবেন।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের কোন পোস্টে।

আজকের এই পোস্টে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।আর এধরনের আরো আর্টিকেল পড়তে এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।আর এতক্ষণ ধরে আমার আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url